কুষ্টিয়ার উন্নয়নে হানিফের পাল্লা ভারী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, কুষ্টিয়া, বার্তা২৪
বক্তব্য দিচ্ছেন হানিফ, ছবি: বার্তা২৪

বক্তব্য দিচ্ছেন হানিফ, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বিগত ৫ বছরে রেকর্ড পরিমাণ উন্নয়ন আর ব্যক্তি ইমেজের কারণে কুষ্টিয়া-৩ সদর আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহবুবউল আলম হানিফের পাল্লা এখন পর্যন্ত ভারী।

দেশ স্বাধীনের পর উন্নয়নবঞ্চিত এ জেলায় বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কর্মকাণ্ড করেছেন হানিফ। ২০১৪ সালে কুষ্টিয়া-৩ সদর আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে একগুচ্ছ বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। 

বিশেষ করে গত দুই যুগের দাবি ছিল মেডিকেল কলেজ, হরিপুর সেতু ও বাইপাস সড়ক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হয়েছে হানিফের সময়। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে এর আগের সংসদ নির্বাচনগুলোতে ভোটারদের সামনে মুলা ঝোলানো হতো। প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে দীর্ঘদিন ভোটের রাজনীতি হয়েছে সদর আসনের মানুষের সাথে।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি নির্বাচিত হওয়ার পরপরই বড় তিনটি প্রকল্প শুরু করেন।   শহর সংলগ্ন একটি ইউনিয়নের জন্য গড়াই নদীর উপর শেখ রাসেল সেতু ও শহর বাইপাস সড়কের কাজ শেষ হয়েছে। যার সুফল ইতিমধ্যে পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়া সাংসদ হানিফ একটি আধুনিক সুইমিংপুলও নির্মাণ করেন এই এলাকায়।

বড় প্রকল্পের মধ্যে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের কাজ চলমান রয়েছে। পাশাপাশি মেডিকেল কলেজের পাশে একটি কেন্দ্রীয় মসজিদ, আইটি পার্ক ও জেলা পরিষদ শিশু পার্ক নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

পাশাপাশি কুষ্টিয়া শহরের বটতৈল থেকে ত্রিমোহনী পর্যন্ত মহাসড়কটি ফোর লেনে উন্নতি করার ঘোষণা দিয়েছেন।  যার টেন্ডার হয়েছে সম্প্রতি।

কুষ্টিয়া-৩ সদর আসনের আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের পাশাপাশি, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগসহ অঙ্গসহযোগী সংগঠন, জেলার ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ,জেলার ক্রীড়াবিদ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠকসহ বিভিন্ন সংগঠন।

শনিবার সকালে কুষ্টিয়া পৌরসভার বিজয় উল্লাস চত্বর থেকে নৌকায় ভোট চেয়ে প্রচার শুরু করেন জেলার ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠক। এ সময় কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলী, কুষ্টিয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক (পিপি) অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী, অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক খন্দকার ইকবাল মাহমুদ, ক্রীড়া সংগঠক এসএম কাদেরী শাকিল, সনৎ পাল বাবলু, আফরোজা আক্তার ডিউসহ জেলার ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠকবৃন্দ নৌকার পক্ষে প্রচারণা চালান। এছাড়াও সকালে চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির উদ্যোগে চেম্বার ভবনে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালান চেম্বারের নেতৃবৃন্দ। বিআরবি গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র জানিয়েছে, গত ৫ বছরে যে উন্নয়ন হয়েছে সেইসব প্রতিশ্রুতি ছিল বিএনপির দেওয়া।  বিএনপি যা দুই যুগে পারেনি, মাহবুবউল আলম হানিফ তা ৫ বছরে করে দেখিয়েছেন। এটা বড় অর্জন দলের জন্য।  পাশাপাশি গত ৫ বছরে মাহবুবউল আলম হানিফ দলমত সবার কাছে সমান জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন।  তার কাছে কাজে গিয়ে কেউ ফেরত আসেনি। এমনকি বিএনপির লোকজনও তার কাছে গিয়ে কখনো হতাশ হয়নি। তিনি তাদের কাজ করে দিয়েছেন। এ কারণে সদরে হানিফের ইমেজ আরও স্বচ্ছ হয়েছে। মাঠের প্রচার-প্রচারণায় এসব উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরা হচ্ছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী বলেন, মানুষ উন্নয়ন ও শান্তি চায়। বিএনপি বারবার সদরের মানুষকে ধোঁকা দিয়ে ভোট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে।  কিন্তু কোন উন্নয়ন তারা করতে পারেনি। এবার মানুষ সব পেয়েছে। তাই নৌকা ও হানিফের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ব্যক্তি হানিফও এখন সবার কাছে জনপ্রিয়।

