মালদ্বীপ-শ্রীলঙ্কা-নেপাল সফরে চীনের সামরিক প্রতিনিধি দল 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতিরক্ষা ইস্যুতে সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করতে চীনের সামরিক বাহিনীর একটি প্রতিনিধি দল হঠাৎ করেই মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা এবং নেপাল সফর করেছে। কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলা করার জন্য দক্ষিণ এশিয়ায় ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে চীনা প্রতিনিধি দল ওই সফর করেছে বলে জানিয়েছে বেইজিং।

বুধবার (১৩ মার্চ) এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহে মালদ্বীপ জানায়, কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ দ্বীপপুঞ্জের এই দেশটিতে মোতায়েন করা ভারতীয় সেনাদের চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পর তারা চীনের সাথে একটি সামরিক সহায়তা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।

মালদ্বীপে আকস্মিক সফর করেছে চীনের সামরিক বাহিনীর একটি প্রতিনিধি দল। বুধবার বেইজিং নিশ্চিত করেছে। সফরে আসা প্রতিনিধিদলের সদস্যরা মালদ্বীপের চীনপন্থী নতুন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর সাথেও বৈঠক করেছেন। পরে সেখান থেকে তারা ৪ থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা ও নেপাল সফর করেন।

চীনা সামরিক বাহিনীর অফিসিয়াল উইচ্যাট অ্যাকাউন্টে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘তিনটি দেশেই তারা সামরিক সম্পর্ক এবং অভিন্ন আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যুতে দ্বিপাক্ষিক মতামত বিনিময় করেছেন।’

বিবৃতিতে জানানো হয়, চীনের সামরিক বাহিনীর আন্তর্জাতিক সামরিক সহযোগিতা বিভাগের কর্মকর্তাদের এই প্রতিনিধি দলটি দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ। এতে বলা হয়েছে, ‘চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সাথে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও জোরদার করার জন্য সিরিজ ঐকমত্য পৌঁছেছে।’

ভারত মহাসাগরে চীনের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি এবং মালদ্বীপে বেইজিংয়ের প্রভাব নিয়ে ভারত উদ্বেগে রয়েছে। নিরক্ষরেখাজুড়ে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার বিস্তৃত ও এক হাজার ১৯২টি ক্ষুদ্র প্রবাল দ্বীপের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা মালদ্বীপের প্রতিবেশি শ্রীলঙ্কাতেও চীনের প্রভাব বাড়ছে।

দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই দ্বীপ দেশ কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ পূর্ব-পশ্চিম আন্তর্জাতিক শিপিং রুটের অর্ধেক পথ ধরে অবস্থিত। নেপালের সাথেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বেইজিংয়ের; যার নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক মাওবাদী গেরিলা নেতা নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল ওরফে প্রচণ্ড।



   

পাকিস্তানে দ্বিতীয় দীর্ঘ ‘আর্দ্র এপ্রিল’, নিহত ১৪৪



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

১৯৬১ সালের পর এ বছর ‘সবচেয়ে আর্দ্র এপ্রিলের’ দেখা পেয়েছে পাকিস্তান। এপ্রিলে দেশটিতে ৫৯ দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে; যা ৬০ বছরের ইতিহাসকে ভেঙে দিয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের আবহাওয়া সংস্থা। সাধারণত এ সময়ে ২২ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে। 

শুক্রবার (৪ মে) পাকিস্তানের আবহাওয়া দপ্তরের মাসিক জলবায়ু প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে পাকিস্তানে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য বেলুচিস্তানে। গড় হিসেবে এখানে ৪৩৭ শতাংশ বৃষ্টি হয়েছে। এপ্রিলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বাড়ি ঘর ধসে এবং বজ্রপাতে ১৪৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য খাইবার পাকতুনখাওয়ায়। প্রদেশটিতে ৩৮ জন শিশুসহ ৮৪ জন প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া সাড়ে তিন হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

