শেখ হাসিনার গাইডলাইনের অপেক্ষায় নেতাকর্মীরা



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,ঢাকা,বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের লোগো

আওয়ামী লীগের লোগো

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ ‍মুজিবুর রহমানের জন্মশত বাষির্কী উদযাপন, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন, আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় কাউন্সিলসহ একাদশ জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী দলের ভবিষ্যত করণীয় ঠিক করতে শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে বৈঠকে বসছে আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী ফোরাম কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ।

বিগত দিনের নানা ভুল ত্রুটি বিশ্লেষণ করে আগামীর পথচলাকে সাবলীল করতে বৈঠকে নেতাকর্মীদের দিক-নির্দেশনা দেবেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। কার্যনির্বাহী কমিটির এ বৈঠক ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যেও বিরাজ করছে উৎসাহ-উদ্দীপনা।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল)দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা শুক্রবার বিকেল ৫টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে। এতে আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করবেন। আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সময়মতো সভায় উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপনের কর্মসূচি, দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত না করার ইস্যুতে আইন পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা, ২১তম জাতীয় সম্মেলন, দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা, তৃণমূল সংগঠনের সম্মেলন, কোন্দল-বিশৃঙ্খলা দূর করতে করণীয়, উপজেলা নির্বাচন পরবর্তী মূল্যায়ন, নির্বাচনে নৌকার বিরোধীতা করা এমপি-মন্ত্রী ও জেলা নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াসহ নানা বিষয় রয়েছে আজকের বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে।

আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, এ বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় ২১তম জাতীয় সম্মেলন ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন। কারণ যেহেতু দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অসুস্থ তাই সম্মেলনের সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন আসতে পারে-এটাই দলের ভেতরে বাইরে মূল আলোচনা। বৈঠকে সম্মেলন কবে হবে তার নির্দিষ্ট দিন তারিখের ঘোষণা আসতে পারে। অক্টোবরের কোনো এক তারিখে সম্মেলনের দিন নির্ধারণ করা হতে পারে।

আগামী বছর বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী। তাই বছরব্যাপী ‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপন করতে চায় সরকার ও দল। সারাদেশে একেবারে তৃণমূল পর্যন্ত দল ও সরকারের সমন্বয়ে জাকজমকপূর্ণভাবে বিভিন্ন আয়োজনে জন্মশত বার্ষিকী উদযাপনে কী কী করণীয় সে বিষয়ে বিস্তারিত গাইডলাইন দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর তৃণমূলকে সংগঠিত করতে যে আটটি টিম গঠন করা হয়েছে সেসব টিম সংশ্লিষ্ট বিভাগে দলের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উদযাপনের কর্মসূচি ঠিক করবেন।

স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে না হওয়ার ব্যাপারে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। নীতি-নির্ধারকরা এ বিষয়ে ভাবছেন, জাতীয় নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হবে আর স্থানীয় নির্বাচন স্থানীয়ভাবে অন্য প্রতীকে অনুষ্ঠিত হবে। আর নির্বাচনে যেহেতু বিএনপি অংশ নিচ্ছে না আর এ নির্বাচনে দলের একজনকে মনোনীত করলে তৃণমূল সংগঠনে বিভক্তি সৃষ্টি হচ্ছে তাই দলীয় প্রতীকে নির্বাচন না করার বিষয়ে আগ্রহী নেতারা। তাই স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইন পরিবর্তনের জন্য আলোচনা হবে বৈঠকে।

এছাড়া চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কমপক্ষে দুই ডজন এমপির বিরুদ্ধে নৌকার বিপক্ষে প্রকাশ্যে বিরুদ্ধাচরণ করার অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগ নিয়ে আট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আট সাংগঠনিক সম্পাদক তদন্ত করেছে। তাদের সাংগঠনিক প্রতিবেদনও বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।

