সাবেক অ্যাক্টরদের বর্ণনায় পর্ন ইন্ডাস্ট্রির কুৎসিত দিক



যাকওয়ান সাঈদ, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

আমাদের সমাজে তেমন মানুষের সংখ্যাই বেশি যারা মনে করেন, পর্নোগ্রাফি হলো দুর্দান্ত এক বিনোদনমূলক পেশা, যেই পেশাতে কোনো কষ্ট নেই।

পর্নস্টারদের ব্যাপারে সাধারণত মানুষদের ধারণাগুলো এরকম যে, পর্নস্টাররা একেকজন হলেন একেকটি অতৃপ্ত সেক্সগড—সারাদিন যৌনতার মধ্যে থাকলেও যাদের যৌনতার ঘাটতি দেখা দেয় না। যারা দেখতেও দুর্দান্ত হন। হন পারফেক্ট শরীরের অধিকারী। যারা শুধু সেক্স করতে ভালোবাসেন। আর সেক্সকে ভালোবাসেন তাই তারা কাড়ি কাড়ি টাকাও পান।

অনেকে মনে করেন, পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার চাইতে আনন্দের আর কী আছে? সারাদিন তাবৎ বিপরীত লিঙ্গের সুন্দর সুন্দর মানুষদের সঙ্গে সেক্স করা, আর সন্ধ্যাবেলায় টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরা, এর চাইতে আনন্দের জীবন আর কী হতে পারে?

কিন্তু লোকের এই মনে হওয়ার সঙ্গে পর্নস্টার বা পর্নঅভিনেতা-অভিনেত্রীদের মনে হওয়ার বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। পর্ন ইন্ডাস্ট্রির ভিতরগত দশা আদতেই তেমন মধুর কোনো দশা নয়।

বর্তমান পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ পর্ন দেখেই তাদের যৌনশিক্ষার বিষয়টি সম্পন্ন করে থাকলেও, আদতে পর্নোগ্রাফি দেখার বাজে প্রভাবই বেশি। ফিচারের আলোচ্য বিষয় সেটি নয়, পর্নোগ্রাফির বাজে ইফেক্টগলো কী, সে বিষয়ে আমরা পরবর্তীতে আরেকটি ফিচার করব। আমাদের আজকের বিষয়বস্তু, খোদ পর্নস্টাররা পর্ন ইন্ডাস্ট্রি বিষয়ে কী চিন্তা পোষণ করেন

পর্নস্টারদের সুবিধা-অসুবিধার বিচারে পর্ন ইন্ডাস্ট্রিকে বলা হয়ে থাকে সবচাইতে সেলফিশ ইন্ডাস্ট্রি। যেখানে নিজের কথা ছাড়া আর কারো কথা ভাবার কোনো উপায় থাকে না। যেখানে একজনের প্রতি অন্য আরেকজনের যত্নশীল হবার কোনো সুযোগ নেই। যার ফলে, এই ইন্ডাস্ট্রিটির সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককেই অনেক স্ট্রেসফুল জীবন অতিবাহিত করতে হয়। যৌনতার মতো একটি মানবীয় বিষয়কে কেন্দ্র করে ইন্ডাস্ট্রিটি গড়ে উঠলেও, বাহ্যত এর পদক্ষেপ ও আচরণসমূহ নিতান্ত রোবটিক হয়ে থাকে। তথা, পর্নস্টাররা তেমনটাই মনে করেন।

নিচে কয়েকজন সাবেক পর্নস্টারের বক্তব্যে তাদের দেখা পর্ন ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে জানা যাবে—

র‌্যান্ডে স্পেয়ার্স

আশির দশকের শুরুতে আমি ক্যালিফোর্নিয়া গেলাম অভিনয় করার উদ্দেশ্যে। সত্যিকারভাবেই আমি খুব ভালো করলাম। আমি একজন ম্যানেজার পেয়ে গেলাম, এবং একজন দালাল। আর সেই সুবাদে প্রথম সাপ্তাহেই একটা ছবিতে কাজ। আমার মনে আছে, আমি নিজেকে তখন বলতে লাগলাম, ‘এটা কোনো ঘটনা? এটা এমন কঠিন কিছু তো না!’

