রাজনীতিতে আসছেন প্রিয়াঙ্কার স্বামী রবার্ট



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজনৈতিক পরিবারের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও এতদিন তিনি সরাসরি অংশ নেননি রাজনীতিতে। তবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে একের পর এক ইঙ্গিত দিচ্ছেন গান্ধী পরিবারের জামাই রবার্ট বঢরা।

গান্ধী পরিবারের পারিবারিক আসন অমেঠী থেকে এবার কাকে প্রার্থী করা হবে, তা এখনও চূড়ান্ত করেনি কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতেই ভেসে বেড়াচ্ছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্বামী রবার্টের নাম। ওই আসন থেকে লড়ে রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করতে চান তিনি, তা নিয়ে আগেই ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন রবার্ট। তার দাবি, অমেঠী তাঁকে চায়।

এনডিটিভিকে রবার্ট বলেছেন, পুরো দেশ চায় তিনি যেন সক্রিয় রাজনীতিতে আসেন।

রবার্টের ভাষ্যমতে, অমেঠীর বর্তমান সাংসদ স্মৃতি ইরানি তার প্রতিশ্রুতি রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই অমেঠী পরিবর্তন চাইছে। তিনি আরও বলেন, ‘সারা ভারত থেকে আওয়াজ আসছে। সবাই চান আমি সক্রিয় রাজনীতিতে আসিভ কারণ আমি সব সময় দেশের মানুষের মধ্যেই ছিলাম। আমি ১৯৯৯ সাল থেকে অমেঠীতে প্রচারণা চালিয়েছি।’

প্রিয়াঙ্কার স্বামী আরও দাবি করেন, দুই দফা নির্বাচনের পরে বলা চলে কংগ্রেস বিজেপির থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। তার মতে, ‘মানুষ পরিবর্তন চান। তারা বিজেপি থেকে পরিত্রাণ চান। বিজেপি কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে অপব্যবহার করছে। ভারতের মানুষ গান্ধী পরিবারের সঙ্গে রয়েছেন। কারণ, তারা রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কার কঠোর পরিশ্রম দেখছেন রোজ।’

অমেঠী থেকে কংগ্রেস তাকে টিকিট দেবে কি না তা এখনও নিশ্চিত নয়, তবে রবার্ট বারবারই দাবি করে আসছেন, সেখানকার মানুষ চাইছেন এবার ওই আসন থেকে তিনিই লড়ুন।

তিনি বলেন, ‘অমেঠী চায় গান্ধী পরিবারের একজন সদস্য এখানে আসুন। তাকে তারা বিপুল পরিমাণ ভোটে জেতাবেন। সেখানকার বাসিন্দারা এটাও আশা করেন যে, আমি যদি রাজনীতিতে প্রথম পা রাখি কিংবা সাংসদ হওয়ার কথা ভাবি তা হলে যেন অমেঠী থেকেই লড়ি।’

উল্লেখ্য, দুই দিন আগেই অমেঠীতে রবার্টের সমর্থনে কয়েকটি পোস্টার লাগানো হয়েছিল। সেখানে লেখা ছিল, ‘অমেঠীর মানুষ রবার্টকেই চায়।’

কংগ্রেসের জন্য অমেঠী খুবই গুরুত্বপূর্ণ আসন। কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি অমেঠীতে বরাবর গান্ধী পরিবারের কোনও না কোনও সদস্য প্রার্থী হয়েছেন এবং জিতেছেন। অতীতে এই আসন থেকে সঞ্জয় গান্ধী, রাজীব গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

২০১৯ সাল পর্যন্ত এই কেন্দ্র থেকে কংগ্রেস জয় পেয়েছে। কিন্তু, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাহুলের বিরুদ্ধে এই আসনে জয় পান বিজেপির স্মৃতি ইরানি।

   

বন্দীদের সেনাবাহিনীতে যোগদানে ইউক্রেনের বিল পাস



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধ প্রায় তিন বছরে পেড়িয়েছে। দীর্ঘ এই সময়ে যুদ্ধ চালিয়ে আসলেও খুব একটা সুবিধা করতে পারছে না ইউক্রেন। এ পরিস্থিতিতে নতুন একটি বিল পাস করেছে ইউক্রেন পার্লামেন্ট। আর এ বিল অনুযায়ী, এখন থেকে ইউক্রেনের কারাবন্দিরা দেশটির সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পারবেন। নামতে পারবেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়েও।

