মনে হয় না বিএনপি নির্বাচনে থাকবে: শামীম ওসমান



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মনে হয় না বিএনপি নির্বাচনে থাকবে: শামীম ওসমান, ছবি: বার্তা২৪.কম

মনে হয় না বিএনপি নির্বাচনে থাকবে: শামীম ওসমান, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফতুল্লা (নারায়ণগঞ্জ) থেকে ফিরে: জাতীয় নির্বাচনের ক্ষণগণণা শুরু হয়েছে। প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনে তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, চলছে প্রার্থীতা বাছাইপর্ব। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা পুরোদমে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন। কিন্তু এই সময়েও ক্ষমতাসীন সরকার আওয়ামী লীগ বিরোধী রাজনৈতিক জোট ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে আসবে না বলে বিশ্বাস করেন নারায়ণঞ্জ-৪ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান।

তিনি বলেন, ‘আমি এখনও মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি ওরা (বিএনপি-জামায়াত) ইলেকশন করবে না। কারণ মাঠের যে অবস্থা, সেটা তাদের ফেভারে না। আমরা তিন পুরুষ ধরে রাজনীতি করি। এক জায়গার ভাত টিপলে বোঝা যায়, ভাতের কী অবস্থা। আমার এলাকায় ভাত টিপে দেখেছি, আশপাশের এলাকারও খবর রাখি। মানুষের যে জোয়ার দেখতেছি সেটা কিন্তু ওরাও বুঝতেছে।’

শনিবার (১ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বার্তা২৪.কম-এর মুখোমুখি হয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও নৌকার মনোনীত প্রার্থী শামীম ওসমান, ওই সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

শামীম ওসমান বলেন, ‘ওদের রাজনীতিতে নীতি নেই। কত বড় বড় নীতির কথা, আদর্শের কথা ড. কামাল হোসেনরা বলেছেন; এখন তো জামায়াতের সঙ্গে তাদের সব কিছু মিলে যাচ্ছে। এমন নৈতিকতার অধপতন যাদের ভেতরে আছে, তাদের জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে। তাছাড়া যেভাবে তিন-চারটা করে নমিনেশন দিয়েছে একেক এলাকায়। সেটাও প্রশ্ন সাপেক্ষ বিষয়।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/02/1543733909657.jpg

সন্ত্রাস ও নাশকতা করলে বিএনপি-জামায়াতকে নারায়ণগঞ্জে থাকতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শামীম। তিনি বলেন, আমার যেটা মনে হচ্ছে নির্বাচনটাকে আটকে দিয়ে মাঝখানে অন্যকোনো শক্তিকে নিয়ে খেলতে পারে তারা। কিন্তু আপনি নিশ্চিত থাকেন, সেটা তারা পারবে না। তাদের কোনো গতি নেই। কারণ মানুষ এটাকে ভালো চোখে নেবে না। আর যদি করতে চায়, তাহলে বাংলাদেশে তাদের রাজনীতি এখানেই ইতি হয়ে যাবে। ২০১৩-১৪ সালের মতো পরিস্থিতি যদি সৃষ্টি করতে চায়, জনগণ এবার আর ছাড় দেবে না। আমার মনে হয় না তাদের আর বাংলাদেশে থাকা হবে। অন্তত আমার এলাকা নারায়ণগঞ্জ; এতটুকু বলতে পারি থাকতে পারবে না।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর প্রতিদিনই নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন ওয়ার্ডে উঠান বৈঠক ও পথসভায় অংশ নিচ্ছেন শামীম ওসমান। পথসভায় লম্বা বক্তব্য দিলেও জনগণের কাছে ভোট চাইছেন না তিনি। প্রচারণায় তার নতুন কৌশল বেশ আলোচনার সৃষ্টি করেছে। শামীম বলেন, আমি বিদেশে নিজের চোখে দেখেছি কেউ যেয়ে বলেন না আমাকে ভোট দেন, প্রার্থীরা সেখানে শুধু তাদের প্রচারপত্র দিচ্ছে। কেননা মানুষ এখন সচেতন। তাই আমি একই কায়দায় কয়দিন চলব। কাউকে না কাউকে তো ঘন্টাটা বাঁধতে হবে।

তিনি বলেন, ‘আমি কাজ করেছি। মানুষকে কিন্তু বোকা ভাবার কারণ নেই। পিপলস ইজ ভেরি স্মার্ট। আমরা দায়িত্ব শুধু তাদের ভেতরটা জাগিয়ে দেওয়া। মানুষকে বুঝিয়ে দেওয়া, তুমি ভালো কাজটা সমর্থন করো; অন্ধভাবে মন্দকে সমর্থন করো না। আমি দেখছি, মানুষ এটাকে গ্রহণ করছে। কাজ করলে কাজের মূল্যায়ন হবে। ’