ওয়েল, এরপরেই হঠাৎ হলিউডের স্ক্রিপ্টলেখকরা স্ট্রাইক করে বসল। অর্থাৎ লেখক ধর্মঘট শুরু হলো। সমস্ত হলিউডের সব কাজ বন্ধ হয়ে গেল। তখন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা, ডিরেক্টররা, প্রডিউসররা, কস্টিউম ডিজাইনাররা, কেউ কোনো কাজ করতে পারছিল না। সবাই ক্ষুধার্ত হয়ে উঠল, সেইসঙ্গে আমিও।

তখন আমি মডেলিংয়ের কাজ করে অর্থ উপার্জনের সিদ্ধান্ত নিলাম। একদিন একটা মডেলিংয়ের কাজ চলাকালে, একজন নারী মেকাপ আর্টিস্ট আমাকে তার ভিজিটিং কার্ডটা দিলেন, আর বললেন, “আপনি যদি ন্যুড ছবিতে কাজ করতে চান, তাহলে এই নাম্বারে ফোন করবেন। এতে আপনার বেশ আর্থিক ইনকাম হবে।”

আমি তার এই অফার গ্রহণ করলাম। তার প্রতি কৃতজ্ঞতাও জাগল আমার, তাকে থ্যাংকস জানালাম। আমি খুব ভালোভাবেই বুঝেছিলাম, যদি আমি এমন কিছু করি সেক্ষেত্রে আমার ক্যারিয়ারের ধ্বংস সুনিশ্চিত।

কিন্তু একমাস আমি এরকম পেটের চিন্তায় কাটাবার পর, সিদ্ধান্ত নিলাম তাকে ফোনটা করব। ওই সময়টায় আসলে খাবার হিসেবে একটা মটরশুটির প্যাকেট, আর আমার রান্নাঘরের তাকে কিছু আলু, সর্বোপরি আমি ছিলাম ক্ষুধার্ত। তো, আমি ফোনটা করলাম। তারা আমাকে জানাল, একটা নির্দিষ্ট সময়ে তারা একটা নির্দিষ্ট স্থানে থাকবে। পরদিন সকালেই আমি আমার মোটরসাইকেলে চেপে ছুটলাম তাদের কাছে। এবং প্রথম দিনেই আমার জীবনে প্রথম ‘পর্নো’ ছবিতে অভিনয় করলাম।

দিনশেষে আমি ওখান থেকে চারটা একশো ডলারের মচমচে নোট নিয়ে বের হয়ে আসলাম। মোটরসাইকেলে চড়ে বাড়ির দিকে ফিরতে ফিরতে আমি ভাবছিলাম, কত সহজ এইভাবে টাকা কামানো!

আবার পাশাপাশি আমার মাথায় এমন চিন্তাও এলো, আসলে আমি করেছি কী? কোনো না কোনো দিন, কেউ না কেউ, এটা নিশ্চয়ই পেয়ে যাবে। যাই হোক, যতদূর যা বুঝতে পারি। এভাবেই আমার যাত্রা শুরু হলো। পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে আমি হয়ে উঠলাম বিরাট প্রসিদ্ধ আর সুশোভিত একজন পর্নস্টার।

আমার ফোনে সারাক্ষণ রিং বেজেই চলল। অফার আসতে থাকল। টাকার অংকও বৃহৎ থেকে আরো বৃহৎ হতে থাকল।

আমার মায়ের এইসব বিষয়ে কোনো আইডিয়া ছিল না। সে যখন জানল, এটা তাকে ঝড়ের মতো করেই আক্রান্ত করল। সে চূড়ান্ত রকমের দুঃখ পেল, চূড়ান্তভাবে আঘাত লাগল তার মনে।

আমি জানতাম না, কিভাবে ভালোবাসতে হয়। এমনকি আমি জানমতাম না, কোনোদিন আর আমি ভালোবাসতে পারব কিনা। আমি নারীকে অবজেক্ট বা বস্তু আকারে দেখতে শুরু করলাম। ‘মেকিং লাভ’ জাতীয় যেসব অভিনয় আমাকে করতে হতো, সেসবে আমার মধ্যে কোনো অনুভূতি কাজ করত না। আমার মনে হতো মেকিং লাভ? এটা কী ধরনের ব্যাপার! আমি সেক্স করতাম, টাকার জন্য। আমি ছিলাম একজন প্রস্টিটিউট।

দেখেন, একটা পর্যায়ে আমাকে পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে যেতে হতো, কেননা আমাকে নানাধরনের ড্রাগ নিতে হতো। আর আমাকে ড্রাক নিতে হতো, কেননা, পর্ন করার কারণে আমার যন্ত্রণা হতো। অর্থাৎ আমি পর্ন করতে যেতাম ড্রাগ নেওয়ার টাকা জোগাতে, যেটা আমার জন্য ছিল ব্যথানাশক। এবং দীর্ঘ দীর্ঘ সময় এইভাবেই চলল।