বাংলাদেশ তাঁতী লীগ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সদস্য সচিব হাজী হারুন আর রশিদ বার্তা২৪কে বলেন, তাঁতীদের উন্নয়নে কাজ করছে এই সরকার। আরও কাজ করার সুযোগ দিতে আবারও নৌকায় ভোট দিতে হবে। এজন্য আমরা প্রতিনিয়ত তাতী লীগের উদ্যোগে পাড়া মহল্লায় নির্বাচনী গণসংযোগ ও সরকারের উন্নয়ন নিয়ে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, কুষ্টিয়াকে মানুষ চেনে সাংস্কৃতিক রাজধানী নামে। আগামীতে চিনবে উন্নয়নের রাজধানী হিসেবে। আগামীতে এমপি নির্বাচিত হতে পারলে কুষ্টিয়ার মানুষের চাওয়া-পাওয়ার যে হিসাব আছে তা মেটাতে পারব ইনশাআল্লাহ।

তিনি আরও বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হলে গোটা কুষ্টিয়ার উন্নয়নের চিত্র বদলে যাবে। বড় বড় প্রকল্প হাতে নেওয়া ছাড়াও বেকার সমস্যা কমাতে নতুন শিল্প কারখানা স্থাপন ও বাইরে থেকে যাতে নতুন বিনিয়োগ আসে সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়ার চিন্তা চলছে।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহবুবউল আলম প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে থাকলেও এখনো মাঠে নামতে পারেনি ধানের শীষের প্রার্থী জাকির হোসেন সরকার। জাকির সরকার মনোনয়ন পাওয়ায় জেলা ও সদর বিএনপিতে গ্রুপিং তৈরি হয়েছে।

জাকির হোসেন সরকার বলেন, প্রতিটি পদে পদে বাধা।  নেতা-কর্মীদের আটক করা হয়েছে। যারা আমার সাথে মাঠে ছিল তারা এখন আর কেউ নেই। আমি এখন একা। এখন নিজের নিরাপত্তা নিয়েও চিন্তিত আছি। সব অভিযোগ লিখিত আকারে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কমিশনে দিলেও কোন প্রতিকার মিলছে না।’

   

লালমোহনে নির্বাচনী মিছিলে ডিএসবি'র এসআইয়ের উপর হামলা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ভোলা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে, ভোলার লালমোহনে নির্বাচনি একটি মিছিল থেকে ডিএসবি (ডিস্ট্রিক্ট স্পেশাল ব্রাঞ্চ) এর এক পুলিশের সদস্যের ওপর হামলার ঘটনার একটি ভিডিও এসেছে সংবাদমাধ্যমের  কাছে।

ভিডিও এবং ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে জানা যায়, বুধবার (২২ মে) রাত প্রায় পৌনে ৮টার দিকে লালমোহন পৌর শহরের হাইস্কুল সুপার মার্কেট এলাকায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে পৌর শহরে মিছিল বের করে চেয়ারম্যান প্রার্থী আক্তারুজ্জামান টিটবের দোয়াত কলম প্রতীকের সমর্থকরা। একই সময় ওই মিছিলের পিছন থেকে মিছিল শুরু করে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী আকতার হোসেনের শালিক প্রতীকের সমর্থকরা। 

এসময় মিছিলের ভিডিও ধারণ করছিলেন ডিএসবি'র এসআই একেএম আবদুল হক। তার উপর হামলা চালায় শালিক প্রতীকের সমর্থকরা। 

হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে শালিক প্রতীকের মিছিল থেকে হামলার শিকার হয়েছেন বলে তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় জানান ডিএসবি'র এসআই কেএম আবদুল হক।

