রণবীর-দীপিকার বিয়ের খুঁটিনাটি



বিনোদন ডেস্ক
রণবীর সিং ও দীপিকা পাড়ুকোন

রণবীর সিং ও দীপিকা পাড়ুকোন

  • Font increase
  • Font Decrease

বিয়ের তোড়জোড় চলছে পুরোদমে। হাতে আর একটি দিনও নেই। বুধবার (১৪ নভেম্বর) বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন রণবীর সিং ও দীপিকা পাড়ুকোন। ইতালির লেক কোমোর ডেল বাল্বিনেলো ভিলায় হবে এই তারকা জুটির বিয়ের সকল আনুষ্ঠানিকতা। নিমন্ত্রিতরা ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছেন সেখানে।

গত ৯ নভেম্বর ইালিতে পৌঁছে গিয়েছেন রণবীর-দীপিকাও। কিন্তু তাদের আগেও সেখানে যান দীপিকার ম্যানেজার কারিশমা প্রকাশ, হেয়ারস্টাইলিস্ট অমিত ঠাকুরসহ আরও কয়েকজন।

ইতালি যাওয়ার নিজের বেঙ্গালুরুর বাড়িতে নন্দী পূজা মধ্য দিয়ে শুরু হয় দীপিকার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। অন্যদিকে মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত হয় রণবীরের হলুদ। কিন্তু কখন, কোথায়, কিভাবে হচ্ছে এই তারকা জুটির বিয়ে? এমন অনেক প্রশ্ন রয়েছে রণবীর-দীপিকার ভক্তদের মনে। চলুন জেনে নেই দীপবীরের বিয়ের খুঁটিনাটি।

ডেল বাল্বিনেলো ভিলার ভাড়া
লেক কোমোর ডেল বাল্বিনেলো ভিলায় রণবীর-দীপিকার বিয়ের আসর বসছে, সেখানকার একদিনের ভাড়া কত জানেন? শোনা যাচ্ছে, এই ভিলা ভাড়া নিতে গেলে একদিনের জন্য ৮ লাখ ২০ হাজার রুপি দিতে হচ্ছে।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/14/1542178741642.jpg

বাগদান
মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হয়েছে রণবীর-দীপিকার বাগদান অনুষ্ঠান। এরইমধ্যে তার কয়েকটি স্থিরচিত্র ছড়িয়ে পড়েছে অন্তর্জালে। যেখানে বেশ উচ্ছ্বসিত দেখা গেছে এই তারকা জুটিকে।

রণবীর-দীপিকার বিয়ে দায়িত্ব পেয়েছেন যারা
বন্দনা মোহন ওয়েডিং ডিজাইনিং কোম্পানি রয়েছে রণবীর-দীপিকার বিয়ের অনুষ্ঠানের দায়িত্বে। তারাই সাজিয়ে তুলছেন ভিলা ডেল বাল্বিনেলো। জানা গেছে- দীপবীর এর বিয়ের ভেন্যু সাজানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ১২ ধরণের ফুল। তবে রণবীর-দীপিকার ঘর সাজিয়ে তোলা হবে গোলাপ ফুল এবং মোমবাতি দিয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে তার এক ঝলক।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/14/1542178814331.jpg

দীপিকার বিয়ের পোশাক-গহনা
বিয়ের দিন দীপিকা কীভাবে নিজেকে সাজিয়ে তুলবেন, তা নিয়ে সবার আগ্রহ তুঙ্গে। এত দিনে সবাই জেনে গেছেন, দক্ষিণ ভারতীয় আর সিন্ধি রীতি অনুযায়ী ‘দীপবীর’ সাত পাকে বাঁধা পড়বেন। জানা গেছে, সিন্ধি রীতি অনুযায়ী বিয়ের দিন দীপিকার গায়ে থাকবে সুন্দর একটি লেহেঙ্গো। লেহেঙ্গার রং নাকি গোলাপি আর বেগুনি। এই বলিউড সুন্দরীর পোশাকের নকশা করছেন ভারতের জনপ্রিয় ডিজাইনার সব্যসাচী।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/14/1542179389046.jpg

