ভোটে উৎসব আনন্দ, আছে অভিযোগও!



এম. এম. কায়সার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘড়িতে সকাল ৮টা প্রতিদিনই বাজে। তবে প্রতিদিনের সঙ্গে এদিনের প্রায় সবকিছুর সঙ্গে পার্থক্য বেশি স্পষ্ট। কারণ এদিন ভোটের দিন। পাঁচ বছরে একবার নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ পান ভোটাররা। সাদা মোড়কের ব্যালট পেপারে নিজের ইচ্ছায় সিল মোহর আঁকার দিন। বুড়ো আঙ্গুলের নখের ওপর অমোচনীয় কালির দাগ দেখিয়ে বলতে পারার সুখ-‘আমি ভোটার, আমিও ভোট দিয়েছি’!

৩০ ডিসেম্বর (রোববার) সকালের প্রথম সূর্য কিরণই জানিয়ে দিলো আজ নিজের সেই অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন। আজ সব প্রজার খানিকক্ষণের জন্য হলেও রাজা হওয়ার দিন। সেই আনন্দেই সকাল ৮টা থেকেই ভোট কেন্দ্রে ধীরে ধীরে ভিড় বাড়তে লাগল। সকালের শুরু থেকে বিকেলে ভোট গ্রহণ শেষ হওয়া পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুর ১৬ ও ১৫ আসনের কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখেন এ প্রতিবেদক।

উৎসবের সকাল

মিরপুর-১৬ আসনের বেশির ভাগ ভোট কেন্দ্রে সকাল থেকেই ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা গেছে। সকাল ১০টা নাগাদ প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি চোখে পড়ার মতোই ছিল। অনেকে নতুন পোশাক পরে ভোট কেন্দ্রে আসেন। তবে এই আসনের সাংবাদিক আবাসিক এলাকা উচ্চ বিদ্যালয়, পল্লবী মহিলা ডিগ্রি কলেজ, রিয়াজুল জান্নাত মাদরাসা, রশিদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, কালশী ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, মিরপুর বাংলা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শহীদ আবু তালেব উচ্চ বিদ্যালয়, এমডিসি মডেল ইনস্টিটিউট ভোট কেন্দ্রে আওয়ামী লিগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী ইলিয়াস মোল্লার সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এসব ভোট কেন্দ্রের খানিক দূরে ভোটারদের সহায়তার জন্য বুথ ক্যাম্পের সবগুলোই ছিল নৌকা প্রতীকের। কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে হাতপাখার পোস্টার ঝুলতে দেখা গেলেও অন্য কোনো প্রতীকের বুথ দেখা যায়নি। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ থাকায় রিকশায় চড়ে অনেককে ভোট কেন্দ্রে আসতে দেখা যায়। প্রায় প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখ করার মতো।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/30/1546176151914.jpg

অনেক নারী ভোটার জানিয়েছেন, সকাল সকাল রান্না করে ভোট দিতে এসেছেন। বেশ কয়েকজন পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভোট কেন্দ্রে এসেছেন। শীতের সকালে ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি পুরো পরিবেশকে উৎসবমুখর করে তোলে। সেলফি আনন্দে মেতে ওঠার দৃশ্যও দেখা যায় অনেক কেন্দ্রে।

বাইরে দীর্ঘ লাইন, ভেতরে ধীর গতি

সকাল ১০টার পর এসব কেন্দ্রের প্রায় সব ভোটার অভিযোগ করেন, ‘অনেক সময় দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু ভেতরে যেতে পারছি না। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে পা ব্যথা হয়ে গেছে, কিন্তু লাইন যে ছোটই হচ্ছে না! বাইরে এত ভিড়, অথচ মাত্র দু’জন তিনজন ভোটার ভেতরে নেয়া হচ্ছে। বুড়ো মানুষদের অনেক বেশি কষ্ট হচ্ছে।’

মিরপুর-১২ সেকশনের রশিদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এবং মিরপুর সাড়ে ১০ নম্বরে শহীদ আবু তালেব উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের বাইরে সারিবদ্ধভাবে ভোটারদের লম্বা লাইনে দেখা গেলো। সবারই অভিযোগ, বুথের ভেতরে ভোটার প্রবেশ করানো হচ্ছে ধীরে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের জন্য অনেকগুলো কক্ষ রয়েছে। তবে ভোট দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসা এক ভোটার জানান, ভেতরে তেমন ভিড় নেই, বাইরেই বেশি ভিড়।