বুধবার (৯ মে) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেন সরকার পার্লামেন্টে একটি বিল পাস করেছে। যার ফলে দেশটির কিছু সংখ্যক কারাবন্দী যারা দেশপ্রেমী তাদেরকে সেনা বাহিনীতে যোগদানের অনুমতি দেয়া হবে। সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ব্যাপকভাবে সৈন্য সংকটের মুখোমুখি হয়েছে এবং বিপরীতদিকে রাশিয়ান বাহিনী যুদ্ধক্ষেত্রে ক্রমেই অগ্রসর হচ্ছে। মূলত এ কারণেই ইউক্রেন সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তবে রাশিয়া যুদ্ধের শুরুতে বন্দিদের সেনাবাহিনীতে নিয়োগ দিয়ে আসছিল। আর ইউক্রেন এতদিন এ পদক্ষেপের বিরোধিতা করে আসছিল। কিন্তু এবার সৈন্য সংকটের কারণে ইউক্রেন কে এমন বিল করতে হচ্ছে । যদিও বিলটিকে আইনে পরিণত করার আগে পার্লামেন্টের চেয়ারপারসন ভারখোভনা রাদা এবং প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে স্বাক্ষর করতে হবে।

জেলেনস্কির পার্টির প্রধান এমপি ওলেনা শুলিয়াক এক ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, ‘(বিলের পক্ষে) পার্লামেন্ট হ্যাঁ ভোট দিয়েছে। খসড়া আইনটি কিছু শ্রেণির বন্দিদের জন্য সেই সম্ভাবনা উন্মুক্ত করবে যারা প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যোগদানের মাধ্যমে তাদের দেশকে রক্ষা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।’

তবে এই বন্দিদের সামরিক বাহিনীতে যোগদান হবে স্বেচ্ছায় এবং এটি শুধুমাত্র কিছু শ্রেণির বন্দিদের জন্যই উন্মুক্ত।

শুলিয়াক বলেন, যৌন সহিংসতা, দুই বা ততোধিক লোককে হত্যা, গুরুতর দুর্নীতি এবং সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে যাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে তারা সামরিক বাহিনীতে সেবা করার যোগ্য নয় বলে বিবচিত হবে।

তিনি বলেন, যেসকল বন্দির সাজা ভোগের মেয়াদ শুধুমাত্র তিন বছরের কম বাকি রয়েছে তারাই সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার যোগ্য। এছাড়া অন্য যে কোনও বন্দি সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চাইলে তাদের ক্ষমার পরিবর্তে প্যারোল মঞ্জুর করা হবে।

;

রাফাহতে ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে হবে : রাশিয়া



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুধবার (৮ মে) জোর দিয়ে বলেছে যে, রাফাহতে ইসরায়েলকে কঠোরভাবে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলতে হবে।

ইসরায়েলের ট্যাংক বহর ফিলিস্তিনের সীমান্ত নগরী রাফাহতে প্রবেশ করার পর মস্কো এই মন্তব্য করলো।

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা রিয়া নভোস্তি’র বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, এক ব্রিফিংয়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, ‘রাশিয়া এ অনুপ্রবেশকে আগ্রাসন হিসাবে দেখছে। এ ছাড়াও এই অনুপ্রবেশকে ১০ লাখেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক বসবাস করা এলাকাটিতে আরো একটি অস্থিতিশীলতার কারণ হিসেবে দেখছে মস্কো। তাই আমরা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের বিভিন্ন ধারা কঠোরভাবে মেনে চলার দাবি জানাচ্ছি।’

এদিকে, জার্মানির বিরুদ্ধে রাশিয়ার হ্যাকারদের সম্পর্কে ভিত্তিহীন রূপকথা তৈরির অভিযোগ করে বুধবার মস্কো বলেছে, ‘বার্লিনের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও অবনতির দিকে নিয়ে যাবে।’

