প্রধানমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে ফেঁসে যাচ্ছেন তিতাস গ্যাস এমডি!



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চিঠি

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চিঠি

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলভার নিট কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেডে (গাজীপুর) গ্যাস সংযোগে প্রধানমন্ত্রীর নাম ভাঙানোর দায়ে ফেঁসে যেতে পারেন তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশীদ মোল্লাহ।

সিলভার নিট কম্পোজিটের নতুন গ্যাস সংযোগে আবেদনের ওপর তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হারুনুর রশীদ মোল্লাহ লিখেছেন, মন্ত্রী মহোদয়ের অফিস হতে প্রেরিত আলাপ করবেন। যেহেতু বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন উঠেছে ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রধানমন্ত্রীকেই ইঙ্গিত করেছেন। যথারীতি ওই নোটের প্রেক্ষিতে গ্যাস সংযোগটি প্রদান করা হয়েছে।

আর এই বিষয়টি নজরে আসায় তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু তদন্তের নির্দেশনা নয়, যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে অবহিত করার জন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগকে বলা হয়েছে।


গত ২৯ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রেরিত ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন পরিচালক-১১ রুপালী মন্ডল। চিঠির ‘বিষয়: বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী (মাননীয় প্রধানমন্ত্রী) নাম ব্যবহার করে উৎকোচ গ্রহণ করত: শিল্প প্রতিষ্ঠানে গ্যাসের সংযোগ প্রদানসহ নানাবিধ অনিয়মের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রসঙ্গে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, উল্লেখিত বিষয়ে সূত্রোস্থ পত্র ও সংযুক্তিসমুহের ছায়ালিপি এতদসঙ্গে পেরণ করা হলো। পত্রে বর্ণিত বিষয়াদি পরীক্ষান্তে বিধি মোতাবেক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েকে অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব বরাবরে আ. লতিফ কর্তৃক স্বব্যাখ্যাত অভিযোগ পত্র।

খনিজ সম্পদ বিভাগ ওই নির্দেশনার পাওয়ার পর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে অভিযোগ তদন্তপূর্বক এক মাসের মধ্যে মতামতসহ প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য বলা হয়েছে। সংযুক্তি দেওয়া হয়েছে একটি অভিযোগপত্র, কয়েকটি চেকের ফটোকপিসহ ৪০টি পৃষ্ঠার একটি নথি।

ওই অভিযোগে বলা হয়েছে, সিলভার নিট কম্পোজিট নামক একটি প্রতিষ্ঠানের আবেদনে লিখিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মন্ত্রী মহোদয়ের অফিস হতে প্রেরিত আলাপ করবেন। আবেদনে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শেখ হাসিনা, কিংবা প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের দফতরের কারো কোন স্বাক্ষর কিংবা সুপারিশ নেই। শুধুমাত্র উৎকোচ গ্রহণ করে নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে প্রায় ৬ মাসের পুরনো একটি আবেদন সংযুক্ত করে দু’টি প্রতিষ্ঠানের ফাইল দ্রুততার সঙ্গে পাস করিয়ে নেওয়া হয়। জ্বালানি খাতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে তিতাস গ্যাসের মতো জায়গায় প্রধানমন্ত্রীর রেফারেন্স ব্যবহার করে অবৈধভাবে অর্থের বিনিময়ে রাতারাতি দু’টি নথি পাস করিয়ে নিয়েছেন।

ওই নোটসহ অগ্রগামী করেছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এ ধরনের একটি স্পর্শকাতর জায়গার রেফারেন্স দেওয়া হয়েছে, অথচ সেই রেফারেন্স কোন যাচাই-বাছাই না করেই অনুমোদন দেওয়াকে পুরো যোগসাজস মনে করছেন অনেকেই।

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়

অভিযোগে, তিতাস গ্যাসের আরও নানা রকম অনিয়মের কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বর্তমান এমডি যোগদান করার পর থেকে সিস্টেম লস বেড়ে গেছে। আগে যেখানে ৫ থেকে ৬ শতাংশ সিস্টেম লস ছিল, এখন সেখানে ৮ থেকে ৯ শতাংশ দেখানো হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে সিস্টেম লস ১২ থেকে ১৩ শতাংশ হবে। ৫৮ বছরের ইতিহাসে তিতাস গ্যাস এবারই প্রথম লোকসানের স্বীকার হয়েছে। হারুনুর রশীদ মোল্লাহ যোগদানের পূর্বে তিতাসের ক্রমপুঁঞ্জিভূত বকেয়ার পরিমাণ ছিল ৬ হাজার কোটি টাকা, এখন সেই বকেয়া ৯ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

