আ'লীগের সম্মেলন

নতুন নির্দেশনায় উজ্জীবিত নেতা-কর্মীরা



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের লোগো, ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের লোগো, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তিন বছরের মেয়াদ পূর্তিতে চলতি বছরের অক্টোবরেই ২১তম জাতীয় সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। ইতোমধ্যেই সম্মেলনকে কেন্দ্রে করে বিভিন্ন দিক নির্দেশনাও দিয়েছেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সম্মেলনকে ঘিরে দলীয় সভাপতির নির্দেশনা আসায় চাঙা হয়ে উঠেছে সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

তারা বলছেন, ‘নিয়মিত সম্মেলন আয়োজনের মধ্যদিয়ে একমাত্র আওয়ামী লীগ দলীয় নেতা-কর্মী ও জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করে থাকে।’

চলতি বছরের শুরুতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পরদিন ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল দলীয় সভাপতির সঙ্গে দেখা করতে গণভবনে যান। সেখানেই সম্মেলনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। তখন থেকেই আওয়ামী লীগের আগাম সম্মেলন আয়োজনের একটা গুঞ্জন উঠেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে দলীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান যে, অক্টোবরেই হবে আওয়ামী লীগের সম্মেলন। কাদেরের বক্তব্যের সম্মেলন প্রত্যাশীদের মধ্যে কিছুটা ভাটা পড়লেও ফের নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে শুক্রবার গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর বৈঠকে।

সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে সম্মেলনের প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এসময় যথাসময়ে সম্মেলন আয়োজনে নেতা-কর্মীদের তাগিদ দেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু করারও ইঙ্গিত দেন তিনি।

দলীয় সভাপতির ইচ্ছে, গঠনতন্ত্র অনুসরণ করে সম্মেলন আয়োজনের জন্য আটটি বিভাগীয় টিম গঠনের সিদ্ধান্ত হয় ওই বৈঠকে। দলের উপদেষ্টামণ্ডলী, সভাপতিমণ্ডলী এবং কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে গঠিত এই টিমসমূহ আটটি সাংগঠনিক বিভাগের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ ও গতিশীল করবে।

মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুসারে ইতোমধ্যে আটটি টিম গঠনের কাজ শুরু হয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল-উল-আলম হানিফ ইতোমধ্যে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে টিম গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে আলাপ আলোচনা শুরু করেছেন। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন দলীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দেশে ফিরে আসার পর এই টিমগুলো প্রকাশ করা হতে পারে বলে জানা গেছে।

আওয়ামী লীগের সম্মেলনের প্রস্তুতি হিসেবে যেসব জেলা, উপজেলায় মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি কিংবা কমিটি নেই সেগুলো চিহ্নিত করা হবে। এরপর সম্মেলনের মধ্যদিয়ে সেখানে কমিটিগুলো দেওয়া হবে। আটটি টিমের মাধ্যমে এগুলো মনিটরিং ও সমন্বয় করা হবে।

সম্মেলনকে কেন্দ্রে করে উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয় কেন্দ্রীয় নেতাদের আনাগোনা বেড়েছে। বিশেষ করে সম্মেলনে দলীয় পদপ্রত্যাশী নেতারা নিয়মিত পার্টি অফিসে সময় দিচ্ছেন। তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গেও যোগাযোগ বাড়িয়ে দিয়েছেন।

সম্মেলন নিয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, ‘তৃণমূল আওয়ামী লীগকে আরও বেশি সংগঠিত এবং ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা, সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত ও অভ্যন্তরীণ কোন্দল দূর করতে নিয়মিত সম্মেলন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর সেদিক থেকেই দলীয় সভাপতি চান সম্মেলনের মধ্যদিয়ে সংগঠন চাঙা থাকুক।

আওয়ামী লীগের সম্মেলনের ব্যাপারে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘কাউন্সিল যথাসময়েই হবে। আর কাউন্সিলের প্রস্তুতি যেগুলো সেগুলো এই উপজেলা নির্বাচন শেষ হওয়ার পরেই সম্মেলনের প্রস্তুতিগুলো আছে সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ শুরু করব।

আসন্ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে ঘিরে বেশ কিছু চমকের আভাস পাওয়া গেছে। শীর্ষ পদগুলোতে যেমন নতুন নেতৃত্বের সম্ভাবনা যেমন আছে, তেমনি বেশকিছু পদে রদবদলেও চমক দেখা যেতে পারে।

ইতোমধ্যেই দলীয় সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য দুইজন প্রেসিডিয়াম সদস্য, তিন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দুই জন সাংগঠনিক সম্পাদকের নাম নেতা-কর্মীদের আলোচনায় উঠে এসেছে। তাদেরকে ঘিরে নতুন স্বপ্ন দেখা শুরু করেছেন অনুসারীরা।

