প্লাস্টিকের চাইতে কাঁচের বোতলের কোক বেশি মজাদার কেন?
সদ্য খোলা ঠাণ্ডা কোকের বোতলে চুমুক দেওয়ার মতো আনন্দদায়ক ও প্রশান্তিদায়ক অনুভূতি খুব কমই হয়।
ঝাঁঝালো, মিষ্টি, স্পেশাল স্বাদের কোলাকোলাপ্রেমীরা নিশ্চয় লেখাটি পড়ার শুরুতেই কোক পানের তৃষ্ণা অনুভব করছেন!
যারা অহরহ কোকাকোলা পান করে থাকেন তারা হয়তো একটা বিষয় লক্ষ্য করেছেন ইতোমধ্যেই। কাঁচের বোতলের কোক এবং প্লাস্টিকের বোতলের কোকের স্বাদ বেশ অনেকটাই আলাদা। এমনকি অ্যালুমিনিয়ামের ক্যানের কোকের স্বাদেও রয়েছে পার্থক্য।
মূল কথা হলও- প্লাস্টিকের বোতল ও অ্যালুমিনিয়ামের ক্যানের থেকে কাঁচের বোতলের কোকের স্বাদ ও ফ্লেভার বেশ অনেকটাই অন্যরকম এবং মজাদার।
এই বিষয়টিকে যদি মনের ভুল হিসেবে ভেবে থাকেন তবে আপনি। স্বাদের এই তারতম্য আসলেও হয়ে থাকে।
কেন এমনটা হয়ে থাকে?
কোকাকোলা তৈরির প্রতিষ্ঠান জানাচ্ছে, প্যাকেজিং এর ক্ষেত্রে তাদের কোকাকোলা তৈরির রেসিপিতে কোন ভিন্নতা থাকে না মোটেও। কাঁচের বোতল, প্লাস্টিকের বোতল ও অ্যালুমিনিয়ামের ক্যানে থাকা পানীয় সকলই এক রকম ও একইভাবে প্রস্তুত করা হয়।
তাহলে স্বাদের এই ভিন্নতা দেখা দেওয়ার কারণটা কি! কারণতা হলও প্লাস্টিকের বোতল! প্লাস্টিকের বোতলের তুলনায় কাঁচের বোতলের ভেতর কার্বন ডাই অক্সাইড অথবা কোকের ফিজ বেশি ভালোভাবে দীর্ঘ সময় থাকে, উড়ে যায় না। খেয়াল করে দেখবেন, বাসায় কিনে রাখা প্লাস্টিকের বোতলের কোকাকোলার স্বাদ সপ্তাহ খানেক পরেই কমে যায়। কোকের বোতলটি খোলা না হলেও।
এছাড়াও প্লাস্টিকের বোতলে থাকে অ্যাসিটালডাহাইড (Acetaldehyde) লাইনিং। যা খুব দ্রুত পানীয়ের সঙ্গে মিশে গিয়ে পানীয়ের স্বাদ বদলে দেয় এবং কিছুটা প্লাস্টিকের মতো স্বাদ তৈরি করে।
অন্যদিকে কাঁচের বোতলের কোকের স্বাদ দীর্ঘদিন পর্যন্ত একই রকম থাকার কারণ হলও, এতে কার্বন ডাই অক্সাইড ইনট্যাক্ট অবস্থায় থাকে, উড়ে যায় না। এছাড়া প্লাস্টিকের মতো স্বাদ তৈরি করার তো প্রশ্নই আসে না।
তাই অনেকেই প্লাস্টিকের বোতলের পরিবর্তে কাঁচের বোতলের কোক পান করতে পছন্দ করেন। তবে কাঁচের বোতল যেহেতু সহজলভ্য নয়, তাই অ্যালুমিনিয়ামের ক্যানের কোকও পান করতে পারেন। এতে অন্তত প্লাস্টিকের মতো স্বাদ নেই।
আরো পড়ুন: কোকাকোলার লোগো কেন লাল রঙের?