অবশেষে রিটা রহমানের পাশে রংপুর বিএনপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
অবশেষে রিটা রহমানের পাশে রংপুর বিএনপি। ছবি: বার্তা২৪.কম

অবশেষে রিটা রহমানের পাশে রংপুর বিএনপি। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অবশেষে রংপুর-৩ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ন্যাশনাল পিপলস পার্টি অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান রিটা রহমানকে মেনে নিয়েছেন স্থানীয় বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা।

সোমবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে কয়েক ঘণ্টার সমঝোতা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেন রংপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিজু।

এর আগে সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে জেলা ও মহানগর বিএনপিসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী রিটা রহমান।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে শহিদুল ইসলাম মিজু জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনসহ ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে সংসদ নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে সবাই একমত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারপ্রচারণা ও গণসংযোগ শুরু করা হবে।

অন্যদিকে রিটা রহমান বলেন, ‘আমি রংপুরের মেয়ে। রংপুরের মানুষের প্রতি আমার টান রয়েছে। আমার বাবা (মশিয়ুর রহমান যাদু মিয়া) এ দেশের জন্য, রংপুরের জন্য কাজ করে গেছেন। আমিও জনগণের সেবা করতে চাই। বিএনপির নেতাকর্মীরা আমার পাশে রয়েছে।’

এদিকে বৈঠকে রংপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর হোসেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সাবেক এমপি সাহিদার রহমান জোসনা, জেলা যুবদল সভাপতি নাজমুল আলম নাজু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রাশেদ উন নবী বিপ্লব, মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জহির আলম নয়ন, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি নুর হাসান সুমন, সেক্রেটারি জাকরিয়া ইসলাম জিম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মনিরুজ্জামান হিজবুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ৭ ডিসেম্বর কেন্দ্র থেকে রংপুর-৩ আসনে বিএনপি নেতা মোজাফফর হোসেনকে বাদ দিয়ে এনপিপিবি’র চেয়ারম্যান রিটা রহমানকে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়। এতে ফুঁসে ওঠে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। ওই রাতেই রিটা রহমানকে সরিয়ে নিতে বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সভা ও সংবাদ সম্মেলন করে আল্টিমেটাম দেয় দলটির বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা। পরের দিন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবীব দুলুর কুশপুত্তলিকা দাহ করেন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মোজাফফর হোসেন রংপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি।

বর্তমানে জাতীয় পার্টির দুর্গখ্যাত রংপুর-৩ (সদর ও সিটি করপোরেশন) আসনে মহাজোটের প্রার্থী জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ (লাঙ্গল), ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে এনপিপিবি’র চেয়ারম্যান রিটা রহমান (ধানের শীষ) এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল (হাতপাখা) সহ নয় জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের মাধ্যমে ভোট প্রদান করবে ভোটাররা।

   

তথ্য গোপন করায় ওবায়দুল কাদেরের ভাইয়ের মনোনয়নপত্র বাতিল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
শাহাদাত হোসেন

শাহাদাত হোসেন

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর ৩টি উপজেলার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী ও দুই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল।

অপরদিকে, তিনটি উপজেলায় ৩৭ জন প্রাথীর মনোনয়নপত্র বৈধতা পেয়েছে।

মনোনয়ন বাতিলকৃত প্রার্থীরা হলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী শাহাদাত হোসেন ও বেগমগঞ্জের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী এ এস এম সেলিম। শাহাদাত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই।

রোববার (৫ মে) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠিত হয়।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, হলফনামায় মামলা সংক্রান্ত তথ্য সঠিক ভাবে উল্লেখ না করে তথ্য গোপনের অভিযোগে বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী এ এস এম সেলিমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। অপরদিকে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী শাহাদাত হোসেন মনোনয়নপত্র হলফনামায় চারটি মামলার তথ্য গোপন করায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষিত হয়।

মামলার তথ্য গোপনের অভিযোগে বেগমগঞ্জ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো.নুর হোসেন মাসুদ ও মো.মনির হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ্য, মনোনয়নপত্র বাতিলকৃত প্রার্থীরা আগামী ৬ মে থেকে ৮ মে জেলা প্রশাসক বরাবর প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিলের সুযোগ রয়েছে। আগামী ২৯ মে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর সদর উপজেলা, বেগমগঞ্জ উপজেলা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

;

