শান্তিপূর্ণ ভোটের দায়িত্ব রাজনৈতিকদল ও রাজনীতিবিদদের নিতে হবে
সংঘাত এড়িয়ে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য যেমন অংশীজনের দায়-দায়িত্ব নেওয়া জরুরি তেমনি গণমাধ্যমের উচিত ইতিবাচক দিকগুলো প্রচার করা।
বৃহস্পতিবার (২৭ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশান-২ এ ফোর পয়েন্টস বাই শেরাটন হোটেলে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল (ডিআই) 'শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এই মতামত দেন রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
তাদের মতে, রাজনৈতিক দলগুলোকে ভোটারদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে হবে আর তাদের রায় মেনে নিতে হবে। রাজনীতিবিদের ইতিবাচক পরিবর্তন ও ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরার দায়িত্ব গণমাধ্যমের।
ডিআই এর চিফ অব পার্টি কেটি ক্রোক বলেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য নিজ নিজ দায়িত্বের জায়গা থেকে কাজ করতে হবে। যাতে সকলেই ভোটে অংশ নিতে পারে। আশা করছি, নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিক দল ও গণমাধ্যম সেক্ষেত্রে তাদের নিজ নিজ ভুমিকা পালন করবে।
সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি বলেন, সহিংসতা সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। প্রথম দায়িত্ব রাজনীতিবিদদের নিতে হবে; তারপর আামাদের (গণমাধ্যম) দায়িত্ব পালন করতে হবে।
এ সময় তিনি বলেন, দেশের সব নির্বাচনে সহিংসতা হয়েছে, নির্বাচনের আগে ও পরে; ২০১৪ সালে কি হয়েছে তা সবার জানা। তবে ২০১৪ সালের মতো এবারের নির্বাচনে সহিংসতা হচ্ছে না বলে মনে করেন তিনি।
ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির হেড অব নিউজ আশীষ সৈকত বলেন, ভোটারদের সরব উপস্থিতির থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব।
ফেমার সভাপতি মুনিরা খান বলেন, নির্বাচনের দুদিন তাই ভোটারদের রক্ষার করার দায়িত্ব প্রার্থীদের, সহিংসতা পরিহার করে, তাদের উচিত হবে ভোটারদের সুরক্ষা দেয়া। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে শক্ত ব্যবস্থা নেয়ার আদেশ দেয়া।
আওয়ামী লীগের সদস্য এবিএম রিয়াজুল কবীর কাওছার বলেন, এবার নির্বাচন সবচেয়ে আলোচিত কারণ এবার নির্বাচনে সকল দল অংশ নিচ্ছে। এই নির্বাচনে মাধ্যমে উদাহরণ সৃষ্টি করতে চাই। তাই সকলে রাজনৈতিক দলের উচিত হবে, জনগণের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়া।