তার মতে, উন্নয়নটা যদি প্রতিযোগিতাপূর্ণ হয় তাহলে কিন্তু বেটার বাংলাদেশ হয়। আর সব জায়গায় যদি একই প্র্যাকটিস হয়, তাহলে নারায়নগঞ্জ সুন্দর হবে; সারা বাংলাদেশ সুন্দর হবে। ইনডিভিজ্যুয়ালি কোনো একটা জায়গাকে ঠিক করা যাবে না। এভাবে আমরা যদি একসঙ্গে আগাই তাহলে, বাংলাদেশ গড়তে খুব বেশি সময় লাগবে না।

পথসভায় বাংলাদেশকে ‘মা’ আর নারায়নগঞ্জকে ‘মেয়ের’ সঙ্গে তুলনা করে মেয়েকে সাজানোর ইচ্ছা তার। এ সুযোগ দিতে ভোটারদের কাছে দাবি করেছেন শামীম ওসমান। তিনি বলেন, আমার টার্গেট হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ হবে একটা এডুকেশনাল ও মেডিকেল হাবস। এগুলো কারা করতে পারেন আমরা জানি। বাংলাদেশের টপমোস্ট ইনভেস্টরস- তাদেরকে চিনি। আমি ইতোমধ্যে দেশের বড় বড় শিল্পগ্রুপগুলোর সঙ্গে কথা বলেছি, যারা বিজনেস সেক্টরে টাইকুন্স। আমাকে কথা দিয়েছেন, তারা আন্তর্জাতিকমানের ইউনিভার্সিটি, কলেজ ও স্কুলের চেইনগুলোকে এখানে আনার ব্যবস্থা করবেন।

শামীম ওসমান বলেন, ঢাকা ইজ এ ডেড সিটি। যে সিটিতে মানুষ থাকার কথা ৩০-৪০ লাখ, সেখানে মানুষ থাকছে দুই-আড়াই কোটি। আপনি করবেনটা কী? তাই আমার এই জোনটাকে যদি পূর্বাঞ্চল ধরেন, তাহলে নায়ারণগঞ্জ থেকে আপটু কক্সবাজার ২২টা জেলা আছে। ২২টা জেলার মানুষ যখন অসুস্থ হয়, সবাই ঢাকাকে টার্গেট করে। যার পয়সা আছে সে টার্গেট করে স্কয়ার, অ্যাপোলো, ল্যাবএইড হাসপাতাল । যেতে যেতে যারা সিরিয়াস পেসেন্ট ওই ট্রাফিক জ্যামে আটকে অনেকের মৃত্যু হয়। আমার এই রিংরোডে যদি হয়, তাহলে কিন্তু পুরান ঢাকার পুরো বেল্ট, ২২টা জেলার মানুষকে কিন্তু আর ঢাকায় যেতে হয় না। আমি ইতোমধ্যেই কথা বলেছি । ভারতের একটি হাসপাতাল ৫০০ বেডের কাজ অলরেডি শুরু হয়েছে নারায়ণগঞ্জে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/02/1543733927914.jpg
তিনি বলেন, দেশের নীট গার্মেন্টেসের ৭৫ ভাগই আমার নির্বাচনী এলাকায়। আমরা বাংলাদেশের টোটাল ট্যাক্সের প্রায় ২১-২৫ শতাংশ কাভার করি। আমরা কিন্তু নারায়ণগঞ্জে যতটুকু উপকৃত হয়েছি সেটা হলো- ১৯৯৬-২০০১ সালে। এর পর থেকে কিন্তু উন্নয়ন সেভাবে ধরে রাখতে পারিনি। একটা সময় নারায়ণগঞ্জ ছিল কৃষি জোন। কিন্তু এখন সেটা হয়েছে অন্যতম বড় ইন্ডাস্ট্রিয়াল বেল্ট। ২০০১-এর পর যারা নির্বাচিত হয়েছে তারা কোনো কাজ করেনি। আর কাজ না করাতে অবকাঠামোর অবস্থা এতটাই ভেঙে পড়েছে যে, এটা ঠিক করতে আমাদের প্রচণ্ড কষ্ট হয়েছে এবং হচ্ছে। আমরা একটা পর্যায়ে চলে এসেছি এখন। বলছি না, শতভাগ কাজ হয়েছে। ৮০-৮৫ শতাংশ কাজ শেষ করতে পেরেছি। আরও কিছু অবকাঠামো যদি আমরা করতে পারি, তাহলে মানুষের বেসিক প্রয়োজনগুলো পূরণ হয়ে যাবে।