পর্নোগ্রাফি তাহলে আমার কী ক্ষতি করল? ক্ষতি করলো হলো, আমি নারীদের ব্যাপারে যা ভাবতাম, বা যেই অনুভূতি লালন করতাম, সেটা পাল্টে দিল। আমি তাদেরকে নিখাদ যৌনবস্তু হিসেবে ভাবতে আরম্ভ করলাম। আমি একটা প্রেমের অথবা কেয়ারিংয়ের সম্পর্ক ধারণ করতে অক্ষম হয়ে গেলাম। আমি ভাবতাম, আমি সক্ষম ছিলাম, কিন্তু ছিলাম না, আমার ভাবনা ছিল ভুল।

একদিন শুটিং শেষে, আমি সেট থেকে বেরিয়ে পড়লাম। সেদিনের মতো আমার কাজে শেষ হয়েছিল। আমি গাড়ি নিয়ে ড্রাইভ করতে লাগলাম, কিছু দূর যাবার পর, দুইটা ব্লক পার হবার পরে, আমি সেখানে গাড়ি থামালাম। এবং আমি কাঁদতে আরম্ভ করলাম। আমি বুঝলাম, এই কঠিন চক্রটি থেকে আমাকে বের হতেই হবে। এবং সেটাই ছিল আমার শেষ পর্নো ছবি। আমি সেখানে আর ফিরে যাইনি। আমি আমার জীবনকে পাল্টে ফেললাম। বলা যায়, আমি জীবন শুরু করলাম আবার।

খেয়াল করেন, যদি আমি পেরে থাকি আমার অন্তর্জগৎ পরিবর্তন করতে, তাহলে যে কারোরই পারার কথা।

ওয়েইন

একজন মানুষের যে সম্ভাবনা বা যে জীবনীশক্তি থাকে, তার সবটাই কেড়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট হবে শুধু একটা বিষয়, সেটা হলো পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে তার পদার্পণ। পর্ন ইন্ডাস্ট্রি প্রত্যেকটি স্টাফের আনন্দ কেড়ে নিতে আরম্ভ করে একদম শুরুর দিন থেকে। আর আমার বেলায় এটা এমনভাবে গ্রাস করেছিল যে, আমি দৈত্য বা ডেভিলের মতো হয়ে উঠেছিলাম।

আমি এই খেলার মধ্যে দীর্ঘ সময় থেকেছি। আমি দেখেছি এটা কী ঘটায়, সাংবাদিক থেকে শুরু করে ক্যামেরা ক্রু পর‌্যন্ত, প্রত্যেকের জীবনে।

এর সঙ্গে ব্যবসা অর্থাৎ টাকা ইনকামের মতো নাগরিক একটা বিষয়ের কোনো যোগাযোগ নেই। এটা একটা অন্ধকার পৃথিবী। এটা অধঃপতন। যেসকল মানুষেরা একের পর এক বাজে অভিমত তৈরি করে, যারা পর্ন ইন্ডাস্ট্রির সমর্থন যোগায় এবং এটিকে চালিয়ে নেয়, যারা নিজেদের ব্যথাবেদনা আর সমস্যাবলিকে গদির তলে লুকিয়ে রাখে আর সবচাইতে মন্দ বিকল্পগুলোকে ভবিষ্যৎ সময়ের জন্য তৈরি করতে থাকে, এই পর্ন ইন্ডাস্ট্রি তাদের মাধ্যমেই প্রসার পায়। নিশ্চয়ই, আমিও তাদের একজন।

আমি কয়েক বছর আগে এভিএন পুরস্কার পেয়েছিলাম। আমাকে তখন রেড কার্পেটের উপরে একটি ইন্টারভিউ দিতে রাজি করানো হয়েছিল।

আমার মনে আছে, ভেনিসের একটি ভরতি হলঘরে আমি যখন ইন্টারভিউ দেওয়া জন্য হেঁটে যাচ্ছিলাম, তখন একটা বাচ্চা মেয়ে বিরাট উত্তেজিত ভঙ্গিতে ছুটে আমার কাছে আসলো। মেয়েটি জানাল, কিছুদিন আগেই আমার রিলিজ হওয়া নতুন মুভি থেকে সে আমাকে চিনেছে। আমি খেয়াল করলাম সে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারছিল না। তখনই, সে আমাকে তার একটা সফলতার কথা আমাকে জানাল, বলল, ‘ওয়েইন, আমি খুব খুশি, আমি প্রথমবার ইন্টেরেশিয়াল (অনেক জাতির লোকেদের মিলে) গ্যাংব্যাং করেছি।’

