ঢাকা-১৭ আসন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন এরশাদ!



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা-১৭ আসন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন এরশাদ, ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা-১৭ আসন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন এরশাদ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা-১৭ (গুলশান, বনানী ক্যান্টনমেন্ট ও ভাষানটেক) আসনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। যেকোনো এ বিষয়ে সময়ে ঘোষণা আসতে পারে বলে এরশাদের ঘনিষ্ঠ একাধিক সুত্র বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছে।

আর এই সরে দাঁড়ানোর অন্যতম কারণ হচ্ছে- এরশাদের শারিরীক অবস্থা ও জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক দুর্বলতা। এরশাদের শারিরীক অসুস্থতা একাধিক আসনে মুভমেন্ট করার মতো অবস্থায় নেই। বর্তমানে সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এরশাদ ঠিক কবে দেশে ফিরতে পারবেন সেটি এখনও নিশ্চিত নয়। সে কারণে ঢাকা-১৭ আসন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত অনেকটাই চূড়ান্ত করে ফেলেছেন বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে এই আসনে জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক অবস্থা অনেক নাজুক। গত কয়েকদিনের প্রচারণায় সে বিষয়টি সামনে চলে এসেছে। বুধবার (১২ ডিসেম্বর) পুর্বঘোষণা অনুযায়ী কড়াইল বস্তিতে প্রচারণায় গেলে অনেক নেতার দেখা মেলেনি। মাত্র অল্পসংখ্যক নেতাকর্মী হাজির হন। অনেক ত্যাগী নেতাকে পাওয়া যাচ্ছে না নির্বাচনী প্রচারণায়।

কড়াইল টিএন্ডটি কলোনিতে অবস্থিত ১৯ নম্বর ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির কার্যালয় তখন তালাবন্ধ ছিলো। পার্টি অফিসের চাবি নিয়ে কিছু নেতা লাপাত্তা হয়ে যান। অর্থাৎ যাকে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেই নেতাকে সহ্য করতে পারছে না অনেকে।

এই যখন অবস্থা। তখন আওয়ামী লীগ আগে থেকেই এই আসনটিতে এরশাদকে নির্বাচন না করার জন্য বলে আসছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এরশাদকে একটি আসনে নির্বাচন করার জন্য বলা হয়েছে। সে মোতাবেক রংপুর-৩ (সদর) আসনে প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ। কিন্তু ঢাকা-১৭ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চিত্রনায়ক ফারুক নির্বাচনের মাঠে রয়ে গেছেন।

প্রেসটিজিয়াস এই আসনে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২০০৮ সালে প্রথম নির্বাচন করেন। তখন মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে এরশাদ পেয়েছিলেন ১ লাখ ২৩ হাজার ভোট। আর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপির প্রয়াত হান্নান শাহ পেয়েছিলেন মাত্র ৫৬ হাজার ভোট। এবার মহাজোটও নেই আবার আগের মতো শরীরে জোরও নেই। সে কারণে হারের শঙ্কা ভর করেছে জাতীয় পার্টির নেতাদের মধ্যে।

জাতীয় পার্টির নেতারা গর্ব করে বলে থাকেন এরশাদ এই দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। তিনি কখনই কোনো আসনে পরাজিত হননি। এমনকি জেলে থেকে পাঁচ পাঁচটি আসনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছিলেন। যে কারণে বিজয়ের রেকর্ড ধরে রাখতে ঢাকা-১৭ আসন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা মাথায় ভর করেছে। তবে যদি সরকার তাদের প্রার্থী সরিয়ে এরশাদকে মহাজোটের প্রার্থী ঘোষণার প্রতিশ্রুতি দেন তবে সরে নাও দাঁড়াতে পারেন।

এদিকে এরশাদের স্ত্রী পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদও একাধিক আসনে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন। মনোনয়ন প্রত্যাহারের তারিখ পার হওয়ার পর হঠাৎ করে ময়মনসিংহ-৭ আসন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। রওশন এরশাদের পদাঙ্ক অনুস্রণ করতে যাচ্ছেন বলে এরশাদের ঘনিষ্ঠ সূত্র নিশ্চিত করেছে।

   

উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে গণতন্ত্র ক্ষুণ্ন হবে: সিইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে তা ক্ষুণ্ন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি কাজী হাবিবুল আওয়াল।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে মাঠ প্রশাসনের সাথে আইনশৃঙ্খলা বিষয় সভায় তিনি এই কথা বলেন।