হামলা বিষয় জানতে শালিক প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আকতার হোসেনের মুঠোফোনে কল করা হলে ব্যস্ততা দেখিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি।

হামলার হামলার সংবাদ শুনে ঘটনাস্থলে আসেন লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মাহবুব উল আলম। হামলার বিষয় জানতে চাইলে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মন্তব্য কোনো মন্তব্য করেননি ওসি।

এদিকে এখনও পর্যন্ত কেন এই ঘটনা কাউকে আটক করা হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহিদুজ্জামান বার্তা ২৪ কে জানান, হামলার ভিডিওটি আমি দেখেছি, হামলার বিষয়টি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কিনা তা খতিয়ে দেখে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় আআইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

;

স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও আগ্রহ হারিয়েছে ভোটাররা



জাহিদ রাকিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও আগ্রহ হারিয়েছে ভোটাররা

স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও আগ্রহ হারিয়েছে ভোটাররা

  • Font increase
  • Font Decrease

বিগত কয়েকটি সংসদ নির্বাচনের মতই স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ভোটারদের ভোট প্রদানে আগ্রহ কমছে। চলমান ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের দুই ধাপের ফলাফল বিশ্লেষণ করে সেই চিত্র ওঠে এসেছে। চলমান স্থানীয় সরকারের উপজেলা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ। আর দ্বিতীয় ধাপে ভোট পড়েছে ৩৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

ভোটের হার নিয়ে নির্বাচনের কমিশনের (ইসি) সন্তুষ্টি না থাকলেও তারা বলছে, কেন্দ্রে ভোটার আনার দায়িত্ব তাদের নয়। তাদের কাজ নির্বাচন পরিচালনা করা। একাধিক ইসি কমিশনার বলছেন, জাতীয় কিংবা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কোনো বিধিনিষেধ বা নিয়ম নাই, কত শতাংশ ভোট পড়লে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে। এগুলো নিয়ে ইসি ভাবেও না। যেকোনো শতাংশ ভোট পড়লেই খুশি তারা।

নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাতীয় সংসদের মত স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোটের হার কমে যাওয়া উদ্বেগজনক। দিন দিন যেভাবে ভোটের হার কমছে, তাতে বুঝা যাচ্ছে নির্বাচন ও নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর আস্থা হারাচ্ছে মানুষ। একপক্ষীয় ব্যবস্থায় দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা চলে যাওয়ায় ভোটে আস্থা হারাচ্ছে সাধারণ জনগণ।

এদিকে নির্বাচনে ভোটের হার যেমন কমছে, তেমনি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী বিজয়ীর সংখ্যাও বাড়ছে। এবারের উপজেলা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ২৬ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। দ্বিতীয় ধাপে ২২ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয় লাভ করেছেন।

ইসি সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনের আগে বিভিন্ন জেলায় মতবিনিময় সভা করেছে নির্বাচন কমিশন। এসময় একাধিক উপজেলা প্রার্থী কমিশনারদের কাছে ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে আসতে উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছেন। সেই সাথে প্রয়োজনে মাইকিং করে হলেও সাধারণ ভোটাররা যাতে কেন্দ্রে যায় সেই বিষয়ে উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে।

দ্বিতীয় ধাপের ভোট শেষে গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল গণমাধ্যমকে বলেছেন, আমি ৩০ শতাংশ ভোটকে কখনো উৎসাহব্যঞ্জক মনে করি না। ভোটের হার কম হওয়ার একটা বড় কারণ হতে পারে- দেশের প্রধান বড় রাজনৈতিক দল নির্বাচনে প্রকাশ্য ও ঘোষণা দিয়ে ভোট বর্জন করেছে। জনগণকে ভোট প্রদানে নিরুৎসাহিত করেছে। গণতান্ত্রিক দেশে পক্ষে-বিপক্ষ থাকতে পারে, সংকট হচ্ছে রাজনীতিতে। রাজনীতি যে সংকট রয়েছে সেটা কাটিয়ে সুস্থ ধারায় রাজনীতি প্রবাহিত হলে ভোটাররা উৎসাহিত হবে ভোট কেন্দ্রে আসতে।

