নারায়ণগঞ্জ-৩: মহাজোটের প্রার্থী জাপার, স্বস্তিতে বিএনপি
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থেকে: আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে জাতীয় পার্টির (জাপা) বর্তমান সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকাকে। এতে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র নির্বাচনের সিদ্ধান্তে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে বিএনপি।
দলীয় মনোনয়ন না পেলেও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে স্বতন্ত্র মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ আবদুল্লাহ আল কায়সার। এলাকার ভোটাররা বলছেন, জাপার প্রার্থীর চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন আবদুল্লাহ আল কায়সার। অপর দিকে বিএনপি’র অবস্থানও এখানে সমানে সমান।
শনিবার (১ ডিসেম্বর) সোনারগাঁ আসনের বিভিন্ন এলাকার সাধারণ জনগণ ও স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, আবদুল্লাহ আল কায়সারকে চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন না দিলে দলের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়বে।
আসনটিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র অবস্থান বেশ শক্তিশালী। এ অবস্থায় যদি জাপা'র প্রার্থী দেয় মহাজোট তাহলে বিএনপি থেকে যাকেই মনোনয়ন দেওয়া দেবে সেই প্রার্থীর জয়ের সম্ভাবনা বেশি। তবে কায়সার নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করল, ধানের শীষের সাথে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।
সোনারগাঁর মোগরাপাড়ার স্থানীয় ব্যবসায়ী হাজী মো. আবুল কাশেম এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘কায়সার সাহেবকে মনোনয়ন না দিলে আওয়ামী লীগ এখান থেকে বলা যায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। তাকে (কায়সারকে) লোকজন বলছে আপনিই নির্বাচন করেন। খোকা পাশ করতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সাথে কাজ করতে হবে, না হলে খোকা পাশ করতে পারবেন না। জয়ী হবে ধানের শীষ।’
এ বিষয়ে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু বলেন, ‘খোকা সাহেব ও আমাদের মধ্যে গত পাঁচ বছরে কোনো সখ্যতা ছিল না। তিনি আমাদের কাছে টানেননি বরং দমন পীড়ন করেছেন। আর কায়সার সাহেবের পরিবারের ৫০-৬০ হাজার ভোট রয়েছে। তিনি ও তার বাবা দলের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘কায়সার সাহেবের মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন সমর্থকদের গণ জোয়ার সৃষ্টি হয়েছিল। এ অবস্থায় নেত্রী যদি তাকে মনোনয়ন না দেন তাহলে তিনি স্বতন্ত্র ভাবে নির্বাচন করবেন। আমরা তার সমর্থন দেবো।’
এ সময় তিনি আফসোস করে বলেন, ‘কায়সার ভাইকে যদি মনোনয়ন না দেওয়া হয় তাহলে এই আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী জয়ী হবে। আমাদের নেত্রী সেটা বুঝবেন এবং এখনো সময় আছে তাকেই মনোনয়ন দেবেন।’
এ আসনে বিএনপির পক্ষে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজহারুল মান্নান ও থানা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু জাফরকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় লোকজন দাবি করেছেন, জনপ্রিয়তায় মান্নান এগিয়ে রয়েছেন।