আর ডিএন্ডডি যে প্রকল্পটা হচ্ছে, সেটা যদি আল্লাহর হুকুম হয়; আর আমাদের আপা যদি আবারও প্রধানমন্ত্রী হন (তিনিই হবেন- ইনশাআল্লাহ)। ডেমরা থেকে শুরু করে সিদ্ধিরগঞ্জ পর্যন্ত ইতোমধ্যেই ৯৯টা খাল উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলোকে উদ্ধার করে লেকের মতো করে তৈরি করা হবে। আমরা চেষ্টা করছি এ লেকের মধ্য দিয়ে নৌ চলাচলের ব্যবস্থা করতে।

শামীম বলেন, ইতোমধ্যে একটা ইউনিভার্সিটির অনুমতি পেয়েছি। বুলেট ট্রেন আনতেছি। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ডাবল রেল লাইনের কাজ শুরু হয়েছে। ইলেকট্রিক ট্রেন, ডিএনডি প্রকল্প, ইউনিভার্সিটি তাহলে সিটি কিন্তু আর ঢাকা থাকে না সিটি হবে নারায়নগঞ্জ। আমার সেটাই লক্ষ্য।

   

উপজেলা নির্বাচন: প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলেন মন্ত্রীর ভাতিজা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বিতীয় ধাপে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুরাদ কবির প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী ও গাজীপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম মোজাম্মেল হকের ভাতিজা। 

শুক্রবার (৩ মে) সকালে উপজেলার সফিপুরে তার নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। এসময় তিনি বলেন, যেহেতু দলীয় কোন সিদ্ধান্ত পাইনি সেজন্য দলকে সম্মান জানিয়ে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যদিও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের তারিখ গত ৩০ এপ্রিল চলে গেছে। তবুও আমার মনে হয়েছিল দলীয় কোন সাপোর্ট পাব। তাছাড়া এই আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক আমার আত্মীয়। আমি তার পরিবারের সদস্য। সেহেতু আমি চাইনা আমার কারণে একজন সিনিয়র মন্ত্রীর সম্মানহানি হোক।

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় ধাপে শুরু হয়েছে কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। আগামী ২১ মে শুরু হবে ভোট গ্রহণ। ইতিমধ্যে গত বৃহস্পতিবার (২ মে) প্রতীক বরাদ্দের পর ব্যানার পোষ্টার টাঙনো শুরু হয়েছে। নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাপ পিরিচ প্রতীক প্রার্থী মুরাদ কবির। সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনারস প্রতীক প্রার্থী কামাল উদ্দিন শিকদার ও গাজীপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও কালিয়াকৈর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মোটরসাইকেল প্রতীক প্রার্থী সেলিম আজাদ।

;

উপজেলা ভোট: তৃতীয় ধাপে ১৫৮৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় এক হাজার ৫৮৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন ইসি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, চেয়াম্যান পদে ৫৭০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬১৮ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪০০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

এমধ্যে পাঁচজন রয়েছেন একক প্রার্থী। চট্টগ্রামের চান্দনাইশে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, যশোরের অভয়নগরে ভাইস চেয়ারম্যান ও সুনামগঞ্জের ছাতক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী রয়েছে। এসব প্রার্থী বাছাইয়ে টিকলে ও প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে পারেন।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮ মে। আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোট ২৯ মে।

এবার ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলায় চার ধাপে ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সে সব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২ টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দু’টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

;

তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচন

গৌরনদীতে ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীর একসঙ্গে প্রচারণার অনন্য দৃষ্টান্ত



স্টাফ রিপোর্টার, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলা পরিষদের তিনজন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী একসঙ্গে গণসংযোগ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন।

ওই প্রার্থীদের দাবি, ভোটাররা যাকে যোগ্য মনে করবেন, তাকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। গৌরনদীকে ‘দানব মুক্ত’ করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য বলেও জানান তারা।

প্রার্থীরা হলেন- বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও প্রার্থী সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান এবং পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির হোসেন মিয়া।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দিনভর উপজেলার বাটাজোর ও মাহিলাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে এ প্রচারণার সময় বাটাজোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রব হাওলাদার, মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সান্টুসহ ওই তিন প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গৌরনদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ওই তিনজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর সমর্থিত সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারিছুর রহমান।

গৌরনদীতে ১০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল

বৃহস্পতিবার দুপুরে সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান জানান, চেয়ারম্যান হিসেবে চারজন প্রার্থী অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তারা হলেন-সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী, মো. হাবিবুর রহমান, মো. মনির হোসেন মিয়া ও মো. হারিছুর রহমান।

পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নুরুজ্জামান ফরহাদ মুন্সী, জামাল হোসেন গোমস্তা ও কাজী মোস্তাফিজুর রহমান রনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এছাড়াও নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে অ্যাডভোকেট সাহিদা আক্তার, শিপ্রা রানী ও আইরিন আক্তার শিল্পী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

আগৈলঝাড়ায় ১৩ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল

তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে আগৈলঝাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান যতীন্দ্র নাথ মিস্ত্রি মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা বাসুদেব সরকার জানান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে রফিকুল ইসলাম তালুকদার, মো. জসীম উদ্দিন সরদার, ফরহাদ তালুকদার, সবুজ আকন, সাহাবুদ্দিন মোল্লা, সঞ্জয় বাড়ৈ মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

এছাড়া নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়পত্র দাখিল করেছেন মলিনা রানী রায়, হাফিজা ইয়াসমিন, পবিত্র রানী রায়, মনিকা সরকার ও রিপা বেগম।

তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদে ২৯ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এসব উপজেলায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে বা অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ২ মে। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৫ মে এবং প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৩ মে। প্রচার পর্ব শেষে ২৯ মে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে।

;

১৪৮ উপজেলায় ভোট পর্যবেক্ষণে থাকবেন ৫ হাজার পর্যবেক্ষক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের প্রথম ধাপের ১৪৮ উপজেলায় কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচন কমিশনের ২৮টি নিবন্ধিত সংস্থা থেকে ২৬৭ জন এবং স্থানীয়ভাবে ৪ হাজার ৬৯২ জন ভোট পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে প্রায় ৫ হাজার জন পর্যবেক্ষক প্রথম ধাপের উপজেলা ভোট পর্যবেক্ষণ করবেন।

বৃহস্পতিবার (২ মে) ইসির পরিচালক (জনসংযোগ) মো.শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ৮ মে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৩ ও সংশ্লিষ্ট আইন মেনে এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ২৮টি পর্যবেক্ষক সংস্থার কেন্দ্রীয়ভাবে ২৬৭ জন এবং স্থানীয়ভাবে ৪ হাজার ৬৯২ জন পর্যবেক্ষককে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের কার্ড নির্বাচন কমিশন সচিবালয় হতে প্রদান করা হবে। স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের কার্ড ও স্টিকার রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় হতে প্রদান করতে হবে।

স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের ক্ষেত্রে যে নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে-

রিটার্নিং/সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে স্থানীয় পর্যবেক্ষণ নীতিমালা অনুযায়ী যাচাই বাছাই করে অনুমোদিত পর্যবেক্ষক সংস্থাকে পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার সরবরাহ করতে হবে।

নির্বাচন কমিশন হতে অনুমোদিত পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রত্যেক পর্যবেক্ষকের জন্য EO-2 ফরম, EO-3 ফরম, এসএসসি সনদের সত্যায়িত অনুলিপি, সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট ও ১ কপি স্ট্যাম্প সাইজ রঙিন ছবিসহ একটি আবেদন রিটার্নিং/সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নিকট জমা দিবে।

রিটার্নিং/সহকারী রিটার্নিং অফিসার এসকল তথ্য পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৩ অনুযায়ী যাচাই বাছাই করে কমিশন থেকে অনুমোদিত বৈধ পর্যবেক্ষকদের তালিকা প্রস্তুত করবেন এবং তাদেরকে নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত পরিচয়পত্র প্রদান করবেন।

কোন পর্যবেক্ষক যদি কোন রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কিংবা স্থানীয় কমিটির পদাধিকারী হন কিংবা স্থানীয় নির্বাচনি এজেন্ট/প্রচারণা কমিটি/পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন তাহলে তাকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করে কোন কার্ড ইস্যু করা যাবে না।

পর্যবেক্ষকগণ অনধিক ৫ জনের টিম করে ভ্রাম্যমাণ পর্যবেক্ষক হিসেবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। এজন্য তাদেরকে নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক লেখা গাড়ির স্টিকার সরবরাহ নিতে হবে। নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক লেখা স্টিকারযুক্ত গাড়িতে অনুমোদিত পর্যবেক্ষক ছাড়া অন্য কেউ ভ্রমণ করতে পারবেন না। নির্ধারিত পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার ইস্যু করে তা রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে এবং তা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রেরণ করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত পর্যবেক্ষক পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার নির্বাচনি মালামাল সংগ্রহের সময় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ শাখা রুম নং-১০৫ হতে সংগ্রহ করতে হবে।

এবার ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলায় চার ধাপে ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সে সব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২ টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দু’টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

 

;