ভ্রমণে কী রাখবেন সাথে?



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
ভ্রমণ হোক আনন্দময়। স্থান: ক্রাংসুরি ফলস, ভারত। ছবি কৃতজ্ঞতা: নাবিলা শুভা।

ভ্রমণ হোক আনন্দময়। স্থান: ক্রাংসুরি ফলস, ভারত। ছবি কৃতজ্ঞতা: নাবিলা শুভা।

  • Font increase
  • Font Decrease

এখনও জাঁকিয়ে শীত পড়েনি।

হালকা শীত ও রোদ্দুরের মিষ্টি আলোর মিশেলে চমৎকার এই আবহাওয়ায় ভ্রমণের সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না কেউ। বছরের এই শেষ সময়ে কাঙ্ক্ষিত স্থানে ভ্রমণের সুযোগে থাকেন ভ্রমণ পিপাসুরা। সময় পেলেই ব্যাগপ্যাক কাঁধে বেরিয়ে পড়েন সমুদ্র কিংবা সুবিশাল পাহাড়ের উদ্দেশ্যে।

ইতোমধ্যে অনেকেই পছন্দের স্থানে ঘুরে এসেছেন, অনেকেই বেড়িয়ে পড়েছেন এবং অনেকেই ভ্রমণের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে কিংবা দেশের বাইরে ভ্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন যারা তাদের জন্যেই আজকের এই ফিচার।

পূর্বে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থাকলেও প্যাকিং এর সময় প্রয়োজনীয় অনেক কিছুই বাদ পরে যায়। ফলে সমস্যায় পড়তে হয় ঘোরাঘুরির মাঝে। ভ্রমণে বের হবার আগে তাই পুনরায় দেখে নিন, প্রয়োজনীয় সকল কিছু নেওয়া হয়েছে কিনা।

স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/27/1543315604546.jpg

মুখের জন্য ময়েশ্চারাইজার, লিপবাম, সানস্ক্রিন, হাত ও পায়ের জন্য বডি লোশন নিতে হবে অবশ্যই। নইলে ত্বকের নানা ধরণের সমস্যা ও রোদেপোড়া ভাব নিয়ে ফিরতে হবে ভ্রমণ শেষে।

জামাকাপড়

ব্যাগে সবার প্রথমে অবশ্যই জামাকাপড় গোছানো হয়। তবে হিসাব করে দেখুন, কতদিনের ট্রিপের জন্য কতগুলা জামাকাপড় প্রয়োজন। নারীদের ক্ষেত্রে জিন্স-ফতুয়াতে স্বাছন্দ্য বোধ করলে দুইটি জিন্সের প্যান্টের সঙ্গে চার-পাঁচটি ফতুয়া নেওয়া যাবে অনায়াসে। সঙ্গে রাখতে পারেন ট্রাউজার, টি-শার্ট ও কামিজ। ছেলেদের ক্ষেত্রে কম্ফোর্টেবল টি-শার্ট ও দুইটি জিন্স নেওয়াই যথেষ্ট।

যেহেতু শীতের মাঝে ভ্রমণে বের হবার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, একটি ভারি সোয়েটার বা জ্যাকেট, হাতাকাটা সোয়েটার একটি ও মাফলার নিতে ভুলবেন না।

অন্তর্বাস ও হাবিজাবি

এই বিষয়ে ভুল করলে ভীষণ বিব্রতকর সমস্যায় পড়তে হবে। তাই আগে থেকেই প্রয়োজনীয় অন্তর্বাস গুছিয়ে রাখুন। সঙ্গে মোজা, মাথার টুপি, স্থান বিবেচনায় হাত মোজাও নিয়ে নিতে হবে। পায়ের জুতা বাদে এক জোড়া বাড়তি জুতা ও হালকা হাঁটাচলার জন্য এক জোড়া চপ্পলকেও রাখতে হবে তালিকায়। এছাড়া গামছা কিংবা তোয়ালেও যেন ব্যাগে নেওয়া হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

ওষুধ ও অন্যান্য

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/27/1543315620456.jpg

আপনি যদি মেডিকেশনের মধ্যে থাকেন তবে অবশ্যই প্রয়োজনীয় সকল ওষুধ নিতে হবে। প্রয়োজনে কিছুটা বাড়তি ওষুধ নিতে হবে এবং বের হবার আগে পুনরায় পরীক্ষা করে দেখতে হবে ব্যাগে ওষুধগুলো ঠিকমতো আছে কিনা। মেডিকেশনের মধ্যে না থাকলেও জ্বর, ঠান্ডা-কাশি, মাথাব্যথার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধ রাখতে হবে সঙ্গে। ওষুধের সঙ্গে ব্যান্ড এইড, অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম ও মশার অত্যাচার থেকে দূরে থাকতে ওডোমস ক্রিমেরও প্রয়োজন হবে ভ্রমণে।

