ঈদ বাজারে জনসমুদ্র নিউমার্কেট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নিউমার্কেটে জনসমুদ্র, ছবি: বার্তা২৪

নিউমার্কেটে জনসমুদ্র, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

শনিবার, দুপুর ২টা। নিউমার্কেট মোড়ের জ্যাম নীলক্ষেত দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বর এসে পৌঁছেছে। জ্যাম ঠেলে ফুটপাথ দিয়ে এগোতে থাকি নিউমার্কেটের দিকে। নীলক্ষেত মোড় পার হতেই ফুটপাত দিয়ে হাঁটাও যেন দায়। মানুষের ভিড়ে তিল ধারণের জায়গা নেই, রাস্তা কিংবা ফুটপাতে। আরও রয়েছে রাস্তায় যানবাহনের এলোমেলো পার্কিং, ভ্রাম্যমাণ দোকান ও ফুটপাতে লাগোয়া দোকানগুলোর বর্ধিতাংশের বিড়ম্বনা।

নীলক্ষেতের বিউটি হোটেলের মোড় ঘুরতেই আর সামনে যাওয়া যায় না। যতদূর চোখ যায়, শুধু মানুষের মাথা আর মাথা। মনে হয় ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকা ‘হিউম্যান জ্যাম’। জ্যামের ভেতরেই হকারদের হাঁকডাক, ক্রেতাদের দামাদামির চিত্র চারিদিকে। মেঘলা দিনে, হিমেল বাতাসেও সেই ‘হিউম্যান জ্যাম’ আর ‘ট্র্যাফিক জ্যাম’ চরম অস্বস্তিকর এক অবস্থা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/25/1558794664858.jpg
জুতার দোকানে নারী ক্রেতাদের ভিড়, ছবি: বার্তা২৪

এভাবেই ধীরে ধীরে চলতে চলতে একপর্যায়ে গাউছিয়া মার্কেটে পৌঁছে যাই। সেখান থেকে ওভারব্রিজে করে নিউ মার্কেটে যেতে হবে। ওভারব্রিজের নিচেই হকাররা তাদের জিনিসপত্রের পসরা নিয়ে বসেছে। ক্রেতাদের আকর্ষণে ডাক দিচ্ছে, ‘খালি ষাট/খালি ষাট।’ কেউ কেউ দাঁড়িয়ে কিনছে সেখান থেকে, যাদের ওপারে যাওয়ার তাড়া বেশি তারা সেইসব ক্রেতা-বিক্রেতাদের ডিঙ্গিয়েই ওভারব্রিজের সিঁড়িতে উঠে যাচ্ছেন।

একমাত্র ওভারব্রিজও ছিল লোকে লোকারণ্য। নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর-যুবক যে যেমনে পারছে ধাক্কায়, ঠেলে সামনের দিকে যাচ্ছে। বিপরীত দিক থেকেও একই জনস্রোত। পঙ্গু ভিখারি, হকারদের কারণে ওভারব্রিজের প্রশস্ততা অর্ধেক নেই। এমনও অবস্থায় কিছু যুবক ওভারব্রিজের রেলিংয়ে বসে গায়ে বাতাস লাগাচ্ছে, তাদের কারো কারো নজর ছিল ভিড় দিকে, মুখে একধরনের মৃদু হাসি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/25/1558794712421.jpg
নিউমার্কেটের একাংশ ক্রেতাদের ভিড়, ছবি: বার্তা২৪

১০ মিনিট ধরে ওভারব্রিজ পেরিয়ে পৌঁছে গেলাম নিউ মার্কেট। সেখান থেকে সামনে তাকাতেই দেখা যায়, এদিকে ঢাকা কলেজ অন্য পাশে বলাকা সিনেমা হল পর্যন্ত গোটা এলাকায় শুধু মানুষ আর মানুষ। জনসমুদ্রের ভেতর দুয়েকটা বাসকে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

ঈদের এখনো ১০ দিন বাকি থাকতেই ক্রেতাদের এই বিপুল উপস্থিতিতে খুশি মার্কেটের ব্যবসায়ী, বিক্রেতারা। বেচাকেনা জমে উঠায় বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। ঈদকে সামনে রেখে কেনাকাটা করতে গিয়ে নিউমার্কেট গাউছিয়া, চাঁদনি চক এলাকার বিভিন্ন দোকান ঘুরে এই চিত্র দেখা যায়। বিক্রেতাদের প্রত্যাশা সামনের দিনগুলোতে বেচাকেনা আরও বাড়তেই থাকবে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/25/1558794751682.jpg
জনসমুদ্র, ছবি: বার্তা২৪

