শেষ মুহূর্তে রাজশাহীজুড়ে জমজমাট প্রচারণা



ইলিয়াস আরাফাত, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, রাজশাহী, বার্তা২৪.কম
শেষ মুহূর্তে রাজশাহীজুড়ে জমজমাট প্রচারণা। ছবি: বার্তা২৪.কম

শেষ মুহূর্তে রাজশাহীজুড়ে জমজমাট প্রচারণা। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রচারণার শেষ দিন আজ (২৭ ডিসেম্বর)। শেষ মুহূর্তে রাজশাহী মহানগর ও জেলার প্রতিটি জায়গায় জমজমাট প্রচারণা চলছে। মূলত ভোটারদের মন জয় করতে শেষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। ছোট-বড় জনসভা থেকে শুরু করে মাইকের স্লোগানে মুখরিত এলাকা। তবে শেষ সময়ের প্রচারণায় নির্বাচনী মাঠে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা অনেকখানি এগিয়ে গেছে।

রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী ও বিএনপির প্রার্থী আমিনুল হকের জমজমাট প্রচারণা চলছে। প্রচারের শুরুর দিকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমানভাবে শুরু করলেও দিন যত গড়াতে থাকে ততই নৌকার প্রচারের পাল্লা ভারী হতে থাকে।

এ বিষয়ে বিএনপির প্রার্থী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের অভিযোগ, তাদের নেতা–কর্মীদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, বর্তমান সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী জানান, প্রচারে তারা বিএনপির চেয়ে অনেক এগিয়ে। বিএনপির প্রার্থী আমিনুল হক তো গত ১০ বছর মাঠে ছিলেন না।

নেতাদের ভয়ভীতি দেখানো ও পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি জানান, বিএনপি হচ্ছে অভিযোগের দল। মিথ্যা কথা বলতে বলতে তাদের অভ্যাস হয়ে গেছে।

এই আসনে অন্য প্রার্থীরা হলেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আ. মান্নান ও বাসদের আলফাজ হোসেন।

রাজশাহী-২ আসনে (রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকা) মহাজোটের প্রার্থী বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা আর বিএনপি প্রার্থী রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু। বিএনপির কিছু অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও এই আসনে জমজমাট প্রচার চলছে। ফজলে হোসেন গত ১০ বছরের উন্নয়ন নিয়ে কথা বলছেন। মিজানুর রহমানও তার সময়ের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে ভোটের শেষ মুহূর্তের প্রচার চালাচ্ছেন।

রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সাংসদ আয়েন উদ্দিন ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক। এখানেও শেষ মুহূর্তের প্রচারণা জমজমাট। এ আসনে প্রচারণায় বিএনপির প্রার্থীর থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অনেক এগিয়ে।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী আয়েন উদ্দীন জানান, বিএনপির প্রার্থী রাজশাহী শহরের মানুষ। আর তিনি মোহনপুরের ছেলে। এ জন্য লোকজন স্থানীয় প্রার্থীকে রেখে বহিরাগত কাউকে ভোট দেবে না। তাই বিএনপি এখানে কোনো লোক খুঁজে পাচ্ছে না।

রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী এনামুল হক আর বিএনপির প্রার্থী আবু হেনা। এই আসনেও জমজমাট প্রচার-প্রচারণা চলছে। বৃহস্পতিবার বাগমারা এলাকায় নির্বাচনের প্রচারণার শেষ অংশ হিসেবে বিশাল জনসভার আয়োজন করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/27/1545910591649.jpg

আওয়ামী লীগের প্রার্থী এনামুল হক জানান, বাগমারায় বিএনপির প্রার্থীকে না করে দিয়েছে ভোটাররা। আবু হেনার পক্ষে পোস্টার লাগানোর লোক নেই। এখন বাইরে থেকে লোক ভাড়া করে এনে পোস্টার লাগাতে চান তিনি।

রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে এবার আওয়ামী লীগের নতুন মুখ মনসুর রহমান। সাংসদ আবদুল ওয়াদুদকে ঘিরে দলের মধ্যে যে বিভক্তি তৈরি হয়েছিল, নতুন প্রার্থী হওয়ায় তা মিটে গেছে। অপর দিকে বিএনপি এই আসনে প্রার্থী বিড়ম্বনায় পড়েছে। বিএনপির সাবেক সাংসদ নাদিম মোস্তফা ঋণখেলাপি ও তথ্য গোপন করার অভিযোগে বাছাইয়ে বাদ পড়েছিলেন। এরই মধ্যে নজরুল ইসলামকে এই আসনে চূড়ান্ত প্রার্থী বলে ঘোষণা দেয় বিএনপি। এরপর উচ্চ আদালত থেকে নাদিম মোস্তফা আপিল করে তার প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে ৯ ডিসেম্বর বিকেলে বিএনপির চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