উপজেলা ভোটে অনিয়ম দেখলে ইসিতে অভিযোগ করার আহ্বান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চার ধাপে ভোটের আগে ও ভোটে কোনো অনিয়ম দেখলেই প্রার্থী বা যে কোন নাগরিককে অভিযোগ করার আহবান জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান এই সংক্রান্ত নির্দেশনা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছে।

ইসি জানায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আচরণ বিধি লঙ্ঘনের কোনো বিষয় কোনো প্ৰাৰ্থী বা কোনো ব্যক্তির নজরে আসলে তারাও স্বউদ্যোগে মোবাইল কোর্টের নিকট, রিটার্নিং অফিসার/সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নিকট অথবা উপযুক্ত ক্ষেত্রে থানায় বা ফৌজদারী আদালতে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন বা নির্বাচন কমিশনের নিকট অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন।

এদিকে সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে গঠিত বিভিন্ন টিমের বিষয়ে নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ভিজিল্যান্স টিম ও অবজারভেশন টিম, মনিটরিং টিম ও আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী সেল গঠন এবং উক্ত টিমসমূহের কার্যক্রম নির্ধারিত তিন দিন পর পর বা ক্ষেত্রমত তাৎক্ষণিক নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে অবহিত করতে হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তা টিমসমূহ কর্তৃক নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে অবগত করানোর জন্য নির্দেশনা প্রদান করবেন।

এছাড়া উপজেলা নির্বাচনের সামগ্রিক কার্যক্রম শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে, আইন-শৃংখলা রক্ষাকল্পে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সাথে পরামর্শক্রমে বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এবার ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলায় চার ধাপে ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সে সব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দু’টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

;

শার্শায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর বাড়ির সামনে ককটেল বিষ্ফোরণ



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

শার্শা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিলের (ঘোড়া প্রতীক) বাড়ির সামনে শক্তিশালী দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

রোববার (৫ মে) ভোর ৪টার দিকে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশে শার্শার ত্রিমোহনীর তার বসত বাড়ির সামনে এ ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এবার উপজেলা নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে প্রচারণায় নেমেছেন। তিনি ছাড়াও প্রাথী রয়েছেন শার্শা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মিন্নু, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ওহিদুজ্জামান ওহিদ এবং যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও শার্শা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন।

প্রার্থী অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল জানান, নির্বাচনি প্রচারণা শেষে তিনি বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ করে রোববার ভোর ৪টার দিকে তার বাড়ির সামনে দুর্বৃত্তরা পর পর দুটি ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। বিষয়টি তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক অঙ্গনে তার জনপ্রিয়তা বেশি। এতে পরাজয়ের ভয়ে শার্শা-নাভরণ এলাকার যারা ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে পরিচিত, তারা এ ককটেল হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় তিনি পুলিশে লিখিত অভিযোগ করেছেন এবং পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলন করবেন।

শার্শা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ককটেল বিষ্ফোরণের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। কারা এ ধরনের ‘সন্ত্রাসী’ কার্যক্রম ঘটিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

 

;

নরসিংদীর পলাশে চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনি ক্যাম্পে হামলা, আহত ১০



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী সৈয়দ জাবেদ হোসেনের নির্বাচনি ক্যাম্পে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ জন সমর্থক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

শনিবার (৪ এপ্রিল) রাত ৯টায় নির্বাচনি এলাকার গজারিয়া ইউনিয়নের আমতলা বাজারে নির্বাচনি ক্যাম্পে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

এসময় হামলাকারীরা ক্যাম্পে থাকা চেয়ার, টেবিল ভাঙচুর করে পোস্টার, ব্যানার খুলে নিয়ে যায়। তাদের বাধা দিতে গিয়ে হামলায় আহত হন চেয়ারম্যান প্রার্থীর অন্তত ১০ জন সমর্থক।

হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে পলাশ থানা পুলিশ।

এ বিষয়ে পলাশ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী সৈয়দ জাবেদ হোসেন জানান, শনিবার রাত ৯টার দিকে আমতলা এলাকায় তার প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী শরীফুল হকের সমর্থকেরা মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় বাজারে অবস্থিত তার ‘কাপ-পিরিচ’ মার্কার নির্বাচনি ক্যাম্পে হামলা চালায়।

এসময় হামলাকারীরা ক্যাম্পে থাকা চেয়ার, টেবিল ভাঙচুর করে নির্বাচনি পোস্টার, ব্যানার খুলে নিয়ে যায়। এতে বাধা দিতে গিয়ে তার ১০ থেকে ১২ জন সমর্থক আহত হন।

;