পাবনায় সাইয়িদসহ ১৯ প্রার্থীর জামানত বাতিল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, পাবনা, বার্তা২৪
অধ্যাপক আবু সাইয়িদ,ছবি: সংগৃহীত

অধ্যাপক আবু সাইয়িদ,ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনার ৫টি সংসদীয় আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী, ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষের অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও বিএনপির সাবেক সাংসদ এডভোকেট একেএম সেলিম রেজা হাবিবসহ জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্সপার্টি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, ন্যাশনাল পিপলস পাটি, গণতন্ত্রী পার্টি, গণফোরাম ও স্বতন্ত্র’র ১৯ জন প্রার্থী শতকরা ৮ ভাগ ভোট না পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত করেছে জেলা রিটার্নিং অফিসার। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনার ৫ টি সংসদীয় আসন থেকে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ২৬ জন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। 

পাবনা-১ (সাঁথিয়া-বেড়ার আংশিক) আসনে ৭ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তারা হলেন, ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে ধানের শীষের প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ। তিনি পেয়েছেন ১৬ হাজার ৪ ভোট।

যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর পুত্র মোঃ নাজিবুর রহমান। তিনি স্বতন্ত্র হিসেবে আপেল প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ২৪৫ টি ভোট।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোঃ আব্দুল মতিন। তিনি হাতপাখা প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ১ হাজার ৩৮৮।

বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পাটির মোঃ জুলহাস নাঈন। কোদাল প্রতীক নিয়ে তিনি ভোট পেয়েছেন ১ হাজার ৪।

বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মোঃ শরিফুর ইসলাম। তিনি ফুলের মালা প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৭৪২।

ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মোঃ শাখাওয়াত হোসেন। তিনি আম প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৫২৪। জাতীয়পার্টির সরদার শাহজাহান। তিনি লাঙল প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ১ হাজার ১৩৩ ভোট।

পাবনা-২ (সুজানগর-বেড়ার আংশিক) আসনে ৩ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তারা হলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি’র) প্রার্থী একেএম সেলিম রেজা হাবিব। তিনি ধানের শীষ প্রতীকে ভোট পেয়েছে ৫ হাজার ৩৮৩।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোঃ ইউনুস আলী। তিনি হাতপাখা প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ১ হাজার ৮৪২।

বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মোঃ শামসুর রহমান। তিনি ফুলের মালা প্রতীকে ভোট পেয়েছে ৯৭৫ ভোট।

পাবনা-৩ (চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর) আসনে ৩ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তারা হলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ হাসানুল ইসলাম রাজা। তিনি সিংহ প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৬ হাজার ১৪।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোঃ আব্দুল মোত্তালিব। তিনি কবুতর প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৩৬৮।

পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনে ২ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তারা হলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা আব্দুল জলিল। তিনি হাতপাখা প্রতীকে ১ হাজার ৯৮৪ ভোট পান। ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মোঃ আব্দুর রশিদ শেখ। তিনি আম প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৮৩৬।

পাবনা-৫ (সদর) আসনে ৪ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তারা হলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অধ্যাপক মোহাম্মদ আরিফ বিল্লাহ। তিনি হাতপাখা প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ২ হাজার ৬১৮।

ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মোঃ আবু দাউদ। তিনি আম প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ১ হাজার ৯৯৯। জাতীয়পার্টির মোঃ আব্দুল কাদের খান কদর। তিনি লাঙল প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ২ হাজার ৫৮৪ ভোট। জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় পাবনার ৫ টি সংসদীয় আসনের ১৯ প্রার্থীর জামানত বাতিলের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

   

কুমিল্লার ৩ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন শুরু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,কুমিল্লা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

শুরু হয়েছে কুমিল্লার তিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় শেষ হবে এই কার্যক্রম। এদিন মনোহরগঞ্জ, লাকসাম এবং মেঘনা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

প্রথম ধাপে কুমিল্লার চারটি উপজেলায় ভোটগ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় তিনটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে।

সকাল ৮টা বেজে ৫ মিনিটে মেঘনা উপজেলার লুটেরচর মফিজুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র ঘুরে অল্পকিছু ভোটার উপস্থিতি দেখা গেছে। তবে সকালে এক পশলা বৃষ্টির কারণে ভোটার উপস্থিতি কম বলে ধারণা করছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য ৩২০ জন প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। তিন উপজেলায় মোট ভোটার ৮ লাখ ৯২ হাজার ২৩৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪ লাখ ৬২ হাজার ৩৯২ জন এবং মহিলা ভোটার ৪ লাখ ২৯ হাজার ৮৪০ জন। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলার তিনটি উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে আটজন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আটজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

;

চট্টগ্রামের তিন উপজেলায় নির্বাচন বুধবার, নিরাপত্তায় ২৫শ' পুলিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, সীতাকুণ্ড ও মিরসরাই উপজেলায় প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ বুধবার অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সার্বিক নিরাপত্তা দিতে আড়াই হাজারেরও বেশি পুলিশ কাজ করবে। ইতোমধ্যে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন।

বুধবার (০৮ মে) এসব উপজেলায় সকাল ৮টায় শুরু হয়ে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।

চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, তিনটি উপজেলায় ২৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১২ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাতজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আট জন রয়েছেন। এসব উপজেলায় মোট ৯ লাখ ৪২ হাজার ১৭৩ জন ভোটার রয়েছেন। উপজেলাগুলোর ২৯০টি ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা দেবে জেলার আড়াই হাজারেরও বেশি পুলিশ সদস্য। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছাড়াও তিন উপজেলায় ৩ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং ৪৪ পৌরসভা ও ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। ভোটগ্রহণে নিয়োজিত থাকবেন ৬ হাজার ১৬৪ জন কর্মকর্তা।

এছাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে পুলিশের পাশাপাশি সারাদেশে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর (ভিডিপি) ১ লাখ ৫৯ হাজার ৮৭৪ সদস্য কাজ শুরু করেছে। এছাড়া প্রথমবারের মতো পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে ২ হাজার ৮২০ জন সশস্ত্র আনসার ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এর বাইরে আরও ২ হাজার ২৮৮ জন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। এদিকে র‍্যাব ও বিজিবির পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার মধ্য দিয়েই ভোট গ্রহণ করা হবে জানিয়েছে পুলিশ। শান্তিপূর্ণ এবং সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে সব ধরনের প্রস্তুতি। তিন উপজেলার চার থানায় মোতায়েন করা হয়েছে আড়াই হাজারেরও বেশি পুলিশ সদস্য।

চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন জানান, তিনটি উপজেলায় মোট চারটি থানা রয়েছে। প্রত্যেকটিতে তিনজন করে সিনিয়র অফিসার দায়িত্ব পালন করছেন। সোমবার মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। তারা আজকে কেন্দ্রে চলে গেছে। এর বাইরেও আমরা থানায় রিজার্ভ রেখেছি। কোনো সমস্যা হলে তারা সাথে সাথে সেই কেন্দ্রে যাবে।

ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র প্রসঙ্গে তিনি জানান, ঝুঁকিপূর্ণ এখন আমরা বলি না। তিন উপজেলায় মোট ২৯০টি কেন্দ্রের মধ্যে আমাদের তালিকা অনুযায়ী ১০০টি কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ মনে করছি।

নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, দ্বীপ এলাকা সন্দ্বীপ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে পাঁচ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুই প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ উপজেলায় পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন প্রার্থী থাকায় এ পদে নির্বাচন হবে না। এ উপজেলায় মোট দুই লাখ ৪৫ হাজার ৬৭৬ জন ভোটার রয়েছে। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ২৬ হাজার ৬৮৯ জন, মহিলা ভোটার এক লাখ ১৮ হাজার ৯৮৫ জন। সন্দ্বীপে মোট ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৮৫টি।

সীতাকুণ্ডে চেয়ারম্যান পদে দুই প্রার্থী রয়েছেন। এছাড়া পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুই জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিন জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ উপজেলায় ভোটার তিন লাখ ২৪ হাজার ২৪০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭২ হাজার ৩৩ জন এবং মহিলা ভোটার এক লাখ ৫২ হাজার ২০৬ জন। এ উপজেলায় ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৯২টি।

মিরসরাই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫ জন । এছাড়া পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ উপজেলায় ভোটার তিন লাখ ৭২ হাজার ২৫৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৯২ হাজার ৭২০ জন ও মহিলা ভোটার এক লাখ ৭৯ হাজার ৫৩৫ জন। উপজেলায় ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১১৩টি।

উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, বুধবার মিরসরাই, সীতাকুণ্ড ও সন্দ্বীপ উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠিত করতে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সন্দ্বীপ দ্বীপ উপজেলা হওয়ায় সেখানে একদিন আগেই ব্যালট পেপার নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাকি দুই উপজেলায় সকালে ব্যালট পেপার নিয়ে যাওয়া হবে।

;

আমরা কোনো বেকায়দায় নেই: সিইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত, ফাইল ছবি

ছবি: সংগৃহীত, ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

মন্ত্রী,এমপিদের প্রভাব, আত্মীয়-স্বজনের প্রার্থিতা ও আচরণবিধি মানাতে গিয়ে নানা ধরনের অভিযোগের মধ্যে কোনোভাবে বেকায়দায় নেই বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আওয়াল।

মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।

মন্ত্রী এমপিদের প্রভাব, আত্মীয়-স্বজনের প্রার্থিতা ও আচরণবিধি মানাতে গিয়ে আপনারা কোনো বেকাদায় আছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, বেকায়দায় থাকার তো প্রশ্নই ওঠে না! আমরা কোনো বেকায়দায় নেই। এটা একটা ভালো দিক। রাজনৈতিক সদিচ্ছা যখন বিকশিত হয়েছে, স্পষ্ট হয়েছে, সেটা নির্বাচনকে অবাধ নিরপেক্ষ করার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।

তারপরেও যদি বলেন, কোনো সংসদ সদস্য প্রভাব বিস্তার করছে কি না, যদি করে থাকেন অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করি। ভোটের দিন আমরা সতর্ক থাকবো। কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করবো।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী অনেককে নিবৃত্ত করতে পেরেছি। হয়ত-বা অনেকে এলাকায় আছেন। সরকারের তরফ থেকে যতদূর দেখেছি, দলীয়ভাবে হোক বা সরকারের পক্ষ থেকে হোক, যাতে নির্বাচনটা অবাধ, নিরপেক্ষ হয়, কেউ যেন প্রভাব বিস্তার না করেন, সে বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্তটা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রার্থীদের সম্পর্কে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের সুযোগ থাকলেও দলীয় মনোনয়ন না থাকায় স্বতন্ত্র হয়ে লড়ছেন প্রার্থীরা। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে। প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি। দেখা যাক, কতটুকু হয়!