মেয়েটির বয়স বড়জোর ১৮ হবে। মাত্রই হাইস্কুল পাশকরা ১৫ বছরের মেয়েদের মতোই তাকে লাগছিল। তার এই সফলতার গল্পটি আমাকে শারীরিকভাবে অসুস্থ বানিয়ে দিল।

সাল আমায়া

আমি ছয় বছর বয়সে তিনবার গণধর্ষণের স্বীকার হয়েছিলাম, পুরুষদের দ্বারা। তারা আমাকে মুখ বন্ধ করে রাখতে বলেছিল, না হয় তারা আমাকে মেরে ফেলবে, এই হুমকি দিয়েছিল। আমি যেই জীবনটার মধ্যে বড় হয়েছি, সেখানে ছিল সেক্স, ড্রাগ আর পার্টির চূড়ান্ত বাহুল্য।

ধর্ষিত হবার আগে আমি যেমন ছিলাম, ধর্ষিত হবার পরে আমি আর তেমন রইলাম না। আট বছর বয়সেই আমি ইন্টারনেটে গে-পর্ন দেখতে আরম্ভ করেছিলাম।

আমার বয়স যখন ১৬ হয়েছিল, তখনই আমার টাকা ইনকামের ব্যাপার তৈরি হয়ে গিয়েছিল। সেসময়ে, আমার দূর সম্পর্কের এক আত্মীয় ছিলেন, তিনি আমাকে কিছু গে-পর্ন ফিল্মমেকারদের কাছাকাছি যেতে সাহায্য করলেন।

তখন আমাকে ডায়েট পিল আর ক্রিস্টাল মেথ খেতে বলা হলো, যাতে আমি শুকাই আর আমাকে দেখতে মেয়েলি লাগে। এতে করে আমার গে-জব আর ট্রান্স-জবগুলো পেতে সহজ হবে।

গে পর্ন-মডেল হওয়া খুব রিস্কি একটা ব্যাপার, এখানে যৌনরোগের আশঙ্কা সবচাইতে বেশি থাকে। তাই এখানে প্রচুর পরিমাণে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। কিন্তু গে-পর্নের শুটিংয়ে ডিরেক্টররা এমনকি কনডমই ব্যবহার করার ব্যাপারে সম্মত হয় না। আর গে মডেলদের কেউই নিশ্চিতভাবেই নিয়মিত যৌনরোগ পরীক্ষা করে না। আমি যেসব গে-পর্নমডেলদের সঙ্গে কাজ করেছি, তাদের ৮০ ভাগেরই এইচআইভি পজেটিভ ছিল।

আমি পৃথিবীর অনেক মহিলা পর্নস্টারের সঙ্গে ফটোশ্যুট করেছি। তাদেরকেও আমার মতো ড্রাগ নিতে হতো। ক্যামেরার পেছনে তাদেরকে আমি মোটেও সুখি দেখিনি।

আমাদের প্রত্যেক পর্নঅভিনেতা-অভিনেত্রীকেই ক্যামেরার সামনে নিজেদের ব্যক্তিগত চেতনা আর চিন্তাকে লুকিয়ে রাখতে হয়। কিন্তু যখন ফিল্মিং শেষ হয় এবং আমরা নিজগৃহে ফিরে যাই, তখন আমরা দুর্দশাগ্রস্ত হয়ে পড়ি।

অ্যারন

কলেজের শেষ বর্ষের পড়াশোনা চলার সময়েই আমি লস এঞ্জেলেসে চলে আসলাম, কারণ আমার কাছে তখন বাকি ছিল শুধু ইন্টার্নশিপ করবার কিছু টাকা।

যেই টাকাগুলো আমি সরকারি অনুদান, স্কলারশিপ, স্টুডেন্ট লোন থেকে পেয়েছিলাম, সেগুলো থেকে খুব অল্প টাকাই বেঁচেছিল। এই টাকাগুলো দিয়ে আমি বড়জোর নিজের খাবারের খরচটাই সামলাতে পারতাম। এইসব ভেবে আমি লস এঞ্জেলেসে এসে একটা চাকরির সন্ধান করতে শুরু করলাম।