কোম্পানি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যতীত (এমডি মালিক পক্ষ হিসেবে বিবেচিত) সকল কর্মচারীগণ প্রফিট বোনাস ৫ শতাংশ অর্থ সমহারে পাবেন। অথচ বর্তমান এমডি লভ্যাংশের অর্থ নিয়মিত গ্রহণ করছেন। ওই টাকা তার ব্যক্তিগত হিসাব নম্বরে গ্রহণ করেন না। কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নামে চেক ইস্যু করে নগদ টাকা গ্রহণ করে থাকেন। এ সংক্রান্ত কয়েকটি চেকের ফটোকপি জুড়ে দেওয়া হয়েছে অভিযোগপত্রে।

বর্তমানে গ্যাস সংযোগ সংক্রান্ত ৩ শতাধিক কোম্পানির আবেদন ঝুঁলে থাকলেও বেছে বেছে সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে ঠিকাদার জিসান পাটোয়ারীর নাম। তার কাছে গেলেই সংযোগ নিশ্চিত। এমনকি ৩ দিনের গ্যাস সংযোগ অনুমোদন করার অনেক নজির সৃষ্টি রয়েছে। বহুল আলোচিত আলী এন্টারপ্রাইজের ওই ঠিকাদারের সঙ্গে এমডির দহরম-মহরম চোখে পড়ার মতো। তার সঙ্গে প্রায় প্রত্যেক কার্যদিবসে রূদ্ধদ্বার বৈঠক করেন এমডি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সন্ধ্যার পর এমডির কক্ষে ওই বৈঠকগুলো অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। সে সময়ে এমডির কক্ষে কারো প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয় না। এছাড়া আউটসোর্সিংয়ে লোকবল নিয়োগে দুর্নীতি, একাধিক গাড়ির অপব্যবহারসহ অনেকগুলো অভিযোগ আনা হয়েছে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের তদন্তের নির্দেশ সংক্রান্ত চিঠি পেট্রোবাংলায় পৌঁছার তথ্য নিশ্চিত করেছেন পরিচালক (প্রশাসন) আলতাফ হোসেন। এর বেশি কোন তথ্য জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হারুনুর রশীদ মোল্লাহ বার্তা২৪কম-কে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চিঠির বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।

তিনি বলেন, আমাকে চেয়ার থেকে সরাতে একটি গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। তারা নানা রকম মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর চেষ্টা করছে। প্রধানমন্ত্রীর নাম ভাঙানোর প্রশ্নই আসে না। তিতাসের কিছু অসাধু কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় একটি গ্রুপ নাখোশ হয়েছে। তারাই ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে।

প্রকৌশলী হারুনুর রশীদ মোল্লাহ ২০২১ সালে প্রথম এক বছরের চুক্তিভিক্তিক নিয়োগ পান। চুক্তির মেয়ার শেষ হলে দ্বিতীয় দফায় আরও এক বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রায় দেড় মাস আগেই জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ তাকে আবারও এক বছরের জন্য নিয়োগ দিয়েছে।

আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে গ্যাস সংযোগ, তদন্তের নির্দেশ

   

ওয়ালটন ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ ক্যাম্পেইনের মেয়াদ বাড়ল



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘সেরা পণ্যে সেরা অফার’ স্লোগানো চলতি বছরের ১ মার্চ সারা দেশে শুরু হয়েছিল ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০। এর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজ, টিভি, এয়ার কন্ডিশনার বা এসি, ওয়াশিং মেশিন ও ফ্যানের ক্রেতাদের দেয়া হয়েছে ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ হওয়ার সুযোগ। ইতোমধ্যে ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন ৩৪ জন ক্রেতা। সারা দেশে গ্রাহক পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ওয়ালটনের এই ক্যাম্পেইন। এরই প্রেক্ষিতে আসছে ঈদুল আযহা বা কোরবানি ঈদকে ঘিরে ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ ক্যাম্পেইনের মেয়াদ আরও দুই মাস বাড়িয়েছে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।

ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ এর মেয়াদ ছিল ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ পর্যন্ত। যা এবার ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত বাড়ানো হলো। ফলে, দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম ও অনলাইন সেলস প্ল্যাটফর্ম ‘ই-প্লাজা’ থেকে ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন এবং ফ্যান কিনে ক্রেতারা আবারো মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন আরও দুই মাস। এছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার।