সাংবাদিক পরিচয় জেনে মিরপুর বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে দাঁড়ানো খায়রুল ইসলাম নামের এক ভোটার অনুরোধের সুরে বললেন, ‘পাশে জান্নাত একাডেমির কেন্দ্রে যান, ওখানে বাইরে প্রচুর ভোটার। কিন্তু বুথে মানুষ কম।’

ভোটার স্লিপ সংকট

ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের পথেই আনসার বা পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা প্রত্যেক ভোটারকে জিজ্ঞেস করছেন, আপনার ভোটার স্লিপ কি এনেছেন? যারা এটা দেখাতে পেরেছেন, তারা ভোট কেন্দ্রে সহজেই প্রবেশ করতে পেরেছেন। যারা ভোটার স্লিপ দেখাতে পারেননি তাদের ভোট কেন্দ্রের দরজা থেকে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

এ আসনের প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা যায় আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এজেন্টদের বুথে। মূলত নৌকা প্রতীক ছাড়া আর কোনো এজেন্টদের বুথ ছিল না। প্রায় সব কেন্দ্রে থাকা নৌকা প্রতীকের একটি মাত্র বুথে হুমড়ি খেয়ে পড়েন ভোটাররা। সবার কথা, ‘ভাই, আমার ভোটার স্লিপ নাম্বারটা কতো?’

যারা দ্রুত ভোটার স্লিপের খোঁজ পাচ্ছেন তাদের মুখে স্বস্তির হাসি। যারা স্লিপ নম্বর পাননি, তারা মন খারাপ করে হাতে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে এদিক সেদিক ছোটাছুটি করছেন।

ভোটাররা অভিযোগ করে জানান, অন্যবার ভোটের আগে বাসায় বাসায় ভোটার স্লিপ দিয়ে যেতো। এবার তো কেউ কোনো স্লিপ পায়নি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/30/1546176170244.jpg

মিরপুর বাংলা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বাইরে দাঁড়িয়ে মধ্যবয়স্ক আতিক নামের এক ভোটার বলেন, ‘আমি বাসা বদল করেছি। যে বাসার ঠিকানায় জাতীয় পরিচয়পত্র ছিল সেখানেও গিয়েছিলাম। কিন্তু ওখানেও আমার ভোটার স্লিপ পাইনি। মনে হয় এবার ভোট দিতে পারবো না।’

কেন্দ্রের বাইরের বুথের টেবিলে গোল হয়ে মোটা ম্যানুয়েল ভোটার তালিকার পাতা উল্টাতে দেখা গেল অনেক ভোটারকে। সকাল থেকে এসব কাজে সহায়তার জন্য যারা ছিলেন তারা ভিড় দেখে তালিকা টেবিলে ফেলে চলে এসেছেন। সেই ভিড়ের মধ্যে যে যেভাবে পারছেন নিজের ভোটার স্লিপ নম্বর খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছেন। অন্তত যাতে ভোট দেয়া যায়!

অনেকে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়েও এসেছিলেন। তারা কেন্দ্রের বাইরের বুথে ল্যাপটপ নিয়ে বসা সহায়তাকারীর চারপাশ ঘিরে দাঁড়িয়ে। ল্যাপটপ হাতে থাকা বেচারা খানিকক্ষণ পরপরই অসহায় সুরে জানান, সার্ভার স্লো, কাজ হচ্ছে না!

কেন্দ্রের বাইরে ভোটার স্লিপ খুঁজে পেতে ব্যর্থ হওয়া ভোটারদের সহায়তা করার জন্য তেমন কাউকে ব্যস্ত হতেও দেখা গেল না! লাঞ্চ আওয়ারের কথা বলে ল্যাপটপ গুটিয়ে ফেলার দৃশ্যও চোখে পড়ল! অথচ কে না জানে, একটা ভোট কতো মূল্যবান?

