ন্যাটোর দেশে আক্রমণ নয়, তবে এফ-১৬ দিলে ধ্বংস করা হবে: পুতিন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোভুক্ত কোনো দেশের ওপর হামলা করার পরিকল্পনা নেই রাশিয়ার। এছাড়া পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক বা বাল্টিক কোনো দেশের ওপরও হামলা চালাবে না রাশিয়া। তবে এসব দেশ যদি ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সরবরাহ করে, তবে সে যুদ্ধবিমান গুলি করে ধ্বংস করা হবে।

রাশিয়ার স্থানীয় সময় বুধবার (২৭ মার্চ) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এসব কথা বলেন।

রুশ বিমানবাহিনীর পাইলটদের উদ্দেশে পুতিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে রাশিয়ার দিকে বিস্তৃত হয়েছে। কিন্তু রাশিয়ার তাদের ওপর হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই। এ জোটভুক্ত দেশগুলোর প্রতিও কোনো আগ্রাসন দেখানো হবে না। পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক বা বাল্টিক রাষ্ট্রগুলোকে ভয় দেখানো হচ্ছে বলে যেসব কথা রটানো হয়েছে, সেগুলো সম্পূর্ণ বাজে কথা।

ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র মূলত ইউক্রেনকে অর্থ, অস্ত্র ও বুদ্ধি দিয়ে সমর্থন করে আসছে। সে কারণে ওয়াশিংটনের সঙ্গে মস্কোর যে সম্পর্ক, তা সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে।

ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দিয়ে সহায়তা করতে চাওয়া পশ্চিমা দেশগুলোকে হুঁশিয়ারি দিয়ে পুতিন বলেন, এসব যুদ্ধবিমান যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি পরিবর্তন করবে না। আমরা এখন যেমন ট্যাংক, সাঁজোয়া যান এবং একাধিক রকেট লাঞ্চারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম ধ্বংস করি, ঠিক তেমনি আমরা যুদ্ধবিমান ধ্বংস করব।

পুতিন বলেছেন, ন্যাটোর কোনো সদস্যদেশের ওপর আক্রমণাত্মক চালানোর কোনো উদ্দেশ্য আমাদের নেই। তবে হ্যাঁ যুদ্ধবিমান যদি ইউক্রেনের বাইরের কোনো দেশ থেকে যুদ্ধক্ষেত্রে আসে, সে স্থানগুলো বৈধ লক্ষ্যবস্তু হবে। সেটি যে স্থানই হোক না কেন।

বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও নেদারল্যান্ডসের মতো দেশ ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দিতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এসব দেশের একটি জোট ইউক্রেনের চালকদের প্রশিক্ষণ দেবে। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধবিমান চেয়ে অনুরোধ করা হচ্ছে।

   

ইরাকে নতুন আইন, সমকামী সম্পর্কে জড়ালে ১৫ বছরের জেল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সমকামীতাকে 'অপরাধ' হিসেবে আখ্যা দিয়ে ইরাকের পার্লামেন্টে একটি আইন পাস হয়েছে। এমন অপরাধের শাস্তি হিসেবে ১৫ বছরের কারাদণ্ডের কথা বলা হয়েছে এই আইনে। ধর্মীয় মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখার লক্ষ্যেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। এদিকে ইরাকের এমন সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো।

গতকাল শনিবার (২৮ এপ্রিল) পাস হওয়া আইনটির একটি অনুলিপি রয়টার্সের হাতে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, নৈতিক অবক্ষয় ও বিশ্বগ্রাসী সমকামিতার আহ্বানের হাত থেকে ইরাকি সমাজকে রক্ষা করা এ আইন পাসের উদ্দেশ্য।

এই আইনটি দেশটির পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ শিয়া মুসলিম দলগুলোর পৃষ্ঠপোষকতায় পাস হয়েছে।

আইনে বলা হয়েছে, যৌনবৃত্তি ও সমলিঙ্গের সম্পর্ক অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। এমন কর্মকাণ্ডে জড়ালে ১০ বছর থেকে সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এমনকি যৌনবৃত্তি ও সমকামিতা প্রচারের জন্যও কমপক্ষে সাত বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

এর আগে অবশ্য এই আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান ছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর তীব্র নিন্দার কারণে সেই আইন সংশোধন করে এখন ১৫ বছরের শাস্তির বিধান করা হয়েছে।

এদিকে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এলজিবিটিকিউ রাইটস প্রোগ্রামের ডেপুটি ডিরেক্টর রাশা ইউনেস বলেছেন, ইরাকের পার্লামেন্টে এ আইন এলজিবিটিকিউ জনগণের বিরুদ্ধে অধিকার লঙ্ঘনের শামিল এবং এতে মৌলিক মানবাধিকার ক্ষুন্ন হবে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, এই আইন পাস করা মানবাধিকার ও স্বাধীনতার জন্য হুমকি।

