‘তরুণদের স্বপ্ন দেখতে হবে, ভাবতে হবে আমি পারব’



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শেখ সারহান নাসের তন্ময়, ছবি: সংগৃহীত

শেখ সারহান নাসের তন্ময়, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘আমাদের যার যেটা পছন্দ, যার যেটা প্যাশন, যার যেটা স্বপ্ন সবকিছুই কিন্তু একটা স্ট্রাগল। আমি মনে করি, আমাদের তরুণ প্রজন্মের যারা আছি; তাদের উচিত প্রত্যেককে নিজেদেরকে লিডার মনে করা। প্রত্যেকদিন সকালে উঠে মনে করতে হবে ‘আমি পারব করতে।’ আমাদের স্বপ্ন দেখতে হবে। আমরা মাঝখানে স্বপ্ন দেখা ভুলে গেছিলাম। আমাদের নিজেদেরকেই বলতে হবে- ‘আই অ্যাম দ্যা চেঞ্জ; উই উইল বি দ্যা চেঞ্জ।’ আমি জানি অনেক অসুবিধা আছে- কিন্তু আমি আমার জায়গা থেকে চেষ্টা করব; নিজে যতুটুকু ভালো কাজ করতে পারি আমি করে যাবো।’

কথাগুলো বলছিলেন- শেখ সারহান নাসের তন্ময়।

বঙ্গবন্ধু পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের মধ্যে রাজনীতিতে আসা এ তরুণ বাগেরহাট-২ আসনে একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অন্যতম কনিষ্ঠ প্রার্থী শেখ তন্ময়। সুদর্শন চেহারা, চমৎকার বাচনভঙ্গি ও আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব দিয়ে ইতিমধ্যে সারাদেশে আলোচিত তরুণ হিসেবে নিজের একটা স্বতন্ত্র স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ভাই শেখ আবু নাসেরের ছেলে শেখ হেলাল উদ্দীনের একমাত্র ছেলে তিনি।

দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর রোববার রাতে (২৫ নভেম্বর) বার্তা২৪.কমের সঙ্গে একান্ত আলাপকালে নানা বিষয়ে কথা বলেন তিনি। তন্ময়ের জীবন, দর্শন, স্বপ্ন সবকিছুই উঠে আসে ওই আলাপে।

আলাপকালে রাজনীতির অনুপ্রেরণা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর রক্ত ও আদর্শের উত্তরাধীকারী তন্ময় বাবা শেখ হেলাল ও ফুফু প্রধানমন্ত্রীর কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘আমার দাদা শেখ আবু নাসের তিনি বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ছোট ভাই ছিলেন। দাদাকে দেখিনি। আমার বাবাও কিন্তু নেত্রীর হাতধরেই রাজনীতিতে এসেছিলেন। ১৯৮১ সালে তিনি ফেরত আসার পরে আমার বাবা সব সময় তার সঙ্গে থাকত। আমি বাবা ও নেত্রীকে দেখে শিখেছি। যার জন্য অনুপ্রেরণাটা ওখান থেকেই এসেছে। ওখান থেকেই আমি শিখেছি, ওখান থেকে উৎসাহিত।’

দেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস পরিশ্রমের কথা তুলে ধরে তন্ময় বলেন, আজকে যখন দেখি আমাদের প্রধানমন্ত্রী কত বাঁধা পেরিয়ে, কতরকম ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে এই পরিস্থিতি আমাদের জন্য তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। ভালো বলবে মানুষ, মন্দ বলবে মানুষ। কিন্তু চেষ্টাতো করেছেন। ১০ বছরে যে কাজ তিনি করেছেন এটা কেউ অস্বীকার করে তাহলে আমার মনে এটা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মিথ্যা হবে যে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কাজ করেননি। এটা সবচেয়ে বড় মিথ্যা কথা হবে। আমি জানি আমি নিজে দেখেছি তাঁর পরিশ্রম।’