হঠাৎ ককটেল বিস্ফোরণ

দুপুরের দিকে মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্ত্বরের পূর্বপাশে আদর্শ স্কুলের সামনে কয়েক সারি পুলিশ ও ডিবির গাড়ি। স্কুলের উত্তর পাশের গেট বন্ধ করা। সেখানেও পুলিশের বাড়তি প্রহরা। এলাকাটা পুরো ফাঁকা। দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা জানান, খানিক আগে এখানে কে বা কারা কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। ওয়াকি টকিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছ থেকে পরবর্তী নির্দেশনাও পেলেন তিনি। বিস্ফোরণের শব্দে খানিকটা হুড়োহুড়ি হলেও ভোট গ্রহণে কোনো সমস্যা হয়নি। তবে কেন্দ্রের বাইরে ভিড় ককটেল বিস্ফোরণের পর অনেক কমে যায়।

একই দৃশ্য দেখা গেল দুপুর দেড়টার দিকে মিরপুর বাংলা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে। এখানে দু’দফা ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তে লম্বা লাইনে দাঁড়ানো লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নিরাপত্তার তাগিদে অনেকে ভোটের লাইন থেকে সরে যান। এ কেন্দ্রে দুপুরের দিকে নিরাপত্তা বাড়াতে র‌্যাবের কর্মকর্তাদের ছুটোছুটি করতে দেখা গেল। দুপুরের খাবার ফেলে রাইফেল হাতে টহলে নামতে হলো তাদের।

রহস্যজনক এই ককটেল বিস্ফোরণ কারা ঘটালো- সেই প্রশ্নের সমাধান কৌতুলের উত্তর বিকেলে ভোট শেষের আলোচনায়ও মিলল না!

তিন কন্যার প্রথম ভোট

মিরপুর গার্লস আইডিয়ালস ল্যাবরেটরি ইনস্টিটিউট ভোট কেন্দ্রে ভোট দিয়ে বেরিয়ে এসে রাস্তায় রিকশা খুঁজছিলেন তিন তরুণী। এবারই প্রথম ভোট দিয়েছেন তারা। কথা বলার অনুমতি চাইতে, সানন্দে সাড়া। ইতি, তন্বী ও নাজমুন জীবনের প্রথম ভোট দিতে পারার আনন্দে উচ্ছ্বসিত। তারা বলেন, ভালো লাগছে, আমার নাগরিক অধিকার আমি প্রয়োগ করতে পেরেছি। আমি যে চেতনা ও আদর্শে বিশ্বাসী সেই পরিমন্ডলে খানিকটা হলেও এই ভোটের মাধ্যমে অবদান রাখতে পেরেছি, এই স্বীকৃতিই অনেক আনন্দের। মনে হচ্ছে নিজের ইচ্ছার প্রতিফলন আমি আজ ঘটাতে পেরেছি।

   

উপজেলা নির্বাচন: ১৪ দিনের জন্য বৈধ অস্ত্রে নিষেধাজ্ঞা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
উপজেলা নির্বাচন: ১৪ দিনের জন্য বৈধ অস্ত্রে নিষেধাজ্ঞা

উপজেলা নির্বাচন: ১৪ দিনের জন্য বৈধ অস্ত্রে নিষেধাজ্ঞা

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষে ১৪ দিনের জন্য বৈধ অস্ত্র প্রদর্শনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা এ সংক্রান্ত পরিপত্র থেকে বিষয়টি জানা গেছে।

এতে বলা হয়েছে, নির্বাচনী এলাকায় ভোটগ্রহণের পূর্ববর্তী ০৭ (সাত) দিন হতে ভোটগ্রহণের পরবর্তী ০৭ (সাত) দিন পর্যন্ত যাতে অস্ত্রের লাইসেন্সধারীগণ অস্ত্রসহ চলাচল না করেন কিংবা অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন না করেন সে জন্য জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের চাহিদার প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় এই নির্দেশনা জারি করেছে।

এবার চার ধাপে উপজেলা পরিষদে নির্বাচন করছে ইসি। তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৪১টি উপজেলায় ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার। প্রথম ধাপে ২২ টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দু’টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

;

উপজেলা নির্বাচন: প্রথম ধাপের ৪২৪ কেন্দ্রে ব্যালট যাবে বিকেলে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রথম ধাপের ৪২৪ কেন্দ্রে ব্যালট যাবে বিকেলে

প্রথম ধাপের ৪২৪ কেন্দ্রে ব্যালট যাবে বিকেলে

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে ১৪১ উপজেলার দুর্গম এলাকার ৪২৪ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের আগের দিন ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। আর ১১ হাজার ১৩২ কেন্দ্রে ব্যালট যাবে ভোটের দিন সকালে।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, যাতায়াতের অসুবিধার জন্য দুর্গম এলাকাগুলোয় ভোটের আগের দিন ব্যালট পাঠানোর জন্য সিদ্ধান্ত দিয়েছে ইসি। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ইতিমধ্যে পাঠানো হয়েছে। প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে ১৪১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে কেন্দ্র রয়েছে ১১ হাজার ৫৫৬টি।

