নৌকার সাবেক এমপি ধানের শীষে, ধানের শীষের সাবেক এমপি নৌকায়



সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সুলতান মনসুর এবং এম এম শাহীন।  ছবি: সংগৃহীত

সুলতান মনসুর এবং এম এম শাহীন। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যিনি নৌকার প্রার্থী হওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন, তিনি গেলেন ধানের শীষে। আর যিনি ধানের শীষের সাবেক এমপি, তিনি এখন নৌকার মঞ্চে। এ ঘটনা সিলেটের একটি আসনে।

বৃহত্তর সিলেটের মৌলভীবাজার-২ কুলাউড়া আসনের ভোটাররা এ নিয়ে পড়েছে দোটানায়।

তবে এ নিয়ে দুই প্রার্থীর মধ্যে আক্ষেপ নেই। প্রতীক স্লোগান বদলে নতুন আহ্বানে তারা ঘুরছেন ভোটারদের দুয়ারে।

স্থানীয় অনেকেই বলছে, বিষয়টি আসলেই হাস্যকর হয়ে গেছে। যিনি আওয়ামী লীগকে দুদিন আগেও কড়া ভাষায় গালি দিলেন তিনি এখন নৌকার বৈঠা হাতে মাঝি হয়ে গেছেন। আর ধানের শীষের বিরুদ্ধে যিনি আগে এমপি হলেন। তারপর আবার নৌকা প্রতীকে এমপি হওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন, তিনি এখন ভোট চাচ্ছেন ধানের শীষে।

এ প্রশ্ন নিয়ে দুই এমপির কাছে গেলে- তাদের একজন সুলতান মনসুর বলেন, ‘তিনি মানুষের ভোট চান। জনগণের কল্যাণের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য তার প্রার্থী হওয়া।’

সুলতান মনসুর আশির দশকে দেশ কাঁপানো ছাত্রনেতা ছিলেন। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পর প্রতিরোধ বা প্রতিশোধ যুদ্ধের অন্যতম সেনানী তিনি। ডাকসুর সাবেক ভিপি এবং ছাত্রলীগ সভাপতি ছিলেন। গত দুই নির্বাচনে তিনি অপেক্ষায় ছিলেন নৌকার মনোনয়ন পাবেন কুলাউড়া আসন থেকে। কিন্তু পেলেন না। ড. কামাল হোসেনের গণফোরামে যুক্ত ঐক্যফ্রন্টের নেতা হিসেবে এখন ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনী দৌড়ে আছেন তিনি।

তার বিপরীতে যিনি তিনি এম এম শাহীন। বিএনপির সাবেক এই এমপি এখন দিনরাত আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে ঘুরছেন। বিএনপির সমালোচনা আর শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা বলছেন। কিছুদিন আগেও তিনি ছিলেন পুরোপুরি বিপরীত অবস্থানে। তার এখনকার বক্তব্য শুনে ভোটারাও অবাক। আওয়ামী লীগ নেতারা তাকে মঞ্চে নিয়ে বিব্রত।

কুলাউড়ার এই দুই প্রার্থীর অতীত নিয়ে বিব্রত সাধারণ মানুষও। কারণ ২০০১ সালে এ দু’জন আওয়ামী লীগ, বিএনপি থেকে প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেছিলেন। এখন দু’জন দুদিকে বদল হয়ে গেলেন। সেসময় সুলতান মোহাম্মদ মনসুরকে পরাজিত করেছিলেন এম এম শাহীন।

এম এম শাহীন বলেন, ‘আমি নির্বাচিত হলে মানুষ লাভবান হয়, আর অন্যরা নির্বাচিত হলে তাদের নিজ এবং পরিবারের উন্নয়নে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে।

স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা জানান, দলকে জেতানোর জন্য তারা এখন এম এম শাহীনকে নিয়ে ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে এম এম শাহীন আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে কয়েকটি বৈঠক করেছেন।

বিএনপির আরেক নেতা বলেন, ‘সুলতান মনসুর আমাদের এলাকার জাতীয় নেতা। আপামর মানুষ তার পক্ষে।’

কুলাউড়া আসনে এ দুই প্রার্থীর লড়াই চলছে ৯০ দশক থেকে। ১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন সুলতান মনসুর। ওই নির্বাচনে ধানের শীষের প্রতীকে নির্বাচন করে হেরে গিয়েছিলেন বিএনপি প্রার্থী এম এম শাহীন। এর আগে একই বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারির ষষ্ঠ সংসদের বিতর্কিত নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন এম এম শাহীন। পরে ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ফুটবল প্রতীক নিয়ে জয় পেয়েছিলেন শাহীন। এরপর ২০০৮ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি পরাজিত হন।

অন্যদিকে সুলতান মনসুর ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। ২০০৮ সালের নির্বাচনেও সংস্কারপন্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচন করার সুযোগ পাননি।

 

   

উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে গণতন্ত্র ক্ষুণ্ন হবে: সিইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে তা ক্ষুণ্ন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি কাজী হাবিবুল আওয়াল।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে মাঠ প্রশাসনের সাথে আইনশৃঙ্খলা বিষয় সভায় তিনি এই কথা বলেন।

সিইসি কাজী কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেন, দেশের নির্বাচনে আবেগ অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। যেকোন মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে। এই নির্বাচনে ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে যে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে তা ক্ষুণ্ন হতে পারে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে তা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। 

সভায় দেশের সকল জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার উপস্থিত আছেন। পুলিশপ্রধান সহ স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।

;

উপজেলা নির্বাচন: রাজশাহীর তিন উপজেলায় বৈধ ৩১ জন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া, দূর্গাপুর ও বাগমারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস-চেয়ারম্যান পদে মোট ৩১ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। প্রার্থীদের জমাকৃত মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বৈধতার ঘোষণা দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রিটার্নিং অফিসার কল্যাণ চৌধুরী বলেন, দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২ মে প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের মূল প্রচারণা শুরু হবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে নির্বাচনী সভা এবং প্রচার-প্রচারণা সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা সকল প্রার্থীদের যথাযথভাবে মানতে অনুরোধ জানান।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে ২৩ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ২৪-২৬ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি হবে ২৭-২৯ এপ্রিলের মধ্যে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২ মে। প্রচার শেষে আগামী ২১ মে হবে ভোটগ্রহণ।

এসময় জানানো হয়, এই তিনটি উপজেলায় ৩১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। চেয়ারম্যান ১০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ১১ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে ৩১ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থী ঘোষিত হলেন- দূর্গাপুর উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, মো. শরিফুজ্জামান, মো. আব্দুল মজিদ; পুঠিয়া উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান জি.এম হিরা বাচ্চু, মো. মখলেসুর রহমান, মো. আব্দুস সামাদ, মো. আহসান উল হক মাসুদ; বাগমারা উপজেলার মো. জাকিরুল ইসলাম, মো. আ. রাজ্জাক সরকার, মোহা. নাছিমা আক্তার।

এসময় ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থী ঘোষিত হন- দূর্গাপুর উপজেলা মো. আ. কাদের মন্ডল, মো. হাসেম আলী, মো. আ. মোতালেব, মো. শামীম ফিরোজ, মো. মোসাব্বের সরকার জিন্নাহ, মো. আব্দুল হক; পুঠিয়া উপজেলার মো. ফজলে রাব্বি মুরাদ, মো. আব্দুল মতিন মুকুল, মো. জামাল উদ্দিন বাগমারা উপজেলার মো. আতাউর রহমান; বাগমারা উপজেলার মো. আতাউর রহমান, মো. শহিদুল ইসলাম, মোছা. বানেছা বেগম, মোসা. সারমিন আহম্মেদ, মোসা. কহিনুর বেগম; পুঠিয়া উপজেলার মৌসুমী রহমান, মোছা. পরিজান বেগম, মোছা. শাবনাজ আক্তার; বাগমারা উপজেলার মোছা. শাহিনুর খাতুন, কহিনুর বানু, খন্দকার শাহিদা আলম, মোছা. মমতাজ আক্তার বেবী।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই সম্পর্কে দূর্গাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা জানান, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে তারা বৈধতা পেয়েছেন। জেলা প্রশাসন চুল ছেঁড়া যাচাই-বাছাই শেষে প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করেছেন।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন- সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাকিব হাছান খাঁন, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সানিয়া বিনতে আফজাল, উপজেলা নির্বাচন অফিসার দূর্গাপুর মো. জয়নুল আবেদীন, রাজশাহী জেলার ডিএসবি মো. আলাউদ্দিন প্রমুখ।

;

কুষ্টিয়ার দুই উপজেলায় প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে কুষ্টিয়ার দুই উপজেলার প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা নির্বাচন অফিসের সভাকক্ষে কুষ্টিয়া সদর ও খোকসা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি ২৩ প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।

কুষ্টিয়া জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ আবু আনসার উপস্থিত প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেন।

এর মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং খোকসা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী রয়েছেন।

প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পরপরই প্রার্থীরা মঙ্গলবার থেকে প্রচারণায় নেমে পড়েন। আগামী ৮ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

;

ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন ৫ জুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুর পর শূন্য আসনে আগামী ৫ জুন ভোট গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে নির্বাচন কমিশনের ৩২তম সভায় শেষে গণমাধ্যমকে তিনি এই তথ্য জানান।

সভা শেষে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম জানান, ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এ আসনে বিজয়ী আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।

উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাপূর্বক ইসি সচিব বলেন, উপনির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ ৭মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৯ মে, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ১০ থেকে ১৪ মে, আপিল নিষ্পত্তি ১৫ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৬ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ ১৭ মে। এ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক কর্মকর্তা।

;