একটা সাইট ছিল, যেখানে পুরুষ সমকামীরা নিজেদের মধ্যে নেটওয়ার্কিং করে থাকে, সেটায় আমি যুক্ত হয়েছিলাম। সেখানেই প্রথমে এক ব্যক্তি আমাকে জানালেন, তিনি একজন পর্নমডেল সংগ্রাহক। তিনি আমাকে তখন বলেছিলেন, তার কাছে যেতে এবং কিছু ছবি তুলতে।

স্বাভাবিক, আমাকে অফার করা হয়েছিল পর্নমডেল হতে। আর সত্যিকার অর্থে তিনি আমাকে বলেছিলেন, ক্যামেরার সামনে আমাকে একা কাজ করলেই হবে। অর্থাৎ কেউ আমার সঙ্গে ক্যামেরায় থাকবে না। যেহেতু একা, তাই বিষয়টা আমার কাছে খুব সহজ টাকা ইনকামের উপায় মনে হয়েছিল।

কিন্তু, পরবর্তীতে ভিডিওগুলো আর আমার একার ভিডিও থাকল না। মূলত পর্নমডেল সংগ্রাহকদের ওটা একটা চাল। তারা খুব ভালো কনভিন্সড করতে জানে।

তিনি আমাকে বুঝিয়ে নিতে পেরেছিলেন, আমি নাকি খুব গ্ল্যামারাস। আমাকে ওইভাবেই ভিডিওতে বেশি মানাবে। অস্বীকার করব না, তার এমন কথায় আমার মনেও হয়েছিল, এটাই সফলতার সবচাইতে সোজা পথ। আর তাছাড়া তখনও তো আমি কোনো সাধারণ অর্থাৎ সামাজিক চাকরির সন্ধান করে উঠতে পারিনি, ফলে টাকার জন্যও আমি বাধ্য ছিলাম ওই ব্যক্তির সবকথা শুনতে।

খেয়াল করুন, সে ওইখানেই থামলো না। একটা পর‌্যায়ে সে আমাকে বলতে লাগলো, তার সঙ্গে সেক্স-ভিডিও তৈরি করতে হবে। তখন আমাকে একজন পর্নমডেল নয়, বরং প্রস্টিটিউট মনে হলো। যথারীতি আমার কিছু করারও থাকল না। আমি বুঝতে পারলাম, জীবনের কঠিন এক ট্র্যাপের শিকার আমি, এবং আমার মুক্তি নেই।

বিশ্বাস করুন, এসবের কিছুই আমি আমার জীবনে আমি প্রত্যাশা করিনি। কেবল ওইসময়টায়, যখন এইসব কিছু ঘটে চলেছিল আমার সঙ্গে, আমি আমার চিন্তা ও সচেতনতাকে ব্ল্যাংক করে রেখেছিলাম। ফলশ্রুতিতে এখন আমি ক্লমেডিয়া (একটি যৌনরোগ) রোগে আক্রান্ত একজন মানুষ।

 

[সাবেক এই পর্নস্টারদের ছবিপ্রকাশ থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিরত থাকা হলো]

   

৫০ বছর আগে মহাকাশ থেকে তোলা পৃথিবীর ছবি আজও শ্রেষ্ঠ



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সালটা ১৯৬৮। বিশ্বব্যাপী মানুষ মেতে উঠেছিল বড়দিনের আনন্দে। তখনো জানতো না, বড়দিন উপলক্ষে তারা একটি বিশেষ উপহার পেতে চলেছে। পৃথিবী থেকে আমরা হরহামেশাই চাঁদ দেখি। অমাবস্যা-পূর্ণিমা, এমনকি পক্ষের মাঝামাঝি সময়ের বদৌলতে নানা দৃষ্টিকোণে নানা আকারের চাঁদ দেখতে পাই। তবে চাঁদ থেকে পৃথিবী দেখতে কেমন? এরকমটা হয়তো অনেকেই ভাবেন।

নাসার মহাকাশচারীরা অ্যাপোলো ৪ এ করে তখন চাঁদের চারপাশে টহল দিচ্ছে। সেখান থেকে তারা চাঁদের বাসকারীদের দৃষ্টিতে পৃথিবী কেমন হবে তার এক নমুনা জোগাড় করেন। ক্রিসমাসের কিছুদিন আগে ক্রুরা চাঁদকে প্রদক্ষিণ করার সময় ব্যারেন লুনার হরিজোন থেকে একটি ছবি তোলে। সেখানে সুদূর মহাকাশ থেকে পৃথিবীর একটি সুন্দর দৃশ্য ধারণ করা হয়। চমৎকার সেই রঙিন ছবিটি সবকিছু পরিবর্তন করতে চলেছিল।