জানা গেছে, ১০টি জেলার ২৪টি উপজেলার দুর্গম কেন্দ্রে ব্যালট আগের দিন পাঠানো হবে। উপজেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে, কুড়িগ্রামে চিলমারী, রৌমারী, চর রাজিবপুর; মৌলভীবাজারের বড়লেখা, জুড়ী, কুলাউড়া; হবিগঞ্জের বানিয়াচং, আজমিরীগঞ্জ; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর, সরাইল, সন্দ্বীপ; রাঙ্গামাটির রাঙামাটি সদর, কাউখালী, জুড়াছড়ি, বরকল; বান্দরবানের বান্দরবান সদর, আলী কদম; খাগড়াছড়ির লক্ষীছড়ি, মানিকছড়ি, মাটিরাংগা, রামগড়; সুনামগঞ্জের দিরাই, শাল্লা ও লালমনিরহাটের হাতিবান্দা। এসব উপজেলার ৪২৪টি কেন্দ্র দুর্গম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চার ধাপে অনুষ্ঠেয় উপজেলা নির্বাচনের সকল ধাপেই দুর্গম কেন্দ্রে আগের দিন ব্যালট পেপার পাঠানো হবে৷ অন্যগুলো যাবে ভোটের দিন সকালে। মাঠ প্রশাসন থেকে দুর্গম এলাকা চিহ্নিত করে প্রতিবেদন পাঠালে নির্বাচন কমিশন সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়। কয়েক বছর ধরে ভোটে কারচুপি রোধ করতে আগের রাতে ব্যালট না পাঠিয়ে সকালে পাঠায় কমিশন।

দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে চার ধাপে ৪৭৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সেসব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে।

তফসিল অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২ টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দু’টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

;

উপজেলা নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন, ২ প্রার্থীকে শোকজ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর ডোমার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার ( ৬ মে) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন। এতে টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী সরকার ফারহানা আখতার সুমি ও ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল মালেক সরকারকে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, নোটিশে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান প্রার্থী সরকার ফারহানা আখতার সুমির (টেলিফোন) বিরুদ্ধে গত ৩ মে রাত ৮টার পর মোটরসাইকেল দিয়ে নির্বাচনী শোডাউন এবং অপর প্রার্থী আব্দুল মালেক সরকারের (ঘোড়া) বিরুদ্ধে একই দিন রাত ১১টায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই পথসভা করে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়। দুই প্রার্থীকে নোটিশ প্রাপ্তির ১২ ঘণ্টার মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে উপস্থিত হয়ে জবাব দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।

এবিষয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ১২ ঘণ্টা সময় দিয়ে ওই দুই প্রার্থীর কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে।

;

উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের প্রচারে অংশ না নেওয়ার নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচারণায় মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের প্রচারে অংশগ্রহণ না করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান নির্দেশনাটি বাস্তবায়নে রবিবার (৫ মে) রিটার্নিং কর্মকর্তাদের চিঠি পাঠিয়েছেন।

এতে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মাননীয় সংসদ সদস্য ও সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি কর্তৃক নির্বাচনী এলাকায় গমন করে নির্বাচনি প্রচারণায় অংশগ্রহণ না করা এবং উপজেলা পরিষদ আচরণবিধির বিধান উল্লেখ করে এরূপ কার্য হতে বিরত থাকার জন্য রিটার্নিং অফিসারকে পত্র প্রেরণ করতে নির্দেশনা দেওয়া যায় মর্মে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর ২২ বিধিতে বলা হয়েছে, (১) সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী নির্বাচন-পূর্ব সময়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণায় বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না: তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ভোটার হইলে তিনি কেবল তার ভোট প্রদানের জন্য ভোটকেন্দ্রে যেতে পারিবেন।

নির্বাচন-পূর্ব সময়ে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তাহার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান নির্বাচনি কাজে সরকারি প্রচারযন্ত্র, সরকারি যানবাহন, অন্য কোনো সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ এবং সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীগণকে ব্যবহার করতে পারবেন না।

এবার ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলায় চার ধাপে ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সেই সব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২ টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দুটি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

;