বঙ্গবন্ধুর আদর্শের তরুণ প্রজন্মই সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখবে: শোভন



তপন কান্তি রায়, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: সাম্প্রদায়িক শক্তিকেই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন দেশের সবচেয়ে পুরোনো ও ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠনের ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া সংগঠন ছাত্রলীগ- ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রামসহ বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে অসাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। কিন্তু বর্তমানের সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখতে তরুণ প্রজন্মের মাঝে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ছড়িয়ে দিতে চান বলে বার্তা২৪.কমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন শোভন।

শোভন বলেন, বর্তমানে সাম্প্রদায়িক শক্তি একটি বড় সমস্যা। তারা মুক্তিযুদ্ধ বিশ্বাস করে না, এরা প্রতিক্রিয়াশীল। এই অপশক্তি দেশের ভেতরে নানা ষড়যন্ত্র করছে। এই সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে; রুখে দিতে হবে তাদের।

ছাত্রলীগ অসম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর মুখপাত্র দাবী করে তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তির কাছে কখনোই মাথানত করবে না ছাত্রলীগ। যেকোনো মূল্যে তাদের প্রতিহত করে অসাম্প্রদায়িক শক্তিকে বিকশিত করতে হবে; সেই সঙ্গে বাংলাদেশকে সুখী-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলা এবং তরুণ প্রজন্মকে প্রগতিশীল করে দেশের নাগরিক থেকে বিশ্ব নাগরিকে রূপান্তরিত করতে হবে। 

তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ যেহেতু ছাত্র সমাজের প্রতিনিধি; তাই সাধারণ ছাত্র সমাজের কাছে যাব; তাদেরকে বলব সম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত না হওয়ার; যারা অসম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী; তারা আমাদের সঙ্গী হবেন- এ বিশ্বাস আছে।’

ছাত্রলীগের একজন ক্ষুদ্রকর্মী হিসেবে দীর্ঘ ১০ বছর রাজনীতি করার পর আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা তাকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়ায় নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করেন শোভন। 

তিনি বলেন, ‘ভালোবাসা ও আবেগের জায়গা দেশরত্ন শেখ হাসিনা। তিনি নিজে আমাদেরকে পছন্দ করেছেন, এর চেয়ে সৌভাগ্যের বিষয় আমার কাছে আর কিছু নেই। আমি খুবই ভাগ্যবান।’

ছাত্রলীগের দায়িত্ববোধ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দায়িত্ব হচ্ছে একটা বোঝার মতো। গাধার ওপরে যেমন বোঝা দিলে তাকে টানতে হয়, আমি সেই দায়িত্ব পেয়েছি। আপনারা সবাই দোয়া করবেন, আমি যেন বোঝাটা টানতে পারি ।’

আওয়ামী লীগ পরিবারে জন্ম নেওয়া রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, ‘আমার পরিবার রাজনৈতিক পরিবার। রক্তে আওয়ামী লীগ। আমি আওয়ামী লীগের সন্তান। দাদু বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে চলাফেরা করেছেন। আমাদের পারিবারিক যে ছবির এ্যালবাম, সেখানে আমি দেশরত্ন শেখ হাসিনার ছবি দেখতাম; ভাবতাম আমাদের পরম আত্নীয় তিনি, আমাদের আপনজন। নেতাকর্মীদের আনাগোনা ছিল আমাদের বাসায়, আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন থেকেই দেখতাম- ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের লোকজন আমাদের বাড়িতে আসত। চা দেয়া লাগত; আমি ছোটবেলায় চা দিতাম। নিজে না পারলে কাজের লোকজনদের বলতাম চা দিতে। এভাবে আমার রাজনীতিটা শুরু।’

দাদার মুখে বঙ্গবন্ধুর নানা গল্প শুনেছেন। বলেন, ‘আমার দাদা ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজ থেকে পড়াশুনা করেছেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। সেখান থেকেই বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে পরিচয়। তারপর ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন। তখন আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত হচ্ছে। রাজনীতির ধারাবাহিকতায় ঊনসত্তরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের পথেপ্রান্তে ঘুরে বেরিয়েছেন। সত্তরের নির্বাচনে দাদুকে কুড়িগ্রাম আসন থেকে মনোনয়ন দেন বঙ্গবন্ধু। তিনি নির্বাচিত হন, পরে তিয়াত্তর সালে সংসদ সদস্য হন।’

