রোদ থেকে বাঁচতে সানস্ক্রিন, যেসব ব্যাপার মাথায় রেখে কিনবেন
দিন যত বাড়ছে গরম আরও মাথা চাড়া দিচ্ছে৷ দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে তাপমাত্রা এখন ৪০ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই কিংবা তারও বেশি৷ দুপুরবেলা গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত হবার পালা৷ অতি প্রয়োজন ছাড়া দুপুরবেলা ঘরের বাহিরে না যাওয়ার নির্দেশ রয়েছে৷ তবে যাদের একান্তই বাইরে যেতে হয় তাদের রোদ থেকে নিজেদের যথাসম্ভব রক্ষা করতে হবে৷
দিনেরবেলা বাইরে যাওয়ার সময় সবসময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন৷ গরমে ত্বকে ময়েশ্চার ধরে রাখতে তাই সানস্ক্রিন ব্যবহার বাধ্যতামূলক৷
রোদে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে ত্বক৷ কারণ সরাসরি রোদের সংস্পর্শে আসার দরুন ত্বকে অস্বস্তি হয়৷ রোদে পোড়া, ট্যানের মতো নানারকম সমস্যা দেখা দেয়৷ সূর্যের আলোতে থাকা অতিবেগুনী রশ্মি সরাসরি ত্বকে পড়লে নানারকম সমস্যা হয়কি৷ এমনকি ক্যান্সারের ঝুঁকিও থাকে৷ তাই যথাসম্ভব ত্বককে রোদ থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করতে হবে৷ আরামদায়ক ঢিলাঢিলা পোশাক পরা এবং ছাতা নিয়ে বাইরে যাওয়া উচিত৷ তবে ত্বকে সানস্ক্রিন ব্যবহার সর্বোচ্চ কার্যকর৷
ত্বকের সবচেয়ে বেশি উপকার যেন হয়, তা নিশ্চিত করতে উন্নত মানের সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন৷ সানস্ক্রিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে যেসব ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে-
১. সানস্ক্রিন অবশ্যই ইউভি-এ এবং ইউভি-বি প্রতিরোধী হতে হবে৷ অতিবেগুনী রশ্মিতেও বিভিন্ন ধরন রয়েছে৷ যেমন: ইউভি-এ, ইউভি-বি, ইউভি-সি ইত্যাদি৷ ইউভি-বি রশ্মি ত্বকের বেশি ক্ষতি করে৷ ত্বকের উপরের অংশে সানবার্ন মূলত এই রশ্মির কারণেই হয়৷ এছাড়া, ইউভি-এ ও ত্বকের কোষের অনেক ক্ষতি করে৷ যদিও আগে ধারণা করা হতো, ইউভি এ রশ্মি সামান্যই ক্ষতি করে; যা এখন ভুল প্রমাণিত হয়েছে৷ ইউভি-সি রশ্মি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর নয়৷ কারণ তা ত্বক অবধি তা পৌঁছাতে পারেনা৷ ওজোনস্তর ইউভিসি রশ্মিকে শোষন করে নেয়৷
২. সানস্ক্রিনের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় যে জিনিস টা মাথায় রাখতে হবে সেটি হলো এসপিএফ৷ মূলত সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর কে সংক্ষেপে এসপিএফ বলে, যা সংখ্যায় প্রকাশ করা হয়। সাধারণ ত্বকের জন্য ২০ থেকে ২৫ এসপিএফ সমৃদ্ধ সানক্রিনই যথেষ্ট৷ তবে যাদের ত্বক সেনসিটিভ, এলার্জি, র্যাশ বা লালচে হয়ে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে তাদের অবশ্যই ৩০ থেকে ৪০ এসপিএফ সমৃদ্ধ ক্রিম ব্যবহার করতে হবে৷
৩. অতিরিক্ত গরমের কারণে ত্বক আর্দ্রতা হারায়৷ তাই ত্বক আর্দ্র রাখতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে৷ অবশ্য সানস্ক্রিন ময়েশ্চার লক হয়৷ সেইসব সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে আলাদা করে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার না করলেও চলে৷
৪. ত্বকের ধরন বুঝে সানস্ক্রিন কেনা উচিত৷ যাদের ত্বক শুষ্ক তারা প্রথমেই সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন৷ এরপর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। তারপর ময়েশ্চারাইজার এপ্লাই করুন৷ যাদের ত্বক স্বাভাবিক বা তৈলাক্ত তারা অবশ্যই ওয়েল ফ্রি সানস্ক্রিন এবং লোশন ব্যবহার করবেন৷ অথবা জেল সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন, এতে একনি হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে৷
৫. অনেকেই সানব্লক ক্রিম এবং সানস্ক্রিনের পার্থক্য বোঝেন না৷ সানব্লক ক্রিম ত্বক এবং রোদের মধ্যে একটা দেয়ালের মতো কাজ করে৷ তাই, সানব্লক ব্যবহার করলে একড়া সাদাটে ভাব দেখা যায়৷ অপরদিকে সানস্ক্রিন ত্বকের গভীরে সূর্য রশ্মিকে প্রবেশ করতে দেয়না৷ কারণ ত্বকে রোদ পড়লে তারা ইউভি রশ্মি শোষণ করে নেয়৷ তাই সানব্লক ক্রিমের চেয়ে সানস্ক্রিন বেশি কার্যকর।