এদিকে নজরুল ইসলামের পক্ষ থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বিবাদী করে তার প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার জন্য হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ ডিসেম্বর নজরুল ইসলাম তার প্রার্থিতা ফিরে পান। আগে নাদিম মোস্তফা প্রার্থী হিসেবে ব্যাপক গণসংযোগ করছিলেন। এরপর থেকে নজরুল ইসলাম সেই গণসংযোগ শুরু করেছেন। তবে ততদিনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. মনসুর রহমান অনেক এগিয়ে গেছেন। শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় তাই বেশ এগিয়ে আওয়ামী লীগ।

রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হচ্ছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। এখানে বিএনপির কোনো প্রার্থী নেই। বিএনপির প্রার্থী মো. আবু সাঈদ চাঁদের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। এই আসনে শেষ মুহূর্তে আওয়ামী লীগ একচেটিয়া ভাবে এগিয়ে।

   

উপজেলা নির্বাচন: প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলেন মন্ত্রীর ভাতিজা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বিতীয় ধাপে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুরাদ কবির প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী ও গাজীপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম মোজাম্মেল হকের ভাতিজা। 

শুক্রবার (৩ মে) সকালে উপজেলার সফিপুরে তার নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। এসময় তিনি বলেন, যেহেতু দলীয় কোন সিদ্ধান্ত পাইনি সেজন্য দলকে সম্মান জানিয়ে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যদিও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের তারিখ গত ৩০ এপ্রিল চলে গেছে। তবুও আমার মনে হয়েছিল দলীয় কোন সাপোর্ট পাব। তাছাড়া এই আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক আমার আত্মীয়। আমি তার পরিবারের সদস্য। সেহেতু আমি চাইনা আমার কারণে একজন সিনিয়র মন্ত্রীর সম্মানহানি হোক।

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় ধাপে শুরু হয়েছে কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। আগামী ২১ মে শুরু হবে ভোট গ্রহণ। ইতিমধ্যে গত বৃহস্পতিবার (২ মে) প্রতীক বরাদ্দের পর ব্যানার পোষ্টার টাঙনো শুরু হয়েছে। নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাপ পিরিচ প্রতীক প্রার্থী মুরাদ কবির। সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনারস প্রতীক প্রার্থী কামাল উদ্দিন শিকদার ও গাজীপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও কালিয়াকৈর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মোটরসাইকেল প্রতীক প্রার্থী সেলিম আজাদ।

;

উপজেলা ভোট: তৃতীয় ধাপে ১৫৮৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় এক হাজার ৫৮৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন ইসি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, চেয়াম্যান পদে ৫৭০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬১৮ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪০০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

এমধ্যে পাঁচজন রয়েছেন একক প্রার্থী। চট্টগ্রামের চান্দনাইশে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, যশোরের অভয়নগরে ভাইস চেয়ারম্যান ও সুনামগঞ্জের ছাতক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী রয়েছে। এসব প্রার্থী বাছাইয়ে টিকলে ও প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে পারেন।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮ মে। আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোট ২৯ মে।

এবার ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলায় চার ধাপে ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সে সব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২ টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দু’টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

;

তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচন

গৌরনদীতে ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীর একসঙ্গে প্রচারণার অনন্য দৃষ্টান্ত



স্টাফ রিপোর্টার, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলা পরিষদের তিনজন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী একসঙ্গে গণসংযোগ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন।

ওই প্রার্থীদের দাবি, ভোটাররা যাকে যোগ্য মনে করবেন, তাকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। গৌরনদীকে ‘দানব মুক্ত’ করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য বলেও জানান তারা।

প্রার্থীরা হলেন- বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও প্রার্থী সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান এবং পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির হোসেন মিয়া।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দিনভর উপজেলার বাটাজোর ও মাহিলাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে এ প্রচারণার সময় বাটাজোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রব হাওলাদার, মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সান্টুসহ ওই তিন প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গৌরনদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ওই তিনজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর সমর্থিত সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারিছুর রহমান।

গৌরনদীতে ১০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল

বৃহস্পতিবার দুপুরে সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান জানান, চেয়ারম্যান হিসেবে চারজন প্রার্থী অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তারা হলেন-সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী, মো. হাবিবুর রহমান, মো. মনির হোসেন মিয়া ও মো. হারিছুর রহমান।

পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নুরুজ্জামান ফরহাদ মুন্সী, জামাল হোসেন গোমস্তা ও কাজী মোস্তাফিজুর রহমান রনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এছাড়াও নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে অ্যাডভোকেট সাহিদা আক্তার, শিপ্রা রানী ও আইরিন আক্তার শিল্পী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

আগৈলঝাড়ায় ১৩ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল

তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে আগৈলঝাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান যতীন্দ্র নাথ মিস্ত্রি মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা বাসুদেব সরকার জানান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে রফিকুল ইসলাম তালুকদার, মো. জসীম উদ্দিন সরদার, ফরহাদ তালুকদার, সবুজ আকন, সাহাবুদ্দিন মোল্লা, সঞ্জয় বাড়ৈ মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

এছাড়া নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়পত্র দাখিল করেছেন মলিনা রানী রায়, হাফিজা ইয়াসমিন, পবিত্র রানী রায়, মনিকা সরকার ও রিপা বেগম।

তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদে ২৯ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এসব উপজেলায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে বা অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ২ মে। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৫ মে এবং প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৩ মে। প্রচার পর্ব শেষে ২৯ মে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে।

;

১৪৮ উপজেলায় ভোট পর্যবেক্ষণে থাকবেন ৫ হাজার পর্যবেক্ষক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের প্রথম ধাপের ১৪৮ উপজেলায় কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচন কমিশনের ২৮টি নিবন্ধিত সংস্থা থেকে ২৬৭ জন এবং স্থানীয়ভাবে ৪ হাজার ৬৯২ জন ভোট পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে প্রায় ৫ হাজার জন পর্যবেক্ষক প্রথম ধাপের উপজেলা ভোট পর্যবেক্ষণ করবেন।

বৃহস্পতিবার (২ মে) ইসির পরিচালক (জনসংযোগ) মো.শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ৮ মে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৩ ও সংশ্লিষ্ট আইন মেনে এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ২৮টি পর্যবেক্ষক সংস্থার কেন্দ্রীয়ভাবে ২৬৭ জন এবং স্থানীয়ভাবে ৪ হাজার ৬৯২ জন পর্যবেক্ষককে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের কার্ড নির্বাচন কমিশন সচিবালয় হতে প্রদান করা হবে। স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের কার্ড ও স্টিকার রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় হতে প্রদান করতে হবে।

স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের ক্ষেত্রে যে নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে-

রিটার্নিং/সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে স্থানীয় পর্যবেক্ষণ নীতিমালা অনুযায়ী যাচাই বাছাই করে অনুমোদিত পর্যবেক্ষক সংস্থাকে পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার সরবরাহ করতে হবে।

নির্বাচন কমিশন হতে অনুমোদিত পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রত্যেক পর্যবেক্ষকের জন্য EO-2 ফরম, EO-3 ফরম, এসএসসি সনদের সত্যায়িত অনুলিপি, সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট ও ১ কপি স্ট্যাম্প সাইজ রঙিন ছবিসহ একটি আবেদন রিটার্নিং/সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নিকট জমা দিবে।

রিটার্নিং/সহকারী রিটার্নিং অফিসার এসকল তথ্য পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৩ অনুযায়ী যাচাই বাছাই করে কমিশন থেকে অনুমোদিত বৈধ পর্যবেক্ষকদের তালিকা প্রস্তুত করবেন এবং তাদেরকে নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত পরিচয়পত্র প্রদান করবেন।

কোন পর্যবেক্ষক যদি কোন রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কিংবা স্থানীয় কমিটির পদাধিকারী হন কিংবা স্থানীয় নির্বাচনি এজেন্ট/প্রচারণা কমিটি/পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন তাহলে তাকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করে কোন কার্ড ইস্যু করা যাবে না।

পর্যবেক্ষকগণ অনধিক ৫ জনের টিম করে ভ্রাম্যমাণ পর্যবেক্ষক হিসেবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। এজন্য তাদেরকে নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক লেখা গাড়ির স্টিকার সরবরাহ নিতে হবে। নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক লেখা স্টিকারযুক্ত গাড়িতে অনুমোদিত পর্যবেক্ষক ছাড়া অন্য কেউ ভ্রমণ করতে পারবেন না। নির্ধারিত পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার ইস্যু করে তা রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে এবং তা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রেরণ করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত পর্যবেক্ষক পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার নির্বাচনি মালামাল সংগ্রহের সময় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ শাখা রুম নং-১০৫ হতে সংগ্রহ করতে হবে।

এবার ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলায় চার ধাপে ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সে সব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২ টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দু’টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

 

;