২০১৯ সালের পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনে রাজনৈতিক মাঠের প্রধান বিরোধীদল বিএনপিসহ কয়েকটি দল নির্বাচন বর্জন করে। সেবার ভোট পড়ে ৪০ দশমিক ২২ শতাংশ। তার ধারাবাহিকতায় এবারও বিএনপি, জামায়াত, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ইসলামী আন্দোলনসহ গুরুত্বপূর্ণ দলগুলো ভোট বর্জন করেছে। সাধারণ মানুষ যাতে ভোট কেন্দ্রে না যায় সেই বিষয়ে প্রচারণা ও লিফলেটও বিতরণ করেছে। এর আগে ২০১৪ সালের চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৬১ শতাংশ। সেইসময় প্রধান বিরোধীদল বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল।

নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা ব্রতীর নির্বাহী পরিচালক শারমিন মুরশিদ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছরে গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সেই সাথে যারা নির্বাচন পরিচালনা করে ও আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে যারা তাদের প্রতি আস্থা হারিয়েছে সাধারণ ভোটাররা। ফলে অনেকে হতাশ হয়েই ভোট প্রদানে আস্থা হারিয়েছে।

;

দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৭.৫৭ শতাংশ: ইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে ভোটের হার ৩৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (২২ মে) সন্ধ্যায় ইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

ইসি সচিবালয়ের তৈরি করা প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২১ মে) অনুষ্ঠিত ১৫৬ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল তিন কোটি ৩৪ লাখ ৯৮ হাজার ৬২০ জন। এদের মধ্যে ভোট দিয়েছেন এক কোটি ২৫ লাখ ৮৩ হাজার ৯৪৭ জন। অর্থাৎ ভোট পড়েছে ৩৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

এই নির্বাচনে ব্যালট পেপারে ভোট হয়েছে ১২৯টি উপজেলায়। এতে ভোট পড়েছে ৩৮ দশমিক ৪৭ শতাংশ। আর ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের ভোট হয়েছে ২৩টিতে, ভোট পড়েছে ৩২ দশমিক ১৭ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলায়, ৭৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ। আর সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে রাজশাহীর বাঘমারা উপজেলায়, ১৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ।

গত ৮ মে অনুষ্ঠিত প্রথম ধাপের ১৩৯ উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন আশা করেছিল প্রথম ধাপের চেয়ে ভোট দ্বিতীয় ধাপে বেশি পড়বে।

এবার দেশের উপজেলাগুলোয় চার ধাপে নির্বাচন করছে ইসি। আগামী ২৯ মে তৃতীয় ও ৫ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

;

কালীগঞ্জে রাকিবুজ্জামান-আদিতমারীতে ফারুক চেয়ারম্যান নির্বাচিত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ ও আদিতমারী উপজেলা পরিষদে যথাক্রমে রাকিবুজ্জামান আহমেদ ও ইমরুল কায়েস ফারুক বেসরকারি ফলাফলে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে কালীগঞ্জ উপজেলার সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাহী কর্মকর্তা জহির ইমান ও আদিতমারী উপজেলার সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাহী কর্মকর্তা নুরে আলম সিদ্দিকী এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আপন চাচা মাহবুবুজ্জামান আহমেদকে পরাজিত করেছেন ভাতিজা রাকিবুজ্জামান আহমেদ। ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন আবির হোসেন। নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন শিউলি রানী।

কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রাকিবুজ্জামান আহমেদ (আনারস) প্রতীকে ২৪ হাজার ২শ ৬ ভোট ও তার চাচা নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাহাবুবুজ্জামান আহমেদ (ঘোড়া) প্রতীকে ১৯ হাজার ১শ ৪৪ ভোট পেয়েছেন।

অন্যদিকে, আদিতমারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ইমরুল কায়েস ফারুক (মোটর সাইকেল) প্রতীকে ৩২ হাজার ৪শ ২৫ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. রফিকুল আলম (আনারস) প্রতীকে ২৮ হাজার ৬শ ৫১ ভোট পান।

আদিতমারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ছামসুন নাহার (পদ্মফুল) প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যানের পদে মাইদুল ইসলাম সরকার (উড়োজাহাজ) প্রতীকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

লালমনিরহাট জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা লৎফর কবির বার্তা২৪.কমকে বলেন, কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়।

;