এছাড়া আজকের এ বৈঠকে মাহবুব-উল আলম হানিফকে দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অসুস্থ হয়ে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন হলেও দল থেকে কাউকে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে বলা হয়নি। তবে মাহবুব-উল আলম হানিফকে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে নেতাকর্মীরা প্রচার করেছেন। এর মধ্যে গত ২ এপ্রিল দলের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রথমবার হানিফকে ভারপ্রাপ্ত উল্লেখ করা হয়। বিকেলের এই বৈঠকে হানিফকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা দায়িত্ব দেবেন বলে আভাস পাওয়া গেছে।

এদিকে, তৃণমূলের বিভেদ দূর করে দলীয় শৃঙ্খলা ফেরাতে এরই মধ্যে উপদেষ্টা পরিষদ ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের নেতৃত্বে আটটি টিম গঠন করেছে ক্ষমতাসীনরা। চলতি মাসেই তৃণমূলে সফরে নামবে টিমগুলো। তৃণমূলকে সাজাতে সর্বশেষ কবে জেলা, পৌরসভা, উপজেলা ও থানায় সম্মেলন হয়েছে তা জানতে চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগ। যেসব জেলা ও উপজেলায় এক যুগের বেশি সময় ধরে সম্মেলন হচ্ছে না সেসব স্থানে সবার আগে সম্মেলন করার প্রস্তুতি নেওয়া হবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত গাইডলাইন দেবেন দলীয় প্রধান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য পিযুষ কান্তি ভট্টাচার্য্য বার্তা২৪.কমকে বলেন, তৃণমূল সংগঠনকে শক্তিশালী ও গতিশীল করার বিষয়ে গাইডলাইন দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, বৈঠকে আগামী জাতীয় সম্মেলন, উপজেলা নির্বাচন পরবর্তী মূল্যায়ন, তৃণমূলের বিশৃঙ্খলা দূর করার ব্যাপারে গাইডলাইন দেবেন শেখ হাসিনা। তার নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

   

দেশের জন্য কাজ করতে আ. লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) থাইল্যান্ড আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার অবস্থানকালীন আবাসস্থলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই আহ্বান জানান।


নেতাকর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আপনাদেরকে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নেতাকর্মীদেরকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতাকে অকালে হত্যা করা হলেও তার আদর্শ আমাদের মাঝে রয়ে গেছে। এজন্য আমি তার আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি।’ বঙ্গবন্ধু দেশের দরিদ্র ও দুস্থ মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ও উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা (তার দল) দীর্ঘদিন ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে ক্ষমতায় থাকায় এই অগ্রগতি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।

নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে জানান, অনেক বাংলাদেশি থাইল্যান্ডের নাগরিকত্ব গ্রহণ করলেও দ্বৈত নাগরিকত্ব রাখতে আগ্রহী। দ্বৈত নাগরিকত্ব বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তারা।

জবাবে এ বিষয়ে থাই সরকারের সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী।

সূত্র-ইউএনবি

;

আচরণবিধি না মেনে আ'লীগ নেতার প্রচারণায় কল্যাণ পার্টির এমপি ইবরাহিম



আবদু রশিদ মানিক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রচারণায় নেমেছেন কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। আচরণ বিধি না মেনে একজন সংসদ সদস্যের উপজেলা নির্বাচনের প্রচারণায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে ওই উপজেলায়। এ প্রচারণার বেশ কিছু ভিডিও ও স্থিরচিত্র রয়েছে।

সেখানে দেখা যায়, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুল করিম সাঈদীর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন এমপি ইবরাহিম।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সাঈদীকে বিজয় করার লক্ষ্যে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন ইবরাহিম। চকরিয়া সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল ওয়াহিদ শাওন তার ব্যক্তিগত ফেইসবুক স্ট্যাটাসে এ সংক্রান্ত বিষয় তুলে ধরেন। এতে তিনি ছবিযুক্ত করে লিখেন- "চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদী কে বিজয় করার লক্ষ্যে ছাত্রলীগের সাথে মতবিনিময় করেন সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম এমপি"।

চকরিয়া সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল ওয়াহিদ শাওনের ফেইসবুক স্ট্যাটাস