‘আমরা বঙ্গবন্ধুকে দেখিনি, তবে আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দেখেছি। অবশ্যই আমাদের ফ্যামিলির ঐতিহ্য কিন্তু তা বাদেও আমরা ইন্সপায়ার্ড হয়েছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে দেখে ইন্সপায়ার্ড হয়েছি। তিনি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করছেন। কিন্তু তার একার পক্ষে তো সব কাজ সম্ভব নয়- তাই আমরা যদি অল্পকিছু অবদান রাখতে পারি সেটা আমরা রাখার চেষ্টা করব। আমি মনে করি এটাই আমার স্বপ্ন, আমি আসলে কাজ করতে চাই’, যোগ করেন তরুণ এই আওয়ামী লীগ নেতা।

তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যার যে যেটা পছন্দ করে তার সেটা করা উচিত। কেউ যদি গিটার বাজাতে পছন্দ করে তার গিটার বাজানো উচিত। কেউ যদি মিউজিশিয়ান হতে চায় তার মিউজিশিয়ান হওয়া উচিত, কেউ যদি হাফেজ হতে চায় তার হাফেজ হওয়া উচিত, ক্রিকেটার হতে চায় সে ক্রিকেটার হওয়া উচিত। আমরা রাজনীতিতে আসতে চাই নেত্রী সেই সুযোগটা করে দিচ্ছেন। তার মানে সুযোগটা খুলছে...ফর দি ইয়ং জেনারেশন। দে ক্যান কাম এন্ড পারফর্ম।’

   

উপজেলা নির্বাচনের কেন্দ্রগুলো খাঁ খাঁ করছে: মেজর হাফিজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোটার ছাড়া দেশের উপজেলা নির্বাচনের কেন্দ্রগুলো খাঁ খাঁ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অবঃ) হাফিজউদ্দীন আহমেদ।

বুধবার (৮ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধারা আয়োজিত বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মেজর (অবঃ) হাফিজউদ্দীন আহমেদ বলেন, আজকে দেশে উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে। টেলিভিশনে দেখাচ্ছে কেন্দ্রগুলো খাঁ খাঁ করছে। কোনো ভোটার সেখানে যায়নি। কেন এই অবস্থা হলো ? কেন আজকে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনা? কেন মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার বিলুপ্ত হলো ? কেন দেশে আইনের শাসন নাই, মৌলিক অধিকার নাই ? যে লক্ষ্য অর্জনের জন্য ডা. জাফরুল্লাহ ও আমরা যুদ্ধ করেছিলাম কোথায় গেলো সেই সামাজিক মূল্যবোধ, মানবিক মর্যাদার মূল্য, সবার জন্য সুবিচার ? বর্তমান সরকারের দুঃশাসনের কারণে এসব বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। তাই আজকে আবার দরকার ডা. জাফরুল্লাহ মতো ব্যক্তিদের।

গগণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে স্মরণ করে তিনি বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আমাদের স্মরণীয় বরণীয় একজন ব্যক্তিত্ব। তিনি একজন বিচিত্র ব্যক্তি। তিনি কোনো দল করতেন না। তার মতো স্পষ্টভাসি ব্যক্তি আমার চোখে তেমন একটা পড়েনি। যেটিকে তিনি ন্যায্য মনে করতেন সেটিকে তিনি নিঃসংকোচে উচ্চারণ করতেন। তার কথা যখন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যেতো তখন আমরা বিএনপির সবাই হাত তালি দিতাম। আবার যখন তার কথা যখন বিএনপির বিরুদ্ধে যেতো তখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা খুব উল্লাসিত হতো। যখন যা বলার প্রয়োজন তিনি তখন সেটা নির্ভয়ে নিঃসংকোচে বলেছেন। তার চোখের সামনে ছিল দেশ। তিনি দেশের স্বার্থে কথা বলেছেন। জনগণকে লক্ষ্য করেই তিনি বক্তব্য রাখতেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, অনেকে বলেন তিনি বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ছিলেন। কিন্তু না, তিনি কোনো পন্থার বুদ্ধিজীবী ছিলেন না। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী। তিনি বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন, গণতন্ত্রের পক্ষে ছিলেন, মানুষের মত প্রকাশের পক্ষে ছিলেন। জাফরুল্লাহ চৌধুরী তীব্রভাবে সবার মধ্যে বেঁচে থাকবেন। যতদিন আমি কাজ করব আমার মতো অন্যরা কাজ করবেন ততদিন তিনি তীব্রভাবে বেঁচে থাকবেন।