উল্লেখ্য, তার প্রতিরক্ষা বাহিনী, মহাকাশ সংস্থা এবং ক্ষমতাসীন দলের উপর সাইবার আক্রমণ শুরু করার জন্য মস্কোকে অভিযুক্ত করার পরে রাশিয়া থেকে রাষ্ট্রদূতকে পরামর্শের জন্য প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বার্লিন।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, ‘জার্মানি নিয়মিতভাবে তাদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার হ্যাকারদের কার্যকলাপ সম্পর্কিত রূপকথার গল্পকে কাজে লাগায়। এটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উত্তেজনা বাড়ানোর জন্য করা হয়। এ ছাড়া অভিযোগের বিপরীতে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি র্জামানি।’

এদিকে বার্লিন বলেছে, দুই বছর আগে শুরু হওয়া মস্কোর সাইবার আক্রমণগুলো জার্মানির শাসক সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটদের পাশাপাশি লজিস্টিক, প্রতিরক্ষা, মহাকাশ এবং আইটি সেক্টরের কোম্পানিগুলোকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে।

বার্লিন বলেছে, নিরাপত্তার কারণে ক্ষয়-ক্ষতির বিশদ বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয়।

জাখারোভা বলেন, ‘পশ্চিমারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে একটি তথ্য যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে, এক্ষেত্রে তাদের হাতিয়ার কাল্পনিক এবং মিথ্যা গল্প। তাদের মিথ্যা দাবিগুলোর লক্ষ্য, রাশিয়া সম্পর্কে ভীতি ছড়ানো।’

জাখারোভা বলেন, ‘মস্কো থেকে জার্মান রাষ্ট্রদূতের প্রত্যাহার জার্মানিতে রাশিয়া বিরোধী মনোভাব উস্কে দেওয়ার লক্ষ্যে আরেকটি অন্যায্য পদক্ষেপ ছাড়া আর কিছুই নয়, যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আরও অবনতির দিকে নিয়ে যাবে। এর পুরো দায় জার্মানির উপর বর্তায়।’

;

দক্ষিণ আফ্রিকায় ভবন ধসে নিহত বেড়ে ৭, আটকা ২৯



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়েস্টার্ন কেপ প্রদেশের জর্জ শহরে একটি নির্মাণাধীন পাঁচতলা ভবন ধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাতজনে। এ ঘটনায় ধ্বংসস্তূপে এখনো আটকা পড়ে আছেন আরও ২৯ জন।

বুধবার (০৮ মে) সংবাদমাধ্যম আনাদুলু আজান্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্মাণাধীন ভবনটিতে ৭০ জনেরও বেশি শ্রমিক আটকা পড়েছিল। এরমধ্যে ৩৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে, তবে তাদের মধ্যে সাতজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও ২৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

নির্মাণাধীন ভবনটি সোমবার (০৬ মে) বিকেলে ধসে পড়ে। এতে ৭০ জনেরও বেশি শ্রমিক আটকা পড়ে। উদ্ধারকর্মীরা আরও কর্মীদের জীবিত উদ্ধারের আশায় ধ্বংসস্তূপ খনন করছে।

ওয়েস্টার্ন কেপ প্রিমিয়ার অ্যালান উইন্ড বলেছেন, ‘কর্মীদের জীবিত উদ্ধার করতে সব ধরনের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে কর্মকর্তারা জীবন বাঁচানোর দিকে মনোনিবেশ করছেন। এই পর্যায়ে এটি আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।’

প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা ভবন ধসে নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করতে, যাতে এমন বিপর্যয়ের পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে দিকেও লক্ষ্য রাখতে।

;

ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণতম 'এপ্রিল' দেখল বিশ্ব



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার মাস হিসেবে রেকর্ড করেছে 'এপ্রিল'। ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলবায়ু পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস (C3S) বলেছে, বিশ্ব রেকর্ডে সবচেয়ে গরম অনুভূত হয়েছে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে। একইসঙ্গে তাপমাত্রা রেকর্ড তালিকায় চলতি বছরের প্রতিটি মাস আগের বছরগুলোর একই মাসের তুলনায় গ্রহের সবচেয়ে উষ্ণতম হিসেবে রেকর্ড গড়েছে। খবর আল জাজিরা। 