প্রভাব বিস্তার প্রসঙ্গে সিইসি কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেন, প্রভাব বিস্তারের কারণে কিছু কিছু অ্যাকশন নিয়েছি। বিভিন্ন ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করার জন্য একজনকে ডাকিয়ে এনে বক্তব্য নিয়েছি, প্রার্থিতা বাতিল করেছি।

সিইসি জানান, মাঠ পযায়ের পরিস্থিতি প্রতিদিনই সবসময় খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। এটা নিশ্চিত করতে হবে, নির্বাচনটা যেন অবাধ, নিরপেক্ষ হয়। বিশেষ করে নির্বাচনের দিন কেউ যেন ভোটকেন্দ্রে অনুপ্রবেশ করতে না পারেন এবং সেখানে যেন অনিয়ম না হয়, সে বার্তাটি রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৮ মে) দেশের ৪টি ৯৫ উপজেলার মধ্যে প্রথম ধাপে ১শ ৪০টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ২২টি উপজেলায় ইভিএমে হবে।

সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পযন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।

এই নির্বাচনে সাধারণ প্রতিটি কেন্দ্রে ১৭ জন করে এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ জন আর পার্বত্য এলাকায় সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে অন্তত ২১ জন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্য নিয়োজিত থাকবেন।

দেশের ৪টি ৯৫টি উপজেলার মধ্যে চার ধাপে ৪টি ৭৬টি উপজেলায় নির্বাচনের আয়োজন করেছে নির্বাচন কমিশন। ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি। পরবর্তীতে সে সব পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

;

দুর্গম কেন্দ্রগুলোতে হেলিকপ্টারযোগে পাঠানো হচ্ছে নির্বাচনী সরঞ্জাম



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,রাঙামাটি
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যদিয়ে রাঙামাটির চার উপজেলায় নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে। মঙ্গলবার (৭ মে) সকাল হতে জেলা নির্বাচন অফিস থেকে নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে দুর্গম ভোটকেন্দ্রগুলোতে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পাঠানোর কর্মকাণ্ড চলছে।

জুরাছড়ি উপজেলা সদরের কয়েকটি ভোটকেন্দ্র ও বরকলের দুইটি ভোটকেন্দ্রে মঙ্গলবার সকাল থেকে ভোটগ্রহণ সরঞ্জাম ব্যালট পেপার, ব্যালট বাক্স, স্ট্যাম্প প্যাড এবং আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম পাঠানো শুরু হয়।

এরআগে সোমবার সকালে জেলার জুরাছড়ির দুর্গম ভোটকেন্দ্রগুলোতে নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠানো হয়। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারযোগে যক্ষ্মা বাজার আর্মি ক্যাম্প থেকে উপজেলার সাতটি দুর্গম ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম ও কর্মকর্তাদের পাঠানো শুরু হয়। মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ সব কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম ও ভোটকর্মীদের পাঠানো হয়ে যাবে বলে নির্বাচন অফিস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

জুরাছড়ি ও বরকল উপজেলায় হেলিসর্টি ভোটকেন্দ্র নয়টি। এরমধ্যে জুরাছড়ির সাতটি ও বরকলে দুইটি ভোটকেন্দ্র। হেলিসর্টি ভোটকেন্দ্রে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে নির্বাচনী সরঞ্জাম ও ভোট কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়।

এসব এলাকায় সড়ক ও নৌ-পথে যাতায়াত ব্যবস্থা না থাকায় হেলিকপ্টার ব্যবহার করে ইসি। ৮ মে ভোটগ্রহণ ও ফলাফল গণনা শেষে পুনরায় নির্বাচনী কর্মকর্তারা ফিরে আসবেন বলে জানিয়েছে জেলা নির্বাচন অফিস।

নির্বাচনের রির্টানিং কর্মকর্তা ও রাঙামাটির সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মনির হোসেন জানান, প্রথম ধাপে ৮ মে ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে চারটি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দুর্গম এলাকার কথা বিবেচনা করে আগেই নির্বাচন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ব্যালেট পেপার এবং অন্যান্য সরঞ্জাম পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে রাঙামাটি সদর, বরকল, কাউখালী ও জুরাছড়িতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামীকাল ৮ মে। রাঙামাটির চার উপজেলায় মোট প্রার্থী হয়েছেন ৩১ জন।

এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কেবল কাউখালীতে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট হচ্ছে না।

;