অতি আত্মবিশ্বাসী আ'লীগ, ভোটারদের ভিন্নমত



মনি আচার্য্য, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
টাঙ্গাইল-৮ আসনের আ'লীগ নেতাকর্মীরা / ছবিঃ বার্তা২৪

টাঙ্গাইল-৮ আসনের আ'লীগ নেতাকর্মীরা / ছবিঃ বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দেশের অন্যসব নির্বাচনী এলাকার মতো টাঙ্গাইল-৮ আসনেও চলছে নির্বাচনী ব্যস্ততা। রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন উপলক্ষে প্রচার প্রচারণা চালোনোর জন্য ইসির ঘোষিত তারিখের জন্য অপেক্ষা করছেন। তবে প্রচারণার তারিখের জন্য অপেক্ষা করলেও নিজ নিজ দলীয় সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সেরে ফেলেছে দলগুলো।

টাঙ্গাইল-৮ বাসাইল এবং সখীপুর নিয়ে গঠিত। আসনটিতে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে লড়াই করবে আওয়ামী লীগ বনাম ঐক্যফ্রন্ট। টাঙ্গাইলের আসনটিতে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রধান বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ঐক্যফ্রন্টের হয়ে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়বেন।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আসনটিতে সম্ভাব্য প্রার্থী অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের।

সবকিছু ঠিক থাকলে এ দুই প্রার্থীই আসনটিতে নির্বাচনে প্রধান দুই জোটের প্রতিনিধিত্ব করবেন। সেক্ষেত্রে আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী এলাকাটিতে টানটান উত্তেজনা পূর্ণ একটি পরিবেশের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

তবে নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী টাঙ্গাইল-৮ আসনের আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী। আসন্ন নির্বাচনে সামনে শক্ত কোনো প্রতিপক্ষই দেখছে না তিনি। ফলে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দকীর মতো ঝানু প্রার্থীকেও গোনায় ধরছে না টাঙ্গাইল-৮ আসনের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।

টাঙ্গাইল-৮ আসনের আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনটিতে জয়ের বিষয়ে অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী। এজন্য তারা বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ কাদের সিদ্দিকীর বিপক্ষে কোনো ধরণের রাজনৈতিক কৌশল গ্রহণের প্রয়োজন মনে করছে না।

টাঙ্গাইল-৮ আসনের আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ১০ বছরে বাসাইল এবং সখীপুর এলাকায় আওয়ামী লীগ রেকর্ড পরিমাণ উন্নয়ন করছে। তাই এ আসনে আওয়ামী লীগের ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে। সেক্ষেত্রে এ আসন থেকে আওয়ামী লীগকে কোনো হেভিওয়েট প্রার্থীও চ্যালেঞ্জ করতে পারবে না বলে জানায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ।

ফলে আসনেটিতে আওয়ামী লীগের জয় শতভাগ নিশ্চিত বলে মনে করছেন তারা। আর এই কারণে কাদের সিদ্দিকীকে নিয়ে কোনো ধরনের বিশেষ পরিকল্পনার কথা ভাবা হচ্ছে না স্থানীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/01/1543651176125.gif

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা যুবলীগের শিক্ষা গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আল-মাস আজাদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, বিদ্যুৎ, শিক্ষা থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট পর্যন্ত কোনো সেক্টর বাদ যায়নি উন্নয়নের জোয়ার থেকে। আর জনগণের সম্পূর্ণ আস্থা আওয়ামী লীগের ওপর রয়েছে। তাই এখানে কোনো হেভিওয়েট প্রার্থীও যদি চাই আওয়ামী লীগকে হারানো সম্ভব নয়।

এদিকে নির্বাচনে শতভাগ জয়ের বিষয়ে নিশ্চিত জানিয়ে সখীপুর যুবলীগের সভাপতি মো.খলিল বার্তা২৪.কমকে বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর প্রধান প্রতিপক্ষ কাদের সিদ্দিকী। তিনি (কাদের সিদ্দিকী) জাতীয় পর্যায়ের রাজনীতিতে প্রভাবশালী থাকলেও আসনটিতে আওয়ামী লীগ থেকে শক্তিশালী নয়। আর তিনি এ আসনে বাসিন্দাদের জন্য এমন কিছু করেননি যে তাকে মানুষ ভোট দিবে। সেক্ষেত্রে বলা চলে টাঙ্গাইল-৮ আসনে আওয়ামী লীগকে চ্যালেঞ্জ করবে এমন প্রার্থী নেই।

তবে এ বিষয়ে টাঙ্গাইল-৮ আসনের ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামীলীগ নেতাদের এমন আত্মবিশ্বাসের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেনি মাঠ পর্যায়ে। ভোটাররা দল নয় ব্যাক্তি কাদের সিদ্দিকীকেই সব থেকে বেশি এগিয়ে রাখছেন আগামী নির্বাচনে। তাছাড়া গত ১০ বছরের আওয়ামী লীগের এমপির কাজ কর্মে তেমন একটা খুশি নয় ভোটাররা।