বুধবার (৮ মে) সংস্থাটি জানায়, ২০২৩ সালের জুনের পর থেকে প্রতিটি মাস আগের বছরের একই মাসের তুলনায় রেকর্ডে গ্রহের সবচেয়ে উষ্ণতম ছিল।

এমন পরিস্থিতিকে বিজ্ঞানীরা মানবসৃষ্টের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করছেন। তারা বলছেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে জলবায়ুর এল-নিনোর প্রভাব দুর্বল হয়ে পড়ার পরও এপ্রিলে এমন গরম অনুভব করেছেন বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষ। জলবায়ুর এই ঘটনা পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের ভূপৃষ্ঠের পানিকে অস্বাভাবিকভাবে উষ্ণ করে তোলে।

সংস্থাটি বলছে, ১৮৫০-১৯০০ সালের প্রাক-শিল্প যুগ থেকে রেকর্ড করা এপ্রিল মাসের তাপমাত্রা এবার ১ দশমিক ৫৮ ডিগ্রি পর্যন্ত বেশি দেখা গেছে।

সংস্থাটির পরিচালক কার্লো বুওনটেম্পো বলেছেন, যদিও এল নিনোর মতো প্রাকৃতিক চক্রের সাথে তাপমাত্রার ভিন্নতা রয়েছে। জলবায়ুর এই পরিবর্তনের প্রধান কারণ হিসেবে জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে নির্গমন হওয়া গ্রিনহাউজ গ্যাস দায়ী।

যদিও ২০১৫ সালের প্যারিস সম্মেলনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, এই তাপমাত্রা যেন কোনোভাবেই ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির বেশি না বাড়ে, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পূর্ব ইউরোপ এবং আফ্রিকার বেশিরভাগ অঞ্চলে গরমের তীব্রতা স্বাভাবিকের থেকে বেশি রেকর্ড করা হয়েছে। যার ফলে দক্ষিণ সুদানে স্কুল বন্ধ করতে হয়েছে এবং স্লোভাকিয়ার মতো দেশগুলোতে বসন্তের সময়েও দিনের তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের (৮৬ ফারেনহাইট) উপরে রেকর্ড করা হয়েছে।

তবে এ মাসে শুধু গরমের রেকর্ডই হয়নি। ছিল বন্যা এবং খরার চরম বিপর্যয়ের মাস।

সংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশ থেকে ভিয়েতনাম পর্যন্ত দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু অংশে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ছিল। অন্যদিকে ব্রাজিল, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়া ও তানজানিয়া মারাত্মক বন্যার শিকার হয়েছে। এছাড়া পাকিস্তানে এপ্রিল মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের তুলনায় দ্বিগুণ মাত্রার রেকর্ড করা হয়েছে। যা ৬০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে দেশটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ ছিল।

কোপারনিকাসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউরোপের বেশির ভাগ অংশে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বৃষ্টি দেখা গেছে। যদিও দক্ষিণ স্পেন, ইতালি এবং পশ্চিম বলকান দেশগুলো গড়ের চেয়ে বেশি শুষ্ক ছিল। ভারী বৃষ্টিতে উত্তর আমেরিকা, মধ্য এশিয়া ও পারস্য উপসাগর এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। পূর্ব অস্ট্রেলিয়ার যেখানে ভারী বৃষ্টি হয়েছে, সেখানে দেশটির অন্য অঞ্চলে আবার প্রচণ্ড খরা দেখা দিয়েছে। একই পরিস্থিতি দেখা গেছে উত্তর মেক্সিকো ও কাসপিয়ান সাগর এলাকায়।

মহাসাগর উষ্ণ হলে তা সামুদ্রিক জীবনের জন্য ঝুঁকি তৈরি করে। এ ছাড়া বায়ুমণ্ডলে আরও বেশি আর্দ্রতা ছড়ানোর ফলে গ্রিনহাউস গ্যাস শোষণকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দেয় বলেও উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।

;