ক্যাম্পেইনের মেয়াদ বাড়ানো প্রসঙ্গে ওয়ালটনের চিফ মার্কেটিং অফিসার দিদারুল আলম খান জানান, প্রতিটি বড় উৎসব উপলক্ষ্যে ক্রেতাদের জন্য বিশেষ সুবিধা দিয়ে আসছে ওয়ালটন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ঈদুল ফিতরের আগে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ এর আওতায় ওয়ালটন পণ্যের ক্রেতাদের ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ হওয়ার সুবিধা দিয়েছে ওয়ালটন। যা দেশব্যাপী ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। গ্রাহকদের ব্যাপক আগ্রহ এবং কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ক্যাম্পেইনের মেয়াদ আরো দু’মাস বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে ওয়ালটন পণ্য কিনে মিলিয়নিয়ার হওয়ার এই মিছিলে আরো অধিক সংখ্যক ক্রেতা যুক্ত হতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী।

সিজন-২০ চলাকালীন ক্রেতারা দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে পণ্য কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর সম্পূর্ণ কম্পিউটারাইজড সিস্টেমে ওয়ালটনের কাছ থেকে ফিরতি এসএমএস-এর মাধ্যমে ক্রেতারা পাচ্ছেন মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ।

এছাড়াও পাচ্ছেন কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার। সংশ্লিষ্ট ওয়ালটন প্লাজা বা শোরুম থেকে ক্রেতাদেরকে উপহার বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, বিক্রয়োত্তর সেবা কার্যক্রমকে অনলাইন অটোমেশনের আওতায় আনতে ‘ডিজিটাল কাস্টমার ডাটাবেজ’ গড়ে তুলছে ওয়ালটন। সেজন্য দেশব্যাপী চালাচ্ছে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইন চলাকালীন পণ্য কেনার পর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল নম্বর এবং পণ্যের মডেল নম্বরসহ

বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। অন্যদিকে সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ক্যাম্পেইনের প্রতিটি সিজনেই গ্রাহকদের নানান সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন।

;

ইসলামী ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদোগে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। সভায় মূল বিষয়ের উপর আলোচনা করেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী। ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর কাজী মোঃ রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মিফতাহ উদ্দীন ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ রফিকুল ইসলাম।

এসময় ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ মাকসুদুর রহমান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ইহসানুল ইসলাম ও মোঃ রফিকুল ইসলাম সহ প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্ব বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দেশের বাজারে বাড়ানো হয়েছে জ্বালানি তেলের দাম। ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১ টাকা বাড়িয়ে ১০৭ টাকা, পেট্রোল আড়াই টাকা বাড়িয়ে ১২৪ দশমিক ৫ টাকা ও অকটেনের দাম আড়াই টাকা বাড়িয়ে ১২৮ দশমিক ৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। নতুন এই দাম বুধবার (১ মে) থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে, গত ৩১ মার্চ লিটার প্রতি ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ২ টাকা ২৫ পয়সা কমিয়ে ১০৬ টাকা নির্ধারণ করে সরকার। তবে অপরিবর্তিত থাকে পেট্রোল, অকটেনের দাম।

তার আগে, মার্চের ৭ তারিখে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হয়। তখন লিটার প্রতি ডিজেল ও কেরোসিন ১০৯ টাকা থেকে কমিয়ে ১০৮.২৫ টাকা, পেট্রোল ১২৫ থেকে কমিয়ে ১২২ টাকা, অকটেন ১৩০ টাকা থেকে কমিয়ে ১২৬ টাকা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করা হয়।

আর নজিরবিহীন দাম বাড়ানো হয় ২০২২ সালের ৫ আগস্ট রাতে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) জারি করা আদেশে ডিজেল ও কেরোসিন লিটার প্রতি ৩৪ টাকা এবং পেট্রোল ও অকটেনে ৪৬ টাকা দাম বাড়ানো হয়েছিল। তখন ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১১৪ টাকা লিটার, পেট্রোল ১৩০ টাকা এবং অকটেন ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ওই দাম বৃদ্ধির পর গণপরিবহনের ভাড়া বেড়েছিল সর্বোচ্চ ২২ শতাংশ। তার আগে ২০২১ সালের নভেম্বরে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকায় করা হয়। ওই সময়েও পরিবহন ভাড়া বাড়ানো হয় প্রায় ২৭ শতাংশ।