বিয়ে মানে পোশাকের সঙ্গে মানানসই গহনা। জানা গেছে, বিয়ের সময় দীপিকা তার লেহেঙ্গার সঙ্গে মিলিয়ে জমকালো অলংকার পরবেন। কিছুদিন আগে মুম্বাইয়ের আন্ধেরির একটি গহনার দোকান থেকে ১ কোটি রুপির গহনা কিনেছেন ‘পদ্মাবত’খ্যাত এই তারকা। যার মধ্যে ২০ লাখ রুপি দিয়ে শুধু মঙ্গলসূত্র কিনেছেন।

অতিথির তালিকা
রণবীর-দীপিকার ‘ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ে’ উপস্থিত থাকবেন সিং ও পাড়ুকোন পরিবারের সদস্যরা এবং কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা। জানা গেছে- সব মিলিয়ে মোট ৩০ জন অতিথি থাকবেন এই তারকা জুটির বিয়েতে।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/14/1542178763982.jpg

নেই শাহরুখ, সঞ্জয়লীলা বানসালি
‘ওম শান্তি ওম’ ছবির মধ্য দিয়ে বলিউড অভিষেক হয়েছে দীপিকা পাড়কোনের। যেখানে তার বিপরীতে দেখা গেছে বলিউড কিং শাহরুখ খানকে। এরপর দু’জনে মিলে একসঙ্গে অভিনয় করেছেন ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ ও ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’র মতো সুপার-ডুপার হিট ছবিতে। কিন্তু শাহরুখকে নিজের ‘ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ে’ দাওয়াত দেননি দীপিকা। এতো গেলো শাহরুখ, সঞ্জয়লীলা বানসালিকেও বিয়েতে আমন্ত্রণ জানাননি দীপিকা। সঞ্জয়ের পরিচালিত ‘রামলীলা’, ‘বাজিরাও মাস্তানি’ ও ‘পদ্মাবত’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করছেন রণবীর-দীপিকা। এমনকি জনপ্রিয় এই পরিচালকের ‘রামলীলা’ ছবির কাজ করতে গিয়েই একে অপরের প্রেমে পড়েন দীপবীর।

মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ
বিয়ের ছবি যাতে নব-দম্পতির অনুমতি ছাড়া বাইরে না যায়, তাই দুদিনের জন্য সকল অতিথিদের মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধ রেখেছেন তারা। এমনকি নিজেরাও বন্ধ রেখেছেন তাদের মোবাইল ফোন।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/14/1542178794092.jpg

উপহার নয়
বিয়ে হোক বা জন্মদিন। যে কোনো অনুষ্ঠানে গেলে উপহার দেবে এমনটাই স্বাভাবিক। কিন্তু রণবীর-দীপিকা তাদের বিয়েতে অতিথিদের কোনো ধরণের উপহার নিয়ে যেতে নিষেধ করেছেন। যদি তাদের নব-দম্পতিকে কোনও উপহার দিতে ইচ্ছে হয়, তাহলে দীপিকার এনজিও ‘লিভ লাভ লাইফ’-এ চেক পাঠাতে বলা হয়েছে।

   

আশেপাশের মানুষদের আগে সম্মান দিই: মৌটুসী বিশ্বাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আশেপাশের মানুষদের আগে সম্মান দিই: মৌটুসী বিশ্বাস

আশেপাশের মানুষদের আগে সম্মান দিই: মৌটুসী বিশ্বাস

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ মে দিবস। সারা বিশ্বের সঙ্গে আজ আমাদের দেশেও পালিত হচ্ছে শ্রমিকদের জন্য উৎসর্গ করা এই দিনটি। অধিকার আদায়ের উজ্জ্বল এই দিনটি নিয়ে শোবিজ তারকাদের কি ভাবনা? তা নিয়ে এই আয়োজন সাজিয়েছেন মাসিদ রণ