ছবিটি তুলেছিলেন মার্কিন নভোচারী বিল অ্যান্ডার্স এবং জিম লাভেল। ছবিটি ধারণ করার পর মহাকাশ বিজ্ঞানীরা অবাক হয়ে যান। অর্ধ শতাব্দী পার হয়ে যাওয়ার পরও এটিকে প্রকৃতির সবচেয়ে আইকনিক ছবি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ, এটিই মহাকাশ থেকে তোলা প্রথম রঙিন এবং উচ্চ রেজুলেশনের ছবি।

১৯৭০ সালে পরিবেশ সচেতনতা এবং এই ব্যাপারে সক্রিয়তা বাড়ানোর উদ্দেশে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে পৃথিবী দিবস প্রচারিত হওয়ার কারণে ছবিটিকে বিশেষ কৃতিত্ব দেওয়া হয়।

যুক্তরাজ্যের রয়্যাল ফটোগ্রাফিক সোসাইটির প্রোগ্রাম ডিরেক্টর মাইকেল প্রিচার্ড ছবিটিকে নিখুঁত দাবি করেন। তিনি বলেন, এই ছবিটি পৃথিবীর এমন একটি দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করেছিল, যা আগে কোনো ছবি করতে পারেনি। প্রকাণ্ড মহাবিশ্বে পৃথিবীর অস্তিত্ব কতটা ক্ষুদ্র গ্রহ, তা যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় ছবিটি।

১৯৬০ সালের পরই পৃথিবী নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে শুরু করে। ষাটের দশকের শেষভাগে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের মানুষ অনুধাবন করে পৃথিবীকে আজীবন একইভাবে ব্যবহার করা যাবে না। গ্রহের প্রতি আমাদের আরও অনুরাগী হতে হবে। সেই উদ্দেশে ১৯৬৯, ‘৭০ ও ‘৭১ সালে ‘ফ্রেন্ডস অব দ্য আর্থ’, মার্কিন প্রতিষ্ঠান ‘এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সি’ এবং ‘গ্রিনপিস’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই ছবিটি প্রকাশের ১৮ মাস পর ২০ মিলিয়ন মার্কিন নাগরিক পৃথিবী রক্ষার আন্দোলনে রাস্তায় নামে।

পৃথিবী রক্ষা করার জন্য মানুষদের উৎসাহিত করার বেলায় ছবিটি অনেক বেশি প্রভাব ফেলে। এখনো অবদি মহাকাশ থেকে পৃথিবীর পাঠানো ছবিগুলোর মধ্যে ১৯৬৮ সালে বড়দিনের আগে তোলা সেই ছবিটিকে শ্রেষ্ঠ বিবেচনা করা হয়।

;

মাঝরাতে আইসক্রিম, পিৎজা খাওয়া নিষিদ্ধ করল মিলান!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: স্কাই নিউজ

ছবি: স্কাই নিউজ

  • Font increase
  • Font Decrease

আইসক্রিম, পিৎজা অনেকের কাছেই ভীষণ পছন্দের খাবার। তবে ইউরোপসহ পশ্চিমা দেশগুলোতে মাঝরাতে এসব মুখরোচক খাবার ও পানীয় খাওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। ইতালিতে জেলাটিনের তৈরি আইসক্রিম খুব বিখ্যাত। এজন্য ইতালিতে 'জেলাটো সংস্কৃতি' নামে একটা কালচার গড়ে উঠেছে। সম্প্রতি ইতালির মিলানের বাসিন্দাদের জন্য একটি নতুন আইন প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিবেদন- স্কাই নিউজ।

মিলানে বসবাসকারীদের অধিকাংশই মাঝরাতে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করে আইসক্রিম, পিৎজা, ফাষ্টফুড জাতীয় খাবার ও পানীয় পান করে থাকে। এতে করে সেখানকার এলাকাবাসীদের রাতের ঘুম বিঘ্নিত হয়। নতুন প্রস্তাবিত আইনে শহরবাসীর রাতের ঘুম নির্বিঘ্ন করতে মধ্যরাতের পর পিৎজা ও পানীয়সহ সব ধরনের টেকওয়ে খাবার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তবে মধ্যরাতের পর আইসক্রিম নিষিদ্ধ করার চেষ্টা এবারই প্রথম নয়। ২০১৩ সালে, তৎকালীন মেয়র গিউলিয়ানো পিসাপিয়া অনুরূপ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু 'অকুপাই জেলাটো' আন্দোলনসহ তীব্র প্রতিক্রিয়ার পরে তিনি এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।