এদিকে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এই সংশোধনীকে বিপজ্জনক এবং উদ্বেগজনক উল্লেখ করে এক্সে লিখেছেন, ‘যিনি যেভাবে থাকতে চান, তাকে সেভাবে থাকতে দেওয়া উচিত। তাকে কারও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা উচিত নয়।’

ইরাকের আইন প্রণেতা রায়েদ আল-মালিকি এএফপিকে বলেছেন, 'এই ধরনের কাজ থেকে সমাজকে রক্ষা করার জন্য এ আইনটি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসাবে কাজ করবে।'

বর্তমান বিশ্বে ৬০টির বেশি দেশে সমকামিতাকে আইনত অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয় বলে জানিয়েছে আওয়ার ওয়ার্ল্ড। সংগঠনটির হিসাবে, ১৩০টির বেশি দেশে সমলিঙ্গের মধ্যে যৌন সম্পর্ক বৈধ।

;

২ ইউক্রেনীয়কে হত্যার অভিযোগে জার্মানিতে রুশ নাগরিক গ্রেফতার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জার্মানিতে দুই ইউক্রেনীয়কে হত্যার অভিযোগে একজন রাশিয়ান নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) স্কাই নিউজের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এক জার্মান শপিং সেন্টারে ছুরিকাঘাতের পর মারা যাওয়া দুই ইউক্রেনীয়কে হত্যার ঘটনায় ৫৭ বছর বয়সী একজন রাশিয়ান নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আপার বাভারিয়া সাউথ পুলিশ শনিবার (২৭ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে বলেছে, বাভারিয়ার মুরনাউ শহরের টেঙ্গেলম্যান সেন্টারের কাছে ৩৬ বছর বয়সী একজন ইউক্রেনীয় ব্যক্তি ছুরিকাঘাতের কারণে মারা গেছেন। দ্বিতীয় ইউক্রেনীয় ব্যক্তির বয়স ২৩ বছর। একই দিন স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় চিকিৎসারত অবস্থায় একটি হাসপাতালে মারা যান।

সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে তার বাড়িতে গ্রেফতার করা হয় তবে কিসের ভিত্তিতে সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়।

;

ইসরায়েলে ফের রকেট হামলা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে লেবাননের ইরান-সমর্থিত সশস্ত্রবাহিনী হিজবুল্লাহ ফের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। 

স্থানীয় সময় শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে এ হামলা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল। 

এদিকে, ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের হামলায় আরও এক মার্কিন সামরিক ড্রোন ভূপাতিত হয়েছে। ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি বেশ শক্তিশালী এবং গত শুক্রবার দেশটির ভেতরেই ড্রোনটিকে গুলি করে ভূপাতিত করার এই ঘটনা ঘটে।

ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনী জানায়, লেবানন থেকে অন্তত ২৬টি রকেট ছোড়া হয়েছে। এগুলো ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের বার ইয়োহাই অঞ্চলের খোলা জায়গায় আঘাত হেনেছে। মেরন পর্বতের আশপাশে আকাশ হামলা সতর্কীকরণ সাইরেন বাজানো হয়। তবে এই হামলায় কেউ হতাহত হয়নি বা কোনো ক্ষয়ক্ষতিও হয়নি বলে জানিয়েছে বাহিনী।

এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা ‘বিস্ফোরক ড্রোন ও সুনির্দিষ্ট লক্ষে আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে আল মানারা সামরিক কমান্ডের সদর দপ্তরও গোলানি ব্রিগেডের ৫১তম ব্যাটলিয়নের কিছু সদস্যের ওপর হামলা চালিয়েছে।'

ইসরারায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, নিজস্ব আকাশ হামলা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম সাফল্যের সঙ্গে লেবানন থেকে আসা এই হামলা প্রতিহত করেছে। হামলার উৎসে পাল্টা হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ।

;

গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২৭ 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফাহ শরণার্থী শিবিরে আবারও হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এতে অন্তত সাতজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের লাগামহীন বোমা হামলায় মোট ২৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হলেন। নিহতদের মধ্যে অন্তত ১০ জন শিশু রয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের কর্মকর্তা খলিল আল-হাইয়া বলেছেন, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে একটি নতুন যুদ্ধবিরতির যে প্রস্তাব করা হয়েছে, তা তারা পর্যালোচনা করছেন। কারণ ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বন্দি বিনিময় চুক্তিতে পৌঁছালে রাফাহ-তে পরিকল্পিত আক্রমণ ‘স্থগিত’ হবে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। 

জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরাইল গাজার ওপর ব্যাপকভাবে অবরোধ আরোপ করে রেখেছে। এর ফলে এই ভূখণ্ডের জনগোষ্ঠী বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দারা অনাহারের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন।

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিজে) গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত করার ঘটনা উপেক্ষা করেই গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।



;