অনুষঙ্গ

এই তালিকায় থাকবে সানগ্লাস, বডি স্প্রে, হাত ঘড়ি, পানি খাওয়ার বোতল, সাধারণ ও ওয়েট টিস্যু পেপার, চিরুনির মতো ছোটখাটো জিনিস।

ইলেকট্রনিক্স পণ্য

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/27/1543315639597.jpg

ভ্রমণে বের হচ্ছেন অথচ সঙ্গে যদি প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক্স এক্সেসরিজ না থাকে তবে বিপত্তি দেখা দিবে। মোবাইল ফোনের কথা নিশ্চয় আলাদাভাবে মনে করিয়ে দিতে হবে না। সঙ্গে রাখুন মোবাইল চার্জার, ইয়ারফোন, পাওয়ার ব্যাংক, টর্চ ও এক্সট্রা ব্যাটারি।

টয়লেট্রিজ

ব্রাশ, পেস্ট, ছোট সাবান, মিনি প্যাক শ্যাম্পু ব্যাগে নিয়ে নিতে হবে মনে করে। কারণ দুর্গম এলাকায় ক্যাম্পে গেলে এই সকল জিনিসের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিবে সবচেয়ে বেশি।

এছাড়া ভ্রমণের ধরণ বুঝে দড়ি, মোমবাতি, কাঁচি, ছোট ছুরি রাখতে হবে ব্যাগে।

তালিকা দেখে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। নূন্যতম তিনদিনের ভ্রমণের জন্যেও উপরে উল্লেখ করা প্রতিটি জিনিস প্রয়োজন হবে। ঠিকভাবে গুছিয়ে নিতে পারলে স্বল্প স্থানের মাঝেই সকল পণ্য নেওয়া যাবে।

আরও পড়ুন: ভ্রমণ করুন সুস্থ থাকুন!

আরও পড়ুন: ১২ কারণে গড়ে তুলুন বই পড়ার অভ্যাস

   

কাঠফাটা রোদে ত্বক পুড়ে যাচ্ছে? ঠান্ডা দুধ লাগিয়ে পাবেন সমাধান



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র গরমে ওষ্ঠাগত জনজীবন। প্রচণ্ড রোদে ত্বক পুড়ে গেলে ত্বকের লাবণ্য কমে যায়। এর প্রধান কারণ হলো সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি। এদিকে রোদে পোড়া দাগ বা সানবার্ন নিয়ে অনেকের চিন্তার শেষ নেই। সানবার্ন নিয়ে সতর্ক থাকা দরকার। এখান থেকে স্কিন ক্যানসারের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়। অনেক সময় সানবার্নের জেরে চামড়া উঠতে শুরু করে। ত্বকের ওই অংশ লাল হয়ে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে সানবার্নের সমস্যায় ভুগলে এখান থেকে বার্ধক্যের লক্ষণও জোরালও হয়। সানবার্ন থেকে মুক্তি পেতে গেলে সানস্ক্রিন ছাড়া রোদে বেরোনো যাবে না। আর যদি সানবার্নের মুখোমুখি হন, সেক্ষেত্রে ঠান্ডা দুধকে কাজে লাগান।

ঠান্ডা দুধ সানবার্নের সমস্যা দূর করে

১) প্রখর রোদ সানবার্নের জন্য দায়ী। ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি ত্বকের উপর প্রদাহ তৈরি করে। সানবার্নের উপর ঠান্ডা দুধ লাগালে নিমেষের মধ্যে কমে যায় ত্বকের জ্বালাভাব ও লালচে ভাব।

২) দুধের মধ্যে প্রোটিন ও লিপিড রয়েছে, যা ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে সাহায্য করে। সানবার্নের উপর ঠান্ডা দুধ লাগালে ত্বকের শুষ্কভাব দূর হবে এবং ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।

৩) দুধের মধ্যে ল্যাকটিক অ্যাসিড রয়েছে, যা মাইল্ড এক্সফোলিয়েটর। এটি ত্বক থেকে মৃত কোষ পরিষ্কার করে এবং ক্ষত দ্রুত নিরাময় করে। সানবার্ন দূর করে ঠান্ডা দুধই সেরা।

সানবার্নের উপর যেভাবে ঠান্ডা দুধ প্রয়োগ করবেন -

১) ফ্রিজারে দুধ রেখে বরফ বানিয়ে নিন। রোদে বেরিয়ে ত্বক পুড়ে গেলে, বাড়ি ফিরেই সানবার্নের উপর ওই দুধের বরফ ঘষে নিন।

২) এছাড়া ফ্রিজে থাকা ঠান্ডা দুধে তুলার বল ডুবিয়ে নিন। এবার ওই তুলার বল সানবার্নের উপর কয়েক মিনিট রেখে দিন। আলতো হাতে বুলিয়েও নিতে পারেন।

