টুকুর প্রচারণায় দিশেহারা সাইয়িদ, মাঠে নেই নিজামীপুত্র!



আরিফ আহমেদ সিদ্দিকী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪
বাঁ থেকে, শামসুল হক টুকু (আ'লীগ), মুহাম্মদ নাজিবুর রহমান (স্বতন্ত্র প্রার্থী), আবু সাইয়িদ (গণফোরাম), ছবি: সংগৃহীত

বাঁ থেকে, শামসুল হক টুকু (আ'লীগ), মুহাম্মদ নাজিবুর রহমান (স্বতন্ত্র প্রার্থী), আবু সাইয়িদ (গণফোরাম), ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু এমপি’র জনপ্রিয়তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সদস্যপদ ছেড়ে গণফোরামে যোগদানকারী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ।

আর মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর আপেল প্রতীক নিয়ে মাঠে নেই যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী পুত্র ব্যারিস্টার মুহাম্মদ নাজিবুর রহমান।

ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষের প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ একের পর এক অভিযোগ করছেন তার নির্বাচনী প্রচারণা, গণসংযোগ আর নেতাকর্মীদের উপরে হামলা-ভাংচুর ও মারপিটের।

অন্যদিকে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে নিন্দা ও সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু এমপি।

অন্যদিকে আপেল প্রতীক মরার উপর খাড়ার ঘাঁতে পরিণত না হয় এমনটি ভাবছেন ধানের শীষের সমর্থকরা।

এদিকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর পুত্র ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান ওরফে নাজিব মোমেন জোটগতভাবে প্রার্থী হবেন এমন আশা নিয়েই মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন।

কিন্তু শেষ সময়ে এসে তার বাড়া ভাতে ছাই দিয়েছেন গণফোরামের অধ্যাপক আবু সাইয়িদ। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পরের দিন চিঠি দিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য জেলা রিটার্নিং অফিসারের নিকট বাহক পাঠালেও সেই আবেদন খারিজ করে আপেল প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয় তাকে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আপেল প্রতীক বরাদ্দ পেলেও নির্বাচনী মাঠে নিরুত্তাপ তিনি। এমনকি তিনি দেশের বাইরেও অবস্থান করছেন। নির্বাচন বিষয়ে তার মতামতের জন্য রোমিং করা মুঠোফোন নাম্বারে গণমাধ্যমের একাধিক কর্মী যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।

তবে দু’একজনের মুঠোফোন রিসিভ করলেও গণমাধ্যমের কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গে তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাবনা-১ (সাঁথিয়া-বেড়ার) আসনটি সাঁথিয়া উপজেলা এবং বেড়া উপজেলার একাংশ নিয়ে গঠিত। সাঁথিয়া পৌরসভাসহ ১১টি ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৭৬ হাজার ৫৮২ ও বেড়া পৌরসহ ৫টি ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৮ হাজার ৫৩৪। নির্বাচন ঘিরে এ আসন বেশ আমেজপূর্ণ। তবে নৌকা প্রতীকের প্রচার প্রচারণা সব থেকে এগিয়ে। সে তুলনায় ধানের শীষের প্রচার প্রচারণা তুলনামূলক কম।

এই আসনে নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকের বাইরে জাতীয় পার্টি (লাঙ্গল) সরদার শাহজাহান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকে আব্দুল মতিন এবং আপেল প্রতীক নিয়ে নিজামী পুত্র মুহাম্মদ নাজিবুর রহমান। 

সাধারণ ভোটারদের সাথে আলাপকালে তারা বলেন, এই আসনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের অবস্থান বেশ শক্ত। মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির পর এই আসনে জয়ে বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে জামায়াতের ভোট ব্যাংক। ভোটার সমর্থন হিসেবে বিএনপির চেয়ে এগিয়ে আওয়ামী লীগ ও জামায়াত। ২০১৪ সালের নির্বাচন বাদে সর্বশেষ ৪টি সংসদ নির্বাচনে দল দু’টি জয় পায় দুইবার করে। বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের হলেও উপজেলা চেয়ারম্যানসহ সাঁথিয়া উপজেলার ৩টি পদই রয়েছে জামায়াতের দখলে। শক্ত অবস্থান থাকার পরও ১৯৯৬ সালের পর পাবনা-১ আসনে বিএনপির কেউ প্রার্থী হতে পারেননি। তাই জামায়াতের ভোট ব্যাংক ও দুর্গ হিসেবে এই আসনের আশা ছেড়েই দিয়েছে বিএনপির শীর্ষ নেতারা। তবে হাল ছাড়েননি স্থানীয় নেতারা।