নিউমার্কেটের তিনতলায় প্যান্টের দোকানের বিক্রয়কর্মী রাতুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘এবারের ঈদের বেচাকেনা আগের চেয়ে ভালো। বিশেষ করে কাল শুক্রবারের চেয়েও আজকে লোকসমাগম বেশি।’

একই কথা জানালেন হাটবাজার শোরুমের মালিক মাহবুবুর রহমান। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘নিউমার্কেট এলাকার বেশিরভাগ ক্রেতাই মধ্যবিত্ত। তাদের কথা চিন্তা করে এখানকার কাপড়ের দামটা থাকে সাধ্যের মধ্যেই। এবার ঈদ উপলক্ষে ৭০০ থেকে শুরু করে ৩০০০ টাকা দামের উন্নতমানের ও আধুনিক রুচির শার্ট পাওয়া যাচ্ছে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/25/1558794845022.jpg
দোকানের সামনে ক্রেতাদের ভিড়, ছবি: বার্তা২৪

মার্কেটের আর কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তারা বেশ সন্তুষ্ট। এবারের বেচাকেনায়। শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি সবই কিনতে দারুণ আগ্রহ ক্রেতাদের।

আরেকটি শোরুমের এনামুল নামের একজন প্যান্ট বিক্রেতা বলেন, ‘ঈদে পাঞ্জাবি ও শার্টের ব্যাপক চাহিদা বাড়লেও জিন্স প্যান্টের দিকে ক্রেতারা বাড়তি ঝোঁক দেখাচ্ছেন না। অন্য সময়ের মতোই চলছে তাদের বেচাকেনা।’

নিউ মার্কেটে শপিং করতে আসা হাফেজ আকরাম হোসেনের কাছে বাজার সম্পর্কে জানতে চাইলাম। তিনি বললেন, ‘ঈদ উপলক্ষে দাম একটু বেশি হলেও সেটা সাধ্যের মধ্যে আছে। পণ্যের মান ভালো।’

নিউমার্কেটের বিপরীত পাশেই গাউছিয়া ও চাঁদনি চক শপিং কমপ্লেক্স। সেখানে পাঞ্জাবির পাশাপাশি রয়েছে ওড়না, হিজাব, থ্রি পিস, থান কাপড়সহ হরেক রকম পোশাক বিক্রি হচ্ছে।

সেখানে জরি ঘরের সামনে ক্রেতাদের প্রচুর ভিড়। আমিও ভেতরে ঢুকলাম। শোরুমের বিক্রেতা মোহাম্মদ আলী হোসেন জানালেন, তাদের এখানে মেয়েদের ঘাগরার বেশ চাহিদা, এগুলো মূলত ভারতীয় পণ্য। আজকে বেচাকেনা বেশ ভালো যাচ্ছে তাদের।

এই মার্কেটের নিচে দেখা হলো তরুণ আইনজীবী নাসিম উল্লাহর সঙ্গে। তিনি স্ত্রীকে নিয়েই কেনাকাটা করছেন। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘এবারের কেনাকাটা করার পরিবেশটা বেশ ভালো। তবে তার দৃষ্টিতে ছেলেদের পোশাকে বৈচিত্র্য কম।

এদিকে নিউমার্কেট এলাকায় নিরাপত্তা বজায় রাখতে অস্থায়ী ক্যাম্প করেছে নিউমার্কেট থানা পুলিশ। র‌্যাব থেকেও একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

   

চাকরি ছেড়ে বসের সামনেই ঢোল বাজিয়ে নাচলেন যুবক!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিত্যদিনের অফিসের কর্মপরিবেশে অনেকের মধ্যেই 'বিরক্তি' চলে আসে। তবুও ধৈয্য নিয়ে সব সহ্য করে টিকে থাকার জন্য চালিয়ে যান লড়াই। তবে এ যাত্রায় সকলের দ্বারা টিকে থাকা সম্ভব হয় না। অফিসের 'বিষাক্ত' কর্মপরিবেশে অনেকেই ভোগেন মানসিক সমস্যায় কিংবা ব্যক্তিজীবনে। এমন পরিবেশ থেকে বাঁচতে একেক জন একেক পন্থা অবলম্বন করে থাকেন।