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, আমি একটি রুরাল এলাকা থেকে এসে রাজনীতি করেছি। আমার এই ক্ষেত্রে সবসময় জাফরুল্লাহ চৌধুরী সহায়তা করেছেন। আমার রাজনৈতিক অভিভাবক হিসেবে উনাকেই পেয়েছি।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, এবি পার্রটির সদস্য সচিব মুজিবুল হক মঞ্জু, জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য নাসিরুল হক, বিএনপির নির্বাহী কমিটি সদস্য মিজানুর রহমান প্রমুখ।

;

প্রহসনের উপজেলা নির্বাচন জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জালিয়াতি ও প্রহসনের উপজেলা নির্বাচন জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বুধবার (৮ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

রিজভী বলেন, ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পর এখন আবার আওয়ামী সাদা পোশাকধারী গেস্টাপো বাহিনী নতুনরূপে আত্মপ্রকাশ করেছে। ছাত্র, যুবক, শ্রমিক, বুদ্ধিজীবীসহ অধিকার বঞ্চিত জনগণের ওপর দমন-পীড়ন অত্যাচার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ, মিথ্যা মামলায় আটক, খুন, ধর্ষণ, শত শত মানুষের নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া, উচ্ছেদের রাজনীতি আর সীমাহীন সন্ত্রাস অবাধে চলছে রাষ্ট্রের মদদে। নতুন করে গুম ও বিরোধী দলের ওপর হিংস্র আক্রমণ প্রতিদিনের সংবাদে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন,নতুন করে ক্ষমতা করায়ত্ত করে নিজেদের সুবিধাভোগী শ্রেণি আওয়ামী অলিগার্কির লুটপাট ও টাকা পাচারের লোমহর্ষক কাহিনী, ক্ষমতাসীনদের নিজের আর পরিবারের আর্থিকভাবে গুছিয়ে নেওয়ার ধান্দাতে সারাদেশ বিপর্যস্ত। আর তাই ডাকাতি আর লুটের সব অভিনব ঘটনা ঢাকতেই আওয়ামী হিংস্রতার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।

রিজভী বলেন, লুন্ঠনের রাজনীতি ও অর্থনীতির দেউলিয়াপনার বাতাবরণ, বাংলাদেশ ব্যাংক নিজেকে আড়াল রাখার বিধি-নিষেধের বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে মানুষের মনোযোগ ভিন্ন খাতে সরিয়ে দেওয়ার জন্য দেশকে অশান্তিময় রাখার কৌশল গ্রহণ করেছে দখলদার সরকার।

তিনি বলেন, দেশ যে শূন্যগর্ভ; তা আজ নির্মম সত্য। আবারও নতুন করে গুমের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, হামলা করে রক্তপাতের ধারা বইছে সর্বত্র। গতকাল আসরের নামাজের সময় মসজিদে যাবার পথে সিদ্ধেশরী মাঠ থেকে ঢাকা বিশ্ব‌বিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মাহিদুল হাসান হিরুকে সাদা পোশাকধারীরা মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায়। যে গাড়িতে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় তার নম্বর হলো ঢাকা মেট্রো-চ, ৫২-১৪৫০।

সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, বিএনপি'র বিভাগীয় পর্যায়ের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা এই দুর্যোগের সময় বিভিন্ন মামলা মাথায় নিয়ে দায়িত্ব পালন করছে, আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। সেসব নেতাদের বিরুদ্ধে সম্মানহানি, নানা ধরনের অভিযোগ, দুর্নীতির অভিযোগে রিপোর্ট করা হচ্ছে। আমার মনে হয় এটা বস্তুনিষ্ঠতার পরিপন্থী হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী এডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইদুল আলম বাবুল, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আবদুর রহিম,কেন্দ্রী যুবদ‌লের যোগা‌যোগ সম্পাদক গিয়াস উ‌দ্দিন মামুন প্রমুখ।