৩) ঠান্ডা দুধ না থাকলে ঠান্ডা টক দইও মাখতে পারেন সানবার্নের উপর। দুধ ও দই দুটোই সানবার্নের চিকিৎসায় সেরা ফল। ত্বক থেকে ট্যান তুলতেও এই উপায় কাজে লাগাতে পারেন।

তথ্যসূত্র- টিভি৯ বাংলা

;

তাপপ্রবাহের কারণে হওয়া সাধারণ কিছু সমস্যা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে দেশ। আমাদের দেশে মূলত নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া থাকে। তবে ক্রমাগত পরিবর্তনশীল জলবায়ুর কারণে গত কয়েক বছরে আবহাওয়ায় বেশ পরিবর্তন এসেছে। এখন গরমে তাপমাত্রা বেশ বাড়তি থাকে। তাই গরমে এখন অসুস্থ হওয়ার ঘটনা বেড়ে গেছে। গরমের কারণে হওয়া সমস্যাগুলোকে অনেকেই গুরুত্ব দেয় না। তারা মনে করেন ঠান্ডা পানি পান করলেই সমাধান হবে। তবে গরমে অসুস্থ হওয়াকে অবহেলা করলে মৃত্যু ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে। তাই উপসর্গ দেখার পরই সাবধান হতে হবে।

চিকিৎসক থমাস ওয়াটার্স এই নিয়ে সাবধান হওয়ার জন্য জোর দিয়েছেন। গরমে যে সব সমস্যা বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে দেখা যায়, সেগুলো হলো-

১। ফুসকুঁড়ি বা হিট র‍্যাশ

গরমে ঘাম হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাপ অতিরিক্ত বেশি হওয়ার কারণে গরমে ঘাম এবং ঘাম জমেও বেশি। কনুই, হাঁটুর পেছনের অংশ, ঘাড় ইত্যাদি স্থানে ঘাম জমে লাল ছোট ছোট ঘামাচি ও ফুসকুঁড়ি দেখা যায়।


২। হিট ক্র্যাম্পস

গরম আবহাওয়ায় অনেকেই ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম করেন। গরমের মধ্যে পেশিতে চাপ পড়ার কারণে অনেক সময় ব্যথা হতে পারে। একে হিট ক্র্যাম্প হতে পারে। কারণ এমনিতেই গরমে ঘাম বেশি হয়। এরপর যারা অতিরিক্ত পরিশ্রম করেন তাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত লবণ এবং তরল বের হয়ে যায়।

৩। ক্লান্তি বা হিট এক্সহসশন

প্রাকৃতিকভাবে মানুষের শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত রাখার কিছু কর্মকাণ্ড ঘটে থাকে। গরমের সময় শরীরের ভেতর থেকে ঘাম বের করে দেয়। এতে অভ্যন্তরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে। তবে অতিরিক্ত গরমে শরীর ঘাম বের করা বন্ধ করে দেয়। কারণ শরীররের রক্তনালী সংকুচিত হয়ে যায়। এই কারণে শরীর ঠান্ডা হতে পারেনা।


৪। হিট স্ট্রোক

অতিরিক্ত গরমে শরীরে তাপমাত্রা সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেড়ে যায়। হঠাৎ এই পরিবর্তন শরীর নিতে পারে না। ১০৩-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা হলেই হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। হিট স্ট্রোক অনেক গুরুতর হতে পারে। এমনকি এই কারণে মৃত্যুও হতে পারে।

দিন দিন তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যাচ্ছে। বৃষ্টিহীন একটানা খা খা রোদের কারণে অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাই জরুরি কাজ ছাড়া সকালে ১ টা থেকে বিকাল ৩টার মধ্যে বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।

তথ্যসূত্রঃ ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক

;

জেনে নিন ওটস খাওয়ার অপকারিতা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুভ সূচনায় সুন্দর দিন। সকাল সক্রিয়তার সাথে শুরু করতে পারলে পুরোদিন অনেক ভালো কাটে।  তাই সকালের খাবার হতে হয় পুষ্টিসম্পন্ন। ব্রেকফাস্টে উন্নত পুষ্টির খাবার খেলে পুরোদিন শরীরে তা সরবরাহ হয়।  সকালে অনেকেই ভারী খাবার খেতে পারেন না। তাই হালকা কিন্তু পুষ্টি সম্পন্ন খাবার খেতে পছন্দ করেন, যা পেটও ভরাবে। 

সকালের নাস্তায় অনেকে ওটস খেতে পছন্দ করেন। ওটস একটি পুষ্টিকর খাবার, উচ্চ ফাইবার এবং প্রোটিন, এবং অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান করে, যেমন কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো এবং হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি। বিশ্বাস করা হয়, ওটস খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। তবে এইটা কতটা সত্য, তা নিয়ে এখন সন্দীহান বিশেষজ্ঞরা। মার্কিন চিকিৎসক স্টিভেন গুন্ড্রি ওটস বা ওট থেকে বানানো খাবার খাওয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন।  