তবে অনিকেত নামের এক যুবক এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে যা করেছেন নেট দুনিয়ায় তা রীতিমতো ভাইরাল। এসব থেকে মুক্তি পেতে চাকরিটাই ছেড়ে দিয়েছেন এই যুবক। এতেই ক্ষান্ত হননি তিনি, বসের সামনেই ঢাকঢোল বাজিয়ে নেচে উদযাপন করেছেন এমন মুহূর্তের।

ঘটনাটি ভারতের পুনে রাজ্যের। অনিকেত নামের ওই যুবক বিক্রয় সহযোগী হিসেবে চাকরি করতেন।

তার এমন উদযাপনের একটি ভিডিও ইন্সটাগ্রাম শেয়ার করেছেন অনীশ ভগত।

ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, গত তিন বছর ধরে এই কোম্পানির সাথে কাজ করেও বেতন খুব একটা বাড়েনি। এছাড়াও অফিসের বসের দ্বারাও তাকে বিভিন্ন সময়ে অপমানিত হতে হয়েছে।

তাই তার কাজের শেষ দিনে বন্ধুরা অফিসের বাইরে ঢোল নিয়ে জড়ো হয়েছিলেন এবং নেচেছিলেন। ভিডিওতে দেখা গেছে, এ ঘটনায় তার বস অনেক উত্তেজিত হয়েছেন। পাশাপাশি তার বস লোকজনকে ধাক্কা দিয়েছেন এবং চিৎকারও করেছেন।

ভিডিওটির ক্যাপশনে ভগত লিখেছেন, আমি মনে করি আপনারা অনেকেই এর সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পারবেন। আজকাল বিষাক্ত কাজের সংস্কৃতি খুব বেশি দেখা যায়। সম্মান এবং অধিকারের অভাব খুবই সাধারণ। অনিকেত তার পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। আমি আশা করি এই গল্প মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে।

পোস্ট করা ভিডিওটি এক মিলিয়নেরও (১০ লাখের বেশি) বেশি ভিউ পেয়েছে। পোস্টটিতে অসংখ্য লাইক ও কমেন্টও রয়েছে।

একজন ইন্সটাগ্রাম ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'আমি জানি না কেন এটি আমাকে এত সন্তুষ্ট করেছে।'

আরেকজন লিখেছেন, 'নাচটি আমাকে অন্য মাত্রার তৃপ্তি দিয়েছে।'

'আপনি সত্যিই আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে ইতিবাচক এবং উত্সাহী ব্যক্তি'- তৃতীয় একজন ঠিক এভাবেই নিজের অনুভূতি জানিয়েছেন।

তথ্যসূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস 

;

অভয়ারণ্যে মানুষ যখন বন্দিখাঁচায়



প্রমা কোয়েল, ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চিড়িয়াখানা, নানানরকম পশুপাখি ও প্রাণীর বন্দিশালা। কেবল রং-বেরঙের চিড়িয়াই নয়; বাঘ, সিংহ, ভালুক, বানর, গণ্ডারসহ কত বন্যপ্রাণীই না খাঁচায় বন্দি থাকে!

চিড়িয়াখানায় রাখতে বন্য প্রাণীদের প্রকৃতির স্বাধীন জীবন থেকে ছিনিয়ে আনা হয়। তাদের খাঁচায় বন্দি করা হয় যেন, মানুষ তাদের দেখে আনন্দ পায়। অনেক প্রাণীর জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি খাঁচাতেই কেটে যায়।

ছোট থেকে বড় সব বয়সের মানুষই চিড়িয়াখানায় ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন। শিশুরা না হয় অবুঝ! তবে যারা প্রাপ্তবয়স্ক তারাও চিড়িয়াখানায় এই বন্দি প্রাণীদের জীবনকে গভীরভাবে অনুধাবন করতে পারেন না।