ওই নজিরবিহীন দাম বৃদ্ধির পর ২০২২ সালের ৩০ আগস্ট জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হয়। ওইদিন প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ১১৪ টাকা থেকে কমিয়ে ১০৯ টাকা, পেট্রোল ১৩০ থেকে কমিয়ে ১২৫ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

সরকার জ্বালানি তেলের দামে ভর্তুকি প্রদান থেকে বের হয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখানে আইএমএফের চাপও রয়েছে। ‘জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ নির্দেশিকা’ প্রজ্ঞাপন ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রকাশ করা হয়েছে। ওই ফর্মূলা অনুযায়ী, প্রতিমাসে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে দাম সমন্বয় করা হবে। গেজেট অনুযায়ী, বিপিসি ও অন্যদের কমিশন অপরিবর্তিত থাকবে। শুধু আমদানি মূল্যের তারতম্য প্রতিমাসে কমবেশি হবে।

অকটেন ও পেট্রোল ব্যক্তিগত যানবাহনে বেশি পরিমাণে ব্যবহৃত হয় বিধায় এর মূল্য বিলাস দ্রব্য (লাক্সারি আইটেম) হিসেবে সব সময় ডিজেলের চেয়ে বেশি রাখা হয়। ফর্মূলা অনুযায়ী অকটেনের মূল্য নির্ধারণকালে ডিজেলের সঙ্গে পার্থক্য লিটার প্রতি ন্যূনতম ১০ টাকা যেন থাকে সেজন্য প্রাইসিং ফর্মূলায় ‘α’ ফ্যাক্টর প্রযোজ্য হবে।

;

রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে অটোমেশনের বিকল্প নেই: অর্থ প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য অটোমেশনের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় গুলশানের ‘আমারি ঢাকা’র গ্র্যান্ড বলরুমে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআরআই) আয়োজিত 'বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ বাড়ানোর প্রয়োজনীয় রূপরেখা' (Bangladesh’s Domestic Resource Mobilisation: Imperatives and a Roadmap) উপস্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সবাই অনলাইনে রিটার্ন সাবমিট করতে পারেন। বাংলাদেশের ইনফরমাল সেক্টর অনেক বড় বিধায় এই সেক্টর থেকে কর আদায় গুরত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে, বেসরকারি খাত আমাদের সঙ্গে থেকে সহায়তা করতে পারে।

ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, মানি মার্কেট, বেসরকারি ও সরকারি ঋণ নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ‘ক্যাপিটাল মার্কেট’ নিয়ে আরো আলোচনা করা দরকার। কীভাবে আরো বেশি ভালো কোম্পানি মার্কেটে আসে, সে বিষয়ে সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে। তাহলে মানি মার্কেটের ওপর চাপ কমবে। ক্যাপিটাল মার্কেট, ইক্যুইটি মার্কেট ও বন্ড মার্কেট বৃদ্ধি করা জরুরি।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল বাস্তবায়ন শেষে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলস কাজ করছে বর্তমান সরকার। তার সুযোগ্য পরিচালনায় গত ১৫ বছরে যেসব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে, সেগুলো থেকে দেশ এখন রিটার্ন পাচ্ছে। ‘আইবাস’ (ইন্টিগ্রেটেড বাজেট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম-IBAS) ব্যবস্থাপনার কারণে বাজেটের বাস্তবায়নের দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

আগে বাজেট পাস হলেও বাজেট বাস্তবায়ন শুরু হতে অর্থ বছরের প্রথম প্রান্তিক চলে যেতো। বর্তমানে ১ জুলাই থেকেই অফিসগুলো বাজেট ব্যবহার করছে।

আজকের (৩০ এপ্রিল) আলোচনা অনুষ্ঠান থেকে যেসব পরামর্শ উঠে এসেছে, সেগুলো অর্থ মন্ত্রণালয় অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে বলেও আশ্বাস দেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা রাহমাতুল মুনীম ও এফবিসিসিআই'র প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম।

মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিআরআই'র নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পিআরআই'র চেয়ারম্যান ড. জাইদী সাত্তার।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন পিআরআই'র ভাইস চেয়ারম্যান ড. সাদিক আহমেদ, এমসিসিআই'র প্রেসিডেন্ট কামরান টি রহমান, সিএসই চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, ডিসিসিআই'র প্রেসিডেন্ট আশরাফ আহমেদসহ প্যানেল আলোচকবৃন্দ।

;