যদিও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে তাপপ্রবাহ চলছে। কিন্তু সেখানে পাকিস্তানে গত মাসে তাপমাত্র ছিল ২৩ দশমিক ৬৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাকিস্তানের আবহাওয়া দপ্তরের মুখপাত্র জাহের আহমেদ বাবর বলেন, জলাবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমাদের এই অঞ্চলে ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। 

২০২২ সালে পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যায় ১ হাজার ৭৩৯ জন প্রাণ হারায়। ওই বন্যায় দেশটিতে ৩০ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়। যদিও পাকিস্তান সেই ক্ষতি পুশিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। ওই সময়ে দেশটির বেলুচিস্তানে ৫৯০ শতাংশ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এছাড়া করাচিতে ৭২৬ শতাংশ বৃষ্টিপাত হয়।

;

রাশিয়ার ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায় জেলেনস্কি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির নাম ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায় যুক্ত করেছে রাশিয়া। তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাও দায়ের করেছে। 

রাশিয়ার সরকারি বার্তাসংস্থা তাসের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

তাসের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলেছে, এর আগে রাশিয়ার পুলিশ বাহিনী এস্তোনিয়ার প্রধানমন্ত্রী কাজা কাল্লাস, লিথুয়ানিয়ার সংস্কৃতিমন্ত্রীসহ লাটভিয়ার আইনসভার সাবেক কয়েকজন সদস্যকে ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছিল। তাদের বিরুদ্ধে সোভিয়েত যুগের স্মৃতিস্তম্ভ ভেঙে ফেলার অভিযোগ আনা হয়েছে।

এ ছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এক কৌঁসুলির বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে রাশিয়া। হয়েছে। ওই কৌঁসুলি গত বছর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়ের কাজ করেছিলেন। 

মূলত ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলার পর ইউক্রেন ও ইউরোপের আরও বেশ কয়েকটি দেশের এসব নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে রাশিয়া।

এদিকে জেলেনস্কিকে ওয়ান্টেড তালিকায় যুক্ত করায় রাশিয়ার সমালোচনা করেছে ইউক্রেন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজেই আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের ওয়ারেন্টের অধীনে রয়েছেন।

;

হরদীপ হত্যায় তিন ভারতীয় গ্রেফতারে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জয়শঙ্করের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খালিস্তানের শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরকে হত্যার ঘটনায় তিন ভারতীয়কে গ্রেফতার করেছে কানাডা পুলিশ। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘এখন কানাডা তাদের বিষয়ে আমাদের কোনো তথ্য সরবরাহ করবে কিনা তার জন্য অপেক্ষায় আছি।’ শনিবার (০৪ মে) তিনি এসব কথা বলেন। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

হরদীপ সিং হত্যার ঘটনায় শুক্রবার কানাডার পুলিশ তিন ভারতীয়কে গ্রেফতার করেছে। ভারতীয় সরকারের সঙ্গে এসব ব্যক্তিদের যোগাযোগ আছে কিনা সে বিষয়ে এখন তদন্ত করবে পুলিশ। 

জয়শঙ্কর বলেন, তিন ভারতীয়কে গ্রেফতারের বিষয়টি তিনি দেখেছেন। অভিযুক্তরা কোনো গ্যাংয়ের হয়ে কাজ করতে পারে। তবে পুলিশ কী বলে সে বিষয়ের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। 

তিনি বলেন, আমরা আমাদের অভিমত তাদের জানিয়েছি। কারণ তারা ভারত থেকে সংগঠিত অপরাধ বিশেষ করে পাঞ্জাবের কর্মকাণ্ডকে কানাডা থেকে পরিচালিত করার সুযোগ দিয়েছে। 

কানাডায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার সঞ্জয় ভার্মা বলেন, তিন জনকে গ্রেফতারের বিষয়ে আমরা সার্বক্ষণিক তথ্য রাখছি। তিনি আরও বলেন, এটা কানাডার অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাদের পুলিশ অবশ্যই স্বচ্ছতার মাধ্যমে তদন্তে সাক্ষেপে প্রতিবেদন তৈরি করবে। 