এশিয়ার বড় দেশ চীনে রয়েছে, এক অদ্ভুত চিড়িয়াখানা। চংকিংয়ে অবস্থিত সেই চিড়িয়াখানার নাম ‘লেহে লেদু বন্যপ্রাণী চিড়িয়াখানা’। একে ‘রিভার্স জু’ (বিপরীত চিড়িয়াখানা) বলেও ডাকা হয়।

এখানেও মানুষ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে পশু দেখতে আসেন। তবে একেবারেই ভিন্ন উপায়ে। মূলত, একটি খাঁচা রয়েছে, যেখানে মানুষদের সেই খাঁচায় পুরা হয়। তারপর সেই খাঁচাবন্দি মানুষদের নিয়ে রাখা হয়, অভয়ারণ্যে। সেখানে বন্য প্রাণীরা মানুষের খাঁচার চারপাশে অবাধে ঘুরতে থাকে। চিড়িয়াখানায় বন্দি প্রাণীদের বন্দিজীবনের এক প্রতীকী দৃশ্য!

অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষদের জন্য এটি এক নতুন অভিজ্ঞতা!

অভয়ারণ্যে খাঁচায় বন্দি মানুষ, ছবি-সংগৃহীত

খুব কাছে থেকে হিংস্র বন্যপ্রাণীদের মুক্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যেমন লোমহর্ষক, ঠিক তেমনই আতঙ্কজনকও হতে পারে। বিপরীতধর্মী এই চিড়িয়াখানাটি সবার জন্য প্রথম উন্মুক্ত করা হয়, ২০১৫ সালে। তখন বিশ্বের সংবদমাধ্যমের শিরোনাম কেড়েছিল এ চিড়িয়াখানাটি।

একটি শক্ত লোহার খাঁচাবেষ্টিত দর্শনার্থীদের একটি ট্রাকে তুলে অভয়ারণ্যে রেখে দেওয়া হয়। সেখানে তাদের ঘিরে ধরে ঘুরতে থাকে বাঘ, ভালুক, সিংহ ইত্যাদি হিংস্র প্রাণী।

এ বিষয়ে চিড়িয়াখানার প্রধান চ্যান লিয়াং বলেন, দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা রক্ষার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। খাঁচার ফাঁকা অংশ দিয়ে হাতের আঙুলও বের না করার নির্দেশনা দেওয়া থাকে।

তবে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টিকারী এই চিড়িয়াখানাটি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে অনেক। এর নৈতিকতা নিয়ে অনেকে প্রশ্নও তুলেছেন।

অনেকে মনে করেন, এরকম ব্যবস্থাপনায় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। কারণ, শিকারী প্রাণীগুলো প্রচণ্ড হিংস্র। তাই, সে কারণে যে কোনো সময় বিপজ্জনক ঘটনা ঘটে যেতে পারে।

আবার এরকম চিন্তাভাবনার প্রশংসাও করেছেন অপর একটি পক্ষ। তাদের বক্তব্য, পৃথিবীটা কেবল মানুষদের নয়। প্রকৃতিতে সব প্রাণীদের একটা ভারসাম্য থাকা প্রয়োজন। তাদের বন্দি করে রাখা মানুষের উচিত নয়। কারণ, মুক্ত প্রকৃতিতে বিরাজ করার অধিকার সব প্রাণীরই রয়েছে।

তাদের মন্তব্য, আমরা প্রাণীদের আবাসস্থল বনজঙ্গল সব উজাড় করেছি। সে কারণে তাপমাত্রাও অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। আবার প্রাণীদের বন্দি রেখে তাদের জীবন চরম দুর্বিষহ করে তুলি।

চাইলে এবং সুযোগ পেলে এই ধরনের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা নিতে চিড়িয়াখানাটি ঘুরে আসতে পারেন বৈকি!

তথ্যসূত্র: এনিমেল অ্যারাউন্ড দ্য গ্লোব

;

৫ বছরের শিশুর বিস্ময়কর প্রতিভা!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বয়স সবে ৫ কিংবা ৬। এই বয়সেই তার প্রতিভা দেখে অবাক হবে যে-কেউ!

গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সের (সাবেক টুইটার) একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এখন পর্যন্ত ভিডিওটি ১ মিলিয়নের (১০ লাখের বেশি) বেশি মানুষ দেখেছেন। খবর এনডিটিভি। 

ভিডিওতে রিলি নামের ওই শিশুটিকে প্রথমে শ্বাস নিতে দেখা যায়। তারপর সে একটি শক্তিশালী গর্জন দিয়ে শ্বাস ছাড়ে। ওই গর্জনটি হুবুহ সিংহের গর্জনের অনুরূপ।

রিলির মা অ্যামি ভিডিওটি এক্সে শেয়ারের পরই তা ভাইরাল হয়ে যায়। শিশুটির এমন নিখুত দক্ষতা দেখে মুগ্ধ দর্শকরা। ভিডিওটিতে অনেকেই নিজেদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন।

এক্স ব্যবহারকারী একজন লিখেছেন, এত অল্প বয়সে এমন বাস্তবসম্মত গর্জন তৈরি করার রিলির ক্ষমতার বিস্ময় প্রকাশ করে।

আরেকজন লিখেছেন, শিশুরা খুব দ্রুত শিখে। তার এমন প্রতিভা সত্যিই অবাক করার মতো।

;

বান্টি গ্রাম: উড়ছে রং-বেরঙের কাপড়



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বান্টি গ্রামের মাঠে শুকাতে দিচ্ছেন বাটিকের রং করা কাপড়/ছবি: নূর এ আলম

বান্টি গ্রামের মাঠে শুকাতে দিচ্ছেন বাটিকের রং করা কাপড়/ছবি: নূর এ আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশেই বান্টি গ্রাম। বাটিকের গ্রাম বলেই এর পরিচিতি। এখানে ঘরে ঘরে বাটিক-ব্লকের কাজ চলে। গ্রামজুড়ে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৫০০ কারখানা। এই গ্রামে দিনরাত কাজ করেন হাজারো শ্রমিক। এই কাজে তাদের সংসার চলে। বান্টি গ্রামের কর্মময় জীবন চিত্র তুলে এনেছেন বার্তা২৪.কম এর ফটো এডিটর নূর এ আলম। 

বান্টি গ্রামে থ্রিপিস, ওড়না, সালোয়ার, কামিজ, বিছানার চাদর ও বালিশের কাভারে বাটিকের কাজ করা হয়/ছবি: নূর এ আলম


 

দূরদূরান্ত থেকে পাইকাররা এসব কিনতে আসেন। তাদের হাত ধরেই এসব কাপড় চলে যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে


কাপড় রং করার আগে প্রতিটি কারখানায় গরম পানিতে রং প্রস্তুত করা হয়/ছবি: নূর এ আলম

 

কাপড়ের রং পাকা করতে সেদ্ধ করা হচ্ছে।/ছবি: নূর এ আলম


কয়েক ধাপে চলে কাপড়ে বাটিকের করার কাজ/ছবি: নূর এ আলম


রং মেশানোর প্রক্রিয়াটা ঠিক আছে কিনা হাত দিয়ে দেখছেন একজন/ছবি: নূর এ আলম


গ্রামে কাপড়ে রঙ মেশানোর কাজ ভোর থেকে রাত পর্যন্ত চলে/ছবি: নূর এ আলম


বাটিকের গ্রামের অনেক বাড়িতে বসানো হয়েছে লুম মেশিন। এই মেশিন দিয়ে নানান ধরনের নকশা করা হয়/ছবি: নূর এ আলম


লুম মেশিনে চলছে কাপড় বুননের কাপড়/ছবি: নূর এ আলম


কাপড়ে রঙ করা শেষে শুকাতে দেওয়ার আগে পানি ঝরিয়ে ফেলা হয়/ছবি: নূর এ আলম


রং করা কাপড় শুকাতে দিচ্ছেন এক নারী শ্রমিক/ছবি: নূর এ আলম


বান্টি গ্রামের নারী পুরুষ সবাই ব্লক বাটিক ও প্রিন্টের সঙ্গে জড়িত/ছবি: নূর এ আলম

রং করা কাপড় ছাদে ও মাঠে শুকাতে দেওয়া হয়/ছবি: নূর এ আলম


কড়া রোদে শুকানোর পর তা কারখানায় নিয়ে আসেন শ্রমিকরা।/ছবি: নূর এ আলম


প্রচন্ড তাপদাহে বাটিকের চাহিদা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। /ছবি: নূর এ আলম


;