কতটুকু কফি পান নিরাপদ?

  • ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কফি, ছবি: সংগৃহীত

কফি, ছবি: সংগৃহীত

প্রতিদিন সকালের শুরুতে এক কাপ কফি না হলে যেন চলেই না।

এরপর পুরো দিনভর চলে দফায় দফায় কফি পান। সকালের খাদ্যাভ্যাসের এই রুটিন মেনে চলেন অনেকেই। কফি পানের মাধ্যমে দিনের শুরু করার ফলে, সারাদিনের কর্মব্যস্ততার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা যায়। এছাড়া অভ্যাসবশত, শখের বশে কিংবা বন্ধুদের সাথে আড্ডায় কফির পেয়ালায় চুমুক তো দেওয়া হয়ই।

কিন্তু প্রশ্ন হলো, ঠিক কতটুকু পরিমাণ কফি পান করা কিংবা ক্যাফেইন গ্রহণ করা নিরাপদ? গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়ে জানা আছে কি আপনার? বিজ্ঞান পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে সেই তথ্যটিই বের করেছে।

বিজ্ঞাপন

অবশ্যই কফি পানের বেশ অনেকগুলো উপকারিতা রয়েছে। ২০১৫ সালের নভেম্বরে প্রকাশিত এক গবেষণার তথ্য জানায়, প্রতিদিন এক কাপ পরিমাণ কফি পানে হৃদরোগের সম্ভবনা কমে যায়।

সেই সাথে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির গবেষণার তথ্য জানায়, টাইপ-২ ডায়বেটিস, পারকিনসন ডিজিজ, লিভার ক্যানসার দেখা দেওয়ার সম্ভবনাও হ্রাস পায়।

বিজ্ঞাপন

এদিকে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন তাদের গবেষণা থেকে জানায়, পরিমিত মাত্রার কফি গ্রহণে বেশ কয়েক ধরনের ক্যানসার দেখা দেওয়ার সম্ভবনা কমে যায় প্রায় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত। এছাড়া কফিতে থাকা ক্যাফেইন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ডিএনএর ক্ষতি হওয়া থেকে প্রতিরোধ করে।

এ পর্যায়ে এসে বলতে হবে, এখানেও রয়েছে একটি ‘কিন্তু’। কফি পানের নানান উপকারিতা থাকলেও, অতিরিক্ত কফি পানে দেখা দিতে পারে স্বাস্থ্যগত সমস্যা। একদিনে ছয় কাপ বা তার বেশি কফি পানে হৃদরোগের সম্ভবনা বেড়ে যায় বলে জানিয়েছে ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ অস্ট্রেলিয়ার এক গবেষক দল।

তারা জানাচ্ছেন, একদিকে পরিমিত কফি পান যেমন হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী, তেমনিভাবে অতিরিক্ত কফি পানের ফলে হৃদরোগের সম্ভবনা বেড়ে যায় প্রায় ২২ শতাংশ পর্যন্ত।

অতিরিক্ত কফি পানের ফলে রক্তচাপের মাত্রা বেড়ে যায় তুলনামূলক অনেক। যা থেকেই হৃদরোগের প্রাদুর্ভাভ দেখা দেওয়ার সম্ভবনা তৈরি হয়।

অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার অফ প্রিসিশন হেলথ এর গবেষক প্রফেসর এলিনা হিপ্পনেন জানান, পুরো বিশ্ব জুড়ে কফি হলো সর্বাধিক পান করা পানীয়। যা ঘুম ভাব দূর করতে, শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি তে ও মনোযোগ বৃদ্ধিতে কাজ করে। তবে ঠিক কতটুকু ক্যাফেইন আমাদের শরীর নিতে পারবে, সেটা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা না থাকলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভবনা থাকে।

আরও পড়ুন: কফির পরিবর্তে চা পানে যা ঘটতে পারে!

আরও পড়ুন: কতটা উপকারী প্রিয় পানীয় কফি?