মৌটুসী বিশ্বাস

সমালোচকপ্রিয় অভিনেত্রী

বিশেষ দিবস ধরে আমি তা পালন করা বা তা নিয়ে কিছু প্রত্যাশা করি না। তবে হ্যাঁ, একটি দিন যদি ভালোবাসার জন্য আলাদা করে বরাদ্দ থাকে, একটি দিন যদি শ্রমজীবী মানুষের জন্য থাকে, বা বাবা-মায়ের জন্য থাকে তাতে দোষের কিছু নেই। বরং অন্তত ওই দিনে তারা অনেকের কাছে স্পেশ্যাল হয়ে ওঠেন।

কিন্তু আমি সচেতন নাগরিকের দায়িত্ব সারা বছরই পালন করার চর্চার মধ্যে থাকি।

আমার বাবা মারা যাবার পর থেকে আমি কৃষকদের সঙ্গে নিয়মিত কাজ করছি। এছাড়া বাসার হেল্পিং হ্যান্ড, ড্রাইভারসহ নানা পেশার মানুষের সঙ্গে আমার ওঠাবসা করতে হয় রোজ। তার মানে তারা আমার নিত্যদিনের সঙ্গী। অথচ আমি খুব কম মানুষকেই দেখি যারা তার আশেপাশের এসব মানুষের কাজকে সম্মান করেন। কাজকে ছোট করে দেখলে কিন্তু যে কাজটি করছেন তাকে কোনভাবেই সম্মান করা যায় না। আমি সচেতনভাবে চেষ্টা করি তাদের সেই সম্মানটা দিতে। কারণ আমি অনুধাবন করেছি যে, প্রতিটি কাজই জীবন সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য সমান জরুরি।


আর একটা কথা, খুব ছোটবেলা থেকেই কোন রিকশা বা ক্যাবে চড়লে তার পারিশ্রমিক মিটিয়ে দেবার পর ধন্যবাদ বলি, এটা আমার অভ্যাস। কারণ সবাই মিলেই তো সমাজে আমাদের সহাবস্থান। প্রত্যেকে প্রত্যেকের কাজটি করছেন বলেই সমাজ একটি ভারসাম্য বজায় রেখে চলতে পারছে। নয়ত সমাজে বাস করাই কষ্টসাধ্য হতো।

সমাজ যাদের নিচু স্তরে ফেলে রেখেছে আমরা যদি তাদেরকে প্রত্যেকের জায়গা থেকে সম্মান করি, তাদের কাজের রিঅ্যাওয়ার্ড দিই তাহলে তারাও কিন্তু তাদের কাজের প্রতি আপনাতেই অনেক বেশি আন্তরিক হন। এটা আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। ফলে আমাদের এই চর্চাটা করা উচিত।

;

১০০ মিলিয়নের মাইলফলকে কনার 'তুই কি আমার হবি রে'



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সঙ্গীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনা

সঙ্গীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনা

  • Font increase
  • Font Decrease

রাতের সব তারা আছে দিনের গভীরে/ বুকের মাঝে মন যেখানে, রাখবো তোকে সেখানে/ তুই কি আমার হবি রে’-‘বিশ্বসুন্দরী’ চলচ্চিত্রের এই গানটি জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনাকে এনে দেয় কাঙ্ক্ষিত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এই গানের জন্য মেরিল প্রথম আলো পুরস্কারও নিজের ঝুলিতে পুরেছিলেন কনা। এবার এই জনপ্রিয় গানটি কনার ক্যারিয়ারে যোগ করলো নতুন সাফল্যের পালক।

 তুই কি আমার হবি রে গানের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়ে বাবা মায়ের সঙ্গে উচ্ছ্বসিত কনা

 আজই ইউটিউবে ১০০ মিলিয়ন ভিউয়ের মাইলফলক স্পর্শ করেছে।

২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর এই গানটি মাছরাঙা টিভি অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পায়। গানটি অন্তর্জালে প্রকাশের ১৬০৮ দিনের মাথায় ১০০ মিলিয়ন ভিউয়ের অনন্য অর্জনকে বিশেষভাবে দেখছে ‘বিশ্বসুন্দরী’ সিনেমার টিম।