গত বছরের জুনে শিখ নেতা ৪৫ বছর বয়সী নিজ্জরকে কানাডায় হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস পর কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এ ঘটনায় ভারত সরকারকে দায়ী করেন। এরপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। 

;

যুদ্ধবিরতির আলোচনায় মাঝেই রাফাহতে স্থল হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: আল জাজিরা

ছবি: আল জাজিরা

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজায় ইসরায়েল-হামাসের যুদ্ধবিরতির আলোচনায় মাঝেই রাফাহতে স্থল হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের একটি প্রতিনিধি দল মিশরের রাজধানীতে যুদ্ধবিরতি এবং বন্দী-মুক্তি আলোচনার জন্য রয়েছেন। সূত্র বলছে যুদ্বিরতির আলোচনার অগ্রগতি হয়েছে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আলোচনার মাঝেও গাজার দক্ষিণতম শহর রাফাতে স্থল আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।

ইউনাইটেড কিংডম কর্তৃক প্রকাশিত প্রতিবেদনে অনুসারে, কাতার, মিশর এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীদের সাথে দেখা করতে ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতির আলোচনার জন্য হামাসের একটি প্রতিনিধি দল শনিবার কায়রোতে পৌঁছেছে।

সূত্র আল জাজিরাকে বলেছে, আলোচনা একটি জটিল পর্যায়ে রয়েছে, কারণ একটি কাতারি প্রযুক্তিগত দল মিশরীয়দের সাথে একটি সম্ভাব্য চুক্তির বিশদ বিবরণ নিয়ে কাজ করছে।

প্রযুক্তিগত দলগুলি ইঙ্গিত দেয়, আমরা একটি চুক্তির অপারেশনাল দিকটিতে চলেছি। এই চুক্তিতে বিষয়গুলো রয়েছে তারা সেই বিষয়গুলো বিশদভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

হামাসের একজন সিনিয়র মুখপাত্র ওসামা হামদান আল জাজিরাকে বলেছেন, “এটা পরিষ্কার যে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। কিছু ভাল পয়েন্ট আছে।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা এখনও মূল বিষয় নিয়ে কথা বলছি, যা হল সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে সম্পূর্ণ প্রত্যাহার। আমরা আজ কিছু ভাল এবং ইতিবাচক উত্তর খুঁজে পেতে পারি বলে আশা করছি।

ইসরায়েল বলেছে হামাসের সাথে সম্ভাব্য চুক্তির কথঅ হলেও তারা রাফাহ আক্রমণ চালিয়ে যাবে। জাতিসংঘের সংস্থা এবং সাহায্য গোষ্ঠীগুলি দীর্ঘদিন ধরে সতর্ক করে আসছে যে স্থল অভিযানের ফলে সেখানে আশ্রয় নেওয়া ১৫ লঅখেল বেশি মানুষের জন্য বিপর্যয় নেমে আসবে।

হামদান বলেন, দুর্ভাগ্যবশত, নেতানিয়াহু একটি স্পষ্ট বিবৃতিতে বলেছেন, যা ঘটুক না কেন, যদি যুদ্ধবিরতি হয় বা না হয়, তিনি আক্রমণ চালিয়ে যাবেন। তার মানে কোন যুদ্ধবিরতি হবে না, এবং এর মানে হল যে আক্রমণ অব্যাহত থাকবে।

আল জাজিরার আহেলবারা বলেছে, আলোচনাটি হামাসকে বোঝানোর উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছে যে চুক্তির প্রথম পর্যায়ে ইসরায়েলের কাছ থেকে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি দাবি করা থেকে তাদের দূরে থাকতে হবে কারণ এটি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

গত ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা চালালে ১ হাজার ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। এ সময় ২৪০ জনেরও বেশি মানুষকে বন্দী করে নিয়ে যায় হামাস।

পরে গাজায় ইসরায়েলে হামালায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৬০০-এরও বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ৭০ শতাংশেরও বেশি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং ঐ অঞ্চলকে দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দিয়েছে।

 

;