রাজনীতিতে আসার অনুপ্রেরণা পেয়েছেন দাদার কাছে বঙ্গবন্ধুর গল্প শুনে। এটা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে আসার আগে বঙ্গবন্ধুকে আমি চিনেছি। ভীষণ মাত্রায় বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসতাম। সেখান থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে আসার অনুপ্রেরণা পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুর কারণে আমরা বাংলাদেশটা পেয়েছি।’

১৯৬৯ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু দেশের নানা প্রান্তে ছুটে বেড়ান, এটা তাকে আকৃষ্ট করে সবসময়, সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে সারাদেশের ছাত্র সমাজকে সংগঠিত করতে চান তিনি।

তিনি বলেন, ১৯৬৯ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু সারা বাংলাদেশ ঘুরে বেরিয়েছেন। তখন আমাদের উত্তরবঙ্গেও বঙ্গবন্ধু আসেন; তার মধ্যে কুড়িগ্রাম গিয়েছিলেন। কুড়িগ্রাম শহর থেকে ভুরাঙ্গামারী অনেক দূরে; যেতে হয় নদী পার হয়ে। বঙ্গবন্ধু নদী পার হয়ে গিয়েছিলেন বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায়।

‘মেঠোপথে আর কাশফুলের বনের ঘেরা পথ ধরে ঘুরে বেরিয়েছেন। তিনি রাজনীতিটা নিজের জন্য করতেন না। অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল তার রাজনীতির মূল লক্ষ্য।’

বঙ্গবন্ধু মতো তরুণ প্রজন্মকে সৎ ও আদর্শবান হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সব সময় অসহায় ও নির্যাতিতদের পাশে ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের অধিকার আদায়ের জন্য তার ছাত্রত্ব পর্যন্ত বাতিল করা হয়।’

বঙ্গবন্ধু ছিলেন ন্যায়ের পথে, সত্যের পথে। তাই বর্তমান ছাত্র সমাজের প্রতি উদাত্ত আহ্বান, তারাও যেন সৎ এবং নিষ্ঠাবান হন। তারা যেন কখনও নীতির সঙ্গে আপোষ না করেন।

শোভন বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইতিবাচক সংগঠন। ছাত্রলীগ ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা আন্দোলনসহ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সব আন্দোলনে অবদান রেখেছে। ছাত্রলীগ অসাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর মুখপাত্র। সাম্প্রদায়িক শক্তির কাছে আমরা কখনও মাথানত করব না। তাদেরকে যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করব। ছাত্রলীগ ছাত্র সমাজের প্রতিনিধি; তাই সকল অসম্প্রদায়িক চেতনায় ছাত্র সমাজকে একত্রিত করে আগামীতে পথ চলতে চাই।’

ডাকসুসহ সারাদেশের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে ডাকসু নির্বাচন হোক। তার স্বপ্ন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভোটে নির্বাচিত ডাকসু ভিপি-জিএস দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে উপহার দেওয়া।’

ভবিষ্যতে রাজনীতি করে ছাত্রলীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চান। তিনি বলেন, ‘আমি একজন সৎ ও আদর্শবান নাগিরক হতে চাই। যাতে দেশের অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারি এবং বঙ্গবন্ধুর যে আদর্শ তা বাস্তবায়ন করতে পারি।’

   

দেশের জন্য কাজ করতে আ. লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) থাইল্যান্ড আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার অবস্থানকালীন আবাসস্থলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই আহ্বান জানান।


নেতাকর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আপনাদেরকে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নেতাকর্মীদেরকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতাকে অকালে হত্যা করা হলেও তার আদর্শ আমাদের মাঝে রয়ে গেছে। এজন্য আমি তার আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি।’ বঙ্গবন্ধু দেশের দরিদ্র ও দুস্থ মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ও উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা (তার দল) দীর্ঘদিন ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে ক্ষমতায় থাকায় এই অগ্রগতি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।

নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে জানান, অনেক বাংলাদেশি থাইল্যান্ডের নাগরিকত্ব গ্রহণ করলেও দ্বৈত নাগরিকত্ব রাখতে আগ্রহী। দ্বৈত নাগরিকত্ব বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তারা।

জবাবে এ বিষয়ে থাই সরকারের সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী।

সূত্র-ইউএনবি

;