পরে তিনি ওই স্ট্যাটাস বেশ কয়েকবার সম্পাদনা করে আবার লিখেন- "ছাত্রলীগের সাথে মতবিনিময় করেন সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম এমপি"।

ওই মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আকিত হোসেন সজীব। তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো বিষয় নিয়ে কথা হয়নি। আমরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উনার (ইবরাহিম) সংসদ নির্বাচনের সময় কাজ করেছিলাম, তাই তিনি খুশি হয়ে ঈদ পরবর্তী মতবিনিময় সভা করেছেন।

সভায় উপস্থিত ছাত্রলীগের অনেকেই অতি উৎসাহী হয়ে সভাটিকে সাঈদীকে বিজয়ী করার জন্য করা হয়েছে বলে প্রচার করেছেন বলে জানান আকিত হাসান সজীব।

এরপর চকরিয়ার ঢেমুশিয়ায় ফোরকানিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক সভায় চেয়ারম্যান প্রার্থী সাঈদীসহ উপস্থিত হয়ে তার পক্ষে ভোট চান এমপি ইবরাহিম। নাম প্রকাশ না করার শর্তে, ওই সভায় উপস্থিত অনেকেই বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

নির্বাচনী প্রচারণার বিষয়ে জানতে সংসদ সদস্য ইবরাহীমের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হয় সংযোগ স্থাপনের। কিন্তু তিনি সাড়া না দেয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

সংসদ সদস্য সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম কল্যান পার্টির চেয়ারম্যান। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত না হলেও তিনি নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাকর্মীদের শলাপরামর্শেই দায়িত্ব পালন করেন বলে জানা গেছে।

চকরিয়াতে কল্যান পার্টির সাংগঠনিক কোনো অবস্থান না থাকলেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাংশের সহযোগিতায় নির্বাচনী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আচরণবিধি অনুযায়ী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং কোনো সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী নির্বাচন পূর্ব সময়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণায় ও নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না।

এদিকে ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য চকরিয়া উপজেলা নির্বাচনের ফজলুর করিম সাঈদীসহ প্রার্থী হয়েছেন ৯ জন। যেখানে আছেন সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমও।

;

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। রাজিবুল ইসলামকে (বাপ্পি) সভাপতি ও সজল কুন্ডুকে সাধারণ সম্পাদক করে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এ কমিটির অনুমোদন দেন।

কমিটি অনুমোদন দিয়ে এতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার 'স্মার্ট বাংলাদেশ', 'স্মার্ট মহানগর' বিনির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলো।

ঘোষিত কমিটিতে সহ-সভাপতি হয়েছেন কাউসার আহমেদ (ইমন), সৈয়দ ইমরান হোসেন, মো. নাজমুল হোসেন, উবায়দুর রহমান লিও, নিবাস মজুমদার, রেহানুল হক রাফি, রাজীব সাহা, আবু তালিম ভূইয়া, আরাফাত হোসেন মারুফ, মো. হাসিবুল আলম পুলক, শাখাওয়াত হোসেন আরেফিন, মো. শাকিল তালুকদার, আহমেদ আলী রেজওয়ান, সালমান রহমান (আশরাফ), আদনান আইয়ুব, মো. রিয়াজ মোল্লা, শাহজালাল শাহীন, ইশতেফাক হক (ইফাজ), সৈয়দ আমিনুল ইসলাম (নিবিড়), কাজী জাহিদুল ইসলাম রাজন, মাশরুফ বিন নেসার শান, মো. শাহরিয়ার শাওন, মো. আক্তার হোসেন, মো. বিপ্লব খান, নাইমুল ইসলাম নোমান, নাজমুল হাসান প্রিন্স তালুকদার, সারোয়ার হোসেন, ফারকিলিত সাফাক-ই-আরফাকসাজ, আনিসুর রহমান আনিস, জুটন চন্দ্র দাস, মাহমুদুল হাসান (ইমন)।