সিয়াম পরীমণি

তারকা সঙ্গীতশিল্পী কনা বলেন, ‘বাংলা সিনেমার গানের একটি ঐতিহ্য আছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে অনেকে বলেন, আগের মত ভালো গান হয়না; হলেও জনপ্রিয় হয়না। তবে ‘তুই কি আমার হবি রে’ গানটির তুমুল জনপ্রিয়তা প্রমাণ করে, ভালো গান এখনো হচ্ছে এবং শ্রোতারা  ভালো গানের কদর করতে কখনো ভোলেন না। ইউটিউবে বাংলা সিনেমার গানের মধ্যে খুব বেশি গান ১০০ মিলিয়নের মাইলফলক পার করেনি। সে জায়গা থেকে ‘তুই কি আমার হবি রে’ গানের এই সাফল্য আমাকে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। শ্রোতা-দর্শকদের উদ্দেশ্যে ‘বিশ্বসুন্দরী’ টিমের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই’।

কনা

সান মিউজিক এন্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেড প্রযোজিত, চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত, সিয়াম আহমেদ-পরীমনি অভিনীত ‘বিশ্বসুন্দরী’ চলচ্চিত্রটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ২০২০ সালের ১১ ডিসেম্বর। রুম্মান রশীদ খান-এর লেখা চলচ্চিত্র ‘বিশ্বসুন্দরী’ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ২০২০ সালের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ মোট ৮টি পুরস্কার পায়; যার মধ্যে সংগীত বিভাগে একচেটিয়া রাজত্ব করে ‘তুই কি আমার হবি রে’ গানটি। এই গানের জন্য শ্রেষ্ঠ গীতিকার কবির বকুল, শ্রেষ্ঠ সুরকার ও শ্রেষ্ঠ গায়ক ইমরান মাহমুদুল, শ্রেষ্ঠ গায়িকা দিলশাদ নাহার কনা এবং শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালকের পুরস্কার পান প্রয়াত সুমন রহমান। গানটির চিত্রগ্রহণে ছিলেন খায়ের খন্দকার।

;

পুুরুষ ও নারী শিল্পীর সমান পারিশ্রমিক হোক: রুনা খান



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
রুনা খান

রুনা খান

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ মে দিবস। প্রতি বছরের মতো আজও দেশে পালিত হচ্ছে শ্রমিকদের জন্য উৎসর্গ করা এই দিনটি। অধিকার আদায়ের উজ্জ্বল এই দিনটি নিয়ে শোবিজ তারকাদের কি ভাবনা? তা নিয়ে এই আয়োজন সাজিয়েছেন মাসিদ রণ।

রুনা খান

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী

আমার দেশের প্রেক্ষাপটেই কথা বলতে চাই। শ্রমিক দিবসে আমার দুটি প্রত্যাশা। একটি জেনারেল প্রত্যাশা। সেটি হলো প্রতিটি শ্রেণী পেশার মানুষ যেন তার পরিশ্রমের মূল্যটুকু ঠিকঠাক মতো পায়, সময়মতো পায়। আমার অভিনয়শিল্পী, আমরাও অনেক সময় পারিশ্রমিকটা ঠিকমতো সময়ে পাই না বা যা প্রাপ্য সেটি পাই না। তবে আমি বিশেষ করে দিনমজুরদের কথা বলছি। তাদের যেন সময়মতো সবাই মূল্যটা বুঝিয়ে দেন।


আর আমি যেহেতু অভিনয়শিল্পী, তাই শোবিজ নিয়ে একটা প্রত্যাশার কথা বলতে চাই। সেটি হলো- এতো বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারের যে অভিজ্ঞতা তাতে দেখেছি সমপরিমাণ জনপ্রিয় পুরুষ শিল্পী আর নারী শিল্পী- কখনোই সমান পারিশ্রমিক পান না। অথচ ডেডিকেশনের জায়গা বলুন, সততার জায়গা বলুন, পরিশ্রমের জায়গা কিংবা মেধার জায়গা- সবটাই তো নারী আর পুরুষ শিল্পীর সমান। তাহলে কেন তারা সমান পারিশ্রমিক পাবেন না? একই নাটকের কথা বাদই দিলাম, যেখানে নারীকেন্দ্রিক গল্প রয়েছে সেখানে অভিনেত্রীরা যে পারিশ্রমিক পান, তারচেয়ে একটি সাধারন প্রেমের নাটকে অভিনেতারা অনেক বেশি পারিশ্রমিক পান। তাই চাইব- একদিন এই বৈষম্য আর থাকবে না আমাদের বিনোদন অঙ্গনে।