আচরণবিধি না মেনে আ'লীগ নেতার প্রচারণায় কল্যাণ পার্টির এমপি ইবরাহিম



আবদু রশিদ মানিক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রচারণায় নেমেছেন কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। আচরণ বিধি না মেনে একজন সংসদ সদস্যের উপজেলা নির্বাচনের প্রচারণায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে ওই উপজেলায়। এ প্রচারণার বেশ কিছু ভিডিও ও স্থিরচিত্র রয়েছে।

সেখানে দেখা যায়, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুল করিম সাঈদীর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন এমপি ইবরাহিম।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সাঈদীকে বিজয় করার লক্ষ্যে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন ইবরাহিম। চকরিয়া সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল ওয়াহিদ শাওন তার ব্যক্তিগত ফেইসবুক স্ট্যাটাসে এ সংক্রান্ত বিষয় তুলে ধরেন। এতে তিনি ছবিযুক্ত করে লিখেন- "চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদী কে বিজয় করার লক্ষ্যে ছাত্রলীগের সাথে মতবিনিময় করেন সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম এমপি"।

চকরিয়া সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল ওয়াহিদ শাওনের ফেইসবুক স্ট্যাটাস

পরে তিনি ওই স্ট্যাটাস বেশ কয়েকবার সম্পাদনা করে আবার লিখেন- "ছাত্রলীগের সাথে মতবিনিময় করেন সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম এমপি"।

ওই মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আকিত হোসেন সজীব। তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো বিষয় নিয়ে কথা হয়নি। আমরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উনার (ইবরাহিম) সংসদ নির্বাচনের সময় কাজ করেছিলাম, তাই তিনি খুশি হয়ে ঈদ পরবর্তী মতবিনিময় সভা করেছেন।

সভায় উপস্থিত ছাত্রলীগের অনেকেই অতি উৎসাহী হয়ে সভাটিকে সাঈদীকে বিজয়ী করার জন্য করা হয়েছে বলে প্রচার করেছেন বলে জানান আকিত হাসান সজীব।

এরপর চকরিয়ার ঢেমুশিয়ায় ফোরকানিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক সভায় চেয়ারম্যান প্রার্থী সাঈদীসহ উপস্থিত হয়ে তার পক্ষে ভোট চান এমপি ইবরাহিম। নাম প্রকাশ না করার শর্তে, ওই সভায় উপস্থিত অনেকেই বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

নির্বাচনী প্রচারণার বিষয়ে জানতে সংসদ সদস্য ইবরাহীমের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হয় সংযোগ স্থাপনের। কিন্তু তিনি সাড়া না দেয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

সংসদ সদস্য সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম কল্যান পার্টির চেয়ারম্যান। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত না হলেও তিনি নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাকর্মীদের শলাপরামর্শেই দায়িত্ব পালন করেন বলে জানা গেছে।

চকরিয়াতে কল্যান পার্টির সাংগঠনিক কোনো অবস্থান না থাকলেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাংশের সহযোগিতায় নির্বাচনী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আচরণবিধি অনুযায়ী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং কোনো সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী নির্বাচন পূর্ব সময়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণায় ও নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না।

এদিকে ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য চকরিয়া উপজেলা নির্বাচনের ফজলুর করিম সাঈদীসহ প্রার্থী হয়েছেন ৯ জন। যেখানে আছেন সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমও।

;

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। রাজিবুল ইসলামকে (বাপ্পি) সভাপতি ও সজল কুন্ডুকে সাধারণ সম্পাদক করে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এ কমিটির অনুমোদন দেন।

কমিটি অনুমোদন দিয়ে এতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার 'স্মার্ট বাংলাদেশ', 'স্মার্ট মহানগর' বিনির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলো।

ঘোষিত কমিটিতে সহ-সভাপতি হয়েছেন কাউসার আহমেদ (ইমন), সৈয়দ ইমরান হোসেন, মো. নাজমুল হোসেন, উবায়দুর রহমান লিও, নিবাস মজুমদার, রেহানুল হক রাফি, রাজীব সাহা, আবু তালিম ভূইয়া, আরাফাত হোসেন মারুফ, মো. হাসিবুল আলম পুলক, শাখাওয়াত হোসেন আরেফিন, মো. শাকিল তালুকদার, আহমেদ আলী রেজওয়ান, সালমান রহমান (আশরাফ), আদনান আইয়ুব, মো. রিয়াজ মোল্লা, শাহজালাল শাহীন, ইশতেফাক হক (ইফাজ), সৈয়দ আমিনুল ইসলাম (নিবিড়), কাজী জাহিদুল ইসলাম রাজন, মাশরুফ বিন নেসার শান, মো. শাহরিয়ার শাওন, মো. আক্তার হোসেন, মো. বিপ্লব খান, নাইমুল ইসলাম নোমান, নাজমুল হাসান প্রিন্স তালুকদার, সারোয়ার হোসেন, ফারকিলিত সাফাক-ই-আরফাকসাজ, আনিসুর রহমান আনিস, জুটন চন্দ্র দাস, মাহমুদুল হাসান (ইমন)।

