‘জীবন্ত ক্যালেন্ডার’ তাইফ

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, চুয়াডাঙ্গা, বার্তা২৪
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক তাইফ আহমেদ, ছবি: বার্তা২৪

মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক তাইফ আহমেদ, ছবি: বার্তা২৪

মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক তাইফ আহমেদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ জনপ্রিয়। গ্রামের সবাই জীবন্ত ক্যালেন্ডার হিসেবেই চেনেন তাকে। তাইফ এক বিস্ময়কর প্রতিভার অধিকারী।

১৯০০ থেকে ২০৯৯ সাল, এই ২০০ বছরের মধ্যে যে কোনো তারিখ ও বার ৩ সেকেন্ডের মধ্যেই বলতে পারেন তিনি। কোন মাসের নির্ধারিত বারে কত তারিখ ছিল তাও বলে দিতে পারেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

মজার বিষয় এসব ছাড়াও তাইফ সাধারণ জ্ঞান আর টেকনোলজির মাধ্যমে পৃথিবীর ২৩৩টি দেশের রাজধানীর নাম মুখস্থ বলতে পারেন। তাইফের পরিবারের দাবি, আশ্চর্য এসব প্রতিভার কারণেই গ্রামে তাইফকে জীবন্ত ক্যালেন্ডার বলা হয়।

জীবন্ত ক্যালেন্ডার তাইফ আহমেদ (২৭) চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলার ডাউকি গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে। তাইফের সাথে কথা বললে বোঝার উপায় নেই তাইফ বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। ছোট বেলা থেকেই তাইফের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই।

বিজ্ঞাপন

তাইফ আহমেদ বার্তা২৪.কম-কে জানান, নিজে নিজেই একটি সূত্র আবিষ্কার করেছেন তিনি। সূত্র অনুযায়ী মুহূর্তেই দিন,তারিখ ও বার বলে দিতে পারেন। এছাড়া পৃথিবীর সমস্ত দেশের রাজধানীর নাম তিনি এক বিশেষ কৌশলে বলতে পারেন। তিনি এই কৌশল কাউকে জানাতে চান না।

তাইফের স্বপ্ন বাংলাদেশের জীবন্ত ক্যালেন্ডার আইডল হতে চান। তিনি তার এই আবিষ্কৃত সূত্রটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছেই হস্তান্তর করতে চান।

তাইফের পরিবারের সদস্যরা জানান, ছোটবেলা থেকেই তাইফের আচরণ স্বাভাবিক না। চিকিৎসকদের মতে তাইফ জন্মগতভাবেই অস্বাভাবিক। তাইফের একটি ভাল অভ্যাস হলো সে কখনোও মিথ্যা কথা বলে না। সৎ এবং সাদামাটা মনের হওয়ায় গ্রামের সবাই তাকে ভালবাসে।

তাইফের মা জানান, ছোটবেলায় তাইফের বিশেষ কিছু ব্যবহার পরিবারের জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। একটু বড় হলেই আমরা বুঝতে পারি তাইফ অস্বাভাবিক এক প্রতিভার অধিকারী। ছোটবেলা থেকে কোন মোবাইল নাম্বার একবার শুনলেই মুখস্থ হয়ে যেত তার। কিছুদিনের মধ্যেই তারিখ, সময় ও বারের নাম বলা শুরু করে তাইফ। গ্রামের কিছু ছেলে তাইফের ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দিলে জেলাসহ আশপাশের সবাই তাইফকে দেখতে আসেন। তাইফকে নিয়ে অনেক স্বপ্নের কথাও জানান তাইফের মা আছমা আহমেদ।

গ্রামবাসীরা জানান, তাইফকে নিয়ে গর্ব করেন তারা। মানসিক ভারসাম্যহীন তাইফের পরিবার যেন তার উন্নত চিকিৎসা করাতে পারে সে জন্য তারা সরকারের কাছে দাবি জানান।