সাতক্ষীরায় ইভিএমের প্রদর্শন ও প্রশিক্ষণ
সাতক্ষীরা-২ (সদর) আসনে ১৩৭টি ভোটকেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দেবেন এ অঞ্চলের ৩ লক্ষ ৫৬ হাজার ২৬৮জন ভোটার। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৭৭ হাজার ২৯০ এবং নারী ভোটার রয়েছেন ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ৯৭৮ জন।
এই প্রথমবারের মত সাতক্ষীরা সদর আসনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হবে বলে দৈবচয়ন পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে শুরু থেকেই ইভিএম নিয়ে নানা কৌতূহল বিরাজ করছে ভোটারের মনে।
কিন্তু সকল জল্পনা কল্পনা ও সংশয়ের আবরণ সরিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের নিরন্তর প্রচেষ্টায় ভোটাররা ইভিএমের বিষয়ে উৎসাহিত হচ্ছেন। সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের প্রত্যেককে দেয়া হচ্ছে দুদিনের প্রশিক্ষণ।
অনুরূপভাবে মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই সাতক্ষীরা নবারুণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পোলিং অফিসারদের দেয়া হচ্ছে একদিনের প্রশিক্ষণ। এছাড়া সেনা সদস্যরা এলাকায় এলাকায় গিয়ে কীভাবে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট প্রদান করতে তা প্রচার ও প্রদর্শন করছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ সেনাবাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতা করছেন। ইভিএম প্রদর্শনী দেখতে দলে দলে আসছেন ভোটাররা।
সদর উপজেলার ফিংড়ী এলাকার ভোটার সোহাগ হোনেন, আলামিন রোকন, শেখ হেদায়েতুল ইসলাম, আবু ছালেক সহ অনেকেই জানান, ইভিএম নিয়ে ভোটারদের মনে জল্পনা কল্পনার অবসান হচ্ছে। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এলাকায় এলাকায় চলছে ইভিএম প্রদর্শন। এতে করে মানুষ ব্যাপক উৎসাহিত হচ্ছে। এর আগেও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইভিএম প্রদর্শন করা হয়েছে। ইভিএম পদ্ধতি সহজ ও সময় কম লাগায় ইতোমধ্যে জেলা সদরে সাড়া পড়েছে বলে মন্তব্য করেন ভোটাররা।
সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে প্রশিক্ষণরত শিক্ষক ইকবাল হোসেন, হাফিজুল ইসলাম, শ্যামল দাস, রেহেনা খাতুনসহ অনেকেই জানান, ইভিএম পদ্ধতিতে খুব সহজেই ভোট দেয়া ও নেয়া যায়। এ পদ্ধতিতে জাল ভোটের কোন সুযোগ নেই। এমনকি ভোট কারচুপির করার সুযোগ নেই। জনগণের আস্থা অর্জনে এ পদ্ধতি সফল হবে বলে মন্তব্য করেন তারা।
এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশের ন্যায় সাতক্ষীরায়ও সেনাবাহিনীর টহল শুরু হয়েছে। সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন সড়ক সেনা সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।
এর আগে তারা রবিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে তারা সাতক্ষীরা স্টেডিয়াম, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও সাতক্ষীরা শিল্পকলা একাডেমীতে অবস্থান নিয়েছেন। এছাড়া সাতক্ষীরার সাতটি উপজেলা সদরসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তারা ক্যাম্প স্থাপন করছেন।
যশোর ৫৫ পদাতিক ডিভিশন থেকে ৭০০ সেনা সদস্য সাতক্ষীরা জেলায় এসেছেন বলে জানা গেছে। নির্বাচন স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার এস.এম মোস্তফা কামাল।
অপরদিকে, সেনা টহল শুরু হওয়ায় নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট হওয়া আতঙ্ক অনেকটা কমে যাচ্ছে বলে জানান সাধারণ ভোটাররা।