তাই খুব সহজেই বলা চলে পূর্ব পরিকল্পনা না করলে ব্যক্তি কাদের সিদ্দিকীর জনপ্রিয়তার কাছে আওয়ামী লীগের আত্মবিশ্বাসী মনোভাব যেকোনো সময় হেরে যেতে পারে। এছাড়া কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে বিএনপির সমর্থকদের বিশাল একটি ভোট ব্যাংকের সমর্থনতো পাচ্ছেন।

এ বিষয়ে সখীপুর উপজেলা রোডের বাসিন্দা রিপন কাজী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ভোটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। কে জিতবে এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে কোনো পক্ষই জয়ে ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত হতে পারবে না। কিন্তু ব্যক্তি কাদের সিদ্দিকীর একটি শক্ত ভোট ব্যাংক ও জনপ্রিয়তা রয়েছে।

উল্লেখ্য, এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৬৪৫ জন। বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী বলে পরিচিত দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান আসনটিতে আগে থেকে নির্বাচন করে আসছেন। কিন্তু ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী কাদের সিদ্দিকী থাকায় তিনি এবার নির্বাচন করছেন না।

অন্যদিকে আসনটিতে ১০ম জাতীয় সংসদে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের অনুপম শাহজাহান জয়। তার পরিবর্তে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের।

   

উপজেলা নির্বাচন: প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলেন মন্ত্রীর ভাতিজা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বিতীয় ধাপে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুরাদ কবির প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী ও গাজীপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম মোজাম্মেল হকের ভাতিজা। 

শুক্রবার (৩ মে) সকালে উপজেলার সফিপুরে তার নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। এসময় তিনি বলেন, যেহেতু দলীয় কোন সিদ্ধান্ত পাইনি সেজন্য দলকে সম্মান জানিয়ে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যদিও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের তারিখ গত ৩০ এপ্রিল চলে গেছে। তবুও আমার মনে হয়েছিল দলীয় কোন সাপোর্ট পাব। তাছাড়া এই আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক আমার আত্মীয়। আমি তার পরিবারের সদস্য। সেহেতু আমি চাইনা আমার কারণে একজন সিনিয়র মন্ত্রীর সম্মানহানি হোক।

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় ধাপে শুরু হয়েছে কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। আগামী ২১ মে শুরু হবে ভোট গ্রহণ। ইতিমধ্যে গত বৃহস্পতিবার (২ মে) প্রতীক বরাদ্দের পর ব্যানার পোষ্টার টাঙনো শুরু হয়েছে। নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাপ পিরিচ প্রতীক প্রার্থী মুরাদ কবির। সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনারস প্রতীক প্রার্থী কামাল উদ্দিন শিকদার ও গাজীপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও কালিয়াকৈর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মোটরসাইকেল প্রতীক প্রার্থী সেলিম আজাদ।

;

উপজেলা ভোট: তৃতীয় ধাপে ১৫৮৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় এক হাজার ৫৮৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন ইসি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, চেয়াম্যান পদে ৫৭০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬১৮ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪০০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

এমধ্যে পাঁচজন রয়েছেন একক প্রার্থী। চট্টগ্রামের চান্দনাইশে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, যশোরের অভয়নগরে ভাইস চেয়ারম্যান ও সুনামগঞ্জের ছাতক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী রয়েছে। এসব প্রার্থী বাছাইয়ে টিকলে ও প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে পারেন।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮ মে। আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোট ২৯ মে।

এবার ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলায় চার ধাপে ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সে সব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২ টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দু’টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

;

তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচন

গৌরনদীতে ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীর একসঙ্গে প্রচারণার অনন্য দৃষ্টান্ত



স্টাফ রিপোর্টার, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলা পরিষদের তিনজন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী একসঙ্গে গণসংযোগ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন।

ওই প্রার্থীদের দাবি, ভোটাররা যাকে যোগ্য মনে করবেন, তাকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। গৌরনদীকে ‘দানব মুক্ত’ করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য বলেও জানান তারা।

প্রার্থীরা হলেন- বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও প্রার্থী সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান এবং পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির হোসেন মিয়া।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দিনভর উপজেলার বাটাজোর ও মাহিলাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে এ প্রচারণার সময় বাটাজোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রব হাওলাদার, মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সান্টুসহ ওই তিন প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গৌরনদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ওই তিনজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর সমর্থিত সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারিছুর রহমান।