এছাড়াও সহ-সভাপতি হিসেবে আরও আছেন, মাজেদুল মজিদ মাহমুদ (সাদমান), সাদি মোহাম্মদ সৈকত, আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ রাজু, রাকিবুল ইসলাম শাওন, মো. ফজলে রাব্বি, সোহানুর রহমান সোহান, ওহিদুল ইসলাম অপু , মেহেদী হাসান, তানভীর আহমেদ, রুবেল মাহমুদ, সাব্বির বিন ইসলাম, মাসুদ রানা, মো. আবু ইউসুফ হৃদয় ,আশিক মাহমুদ, মো. নুরুদ্দিন হাওলাদার, মাহমুদ হাসান জিল্লু, মো. ইনজামুল ইসলাম (আকিব), সোহেল রানা, আব্দুল্লাহ আল-হাসান, আহমেদ সারোয়ার স্বচ্ছ , মো. কামরুজ্জামান ইফতি, আরাফাত হোসেন রনি, মো. ইমরান হোসেন, সিফাত হোসেন, শেখ কোরবান ইসলাম, আব্দুল্লাহ আশিক, এফ এম সাইফুজ্জামান সজিব, মো. শামীম খান, বখতিয়ার শিকদার বাপ্পি, সুজন দাস, মো. তাবারক হোসেন (বিপ্লব), বাবু দাস, মো. ইমরান হোসেন পাভেল, জবিউল্লাহ শান্ত, বিশ্বজিৎ হাওলাদার জিৎ, ফেরদাউস আনসারী, নাইমুর রহমান দুর্জয়, জহিরুল ইসলাম খান তুহিন, মেহেদী হাসান রাজু , জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, আল আমিন।

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সাগর (সানাফ), সৈয়দ মুক্তাদির সাদ, সৌরভ দেব নয়ন, মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ আবিয়াজ সাজেদ, নয়ন শিকদার, কাজী তানবীর হোসেন, মাহবুব আলম মাহিব, রফিকুল ইসলাম রাসেল, ইয়াসির আরাফাত, আক্তারুজ্জামান মান্না।

সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন, সাকিব হোসাইন, শাকিল হোসেন (জীবন), আরমান মাহমুদ তুষার, রহমান ইকবাল (ইকু), জোবায়েদ সাদাফ সাজিদ, দিপ্ত কুন্ডু, জাহিদুল ইসলাম দিপু, মো. রাকিব হোসেন, নাইমুল ইসলাম, মো. সাইদুল ইসলাম জনি, মো. রাহাত হোসেন রাব্বি।

প্রচার সম্পাদক হয়েছেন হামিম খান কাজল। উপ-প্রচার সম্পাদক করা হয়েছে আরিফুল ইসলাম, এরশাদ হোসাইন, এম আহসানুর রহমান ইমন, এম এস আর সবুজ, মাহবুব আলম খান তনিম, মুনতাসির রাফি।

দপ্তর সম্পাদক করা হয়েছে মো. সাকিব আল হাসান (রাজিব)। উপ-দপ্তর সম্পাদক হয়েছেন নাঈফুজ্জামান কোতোয়াল, শিমুল রায়, জুনাইদ বোগদাদী প্রধান, রাইসুল আলম ইসতিয়াক, শফিক বেপারী, কাজী রাকিব হোসেন

গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন মীর মোহাম্মদ সাইকুন আলী শান্ত। উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন মোকারোম হোসাইন রুদ্র, মো. জনি ইসলাম, জুয়েল রানা, মো. মারজুক হোসেন ভুবন, মারুফ বিল্লাহ ও জাফরুল ইসলাম (লিটন)।

শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক করা হয়েছে শাহাদাত মাহমুদ সাকিব। উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক হয়েছেন মো. জিন্নাত হোসেন, সাব্বির হাওলাদার, প্রতীম বিশ্বাস, রোহান আহমেদ, আহসান হাবিব ইমরান।

সাংস্কৃতিক সম্পাদক হয়েছেন তমাল পাল। উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক করা হয়েছে এইচ. এম. আমিনুল, নীলপদ্ম রায় প্রান্ত, স্বপন চৌধুরী, রাহুল কুমার ভৌমিক, সোহেল জামান রাকিব।

