গোপালগঞ্জে জামানত হারাচ্ছেন আ'লীগের প্রতিদ্বন্দ্বীরা



মাসুদুর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, গোপালগঞ্জ, বার্তা২৪.কম
বাঁ থেকে শেখ হাসিনা, শেখ সেলিম, মুহাম্মদ ফারুক খান, ছবি: সংগৃহীত

বাঁ থেকে শেখ হাসিনা, শেখ সেলিম, মুহাম্মদ ফারুক খান, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গোপালগঞ্জের তিনটি নির্বাচনী আসনে আওয়ামী লীগের তিন হেভিওয়েট প্রার্থী বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন। গোপালগঞ্জ-০৩ আসনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, তিনি পেয়েছেন ৯৯.৪৭% ভোট। গোপালগঞ্জ-০২ আসনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। তিনি পেয়েছেন ৯৯.৩৫% ভোট এবং গোপালগঞ্জ-০১ আসনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অপর এক প্রেসিডিয়াম সদস্য লে: কর্নেল (অব:)মুহাম্মদ ফারুক খান বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৯৯.৩৬% ভোট।

এসব আসনে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন খুবই নগণ্য ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন। গোপালগঞ্জের তিনটি আসনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের কাছে অন্য দল বা স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তাদের জামানত হারাচ্ছেন। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্দেশনা অনুযায়ী, যদি কোন প্রার্থী প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের একভাগ ভোট না পায় সেক্ষেত্রে জামানত খোয়াতে হবে প্রার্থীদের। আর গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিপক্ষে নির্বাচন করা সব কয়জন প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন।

গোপালগঞ্জ-০৩ আসনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বিপুল ভোটের ব্যবধানে বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী জয়লাভ করেছেন। তিনি এবার নিয়ে মোট ৭ম বার এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ২ লাখ ২৯ হাজার ৫৩৯ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী এস এম জিলানী পেয়েছেন মাত্র ১২৩ ভোট। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মোঃ মারুফ শেখ পেয়েছেন ৭১ ভোট।স্বতন্ত্র প্রার্থী।

গোপালগঞ্জ-০৩ আসনে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম আবারও বিপুল ভোটে জয় লাভ করেছেন।তিনি এ নিয়ে এ আসন থেকে এই নিয়ে ৮ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ৮১ হাজার ৯০৯ ভোট। এ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী তসলিম সিকদার নগণ্য ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৬০৮ ভোট। আর এ আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি ও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সিরাজুল ইসলাম সিরাজ পেয়েছেন মাত্র ২৮৬ ভোট।

গোপালগঞ্জ-০১ আসনে সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লেঃ কর্নেল (অব) মুহাম্মদ ফারুক খান এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর থেকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন। এবারের বিজয় নিয়ে তিনি ৫ম বারের মতো এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন। তিনি এবারের নির্বাচনে পেয়েছেন ৩ লাখ ৩ হাজার ১৬২ ভোট। এ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মোঃ মিজানুর রহমান নগণ্য ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৭০২ ভোট। অন্যদিকে, এ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এফ ই শরফুজ্জামান জাহাঙ্গির পেয়েছেন মাত্র ৫৭ ভোট।

গোপালগঞ্জ জেলা মূলত আওয়ামী লীগের ঘাঁটি এটা আবারও এলাকার ভোটাররা নৌকার প্রার্থীদেরকে ভোট দিয়ে জয়ী করে আবারও তা প্রমাণ করে দিলেন।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বেসরকারী এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

   

সুবর্ণচর উপজেলার ওসিকে বদলির নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সুষ্ঠু ভোটের জন্য সুবর্ণচর উপজেলার ওসি বদলির নির্দেশ

সুষ্ঠু ভোটের জন্য সুবর্ণচর উপজেলার ওসি বদলির নির্দেশ

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষে চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বদলির নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সাথে এএসআই জনাব নুরনবীকে বদলির সিদ্ধান্ত নেয় সাংবিধানিক সংস্থাটি।

ইসির উপসচিব মো. মিজানুর রহমান নির্দেশনাটি পুলিশের মহাপুলিশ পরিদর্শককে পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় জানানো হয়, নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষে ওই উপজেলার সংশ্লিষ্ট চরজব্বর থানার বর্তমান অফিসার্স ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম ও এএসআই নুরনবীকে প্রত্যাহার করে তদস্থলে একজন করে উপযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা পদায়নের জন্য মাননীয় নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।

উল্লিখিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করা হলো।

এবার ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলায় চার ধাপে ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সেসব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২ টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দু’টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

;