তিনি জানান, আমেরিকায় যেসব ওটস জাতীয় খাবারে গ্লাইফোসেটের উপস্থিতি রয়েছে,এই ব্যাপারটি তিনি বেশ জোর দিয়ে বলেন। তিনি উল্লেখ করেন গ্লাইফোসেট একটি ভেষজনাশক। স্টিফেন তার বর্ণনায় একে ‘সবচেয়ে  বিষাক্ত’ বলে অভিহীত করেন।

ওটস, ওটস দুধ এবং এই জাতীয় পণ্য প্রচুর পরিমাণে অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমকে মেরে ফেলে। এছাড়া কিছু কোম্পানির ওটসে এক প্রকার  নিষিদ্ধ হার্বিসাইড সনাক্ত করা হয়েছে। এই হারবিসাইড ক্যান্সার সহ স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করে।

প্রতিদিন ওটস খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ও ব্যথা হয়। ওটস খাওয়ার কারণে পেটে গ্যাস জমিতে থাকে। যাদের বেশি পরিমাণে ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস নেই তারা হঠাৎ ওটস খাওয়া শুরু করলে সমস্যা দেখা যায়। তাদের পেট ফোলা ও ফাঁপা ছাড়াও অস্বস্তির সমস্যা দেখা যায়।

ওটস খাওয়া অন্ত্রের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। এন্টারোকোলাইটিস, ক্রোনস ডিজিজ, ডাইভারটিকুলাইটিস ধরনের রোগে আক্রান্ত রোগীদের সংবেদনশীল খাবার খেতে হয়।  তাই এই ধরনের রোগীদের ওটস এড়াতে হবে।   

এছাড়া ওটসে বেশি পরিমাণে শ্বেতসার থাকে। তাই ডায়বেটিসের রোগীদের ওটস খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে।  কারণ তাদের নিয়ন্ত্রিত কার্বোহাইড্রেট খাওয়া নিশ্চিত করতে হয়।

পাশাপাশি যারা রক্তশূণ্যতায় ভুগছেন তাদেরও ওটস এড়িয়ে চলা উচিত। অন্ত্রের ট্র্যাক্ট থেকে রক্ত প্রবাহিত হওয়ার সময় আয়রন সম্পূর্ণভাবে শোষিত হতে পারে না ওটসের কারণে। 

তথ্যসূত্রঃ দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস+এইচএসএন স্টোর

;

গরমে যেসব খাবার না খাওয়াই ভালো



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে অতিষ্ঠি হচ্ছে জনজবীন। এই গরম থেকে স্বস্তি পেতে অনেকেই নানা রকম ঠান্ডা পানীয় ও ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা খাবার খাচ্ছেন। সাময়িকভাবে এই ঠান্ডা পানীয় ও খাবার খেয়ে শান্তি পাওয়া গেলেও ঠান্ডা এই খাবারগুলি শরীরকে আরও গরম করে দেয়। এই তালিকায় কী কী রয়েছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

 

টক দই

টক দই শরীরের জন্য উপকারী হলেও গরমের সময় না খাওয়াই ভালো। তা ছাড়া গরম বলে নয়, সারা বছরই অনেকে টক দই খেতে পছন্দ করেন। তবে আয়ুর্বেদ শাস্ত্র কিন্তু অন্য কথা বলছে। অত্যধিক টক দই শরীরের ভেতর থেকে গরম করে তোলে। এতে গ্যাস ও অম্বলের সমস্যা সৃষ্টি করে। 


ফ্রিজের ঠান্ডা পানি

অনেকেই বাইরে থেকে ফিরেই ঢকঢক করে কিছুটা ঠান্ডা পানি পান করছেন। যা মোটেও শরীরের জন্য ভালো নয়। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, ফ্রিজের ঠান্ডা পানি শরীরের জন্য একেবারেই উপকারী নয়। শরীর ঠান্ডা হচ্ছে মনে হলেও আদতে তা হয় না। বরং শরীরের উত্তাপ বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে হজমের গোলমালও শুরু হয়।

পাতিলেবু

গরমে পাতিলেবুর শরবতের জনপ্রিয়তা কম নয়। রাস্তাঘাটে তো বটেই, এমনকি বাইরে থেকে ঘেমে ফিরে অনেকেই লেবুর শরবতে চুমুক দিতে ভালবাসেন। লেবুতে ভিটামিন সি ভরপুর পরিমাণে রয়েছে। তবে ঘন ঘন লেবুর শরবত খাওয়া কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। লেবুতে থাকা অ্যাসিড উপাদান শরীরের উত্তাপ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে বদহজম, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা তো রয়েছেই।

;