গৌরনদীতে ১০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল

বৃহস্পতিবার দুপুরে সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান জানান, চেয়ারম্যান হিসেবে চারজন প্রার্থী অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তারা হলেন-সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী, মো. হাবিবুর রহমান, মো. মনির হোসেন মিয়া ও মো. হারিছুর রহমান।

পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নুরুজ্জামান ফরহাদ মুন্সী, জামাল হোসেন গোমস্তা ও কাজী মোস্তাফিজুর রহমান রনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এছাড়াও নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে অ্যাডভোকেট সাহিদা আক্তার, শিপ্রা রানী ও আইরিন আক্তার শিল্পী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

আগৈলঝাড়ায় ১৩ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল

তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে আগৈলঝাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান যতীন্দ্র নাথ মিস্ত্রি মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা বাসুদেব সরকার জানান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে রফিকুল ইসলাম তালুকদার, মো. জসীম উদ্দিন সরদার, ফরহাদ তালুকদার, সবুজ আকন, সাহাবুদ্দিন মোল্লা, সঞ্জয় বাড়ৈ মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

এছাড়া নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়পত্র দাখিল করেছেন মলিনা রানী রায়, হাফিজা ইয়াসমিন, পবিত্র রানী রায়, মনিকা সরকার ও রিপা বেগম।

তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদে ২৯ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এসব উপজেলায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে বা অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ২ মে। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৫ মে এবং প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৩ মে। প্রচার পর্ব শেষে ২৯ মে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে।

;

১৪৮ উপজেলায় ভোট পর্যবেক্ষণে থাকবেন ৫ হাজার পর্যবেক্ষক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের প্রথম ধাপের ১৪৮ উপজেলায় কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচন কমিশনের ২৮টি নিবন্ধিত সংস্থা থেকে ২৬৭ জন এবং স্থানীয়ভাবে ৪ হাজার ৬৯২ জন ভোট পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে প্রায় ৫ হাজার জন পর্যবেক্ষক প্রথম ধাপের উপজেলা ভোট পর্যবেক্ষণ করবেন।

বৃহস্পতিবার (২ মে) ইসির পরিচালক (জনসংযোগ) মো.শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ৮ মে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৩ ও সংশ্লিষ্ট আইন মেনে এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ২৮টি পর্যবেক্ষক সংস্থার কেন্দ্রীয়ভাবে ২৬৭ জন এবং স্থানীয়ভাবে ৪ হাজার ৬৯২ জন পর্যবেক্ষককে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের কার্ড নির্বাচন কমিশন সচিবালয় হতে প্রদান করা হবে। স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের কার্ড ও স্টিকার রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় হতে প্রদান করতে হবে।

স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের ক্ষেত্রে যে নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে-

রিটার্নিং/সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে স্থানীয় পর্যবেক্ষণ নীতিমালা অনুযায়ী যাচাই বাছাই করে অনুমোদিত পর্যবেক্ষক সংস্থাকে পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার সরবরাহ করতে হবে।

নির্বাচন কমিশন হতে অনুমোদিত পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রত্যেক পর্যবেক্ষকের জন্য EO-2 ফরম, EO-3 ফরম, এসএসসি সনদের সত্যায়িত অনুলিপি, সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট ও ১ কপি স্ট্যাম্প সাইজ রঙিন ছবিসহ একটি আবেদন রিটার্নিং/সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নিকট জমা দিবে।

রিটার্নিং/সহকারী রিটার্নিং অফিসার এসকল তথ্য পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৩ অনুযায়ী যাচাই বাছাই করে কমিশন থেকে অনুমোদিত বৈধ পর্যবেক্ষকদের তালিকা প্রস্তুত করবেন এবং তাদেরকে নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত পরিচয়পত্র প্রদান করবেন।

কোন পর্যবেক্ষক যদি কোন রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কিংবা স্থানীয় কমিটির পদাধিকারী হন কিংবা স্থানীয় নির্বাচনি এজেন্ট/প্রচারণা কমিটি/পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন তাহলে তাকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করে কোন কার্ড ইস্যু করা যাবে না।

পর্যবেক্ষকগণ অনধিক ৫ জনের টিম করে ভ্রাম্যমাণ পর্যবেক্ষক হিসেবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। এজন্য তাদেরকে নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক লেখা গাড়ির স্টিকার সরবরাহ নিতে হবে। নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক লেখা স্টিকারযুক্ত গাড়িতে অনুমোদিত পর্যবেক্ষক ছাড়া অন্য কেউ ভ্রমণ করতে পারবেন না। নির্ধারিত পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার ইস্যু করে তা রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে এবং তা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রেরণ করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত পর্যবেক্ষক পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার নির্বাচনি মালামাল সংগ্রহের সময় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ শাখা রুম নং-১০৫ হতে সংগ্রহ করতে হবে।

এবার ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলায় চার ধাপে ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সে সব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২ টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দু’টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

 

;