হুইপ নির্ভার, পররাষ্ট্র মন্ত্রীর আকাশে মেঘের ঘনঘটা



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
দিনাজপুরের অলিতে গলিতে ঝুলছে নির্বাচনী পোস্টার

দিনাজপুরের অলিতে গলিতে ঝুলছে নির্বাচনী পোস্টার

  • Font increase
  • Font Decrease

দিনাজুপর থেকে: হুইপের আকাশ মেঘমুক্ত, পররাষ্ট্র মন্ত্রীর আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা। উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা দিনাজপুরের দুই হেভিওয়েট প্রার্থী সম্পর্কে এমন মতামত দিয়েছেন ভোটাররা।

দিনাজপুর-৩ (সদর) আসনে এবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম। এই আসনে বিএনপির কোনো প্রার্থী নেই। বাছাইয়ে বাতিল হয়ে গেছেন। যে কারণে ইকবালুর রহিমের ভোট এখন অনেকটা আনুষ্ঠানিকতা মনে করা হচ্ছে। কারণ তার বিপরীতে লড়ছেন সিপিবির প্রার্থী বদিউজ্জামান বাদল, ইসলামী আন্দোলনের খায়রুজ্জামান ও মুসলীম লীগের প্রার্থী সৈয়দ মাহমুদ উল করিম। তারা কেউই ভোটের মাঠে আলোচনায় আসতে পারেন নি।

যদিও সাবেক ছাত্রনেতা ইকবালুর রহিম ১০ বছরের উন্নয়নের মাধ্যমে একটি জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছেন। তথাপিও বিএনপির মনোনীত প্রার্থীকেও শক্তিশালী মনে করা হতো। যে কারণে শক্তিশালী প্রার্থী না থাকায় হুইপ এখন নির্ভার। যে কারণে না-কি প্রচারণাতেও কিছুটা ভাটার টানার রয়েছে।

দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম পদে থেকে মনোনয়ন দাখিল করেন। রিটার্নিং অফিসার তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। পরে তিনি নির্বাচন কমিশনও বাতিল করে দেয়। প্রার্থিতা ফিরে পেতে রিট দায়ের করে জাহাঙ্গীর আলম। এদিকে মোফাজ্জল হোসেন দুলালকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেন বিএনপি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/25/1545713664464.jpg

মনোনয়পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে জাহাঙ্গীর আলমের প্রার্থিতা বৈধ বলে রায় দেয় হাইকোর্ট। এই রায়ের পর মোফাজ্জল হোসেন দুলালকে বাদ দিয়ে জাহাঙ্গীর আলমকে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় আশরাফুল আলম নামে এক ব্যক্তির পিটিশন। ১৮ ডিসেম্বর পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমের প্রার্থিতা স্থগিতের আদেশ দেন। আর তাতেই কপাল খুলে যায় হুইপের।

হুইপের জন্য জয় যতটা সহজ মনে করে হচ্ছে ততটাই কঠিন হয়ে পড়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হোসেন মাহমুদ আলীর জন্য। সাবেক এই আমলা লড়ছেন দিনাজপুর-৪ (চিরিরবন্দর ও খানশামা) আসনে। নানামুখী সংকটের মধ্যে রয়েছেন তিনি। একদিকে যেমন উন্নয়নে সন্তুষ্ট নয় এলাকাবাসি। তেমনি পুরো সময়ে দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দূরত্ব তার জয়ের জন্য জটিল সমীকরণে ফেলে দিয়েছে।

আওয়ামী লীগ নেতারা মন্তব্য করেছেন, তিনি আমলা থেকে রাজনীতিবীদ হয়েছেন, কিন্তু রাজনীতি ধরতে পারেন নি। আমলাই রয়ে গেছেন। মানুষের সঙ্গে তার আচার আচরণ যথাযথ ছিল না। আবার কর্মীদের সঙ্গেও নেই তার সদভাব। যে কারণে তার নির্বাচনী ক্যাম্পেইনও চলছে ঢিমে তালে। অনেক কর্মী ক্ষোভ অভিমানে ঘরে থেকে বের হচ্ছে না।

অন্যদিকে বিএনপি এই আসনে শক্তিশালী প্রার্থী দিয়েছে। ২০০৮ সালে মহাজোটগতভাবে নৌকার জোয়ারে যাকে ৪০ হাজার ভোটে হারিয়েছিলেন। সেই আক্তারুজ্জামান মিয়া এবারও হয়েছেন প্রার্থী। আক্তারুজ্জামান ২০০১ সালে হেভিওয়েট প্রার্থী মিজানুর রহমান মানুকে পরাজিত করে সংসদে গিয়েছিলেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/25/1545713763411.jpg