তথ্য মতে, ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগের অধ্যাপক আবু সাইয়িদকে হারিয়ে এমপি নির্বাচিত হন মানবতা বিরোধী অপরাধে ফাঁসি হওয়া জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী। ১৯৯৬ সালে জামায়াতের নিজামী ও বিএনপির মেজর (অব:) মঞ্জুর কাদেরকে হারিয়ে এমপি নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের অধ্যাপক আবু সাইয়িদ। ২০০১ সালে আসন পুনরুদ্ধার করে জামায়াত। আবু সাইয়িদকে হারিয়ে জয় পান চারদলীয় জোটের প্রার্থী মাওলানা নিজামী। ২০০৮ সালে সংস্কারপন্থী হিসেবে বহিষ্কৃত হন অধ্যাপক আবু সাইয়িদ। ফলে নৌকার নতুন মাঝি হয়ে অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু জামায়াতের আমির নিজামীকে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচন বয়কট করে জামায়াত-বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। সেবার নৌকার প্রার্থী শামসুল হক টুকুর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন অধ্যাপক আবু সাইয়িদ। তার করা নানা অনিয়ম কারচুপির অভিযোগের ওই নির্বাচনে জয় পান টুকু।

সচেতন নাগরিক, সাধারণ ভোটার আর বিশ্লেষকদের অভিমত, বর্তমান সাংসদ, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শামসুল হক টুকু দলীয় ভাবে গড় সাফটা দলীয় ভোট পেলেও ভোটারদের ভোট বিড়ম্বনায় পড়তে পারেন ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী আবু সাইয়িদ।

তাদের মতে, এই আসনে যুদ্ধাপরাধী বিচারে অধ্যাপক আবু সাইয়িদের ভূমিকা ছিল বেশ তৎপর। অন্যদিকে বিএনপির চিরশত্রু হিসেবে খ্যাত তিনি। সবকিছু ছাপিয়ে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হলেও কট্টরপন্থী বিএনপি-জামায়াতে ভোট পাওয়া নিয়ে রয়েছে সন্দিহান।

সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি হাসান আলী খান বলেন, ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীকে আমরা চ্যালেঞ্জ মনে করছি না। যার তথ্য, উপাত্ত আর ডকুমেন্টারিতেই এই আসনে যুদ্ধাপরাধী জামাতের আমির নিজামীর ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। তাই আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস বিএনপির ধানের শীষের প্রতীকে নির্বাচন করলেও খোদ বিএনপির ভোটই সে পাবে না। সেখানে জামাতের ভোটের প্রশ্নই আসে না।

আর এ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী বিশিষ্ট শিল্পপতি, বিএনপি নেতা হাজী ইউনুছ আলী বলেন, প্রার্থী বড় নয়, দল ও দলীয় প্রতীককে প্রাধান্য দিয়েই ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে আমরা বদ্ধ পরিকর। এবারের নির্বাচনে দলমত নির্বিশেষে ধানের শীষের প্রতীকে ভোটাররা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ থেকে পিছপা হবে না।

ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে ধানের শীষের প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ গণমাধ্যমে বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় নামলে নৌকার সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আমার উপর আক্রমণ করেছিল। যানবাহন ভাংচুর করেছে। মোটর সাইকেল চালকসহ ছিনতাই করে উধাও করে দিয়েছে। এ ঘটনার পরপরই আমি থানায় গিয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। বিষয়টি নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অবহিত করেছি। এ ঘটনা দুদিন পর নির্বাচনী সভা গণসংযোগ শেষে ফেরার পথে নৌকার কর্মীরা ধানের শীষের কর্মীদের উপর হামলা করেছে। গাড়ী ভাংচুর করেছে। 

এদিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু এমপি দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে দাবী করেন, প্রচারণা নয়, নিজামীর কবর জিয়ারত করতে গিয়ে জামায়াত নেতাকর্মীদের বাঁধার সন্মুখিন হয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের নামধারী ধানের শীষের প্রার্থী। অথচ তিনি মিথ্যাচার করছেন।

টুকু বলেন, আবু সাইয়িদ আইএসআইয়ের এজেন্ট। তিনি সুবিধাবাদী মানুষ। দলের দুঃসময়ে তিনি সুবিধা আদায় করতে না পেরে সংস্কারপন্থী বনে যান। এবারের নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে তিনি ড. কামালের গণফোরামে যোগ দিয়েছেন। যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ধানের শীষের নির্বাচন করছেন।

টুকু আরও বলেন, তিনি অধ্যাপক নন, তারপর নামের সাথে অধ্যাপক ব্যবহার করে জাতির সঙ্গে বেঈমানী করে চলেছেন। এ কারণে সম্প্রতি তার নামে মামলাও হয়েছে। 

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাধারণ ভোটাররা এই আসনে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি নাকি যুদ্ধাপরাধী সমর্থিত শক্তিকে বেছে নেবেন এ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। চায়ের কাপে ঝনঝনানি আর যান্ত্রিক শব্দযন্ত্রে নির্বাচন ঘিরে চলছে আলাপচারিতা। কে ধরবেন হাল এ নিয়ে চলছে হিসাবনিকাশ।

   

উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে গণতন্ত্র ক্ষুণ্ন হবে: সিইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে তা ক্ষুণ্ন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি কাজী হাবিবুল আওয়াল।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে মাঠ প্রশাসনের সাথে আইনশৃঙ্খলা বিষয় সভায় তিনি এই কথা বলেন।

সিইসি কাজী কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেন, দেশের নির্বাচনে আবেগ অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। যেকোন মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে। এই নির্বাচনে ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে যে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে তা ক্ষুণ্ন হতে পারে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে তা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। 

সভায় দেশের সকল জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার উপস্থিত আছেন। পুলিশপ্রধান সহ স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।

;

উপজেলা নির্বাচন: রাজশাহীর তিন উপজেলায় বৈধ ৩১ জন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া, দূর্গাপুর ও বাগমারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস-চেয়ারম্যান পদে মোট ৩১ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। প্রার্থীদের জমাকৃত মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বৈধতার ঘোষণা দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রিটার্নিং অফিসার কল্যাণ চৌধুরী বলেন, দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২ মে প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের মূল প্রচারণা শুরু হবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে নির্বাচনী সভা এবং প্রচার-প্রচারণা সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা সকল প্রার্থীদের যথাযথভাবে মানতে অনুরোধ জানান।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে ২৩ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ২৪-২৬ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি হবে ২৭-২৯ এপ্রিলের মধ্যে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২ মে। প্রচার শেষে আগামী ২১ মে হবে ভোটগ্রহণ।

এসময় জানানো হয়, এই তিনটি উপজেলায় ৩১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। চেয়ারম্যান ১০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ১১ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে ৩১ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থী ঘোষিত হলেন- দূর্গাপুর উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, মো. শরিফুজ্জামান, মো. আব্দুল মজিদ; পুঠিয়া উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান জি.এম হিরা বাচ্চু, মো. মখলেসুর রহমান, মো. আব্দুস সামাদ, মো. আহসান উল হক মাসুদ; বাগমারা উপজেলার মো. জাকিরুল ইসলাম, মো. আ. রাজ্জাক সরকার, মোহা. নাছিমা আক্তার।

এসময় ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থী ঘোষিত হন- দূর্গাপুর উপজেলা মো. আ. কাদের মন্ডল, মো. হাসেম আলী, মো. আ. মোতালেব, মো. শামীম ফিরোজ, মো. মোসাব্বের সরকার জিন্নাহ, মো. আব্দুল হক; পুঠিয়া উপজেলার মো. ফজলে রাব্বি মুরাদ, মো. আব্দুল মতিন মুকুল, মো. জামাল উদ্দিন বাগমারা উপজেলার মো. আতাউর রহমান; বাগমারা উপজেলার মো. আতাউর রহমান, মো. শহিদুল ইসলাম, মোছা. বানেছা বেগম, মোসা. সারমিন আহম্মেদ, মোসা. কহিনুর বেগম; পুঠিয়া উপজেলার মৌসুমী রহমান, মোছা. পরিজান বেগম, মোছা. শাবনাজ আক্তার; বাগমারা উপজেলার মোছা. শাহিনুর খাতুন, কহিনুর বানু, খন্দকার শাহিদা আলম, মোছা. মমতাজ আক্তার বেবী।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই সম্পর্কে দূর্গাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা জানান, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে তারা বৈধতা পেয়েছেন। জেলা প্রশাসন চুল ছেঁড়া যাচাই-বাছাই শেষে প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করেছেন।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন- সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাকিব হাছান খাঁন, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সানিয়া বিনতে আফজাল, উপজেলা নির্বাচন অফিসার দূর্গাপুর মো. জয়নুল আবেদীন, রাজশাহী জেলার ডিএসবি মো. আলাউদ্দিন প্রমুখ।

;

কুষ্টিয়ার দুই উপজেলায় প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে কুষ্টিয়ার দুই উপজেলার প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা নির্বাচন অফিসের সভাকক্ষে কুষ্টিয়া সদর ও খোকসা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি ২৩ প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।

কুষ্টিয়া জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ আবু আনসার উপস্থিত প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেন।

এর মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং খোকসা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী রয়েছেন।

প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পরপরই প্রার্থীরা মঙ্গলবার থেকে প্রচারণায় নেমে পড়েন। আগামী ৮ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

;

ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন ৫ জুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুর পর শূন্য আসনে আগামী ৫ জুন ভোট গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে নির্বাচন কমিশনের ৩২তম সভায় শেষে গণমাধ্যমকে তিনি এই তথ্য জানান।

সভা শেষে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম জানান, ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এ আসনে বিজয়ী আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।

উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাপূর্বক ইসি সচিব বলেন, উপনির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ ৭মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৯ মে, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ১০ থেকে ১৪ মে, আপিল নিষ্পত্তি ১৫ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৬ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ ১৭ মে। এ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক কর্মকর্তা।

;