সিইসি কাজী কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেন, দেশের নির্বাচনে আবেগ অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। যেকোন মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে। এই নির্বাচনে ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে যে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে তা ক্ষুণ্ন হতে পারে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে তা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। 

সভায় দেশের সকল জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার উপস্থিত আছেন। পুলিশপ্রধান সহ স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।

;

উপজেলা নির্বাচন: রাজশাহীর তিন উপজেলায় বৈধ ৩১ জন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া, দূর্গাপুর ও বাগমারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস-চেয়ারম্যান পদে মোট ৩১ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। প্রার্থীদের জমাকৃত মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বৈধতার ঘোষণা দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রিটার্নিং অফিসার কল্যাণ চৌধুরী বলেন, দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২ মে প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের মূল প্রচারণা শুরু হবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে নির্বাচনী সভা এবং প্রচার-প্রচারণা সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা সকল প্রার্থীদের যথাযথভাবে মানতে অনুরোধ জানান।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে ২৩ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ২৪-২৬ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি হবে ২৭-২৯ এপ্রিলের মধ্যে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২ মে। প্রচার শেষে আগামী ২১ মে হবে ভোটগ্রহণ।

এসময় জানানো হয়, এই তিনটি উপজেলায় ৩১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। চেয়ারম্যান ১০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ১১ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে ৩১ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থী ঘোষিত হলেন- দূর্গাপুর উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, মো. শরিফুজ্জামান, মো. আব্দুল মজিদ; পুঠিয়া উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান জি.এম হিরা বাচ্চু, মো. মখলেসুর রহমান, মো. আব্দুস সামাদ, মো. আহসান উল হক মাসুদ; বাগমারা উপজেলার মো. জাকিরুল ইসলাম, মো. আ. রাজ্জাক সরকার, মোহা. নাছিমা আক্তার।

এসময় ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থী ঘোষিত হন- দূর্গাপুর উপজেলা মো. আ. কাদের মন্ডল, মো. হাসেম আলী, মো. আ. মোতালেব, মো. শামীম ফিরোজ, মো. মোসাব্বের সরকার জিন্নাহ, মো. আব্দুল হক; পুঠিয়া উপজেলার মো. ফজলে রাব্বি মুরাদ, মো. আব্দুল মতিন মুকুল, মো. জামাল উদ্দিন বাগমারা উপজেলার মো. আতাউর রহমান; বাগমারা উপজেলার মো. আতাউর রহমান, মো. শহিদুল ইসলাম, মোছা. বানেছা বেগম, মোসা. সারমিন আহম্মেদ, মোসা. কহিনুর বেগম; পুঠিয়া উপজেলার মৌসুমী রহমান, মোছা. পরিজান বেগম, মোছা. শাবনাজ আক্তার; বাগমারা উপজেলার মোছা. শাহিনুর খাতুন, কহিনুর বানু, খন্দকার শাহিদা আলম, মোছা. মমতাজ আক্তার বেবী।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই সম্পর্কে দূর্গাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা জানান, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে তারা বৈধতা পেয়েছেন। জেলা প্রশাসন চুল ছেঁড়া যাচাই-বাছাই শেষে প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করেছেন।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন- সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাকিব হাছান খাঁন, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সানিয়া বিনতে আফজাল, উপজেলা নির্বাচন অফিসার দূর্গাপুর মো. জয়নুল আবেদীন, রাজশাহী জেলার ডিএসবি মো. আলাউদ্দিন প্রমুখ।

;

কুষ্টিয়ার দুই উপজেলায় প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে কুষ্টিয়ার দুই উপজেলার প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা নির্বাচন অফিসের সভাকক্ষে কুষ্টিয়া সদর ও খোকসা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি ২৩ প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।

কুষ্টিয়া জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ আবু আনসার উপস্থিত প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেন।

এর মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং খোকসা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী রয়েছেন।

প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পরপরই প্রার্থীরা মঙ্গলবার থেকে প্রচারণায় নেমে পড়েন। আগামী ৮ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

;

ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন ৫ জুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুর পর শূন্য আসনে আগামী ৫ জুন ভোট গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে নির্বাচন কমিশনের ৩২তম সভায় শেষে গণমাধ্যমকে তিনি এই তথ্য জানান।

সভা শেষে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম জানান, ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এ আসনে বিজয়ী আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।

উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাপূর্বক ইসি সচিব বলেন, উপনির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ ৭মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৯ মে, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ১০ থেকে ১৪ মে, আপিল নিষ্পত্তি ১৫ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৬ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ ১৭ মে। এ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক কর্মকর্তা।

;