ভারত-বাংলাদেশ বন্ধ রেলপথ চালু হবে
বাংলাদেশ রেলওয়ের সাথে ভারতীয় রেলওয়ের সংযোগের জন্য ৭টি ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্ট রয়েছে। এসব ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্টের মধ্যে বর্তমানে ৪টি চালু আছে এবং বাকী ৩টি ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্ট চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। পাশাপাশি নতুন দুটি ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্ট চালু করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে সরকারি দলের সংসদ সদস্য আলী আজমের লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদকে এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী সংসদকে জানান, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যেসকল ইন্টারচেঞ্জ চালু রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে-দর্শনা (বাংলাদেশ-গেদে (ভারত), বেনাপোল (বাংলাদেশ)-পেট্রাপোল (ভারত), রোহনপুর (বাংলাদেশ)-সিঙ্গাবাদ (ভারত), বিরল (বাংলাদেশ)-রাধিকাপুর (ভারত)।
যেসকল ইন্টারচেঞ্জ বন্ধ রয়েছে:
শাহবাজপুর (বাংলাদেশ)-মহিশাসন (ভারত) ১১ কিলোমিটারের এই ইন্টারচেঞ্জটি ২০০২ সালের ৭ জুলাই বন্ধ হয়ে যায়। ইন্টারচেঞ্জটি ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের অংশ। কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেললাইনের জরাজীর্ণ অবস্থার কারণে ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্টটি বন্ধ আছে। ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিট এর আওতায় বাংলাদেশ রেলওয়ের কুলাউড়া-শাহবাজপুর সেকশন পুনর্বাসন শীর্ষক একটি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। বর্তমানে মাঠ পর্যায়ে নির্মাণ কাজ চলমান।
চিলহাটি (বাংলাদেশ)-হলদিবাড়ি (ভারত) এর ৯ কিলোমিটার ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্টটি ১৯৬৫ সালে বন্ধ হয়ে যায়। ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্টের মাধ্যমে ভারত এর মধ্যদিয়ে নেপাল এবং ভুটানে পণ্য পরিবহণ করা সহজ। এই পয়েন্টটি পুনরায় চালু করার জন্য ভারতের সাথে রেল সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে চিলহাটি এবং চিলহাটি বর্ডারের মধ্যে ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ” প্রকল্প গতবছর ১৮ সেপ্টেম্বর একনেক সভায় অনুমোদন হয়েছে। পূর্ত কাজেরে ঠিকাদার নিয়োগের লক্ষ্যে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে এবং চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি দরপত্র উন্মুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে দরপত্র মূল্যায়ন প্রক্রিয়াধীন। প্রকল্পটি সমাপ্ত হলে ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্টটি চালু করা সম্ভব হবে।
বুড়িমারি (বাংলাদেশ)-চেংরাবান্ধা (ভারত)-এর মধ্যে ৩ কিলোমিটার ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্টটি ১৯৭১ সালে বন্ধ হয়ে যায়। বুড়িমারি স্টেশন থেকে ৩ কিলোমিটার নতুন ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণ এবং বুড়িমারিতে ট্রান্সশিপমেন্ট ব্যবস্থা চালু করলে ভারত, ভুটান ও বাংলাদেশের মধ্যে এ ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্ট দিয়ে পণ্য চলাচল সহজতর হবে। এ লক্ষ্যে একটি ত্রি পক্ষীয় এমওইউ/প্রটোকল স্বাক্ষরের উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে।
নতুন যে দুটি পয়েন্টে ইন্টারচেঞ্জ চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সে দুটি হচ্ছে-আখাউড়া (বাংলাদেশ)-আগরতলা (ভারত) এর ১০ দশমিক ০১৪ কিলোমিটার একটি নতুন ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্ট। এই পয়েন্ট চালু করার জন্য আখাউড়ার গঙ্গা সাগর থেকে আগরতলা ভারতীয় বর্ডার পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণ করা হবে। এলক্ষ্যে ভারত সরকারের অনুদানে একটি প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদিত। বর্তমানে মাঠ পর্যায়ে নির্মাণ কাজ চলমান আছে।
ফেনী-বিলোনিয়া প্রায় ৩৩ কিলোমিটার একটি নতুন ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্ট চালু করা হবে। এলক্ষ্যে ফেনী হতে বিলোনিয়া রেললাইন সংস্কার/পুন:নির্মাণ করা প্রয়োজন। ফেনী-বিলোনিয়া রেললাইন সংস্কার/পুন:নির্মাণ কাজ ভারতীয় অনুদানে সম্পন্ন করার প্রস্তাব বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে ইআরডিতে প্রেরণ করা হয়েছে।