;

সালমান খানের বাড়িতে হামলার সাথে দেশদ্রোহীতার সূত্রতা!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কিছুদিন আগেই সালমান খানের বাড়িতে গুলিবর্ষণ এর ঘটনা ঘটে। কেউ আহত না হলেও বাড়ির সকলের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে যায়। সেই থেকেই পুলিশি পাহারায় ঘেরাও করা হয় সালমান খানের বাড়ি। পুলিশের ১৫টি টিমের তদন্তের কাজ চলতে থাকে পুরোদমে। সম্প্রতি সালমান খানের বাড়ির বাইরে গুলি চালানোর ঘটনা তদন্তে পুলিশ নতুন মন্তব্য করেছে।

মুম্বাইয়ের ক্রাইম ব্রাঞ্চ এর ধারণা এটি শুধুমাত্র ভয় দেখানো কোন হামলা নয়। এর পেছনে দেশবিরোধী সন্ত্রাসীদের হাত রয়েছে। তাদের ধারণা লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং-কে বাইরে থেকে অস্ত্র ও তহবিল দিয়ে সাহায্য করা হচ্ছে। আর এই হামলা একটি দেশদ্রোহী পদক্ষেপ। বিষ্ণোই গ্যাং ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইতে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। এর মধ্যে সন্ত্রাস এবং চাঁদাবাজি মুখ্য।

বর্তমানে মামলায় অভিযুক্ত শ্যুটারদের সরবরাহ করা অস্ত্রের উৎস সম্পর্কেও পুলিশ তদন্ত করছে। বিষ্ণোইয়ের অপরাধমূলক নেটওয়ার্কের পরিসরের প্রেক্ষিতে সন্দেহ করা হচ্ছে নানারকম সন্ত্রাসীমূলক কর্মকাণ্ডই তাদের মূল উদ্দেশ্য। কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে যে গ্যাংটি বিদেশে থাকা দেশবিরোধী সহায়তা পেয়েছিল কিনা। বিশেষ করে অস্ত্র সরবরাহ এবং আর্থিক সমর্থন।

সালমানের বাড়িতে হামলার পরই ফেইসবুক পোস্টের মাধ্যমে দায় স্বীকার করেন আনমোল বিষ্ণোই। জেল হেফাজতে থাকা লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ছোটভাই সে। তদন্তের মাধ্যমে সন্দেহভাজন ভিকি গুপ্তা (২৪), সাগর পাল ( ২১) এবং অনুজ থাপান (৩২)-কে গ্রেফতার করা হয়। তাদের ৮ মে অবধি রিমান্ডে রাখা হবে। ভিকি আর সাগর আগে ধরা পড়ে। তারপরই একের পর এক তথ্য পাচ্ছে পুলিশ। পুলিশকে জানিয়েছেন, জেলবন্দী গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল বিষ্ণোই তাদের এ কাজের জন্য নিযুক্ত করেছিলেন।

আনমোল চেয়েছিলেন ১৯৯৮ সালে যোধপুরের কাছে মথানিয়ার বাবড়ে কৃষ্ণকায় হরিণ শিকারের জন্য সালমানকে উপযুক্ত শাস্তি দিতে। দুই অভিযুক্ত পুলিশকে জানিয়েছেন, সালমানকে শুধু ভয় দেখানোর কথা তাদের বলা হয়েছিল। এই অভিনেতাকে হত্যার নির্দেশ তাদের দেওয়া হয়নি। এই কাজে তাদের ১ লাখ টাকা অগ্রিমসহ মোট ৫ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। এমনকি রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে যাওয়ার লোভও দেখানো হয় তাদের।

তথ্যসূত্রঃ টাইমস অব ইন্ডিয়া

;