তথ্য গোপন করায় ওবায়দুল কাদেরের ভাইয়ের মনোনয়নপত্র বাতিল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
শাহাদাত হোসেন

শাহাদাত হোসেন

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর ৩টি উপজেলার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী ও দুই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল।

অপরদিকে, তিনটি উপজেলায় ৩৭ জন প্রাথীর মনোনয়নপত্র বৈধতা পেয়েছে।

মনোনয়ন বাতিলকৃত প্রার্থীরা হলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী শাহাদাত হোসেন ও বেগমগঞ্জের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী এ এস এম সেলিম। শাহাদাত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই।

রোববার (৫ মে) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠিত হয়।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, হলফনামায় মামলা সংক্রান্ত তথ্য সঠিক ভাবে উল্লেখ না করে তথ্য গোপনের অভিযোগে বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী এ এস এম সেলিমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। অপরদিকে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী শাহাদাত হোসেন মনোনয়নপত্র হলফনামায় চারটি মামলার তথ্য গোপন করায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষিত হয়।

মামলার তথ্য গোপনের অভিযোগে বেগমগঞ্জ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো.নুর হোসেন মাসুদ ও মো.মনির হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ্য, মনোনয়নপত্র বাতিলকৃত প্রার্থীরা আগামী ৬ মে থেকে ৮ মে জেলা প্রশাসক বরাবর প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিলের সুযোগ রয়েছে। আগামী ২৯ মে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর সদর উপজেলা, বেগমগঞ্জ উপজেলা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

;

উপজেলা ভোটে অনিয়ম দেখলে ইসিতে অভিযোগ করার আহ্বান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চার ধাপে ভোটের আগে ও ভোটে কোনো অনিয়ম দেখলেই প্রার্থী বা যে কোন নাগরিককে অভিযোগ করার আহবান জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান এই সংক্রান্ত নির্দেশনা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছে।

ইসি জানায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আচরণ বিধি লঙ্ঘনের কোনো বিষয় কোনো প্ৰাৰ্থী বা কোনো ব্যক্তির নজরে আসলে তারাও স্বউদ্যোগে মোবাইল কোর্টের নিকট, রিটার্নিং অফিসার/সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নিকট অথবা উপযুক্ত ক্ষেত্রে থানায় বা ফৌজদারী আদালতে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন বা নির্বাচন কমিশনের নিকট অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন।

এদিকে সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে গঠিত বিভিন্ন টিমের বিষয়ে নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ভিজিল্যান্স টিম ও অবজারভেশন টিম, মনিটরিং টিম ও আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী সেল গঠন এবং উক্ত টিমসমূহের কার্যক্রম নির্ধারিত তিন দিন পর পর বা ক্ষেত্রমত তাৎক্ষণিক নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে অবহিত করতে হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তা টিমসমূহ কর্তৃক নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে অবগত করানোর জন্য নির্দেশনা প্রদান করবেন।

এছাড়া উপজেলা নির্বাচনের সামগ্রিক কার্যক্রম শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে, আইন-শৃংখলা রক্ষাকল্পে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সাথে পরামর্শক্রমে বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এবার ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলায় চার ধাপে ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সে সব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দু’টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

;

শার্শায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর বাড়ির সামনে ককটেল বিষ্ফোরণ



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

শার্শা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিলের (ঘোড়া প্রতীক) বাড়ির সামনে শক্তিশালী দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

রোববার (৫ মে) ভোর ৪টার দিকে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশে শার্শার ত্রিমোহনীর তার বসত বাড়ির সামনে এ ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এবার উপজেলা নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে প্রচারণায় নেমেছেন। তিনি ছাড়াও প্রাথী রয়েছেন শার্শা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মিন্নু, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ওহিদুজ্জামান ওহিদ এবং যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও শার্শা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন।

প্রার্থী অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল জানান, নির্বাচনি প্রচারণা শেষে তিনি বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ করে রোববার ভোর ৪টার দিকে তার বাড়ির সামনে দুর্বৃত্তরা পর পর দুটি ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। বিষয়টি তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক অঙ্গনে তার জনপ্রিয়তা বেশি। এতে পরাজয়ের ভয়ে শার্শা-নাভরণ এলাকার যারা ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে পরিচিত, তারা এ ককটেল হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় তিনি পুলিশে লিখিত অভিযোগ করেছেন এবং পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলন করবেন।

শার্শা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ককটেল বিষ্ফোরণের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। কারা এ ধরনের ‘সন্ত্রাসী’ কার্যক্রম ঘটিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

 

;