এরপর আবারও মিলানে এ আইনটি প্রস্তাব করেছেন ডেপুটি মেয়র মার্কো গ্রানেল্লি। দেশটির ১২টি জেলা এই প্রস্তাবের আওতাভুক্ত হবে বলে জানিয়েছে মিলান কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে মিলানের মেয়র গ্রানেল্লি বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সামাজিকতা ও বিনোদন এবং বাসিন্দাদের শান্তি ও প্রশান্তির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা।

প্রস্তাবটি নিম্নলিখিত এলাকাগুলোতে প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে মিলান কর্তৃপক্ষ: নোলো, লাজারেটো, মেলজো, ইসোলা, সারপি, ভায়া সিজারিয়ানো, আরকো ডেলা পেস, কোমো-গাইআউলেন্টি, পোর্টা গ্যারিবল্ডি, ব্রেরা, টিসিনিজ এবং দারসেনা-নাভিগলি।

জানা যায়, প্রস্তাবটি মে মাসের মাঝামাঝি থেকে কার্যকর থাকবে এবং নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। এটি প্রতিদিন রাত ১২.৩০ টায় এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিন এবং সরকারী ছুটির দিনে রাত ১.৩০ টা থেকে প্রয়োগ করা হবে। তবে এ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে নাগরিকদের মে মাসের শুরু পর্যন্ত আপিল করার এবং আইন পরিবর্তনের পরামর্শ দেওয়ার সময় রয়েছে।

 

 

 

;

অস্ট্রেলিয়ায় নিখোঁজ কুকুর ফিরলো যুক্তরাজ্যের মালিকের কাছে



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অস্ট্রেলিয়ায় ঘুরতে এসে নিখোঁজ হয় যুক্তরাজ্যের এক দম্পতির পালিত কুকুর। যুক্তরাজ্যে আসার ১৭ দিন পর মিলো নামের কুকুরটিকে ফিরে পেয়েছেন জেসন হোয়াটনাল নিক রোল্যান্ডস দম্পতি।

হোয়াটনাল এবং তার সঙ্গী নিক সম্প্রতি তাদের কুকুর মিলোকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া পরিদর্শনে যান। তারা যখন সোয়ানসিতে বাড়িতে যাচ্ছিলেন তখন মেলবোর্ন বিমানবন্দরে তার হ্যান্ডলার থেকে কুকুরটি পালিয়ে যায়।

সাড়ে পাঁচ বছর বয়সী কুকুরটিকে অবশেষে মেলবোর্নের শহরতলিতে ১৭ দিন পর খুঁজে পাওয়া যায়।


হোয়াটনাল স্কাই নিউজকে বলেন, ‘মিলোকে ফিরে পাওয়াটা খুবই আশ্চর্যজনক ছিল আমার জন্য। যখন আমি আমার প্রিয় মিলোর (কুকুর) সাথে পুনরায় মিলিত হয়েছিলাম, তখন আমি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলাম। আমার কান্না দেখে অন্যরাও কেঁদেছিল। এটি সত্যিই আবেগপ্রবণ ছিল।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অন্য প্রান্তে থেকে মিলোর কথা চিন্তা করে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলাম। আমরা জানতাম না মিলো কোথায় আছে। এটি বেশ হতাশাজনক ছিল আমাদের জন্য, কিছুটা আশা হারিয়ে ফেলেছিলাম। তাকে ফিরে পাবো ভাবিনি।

মিলোকে পাওয়ার জন্য সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছিলাম, তখন স্বেচ্ছাসেবকদের কাছ থেকে সাহায্য আসে, তারা মিলোর সন্ধান দেয়। মিলোকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তাদের ধন্যবাদ।

;

আমার হাতের পাখা যেন তাদের আরাম দিচ্ছে!