এছাড়াও সহ-সভাপতি হিসেবে আরও আছেন, মাজেদুল মজিদ মাহমুদ (সাদমান), সাদি মোহাম্মদ সৈকত, আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ রাজু, রাকিবুল ইসলাম শাওন, মো. ফজলে রাব্বি, সোহানুর রহমান সোহান, ওহিদুল ইসলাম অপু , মেহেদী হাসান, তানভীর আহমেদ, রুবেল মাহমুদ, সাব্বির বিন ইসলাম, মাসুদ রানা, মো. আবু ইউসুফ হৃদয় ,আশিক মাহমুদ, মো. নুরুদ্দিন হাওলাদার, মাহমুদ হাসান জিল্লু, মো. ইনজামুল ইসলাম (আকিব), সোহেল রানা, আব্দুল্লাহ আল-হাসান, আহমেদ সারোয়ার স্বচ্ছ , মো. কামরুজ্জামান ইফতি, আরাফাত হোসেন রনি, মো. ইমরান হোসেন, সিফাত হোসেন, শেখ কোরবান ইসলাম, আব্দুল্লাহ আশিক, এফ এম সাইফুজ্জামান সজিব, মো. শামীম খান, বখতিয়ার শিকদার বাপ্পি, সুজন দাস, মো. তাবারক হোসেন (বিপ্লব), বাবু দাস, মো. ইমরান হোসেন পাভেল, জবিউল্লাহ শান্ত, বিশ্বজিৎ হাওলাদার জিৎ, ফেরদাউস আনসারী, নাইমুর রহমান দুর্জয়, জহিরুল ইসলাম খান তুহিন, মেহেদী হাসান রাজু , জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, আল আমিন।

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সাগর (সানাফ), সৈয়দ মুক্তাদির সাদ, সৌরভ দেব নয়ন, মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ আবিয়াজ সাজেদ, নয়ন শিকদার, কাজী তানবীর হোসেন, মাহবুব আলম মাহিব, রফিকুল ইসলাম রাসেল, ইয়াসির আরাফাত, আক্তারুজ্জামান মান্না।

সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন, সাকিব হোসাইন, শাকিল হোসেন (জীবন), আরমান মাহমুদ তুষার, রহমান ইকবাল (ইকু), জোবায়েদ সাদাফ সাজিদ, দিপ্ত কুন্ডু, জাহিদুল ইসলাম দিপু, মো. রাকিব হোসেন, নাইমুল ইসলাম, মো. সাইদুল ইসলাম জনি, মো. রাহাত হোসেন রাব্বি।

প্রচার সম্পাদক হয়েছেন হামিম খান কাজল। উপ-প্রচার সম্পাদক করা হয়েছে আরিফুল ইসলাম, এরশাদ হোসাইন, এম আহসানুর রহমান ইমন, এম এস আর সবুজ, মাহবুব আলম খান তনিম, মুনতাসির রাফি।

দপ্তর সম্পাদক করা হয়েছে মো. সাকিব আল হাসান (রাজিব)। উপ-দপ্তর সম্পাদক হয়েছেন নাঈফুজ্জামান কোতোয়াল, শিমুল রায়, জুনাইদ বোগদাদী প্রধান, রাইসুল আলম ইসতিয়াক, শফিক বেপারী, কাজী রাকিব হোসেন

গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন মীর মোহাম্মদ সাইকুন আলী শান্ত। উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন মোকারোম হোসাইন রুদ্র, মো. জনি ইসলাম, জুয়েল রানা, মো. মারজুক হোসেন ভুবন, মারুফ বিল্লাহ ও জাফরুল ইসলাম (লিটন)।

শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক করা হয়েছে শাহাদাত মাহমুদ সাকিব। উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক হয়েছেন মো. জিন্নাত হোসেন, সাব্বির হাওলাদার, প্রতীম বিশ্বাস, রোহান আহমেদ, আহসান হাবিব ইমরান।