জেলার ৬টি আসনের মধ্যে মাত্র দু’টি আসনে মহাজোট গঠিত হয়েছে। আর ৪টি আসন রয়েছে উন্মুক্ত। সেগুলোতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী রয়ে গেছে। এতে মহাজোটের ভোট ভাগ হয়ে যাচ্ছে। আবার আওয়ামী লীগের নিজের মধ্যেও রয়েছে নানা রকম গ্রুপিং। কিন্তু ঐক্যফ্রন্টের ভোটে রয়েছে ঐক্যবন্ধ। 

ধারণা করা হচ্ছে জেলার ৬ আসনের মধ্যে ২, ৩ ও ৫ মোটামুটি আওয়ামী লীগের জয়ের পাল্লা ভারি। অপর দিকে ১, ৪ ও ৬ আসনে বের হয়ে আসা অনেক চ্যালেঞ্জের। দ্রুত সময়ের মধ্যে জাপার প্রার্থীদের বসিয়ে দেওয়া এবং ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে নেতাকর্মীদের মাঠে নামতে পারলে পরিস্থিতি বদলাতে পারে। না হলে এসব আসন আওয়ামী লীগ হাতছাড়া হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে বলেন, দিনাজপুরের মানুষ সব সময় আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে  ২০০১ সালে কারচুপি করে আওয়ামী লীগের বিজয় ছিনতাই করা হয়। বিগত ১০ বছরের উন্নয়ন এবং মানুষের পাশে থাকায় এবার ৬টি আসনেই বিপুল ভোটে আওয়ামী লীগ জয়ী হবে। অন্য যারা ভোট চাইতে আসছে উন্নয়নে তাদের কোনো অবদান নেই। মানুষ তাদের ব্যালটে জবাব দেবে।

কয়েকদিন ধরে কনকনে ঠান্ডার কিছুটা কমে আসলেও জনগণের মধ্যে ভোট নিয়ে ততটা আগ্রহ নেই। ৩০ তারিখ  আর ১০দিনের মতোই মনে করছে অনেকে। ভোট কেমন হয় এটাই যেনো তাদের প্রধান আলোচনার বিষয়।

   

উপজেলা ভোট: তৃতীয় ধাপে ১৫৮৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় এক হাজার ৫৮৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন ইসি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, চেয়াম্যান পদে ৫৭০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬১৮ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪০০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

এমধ্যে পাঁচজন রয়েছেন একক প্রার্থী। চট্টগ্রামের চান্দনাইশে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, যশোরের অভয়নগরে ভাইস চেয়ারম্যান ও সুনামগঞ্জের ছাতক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী রয়েছে। এসব প্রার্থী বাছাইয়ে টিকলে ও প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে পারেন।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮ মে। আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোট ২৯ মে।

এবার ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলায় চার ধাপে ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সে সব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২ টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দু’টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

;

তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচন

গৌরনদীতে ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীর একসঙ্গে প্রচারণার অনন্য দৃষ্টান্ত



স্টাফ রিপোর্টার, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলা পরিষদের তিনজন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী একসঙ্গে গণসংযোগ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন।

ওই প্রার্থীদের দাবি, ভোটাররা যাকে যোগ্য মনে করবেন, তাকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। গৌরনদীকে ‘দানব মুক্ত’ করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য বলেও জানান তারা।

প্রার্থীরা হলেন- বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও প্রার্থী সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান এবং পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির হোসেন মিয়া।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দিনভর উপজেলার বাটাজোর ও মাহিলাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে এ প্রচারণার সময় বাটাজোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রব হাওলাদার, মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সান্টুসহ ওই তিন প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গৌরনদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ওই তিনজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর সমর্থিত সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারিছুর রহমান।

গৌরনদীতে ১০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল

বৃহস্পতিবার দুপুরে সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান জানান, চেয়ারম্যান হিসেবে চারজন প্রার্থী অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তারা হলেন-সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী, মো. হাবিবুর রহমান, মো. মনির হোসেন মিয়া ও মো. হারিছুর রহমান।

পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নুরুজ্জামান ফরহাদ মুন্সী, জামাল হোসেন গোমস্তা ও কাজী মোস্তাফিজুর রহমান রনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এছাড়াও নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে অ্যাডভোকেট সাহিদা আক্তার, শিপ্রা রানী ও আইরিন আক্তার শিল্পী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

আগৈলঝাড়ায় ১৩ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল

তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে আগৈলঝাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান যতীন্দ্র নাথ মিস্ত্রি মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা বাসুদেব সরকার জানান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে রফিকুল ইসলাম তালুকদার, মো. জসীম উদ্দিন সরদার, ফরহাদ তালুকদার, সবুজ আকন, সাহাবুদ্দিন মোল্লা, সঞ্জয় বাড়ৈ মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

