নীলফামারী-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফুফু-ভাতিজা
নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসন থেকে প্রার্থিতা চেয়ে নিজ নিজ জোটের পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করে একে অপরের প্রতি প্রতিদ্বন্দ্বিতার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন আপন ফুফু-ভাতিজা।
বিএনপির সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত মশিউর রহমান যাদু মিয়ার মেয়ে ন্যান্সি রহমান কবীর ও নাতি জেবেল রহমান গাণি আসনটিতে আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে মুখোমুখি লড়াই করার সম্ভাবনা রয়েছে।
জেবেল গাণি জাতীয় পার্টির সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত সফিকুল গাণি স্বপনের ছেলে। প্রয়াত সফিকুল গাণি স্বপন ন্যান্সি রহমান কবীরের আপন বড় ভাই। অর্থাৎ সবকিছু ঠিক থাকলে আপন ফুফু-ভাতিজা একে অপরের সাথে এবারের নির্বাচনে মুখোমুখি লড়তে যাচ্ছেন। কিন্তু আপন ফুফু-ভাতিজা হলেও পারিবারিকভাবে তাদের মধ্যে দা-কুড়াল সম্পর্ক।
ন্যান্সির বড় বোন রিটা রহমান ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রধান। রিটা রহমানের স্বামী পলাতক মেজর (অব) খায়রুজ্জামান। যেকিনা ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু এবং ৩ নভেম্বর কারাগারে জাতীয় চার নেতা হত্যার ঘটনায় জড়িত। সপরিবারে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে সফিকুল গাণি স্বপনের সঙ্গে বোন রিটা রহমানের সম্পর্ক ভাল ছিল না।
রিটা রহমানও তার স্বামীর পক্ষ নেয়ায় অপর বোন ন্যান্সি রহমান কবীর ও তার স্বামী ফারুক কবির উদ্দিনের সঙ্গেও জেবেলের বাবার দ্বন্দ্ব ছিল। বাবার সেই দ্বন্দ্ব ছেলে জেবেলের সঙ্গেও রয়েছে ফুফুদের। ফুফুদের সঙ্গে জেবেল গাণির কোন সু-সম্পর্ক নেই।
ন্যান্সি রহমান কবীর ন্যাশনাল পিপলস পার্টির কেন্দ্রীয় নেত্রী। নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনে ন্যান্সি রহমান কবীর ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। অপরদিকে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল গাণি। তার দল যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে জড়িত ও আওয়ামী লীগের মহাজোটের সমর্থক। জেবেল গানী ন্যাপের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করছেন। এতে তিনি মহাজোটের হয়ে আসনটিতে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে লড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ফুফু-ভাতিজা ছাড়াও আসনটিতে ১০ম জাতীয় সংসদের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দীন সরকার আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। অন্যদিকে খালেদা জিয়ার বড় দুলাভাই অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বিএনপির পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।