সাংস্কৃতিক সম্পাদক হয়েছেন তমাল পাল। উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক করা হয়েছে এইচ. এম. আমিনুল, নীলপদ্ম রায় প্রান্ত, স্বপন চৌধুরী, রাহুল কুমার ভৌমিক, সোহেল জামান রাকিব।

সমাজসেবা সম্পাদক হয়েছেন শাকিল আহমেদ হৃদয়। উপ-সমাজসেবা সম্পাদক করা হয়েছে শেখ মেহেদী হাসান, মাসুম বিল্লাহ, সাদ্দাম হোসেন সাদমান কে। ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন, মো. আবু হোসাইন। উপ-ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন নাঈম ইসলাম দুর্জয়, তারিকুল ইসলাম অপু, সজল হাওলাদার, মো. নূর নবী (রাঈদ), সাহাবুদ্দিন চুপ্পু, আব্দুল্লাহ সাবিত আনোয়ার চৌধুরী।

আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহ আলম বিজয়। উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহরিয়া ইসলাম জয়, মোস্তাফিজুর রহমান দিপু, শেখ মুহাম্মদ নাঈম উল ইসলাম, ওয়াহিদুল ইসলাম নিশান, সৈয়দ লামমিম হাসান নিলয়। পাঠাগার সম্পাদক হয়েছেন সাফায়েত খন্দকার সিয়াম। উপ-পাঠাগার সম্পাদক হয়েছেন ইমতিয়াজ আহমেদ ইমরান, ফয়সাল আহম্মেদ তমাল, মাহমুদুল হাসান তুষার।

তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হয়েছেন হাবিবুর রহমান শাকিল। উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হয়েছেন ফয়সাল আহমেদ ভুবন, সাবের হোসাইন, মুরসালিন সরকার। অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. সোহাগ রানা। উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন সুরুজ ফরাজী, গোলাম রাব্বি সিকদার
শফিউদ্দিন মাহমুদ তুষার, আখিয়ারুল ইসলাম আফিক।

আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মেহেদী হাসান (নাহিদ)। উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন কাজী জার্জিস বিন এরতেজা, মো. মঈন হোসেন (সজীব), মো. জুবায়ের হোসেন শেখ রওনক আহমেদ, আরিফুর রহমান ফাহাদ, নওফেল হামিদ জয়। পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ইরফান আহমেদ বাধন। উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. রাব্বী হোসেন, সজীব হাওলাদার, জাহিদুল ইসলাম।

স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. আরাফাত উল্লাহ। উপ-স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আহসানুল্লাহ সজীব, নিয়ামাল ওয়াকিল, নিবিড় হাসান, মো. ফয়সাল রাব্বি। বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আবরার খান তাহমিদ। উপ-বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আবু কাওসার, মো. তানভীর আহমেদ বাপ্পি, মো. জিসান হাওলাদার, মো. ওয়ালিউল্লাহ ওলি, মো. সাজ্জাদ আলম, ইয়াজউদ্দিন মাহমুদ ইরাম, ফজলে রাব্বি।

ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. সজিব হোসাইন। উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন পল্লব বিশ্বাস, অন্তু বাহাদুর ছেত্রী, হাফেজ মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিক, চন্দন মন্ডল, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন জিহাদ বিশ্বাস। উপ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মেহেদী হাসান ফুলেল, আসেফ আমের চৌধুরী, রাশেদুল ইসলাম অভি। ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হয়েছেন মো. সজল দেওয়ান। উপ-ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হয়েছেন টি. এম. পারভেজ, মো. সাকিব আল জহির অনিক, জাহিদ হাসান শোভন ও মো. মশিউর রহমান স্বপ্নীল।

;

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করল বিএনপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিতব্য প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে অংশ নেওয়া তৃণমূলের ৭৩ জন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাদের বহিষ্কারের তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএনপির যেসব নেতৃবৃন্দ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কার হওয়াদের মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ২৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ২৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ২১ জন রয়েছেন।

এর আগে গতকাল উপজেলা পরিষদের ভোটে অংশ নিতে চাওয়া ৬৪ নেতাকে শোকজ করে বিএনপি। চিঠিতে নেতাদের ৪৮ ঘণ্টার সময় দিয়ে উত্তর দিতে বলা হয়।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, শোকজ করা ৬৪ নেতার মধ্যে ২৪ জন চেয়ারম্যান পদে ও ২১ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৯ জন রয়েছেন।

;