সম্মেলনে কোনো চমক থাকছে কী না জানতে চাইলে আবদুর রহমান আরও বলেন, ‘চমক কী থাকবে সেটা যিনি চমক দেন তিনিই ভালো বলতে পারবেন। কারণ চমকের ব্যাপারটা তো আমরা আগাম বলতে পারব না।’

প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন হয় তিন বছর পরপর। ২০১৬ সালের ২২ ও ২৩ অক্টোবর সর্বশেষ সম্মেলনে সভাপতি পদে শেখ হাসিনা টানা অষ্টমবারের মতো পুনঃনির্বাচিত হন, তবে সাধারণ সম্পাদক পদে নতুন মুখ এসেছিলেন ওবায়দুল কাদের।

   

আওয়ামী লীগের যৌথসভা শুক্রবার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
আওয়ামী লীগের যৌথসভা শুক্রবার

আওয়ামী লীগের যৌথসভা শুক্রবার

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সকল সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকগণের সঙ্গে শুক্রবার যৌথসভা করবে আওয়ামী লীগ।

বুধবার (০৮ মে) আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আওয়ামী লীগ-এর নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সকল সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকগণের যৌথসভা অনুষ্ঠিত হবে।

আরও বলা হয়, আগামী শুক্রবার (১০ মে) বিকাল ৪টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ আওয়ামী লীগ-এর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সকল সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকগণের এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

এতে সংশ্লিষ্ট সকলকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

;

‘ধান কাটা, ঝড়-বৃষ্টি কারণে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল, তবে সন্তোষজনক’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ধান কাটা, ঝড়বৃষ্টি কারণে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, তবে নির্বাচন কমিশনের জানানো ৩০-৪০ ভাগ উপস্থিতি, এটা সন্তোষজনক।

বুধবার (৮ মে) সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরাই বেশিরভাগ বিজয়ী হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল এখনো বাকি আছে। এখনো কোথাও কোথাও গণনা শেষ হয়নি। আমরা মনে করি, টার্ন আউট সন্তোষ জনক। প্রাণহানি ছাড়া একটা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। প্রশাসন খুব দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে, দল থেকেও নেত্রীর নির্দেশে সবাই যথাযথ দায়িত্ব পালন করেছে, সেজন্য শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে।

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দল যে বক্তব্য রেখেছেন, সেটা হাস্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ১৩৯টি উপজেলায় নির্বাচন হয়েছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অনেকের আশঙ্কা ছিল খুনোখুনি, রক্তাক্ত অবস্থার মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হবে। এই নির্বাচনে দেশের কোথাও কোনো প্রাণহানির ঘটনা নেই। কিছু কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটেছে।

এসময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ ও উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

;

উপজেলা নির্বাচনের কেন্দ্রগুলো খাঁ খাঁ করছে: মেজর হাফিজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোটার ছাড়া দেশের উপজেলা নির্বাচনের কেন্দ্রগুলো খাঁ খাঁ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অবঃ) হাফিজউদ্দীন আহমেদ।

বুধবার (৮ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধারা আয়োজিত বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মেজর (অবঃ) হাফিজউদ্দীন আহমেদ বলেন, আজকে দেশে উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে। টেলিভিশনে দেখাচ্ছে কেন্দ্রগুলো খাঁ খাঁ করছে। কোনো ভোটার সেখানে যায়নি। কেন এই অবস্থা হলো ? কেন আজকে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনা? কেন মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার বিলুপ্ত হলো ? কেন দেশে আইনের শাসন নাই, মৌলিক অধিকার নাই ? যে লক্ষ্য অর্জনের জন্য ডা. জাফরুল্লাহ ও আমরা যুদ্ধ করেছিলাম কোথায় গেলো সেই সামাজিক মূল্যবোধ, মানবিক মর্যাদার মূল্য, সবার জন্য সুবিচার ? বর্তমান সরকারের দুঃশাসনের কারণে এসব বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। তাই আজকে আবার দরকার ডা. জাফরুল্লাহ মতো ব্যক্তিদের।

গগণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে স্মরণ করে তিনি বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আমাদের স্মরণীয় বরণীয় একজন ব্যক্তিত্ব। তিনি একজন বিচিত্র ব্যক্তি। তিনি কোনো দল করতেন না। তার মতো স্পষ্টভাসি ব্যক্তি আমার চোখে তেমন একটা পড়েনি। যেটিকে তিনি ন্যায্য মনে করতেন সেটিকে তিনি নিঃসংকোচে উচ্চারণ করতেন। তার কথা যখন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যেতো তখন আমরা বিএনপির সবাই হাত তালি দিতাম। আবার যখন তার কথা যখন বিএনপির বিরুদ্ধে যেতো তখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা খুব উল্লাসিত হতো। যখন যা বলার প্রয়োজন তিনি তখন সেটা নির্ভয়ে নিঃসংকোচে বলেছেন। তার চোখের সামনে ছিল দেশ। তিনি দেশের স্বার্থে কথা বলেছেন। জনগণকে লক্ষ্য করেই তিনি বক্তব্য রাখতেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, অনেকে বলেন তিনি বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ছিলেন। কিন্তু না, তিনি কোনো পন্থার বুদ্ধিজীবী ছিলেন না। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী। তিনি বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন, গণতন্ত্রের পক্ষে ছিলেন, মানুষের মত প্রকাশের পক্ষে ছিলেন। জাফরুল্লাহ চৌধুরী তীব্রভাবে সবার মধ্যে বেঁচে থাকবেন। যতদিন আমি কাজ করব আমার মতো অন্যরা কাজ করবেন ততদিন তিনি তীব্রভাবে বেঁচে থাকবেন।

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, আমি একটি রুরাল এলাকা থেকে এসে রাজনীতি করেছি। আমার এই ক্ষেত্রে সবসময় জাফরুল্লাহ চৌধুরী সহায়তা করেছেন। আমার রাজনৈতিক অভিভাবক হিসেবে উনাকেই পেয়েছি।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, এবি পার্রটির সদস্য সচিব মুজিবুল হক মঞ্জু, জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য নাসিরুল হক, বিএনপির নির্বাহী কমিটি সদস্য মিজানুর রহমান প্রমুখ।

;

প্রহসনের উপজেলা নির্বাচন জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জালিয়াতি ও প্রহসনের উপজেলা নির্বাচন জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বুধবার (৮ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

রিজভী বলেন, ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পর এখন আবার আওয়ামী সাদা পোশাকধারী গেস্টাপো বাহিনী নতুনরূপে আত্মপ্রকাশ করেছে। ছাত্র, যুবক, শ্রমিক, বুদ্ধিজীবীসহ অধিকার বঞ্চিত জনগণের ওপর দমন-পীড়ন অত্যাচার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ, মিথ্যা মামলায় আটক, খুন, ধর্ষণ, শত শত মানুষের নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া, উচ্ছেদের রাজনীতি আর সীমাহীন সন্ত্রাস অবাধে চলছে রাষ্ট্রের মদদে। নতুন করে গুম ও বিরোধী দলের ওপর হিংস্র আক্রমণ প্রতিদিনের সংবাদে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন,নতুন করে ক্ষমতা করায়ত্ত করে নিজেদের সুবিধাভোগী শ্রেণি আওয়ামী অলিগার্কির লুটপাট ও টাকা পাচারের লোমহর্ষক কাহিনী, ক্ষমতাসীনদের নিজের আর পরিবারের আর্থিকভাবে গুছিয়ে নেওয়ার ধান্দাতে সারাদেশ বিপর্যস্ত। আর তাই ডাকাতি আর লুটের সব অভিনব ঘটনা ঢাকতেই আওয়ামী হিংস্রতার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।

রিজভী বলেন, লুন্ঠনের রাজনীতি ও অর্থনীতির দেউলিয়াপনার বাতাবরণ, বাংলাদেশ ব্যাংক নিজেকে আড়াল রাখার বিধি-নিষেধের বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে মানুষের মনোযোগ ভিন্ন খাতে সরিয়ে দেওয়ার জন্য দেশকে অশান্তিময় রাখার কৌশল গ্রহণ করেছে দখলদার সরকার।

তিনি বলেন, দেশ যে শূন্যগর্ভ; তা আজ নির্মম সত্য। আবারও নতুন করে গুমের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, হামলা করে রক্তপাতের ধারা বইছে সর্বত্র। গতকাল আসরের নামাজের সময় মসজিদে যাবার পথে সিদ্ধেশরী মাঠ থেকে ঢাকা বিশ্ব‌বিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মাহিদুল হাসান হিরুকে সাদা পোশাকধারীরা মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায়। যে গাড়িতে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় তার নম্বর হলো ঢাকা মেট্রো-চ, ৫২-১৪৫০।

সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, বিএনপি'র বিভাগীয় পর্যায়ের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা এই দুর্যোগের সময় বিভিন্ন মামলা মাথায় নিয়ে দায়িত্ব পালন করছে, আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। সেসব নেতাদের বিরুদ্ধে সম্মানহানি, নানা ধরনের অভিযোগ, দুর্নীতির অভিযোগে রিপোর্ট করা হচ্ছে। আমার মনে হয় এটা বস্তুনিষ্ঠতার পরিপন্থী হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী এডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইদুল আলম বাবুল, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আবদুর রহিম,কেন্দ্রী যুবদ‌লের যোগা‌যোগ সম্পাদক গিয়াস উ‌দ্দিন মামুন প্রমুখ।

;