;

স্পিকারের কাছে ব্যারিস্টার সুমনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি চুন্নুর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু আলোচিত আইনজীবী ও সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে নালিশ দিয়েছেন। সম্প্রতি সংসদ সদস্যদের ভাতা ও উন্নয়নকাজে বরাদ্দ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দেওয়ার জের ধরে চুন্নু এ নালিশ করেন।

মঙ্গলবার (৭ মে) জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে ইঙ্গিত করে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আমাদের হাউজের একজন সংসদ সদস্য, নামটা বলতে চাই না। তিনি নতুন নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ফেসবুকে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে আমরা সবাই ভুক্তভোগী।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, “তিনি (সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সুমন) বলেছেন, ‘আপনারা জানেন, এমপিরা কত টাকা বেতন পান? তারা তো বলে না, গোপন করে।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘১ লাখ ৭২ হাজার টাকা বেতন (মাসিক) পেয়েছেন।’ আমরা কত টাকা বেতন পাই, তা লুকানোর কিছু নেই, ওয়েবসাইটে গেলে পাওয়া যাবে।”

স্পিকারের উদ্দেশে চুন্নু আরও বলেন, ‘ওই সংসদ সদস্য বলেছেন, তিনি তিন মাসে ২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছেন। এই ২৮ কোটি টাকা কি আমি পেয়েছি, আপনি (স্পিকার) পেয়েছেন? প্রধানমন্ত্রী পেয়েছেন? ইতোমধ্যে ফেসবুক দেখে আমাকে অনেকেই বলছেন, ২৮ কোটি টাকা পেয়েছেন, এই টাকা কই?’

বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘তিনি (ব্যারিস্টার সুমন) বলেছেন, এমপি হলে যদি এত লাভ হয়, তাহলে আরও আগে এমপি হতাম।’ স্পিকারের উদ্দেশে চুন্নু বলেন, ‘কোনো সংসদ সদস্য যদি এমন কোনো কথা বলেন, যে কথায় প্রধানমন্ত্রী, স্পিকারসহ ৩৪৯ জন এমপি সম্পর্কে ভুল বার্তা যাবে। তার সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জন করার জন্য যদি এ ধরনের কথায় ভুল বার্তা যায়, বিষয়টা আপনি দেখতে পারেন। আমরা এখানে অনেক কথা বলব, বিতর্ক করব। এমন কথা বলবার অধিকার নেই, যাতে ৩৪৯ জন এমপির ইজ্জত যাবে। তাই অভিভাবক হিসেবে ওই সংসদ সদস্যকে ডেকে তাকে কী করবেন, একটা ব্যবস্থা নেবেন।’

উল্লেখ্য, গত ৮ এপ্রিল ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সংসদ সদস্যদের বেতন-ভাতা সংক্রান্ত ওই স্ট্যাটাসটি দিয়েছিলেন।

 

;

বিশ্বকাপের আগে টাইগারদের এই বিজয় গুরুত্বপূর্ণ: জিএম কাদের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই ম্যাচ হাতে রেখেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ী বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি।

মঙ্গলবার (০৭ মে) এক অভিনন্দন বার্তায় খেলোয়াড়দের পাশাপাশি ক্রিকেট কোচ ও বোর্ড সংশ্লিষ্টদেরও অভিনন্দন জানান তিনি।

অভিনন্দন বার্তায় বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, বিশ্বকাপের আগে টাইগারদের এই বিজয় গুরুত্বপূর্ণ। এই বিজয় টাইগারদের এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা যোগাবে এবং বিশ্বকাপে টাইগারদের প্রত্যাশা পূরণে সহায়ক হবে।

আগামী ম্যাচগুলোতেও বিজয়ের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন থাকবে। এই সিরিজে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইট ওয়াশ করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ী বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে একইভাবে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি।

;