সমাজসেবা সম্পাদক হয়েছেন শাকিল আহমেদ হৃদয়। উপ-সমাজসেবা সম্পাদক করা হয়েছে শেখ মেহেদী হাসান, মাসুম বিল্লাহ, সাদ্দাম হোসেন সাদমান কে। ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন, মো. আবু হোসাইন। উপ-ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন নাঈম ইসলাম দুর্জয়, তারিকুল ইসলাম অপু, সজল হাওলাদার, মো. নূর নবী (রাঈদ), সাহাবুদ্দিন চুপ্পু, আব্দুল্লাহ সাবিত আনোয়ার চৌধুরী।

আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহ আলম বিজয়। উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহরিয়া ইসলাম জয়, মোস্তাফিজুর রহমান দিপু, শেখ মুহাম্মদ নাঈম উল ইসলাম, ওয়াহিদুল ইসলাম নিশান, সৈয়দ লামমিম হাসান নিলয়। পাঠাগার সম্পাদক হয়েছেন সাফায়েত খন্দকার সিয়াম। উপ-পাঠাগার সম্পাদক হয়েছেন ইমতিয়াজ আহমেদ ইমরান, ফয়সাল আহম্মেদ তমাল, মাহমুদুল হাসান তুষার।

তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হয়েছেন হাবিবুর রহমান শাকিল। উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হয়েছেন ফয়সাল আহমেদ ভুবন, সাবের হোসাইন, মুরসালিন সরকার। অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. সোহাগ রানা। উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন সুরুজ ফরাজী, গোলাম রাব্বি সিকদার
শফিউদ্দিন মাহমুদ তুষার, আখিয়ারুল ইসলাম আফিক।

আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মেহেদী হাসান (নাহিদ)। উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন কাজী জার্জিস বিন এরতেজা, মো. মঈন হোসেন (সজীব), মো. জুবায়ের হোসেন শেখ রওনক আহমেদ, আরিফুর রহমান ফাহাদ, নওফেল হামিদ জয়। পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ইরফান আহমেদ বাধন। উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. রাব্বী হোসেন, সজীব হাওলাদার, জাহিদুল ইসলাম।

স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. আরাফাত উল্লাহ। উপ-স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আহসানুল্লাহ সজীব, নিয়ামাল ওয়াকিল, নিবিড় হাসান, মো. ফয়সাল রাব্বি। বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আবরার খান তাহমিদ। উপ-বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আবু কাওসার, মো. তানভীর আহমেদ বাপ্পি, মো. জিসান হাওলাদার, মো. ওয়ালিউল্লাহ ওলি, মো. সাজ্জাদ আলম, ইয়াজউদ্দিন মাহমুদ ইরাম, ফজলে রাব্বি।

ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. সজিব হোসাইন। উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন পল্লব বিশ্বাস, অন্তু বাহাদুর ছেত্রী, হাফেজ মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিক, চন্দন মন্ডল, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন জিহাদ বিশ্বাস। উপ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মেহেদী হাসান ফুলেল, আসেফ আমের চৌধুরী, রাশেদুল ইসলাম অভি। ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হয়েছেন মো. সজল দেওয়ান। উপ-ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হয়েছেন টি. এম. পারভেজ, মো. সাকিব আল জহির অনিক, জাহিদ হাসান শোভন ও মো. মশিউর রহমান স্বপ্নীল।

;

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করল বিএনপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিতব্য প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে অংশ নেওয়া তৃণমূলের ৭৩ জন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাদের বহিষ্কারের তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএনপির যেসব নেতৃবৃন্দ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কার হওয়াদের মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ২৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ২৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ২১ জন রয়েছেন।

এর আগে গতকাল উপজেলা পরিষদের ভোটে অংশ নিতে চাওয়া ৬৪ নেতাকে শোকজ করে বিএনপি। চিঠিতে নেতাদের ৪৮ ঘণ্টার সময় দিয়ে উত্তর দিতে বলা হয়।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, শোকজ করা ৬৪ নেতার মধ্যে ২৪ জন চেয়ারম্যান পদে ও ২১ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৯ জন রয়েছেন।

;