মৃত্যুঞ্জয় রায়, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪, তালপাতার পাখা বিক্রি করছে পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ

ছবি: বার্তা২৪, তালপাতার পাখা বিক্রি করছে পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ

  • Font increase
  • Font Decrease

আবু বক্কর (৬২)। বয়সের ভারে অসুস্থ হয়ে তিনি এখন পাকা বিক্রেতা। প্রচণ্ড তাপদাহে মানুষ যখন ঠান্ডা বাতাসের প্রশান্তি খুঁজছে, তখন তিনি গ্রামে গ্রামে গিয়ে তালপাতার পাখা বিক্রি করছেন।

আবু বক্কর বার্তা২৪.কমকে বলেন, স্ত্রীসহ ছয় মেয়ে নিয়ে আমার সংসার। তবে মেয়েদের বিয়ে দিতে পেরেছি। কিন্তু বয়সের ভারে ঠিকই আমরা একা থেকে গেলাম। শেষ বয়সে গ্রামে গ্রামে তালপাতা পাখা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছি। শুধু সংসার না, এই টাকায় আমার পায়ের শিরার ব্যথার ওষুধও কিনতে হয়। একবেলা ওষুধ না খেলে চলতে পারি না।

এদিকে, পুরনো ব্যবসার ঋণের বোঝা আর অন্যদিকে অসুস্থ হয়ে ওষুধসহ সংসারের খরচ। শেষ বয়সে তালপাতার পাখাই আমার একমাত্র জীবনসঙ্গী বলেন আবু বক্কর।

তালপাতার পাখা বিক্রি করছেন আবু বক্কর, ছবি- বার্তা২৪.কম

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার কলাগাছি গ্রামের কবিগানের অনুষ্ঠানে সরেজমিন দেখা যায়, একপাশে তালপাতার পাখা বিক্রি করতে ব্যস্ত ছোট্ট পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ। এই গরমে যখন তার ঘরে থাকার কথা, তখন সে নানা-নানীর সঙ্গে এসে তালপাতার পাখা বিক্রি করছে। কবিগানে বসে থাকা সব শ্রোতার কাছে গিয়ে বলছে, পাখা লাগবে, পাখা! কথা বলতে চাইলেও এ পাশ ওপাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে, ক্রেতার কাছে।

এক ফাঁকে তাকে কাছে পেয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়, এই বয়সে পাখা বিক্রি করছো কেন! এ প্রশ্নের উত্তরে বার্তা২৪.কমকে মাহমুদুল্লাহ বলে, প্রচণ্ড গরমে স্কুল ছুটি। তাই, নানা-নানীর সঙ্গে চলে এসেছি মেলায় পাখা বিক্রি করতে। মানুষজন আমার কাছ থেকে যেন বেশি পাখা কেনে (ক্রয়), তাই আমি মেলায় তাদের সঙ্গে এসেছি।

অনেক উৎসাহের সঙ্গে সে বলে, গরমে আমার হাতের পাখায় যেন তাদের আরাম দিচ্ছে! মেলা হলে আমি সেখানে চলে যাই পাখা বিক্রি করতে। ঘোরাঘুরিও হয় আর টাকা ইনকামও হয়। টাকার জন্য বের হয়ে পড়েছি। আমরা পাখা বিক্রি করে পেট চালাই। নানা-নানী বুড়ো হয়ে গেছে। তাই, আমি সঙ্গে এসে তাদের কষ্টটাকে একটু ভাগাভাগি করে নিচ্ছি।

যেখানে প্রচণ্ড তাপে মানুষজন নাজেহাল, সেখানে ছোট্ট মাহমুদুল্লাহ ছুটে চলেছে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে পাখা বিক্রি করতে। ছোট্ট শিশু হলেও গরম যেন তার কাছে কিছু না, পেটের তাগিদে!

আরেক পাখা বিক্রেতা তালা উপজেলার হরিণখোলা গ্রামের বাসিন্দা ভদ্রকান্ত সরকার (৭০)। ১২-১৪ বছর ধরে এই পেশায় আছেন তিনি।

চলছে তালপাতার পাখার বিকিকিনি, ছবি- বার্তা২৪.কম

শেষ বয়সে পাখা কেন বিক্রি করছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে বার্তা২৪.কমকে ভদ্রকান্ত বলেন, চাল কিনে খেতে হয়। খুব কষ্টের সংসার! ছেলে-মেয়ে আছে। তারা তাদের মতো কাজ করে খায়। মা বাবার বয়স হয়ে গেলে ছেলে আর আমাদের থাকে না। আমরা বৃদ্ধ বয়সে কেমন আছি, সেটা জানার সুযোগ তাদের থাকে না। শেষজীবনটা এভাবে পাখা বিক্রি করে কাটিয়ে দেবো। কী আর করবো! কপালে যা আছে, শেষপর্যন্ত তাই হবে। কপালে ছিল, এমন বৃদ্ধ বয়সে গ্রামে গ্রামে পাখা বিক্রি করতে হবে!

;