এছাড়া নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়পত্র দাখিল করেছেন মলিনা রানী রায়, হাফিজা ইয়াসমিন, পবিত্র রানী রায়, মনিকা সরকার ও রিপা বেগম।

তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদে ২৯ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এসব উপজেলায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে বা অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ২ মে। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৫ মে এবং প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৩ মে। প্রচার পর্ব শেষে ২৯ মে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে।

;

১৪৮ উপজেলায় ভোট পর্যবেক্ষণে থাকবেন ৫ হাজার পর্যবেক্ষক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের প্রথম ধাপের ১৪৮ উপজেলায় কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচন কমিশনের ২৮টি নিবন্ধিত সংস্থা থেকে ২৬৭ জন এবং স্থানীয়ভাবে ৪ হাজার ৬৯২ জন ভোট পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে প্রায় ৫ হাজার জন পর্যবেক্ষক প্রথম ধাপের উপজেলা ভোট পর্যবেক্ষণ করবেন।

বৃহস্পতিবার (২ মে) ইসির পরিচালক (জনসংযোগ) মো.শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ৮ মে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৩ ও সংশ্লিষ্ট আইন মেনে এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ২৮টি পর্যবেক্ষক সংস্থার কেন্দ্রীয়ভাবে ২৬৭ জন এবং স্থানীয়ভাবে ৪ হাজার ৬৯২ জন পর্যবেক্ষককে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের কার্ড নির্বাচন কমিশন সচিবালয় হতে প্রদান করা হবে। স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের কার্ড ও স্টিকার রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় হতে প্রদান করতে হবে।

স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের ক্ষেত্রে যে নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে-

রিটার্নিং/সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে স্থানীয় পর্যবেক্ষণ নীতিমালা অনুযায়ী যাচাই বাছাই করে অনুমোদিত পর্যবেক্ষক সংস্থাকে পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার সরবরাহ করতে হবে।

নির্বাচন কমিশন হতে অনুমোদিত পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রত্যেক পর্যবেক্ষকের জন্য EO-2 ফরম, EO-3 ফরম, এসএসসি সনদের সত্যায়িত অনুলিপি, সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট ও ১ কপি স্ট্যাম্প সাইজ রঙিন ছবিসহ একটি আবেদন রিটার্নিং/সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নিকট জমা দিবে।

রিটার্নিং/সহকারী রিটার্নিং অফিসার এসকল তথ্য পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৩ অনুযায়ী যাচাই বাছাই করে কমিশন থেকে অনুমোদিত বৈধ পর্যবেক্ষকদের তালিকা প্রস্তুত করবেন এবং তাদেরকে নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত পরিচয়পত্র প্রদান করবেন।

কোন পর্যবেক্ষক যদি কোন রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কিংবা স্থানীয় কমিটির পদাধিকারী হন কিংবা স্থানীয় নির্বাচনি এজেন্ট/প্রচারণা কমিটি/পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন তাহলে তাকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করে কোন কার্ড ইস্যু করা যাবে না।

পর্যবেক্ষকগণ অনধিক ৫ জনের টিম করে ভ্রাম্যমাণ পর্যবেক্ষক হিসেবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। এজন্য তাদেরকে নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক লেখা গাড়ির স্টিকার সরবরাহ নিতে হবে। নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক লেখা স্টিকারযুক্ত গাড়িতে অনুমোদিত পর্যবেক্ষক ছাড়া অন্য কেউ ভ্রমণ করতে পারবেন না। নির্ধারিত পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার ইস্যু করে তা রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে এবং তা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রেরণ করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত পর্যবেক্ষক পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার নির্বাচনি মালামাল সংগ্রহের সময় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ শাখা রুম নং-১০৫ হতে সংগ্রহ করতে হবে।

এবার ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলায় চার ধাপে ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সে সব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২ টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দু’টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

 

;

উপজেলা ভোট: চাঁদপুরের মতলব থানার ওসি বদলির নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
উপজেলা ভোট: চাঁদপুরের মতলব থানার ওসি বদলির নির্দেশ

উপজেলা ভোট: চাঁদপুরের মতলব থানার ওসি বদলির নির্দেশ

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ পর্যায়ে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য চাঁদপুরের মতলব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বদলির নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (২ মে) ইসির সিনিয়র সহকারি সচিব মোহাম্মদ শাহজালাল নির্দেশনাটি মহাপুলিশ পরিদর্শককে পাঠিয়েছেন।

এতে বলা হয়েছে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদ হোসেন এবং সাব-ইন্সপেক্টর মোঃ আবু হানিফকে প্রত্যাহার করে তদস্থলে উপযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা পদায়নের জন্য মাননীয় নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।

বর্ণিতাবস্থায়, উল্লিখিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করা হলো।

;