শুক্রবার বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতা সৃষ্টির আশঙ্কা আ.লীগের
শুক্রবার বিএনপি-জামায়াত জোট সারাদেশে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও সহিংসতা সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন সচিবের সঙ্গে দেখা করে লিখিত অভিযোগ করেছে দলটি। পরে দলের পক্ষে ব্রিফিং করে সাংবাদিকদের বিষয়টি তুলে ধরেন দলটির প্রতিনিধি দলের প্রধান ও দলের কেন্দ্রীয় নেতা আক্তারুজ্জামান।
বিএনপি-জামায়াত জোট নির্বাচনকে সামনে রেখে ভয়াবহ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে আওয়ামী লীগের কাছে তথ্য রয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, আগামীকাল সারাদেশে নৈরাজ্য, সন্ত্রাস ও সহিংসতা সৃষ্টি করতে পারে; এমনটি ভূয়া ব্যালট পেপার ছাপিয়ে একটি ভূয়া বুথ তৈরি করে নকল ভিডিও বানিয়ে গুজব সৃষ্টি করতে পারে।
আক্তারুজ্জামান বলেন, দেশের বিভিন্নস্থানে আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের নেতাকর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা অব্যাহত আছে। আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য সকল গণতান্ত্রিক দলের ও মহাজোটের অফিস ভাঙচুর, মিছিলে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করছে। নিজেরাই সহিংসতা সৃষ্টি করে উল্টো নির্বাচন কমিশনে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করছে। মিডিয়াতে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী হামলায় সারাদেশে আওয়ামী লীগের ৪০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তারা ১৭টি জেলার ২২টি নির্বাচনী এলাকার ১০টি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর ও ৭টিতে অগ্নিসংযোগ করে, ১০টি স্থানে বোমা হামলা ও গুলি বর্ষণ করে।
গত দুই সপ্তাহে দেশব্যাপী ব্যাপক সহিংসতায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলারের উদ্বেগ প্রকাশের জবাবে তিনি বলেন, আমরা তার এই বক্তব্যকে দীর্ঘদিনের ধারাবাহিক রাজনীতি হিসেবে দেখি। নির্বাচনকালীন সন্ত্রাসে কে চ্যাম্পিয়ন তা পরপর দুটি নির্বাচনের চিত্র দেখলেই আপনারা বুঝতে পারবেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে দেশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী ভোট বর্জন ও নির্বাচন ঠেকানোর নামে ভোট কেন্দ্র জ্বালিয়ে দেয়া, নির্বাচনী কর্মকর্তাদের হত্যা করা, ব্যালট বাক্স ছিনতাই- এসবের নিরিখে আমি মার্কিন দূতবাসসহ সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই তাদের (বিএনপি-জামায়াত) সংহিসতার সৃষ্টির ঐহিত্য ও ইতিহাস আছে। যাদের এই ঐহিত্য আছে তাদের প্রতি বেশি করে অ্যাড্রেডস করা হোক যাতে তারা এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না করে। আমরা একটি সুষ্ঠূ, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই।