শপথ নিলেন আপিল বিভাগের তিন বিচারপতি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত তিন বিচারপতি শপথ নিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট জাজেস লাউঞ্জে এই তিন বিচারপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

সদ্য নিয়োগ পাওয়া তিন বিচারপতি হলেন- বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজ, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।

এর আগে, বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে এই তিনজনকে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পরে একই দিন দুপুরে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আপিল বিভাগে সদ্য নিয়োগ পাওয়া এই তিন বিচারপতির শপথ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান বিচারপতি তাদের শপথ পড়াবেন। শপথ গ্রহণের পর থেকে এই নিয়োগ কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে পাঁচজন বিচারপতি রয়েছেন। নতুন এই তিনজনের নিয়োগ হওয়ায় আপিল বিভাগের বিচারপতির সংখ্যা আটজনে দাঁড়াল।

   

বান্দরবানে শিশু অপহরণের দায়ে বৃদ্ধের ১৪ বছরের কারাদণ্ড



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানের পাঁচ বছরে শিশু জান্নাতুল নাঈমাকে অপহরণের দায়ে মো. শহিদুল্লাহ (৫৭) নামের এক ব্যক্তিকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে আসামিকে আদালতে তোলা হলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারক জেবুন্নাহার আয়শা এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. শহিদুল্লাহ (৫৭) কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ধইলার পাড়া গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে। বিচার চলাকালীন সময়ে তিনি জেল হাজতে বন্দি ছিলেন এবং রায় ঘোষণায় সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্র পক্ষে আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট বাসিং থুয়াই মারমা। তিনি বলেন, সাক্ষ্যপ্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামিকে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মামলায় বাদীর ছেলে অ্যাপেন্ডিসাইটিস রোগে আক্রান্ত হওয়াই ২০১৭ সালে ৮ জুলাই তাকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরবর্তীতে তাকে অপারেশন করানোর পর পুরুষ ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিতে থাকেন। সেখানে ছেলের সাথে হাসপাতালে অবস্থান করেন বাবা-মা ও পাঁচ বছরের কন্যা শিশুটিসহ পুরো পরিবার।

১২ জুলাই রাতে হাসপাতালে সেই বেডের আশেপাশে শিশুটিকে অপহরণের জন্য ঘোরাফেরা করতে থাকেন অপহরণকারী মো. শহিদুল্লাহ (৫৭)। রাত বারোটার সময় সবাই ঘুমিয়ে পড়লে সেই বেড থেকে পাচঁ বছরের কন্যা শিশু জান্নাতুল নাঈমাকে জোরপূর্বকভাবে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ সময় অন্য রোগীর স্বজনরা অপহরণকারী শহিদুল্লাহকে আটক করে পুলিশ সোপর্দ করেন। পরে নাঈমার বাবা মো. আবদুল মান্নান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেন।

আজ দুপুরে বান্দরবানে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে আসামিকে তোলা হলে সাক্ষ্য পর্যালোচনায় মামলাটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়াই অপহরণের দায়ে মো. শহিদুল্লাহকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালত। এছাড়াও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছর কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়। রায় ঘোষণার পর আসামিকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

;

রিমান্ড শেষে মিল্টন সমাদ্দার কারাগারে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিরপুর থানার মানব পাচার মামলায় বহুল আলোচিত সমালোচিত চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে দুই দফায় ৭ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) ৪ দিনের রিমান্ড শেষে মিল্টন সমাদ্দারকে আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর জোনাল টিমের সাব-ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ কামাল হোসেন।

মিল্টন সমাদ্দারের পক্ষে আব্দুস ছালাম শিকদার জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে এই জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মিরপুর মডেল থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপপরিদর্শক সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

প্রতারণার মাধ্যমে মৃত্যুর জাল সনদ তৈরির মামলায় ৩ দিন ও মানব পাচার মামলায় ৪ দিন রিমান্ডে ছিলেন মিল্টন।

এর আগে, বুধবার (১ মে) রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

সম্প্রতি মিল্টন সমাদ্দারের বিভিন্ন অপকর্ম নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। মুখ খুলতে থাকেন ভুক্তভোগীরাও। যদিও কয়েকটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন মিল্টন সমাদ্দার।

;

সোহেল চৌধুরী হত্যা

প্রতিটি মৃত আত্মাই বিচার চায়: বিচারক



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২৫ বছর আগে খুন হওয়া নব্বই দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজসহ ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

অপর দুই আসামি হলেন- ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম ও আদনান সিদ্দিকী।

আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের অতিরিক্ত প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা করে জরিমানা ও জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্ত্তীর আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় ৬ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী, তারিক সাঈদ মামুন, ফারুক আব্বাসী, সানজিদুল ইসলাম ইমন, সেলিম খান ও হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন।

রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, এই মামলার কেইস ডকেট (সিডি) পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হয়, সিডি গায়েব করা হয়েছে। আদনান সিদ্দিকী ঘটনাস্থল থেকে ধরা পড়েন। সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিয়েছেন তবে তা অনেকটা গা বাঁচিয়ে দেয়ার মতো। সোহেল চৌধুরী কোনো অখ্যাত ব্যক্তি ছিলেন না। তিনি খুন হলেন। অথচ ট্রাম্পস ক্লাবের ম্যানেজার বলেছেন, জেনেছি সোহেল চৌধুরী নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। যারা পুলিশের কাছে সাক্ষ্য দিয়েছেন তাদের অনেকেই মারা গেছেন। তাই তাদেরকে পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। জবানবন্দি গ্রহণ করা ম্যাজিস্ট্রেটরাও আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসেননি। যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন তারাও পক্ষপাতদুষ্ট ও সত্য গোপনের চেষ্টা করেছেন।

তিনি বলেন, এত বছর ধরে ফেলে রেখে মামলার বিচার না হওয়ায় মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ে। প্রতিটি মৃত আত্মায় বিচার চায়। আদনান সিদ্দিকী তার স্বীকারোক্তিতে কয়েকজনের নাম বলেছেন তবে নিজের গা বাঁচিয়ে। যে নিজের গা বাঁচিয়ে সাক্ষ্য দিতে পারে সে অন্যের নামও জড়াতে পারে। তবে যাদের নাম বলছেন তাদের কাছ থেকে কোনো আলামত উদ্ধার হয়নি। তারা যে সেখানে ছিল সেটা বিশ্বাস করার কারণ থাকা সত্ত্বেও যাদের নাম আদনান সিদ্দিকী বলেছেন তাদের মধ্যে একজনও যদি সেখানে না থাকেন বা একজনের নামও অন্তর্ভুক্ত করে থাকেন তাহলে তার ভাষ্য অনুযায়ী আসামিদের গুরুদণ্ড দেয়া ঠিক হবে না।

রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বলেন, সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি হাতে পেলে আমরা দেখব আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেছে কি না। এরপর সিদ্ধান্ত নেবো এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলে যাবো কি না?

আসামি ইমনের পক্ষের আইনজীবী ফারুক আহম্মাদ বলেন, রায়ে আমরা অনেক খুশি। আসামি ইমন দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে এই মামলায় কারাগারে আটক ছিলেন। আসামি ইমন এ মামলায় কোনোভাবেই জড়িত ছিলেন না। বিনা কারণে ১৬ বছর ধরে জেল হাজতে তাকে আটক রাখা হয়েছিল। এজন্য আমরা খুশি, আসামি ইমন খালাস পেয়েছেন। আদালত ন্যায় বিচার করেছেন।

;

সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায়

আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ৩ আসামির যাবজ্জীবন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা: আজিজ মোহাম্মদসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন

সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা: আজিজ মোহাম্মদসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন

  • Font increase
  • Font Decrease

২৫ বছর আগে খুন হওয়া নব্বই দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজসহ ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

অপর দুই আসামি হলেন, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম ও আদনান সিদ্দিকী।

আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের অতিরিক্ত প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা করে জরিমানা ও জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় বাকী ছয় আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী, তারিক সাঈদ মামুন, ফারুক আব্বাসী, সানজিদুল ইসলাম ইমন, সেলিম খান ও হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী এ রায় ঘোষণা করেন।

১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর বনানীর ১৭ নম্বর রোডের আবেদীন টাওয়ারে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা যান নায়ক সোহেল চৌধুরী। ওই ঘটনায় সোহেল চৌধুরীর ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী রাজধানীর গুলশান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলাটির তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

পুলিশি তদন্তে উঠে আসে আলোচিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই, ট্রাম্প ক্লাবের মালিক বান্টি ইসলামের সঙ্গে বিরোধের জেরে ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়।

২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন আদালত। ওই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে এক আসামি হাইকোর্টে মামলার বিচার ঝুলে যায়। দীর্ঘ ২১ বছর পর হাইকোর্টের আদেশে ২০২২ সালে ফের মামলাটির বিচার শুরু হয়।

মামলাটির তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ নথীপত্র (কেস ডকেট) পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক ফরিদ উদ্দিন এক দরখাস্ত দিয়ে মহানগর পিপির দপ্তর থেকে নিয়ে যান। সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) সাদিয়া আফরিন জানান, আদালতের নির্দেশের পরও ফরিদ উদ্দিন উক্ত কেস ডকেট ফেরত দেননি।

মামলার নথী অনুযায়ী, ট্রাম্প ক্লাবের কার্যক্রম চলত বনানীর আবেদিন টাওয়ারের সপ্তম তলায়। ক্লাবের পশ্চিম পাশে ছিল একটি জামে মসজিদ। জবানবন্দিতে একাধিক সাক্ষী বলেছেন, ওই ক্লাবে নাচ-গানসহ অসামাজিক কার্যক্রম চলত। ক্লাবের অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে স্থানীয় মুসল্লিদের পক্ষে অবস্থান নেন সোহেল চৌধুরী।

ওই দিন রাতে বনানীর ট্রাম্প ক্লাবে গান বন্ধ করতে বলেছিলেন সোহেল ও তাঁর বন্ধুরা। গান বন্ধ করা নিয়ে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেলের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সোহেল চৌধুরী আজিজের ওপর খেপে যান। তখন সোহেলের বন্ধু কালা নাসির আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে গুলি করতে যান। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। ট্রাম্প ক্লাবের কাজ ব্যাহত হলে সোহেল চৌধুরীকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন আসামিরা।

সোহেল চৌধুরীর মা নূরজাহান বেগম আদালতকে বলেন, হত্যাকাণ্ডের দিন রাত দুইটায় সোহেল বাসায় ফেরেন। পরে সোহেল আবার ক্লাবে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকে দুটি গুলি করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সোহেল খুন হওয়ার ১৫ থেকে ২০ দিন আগে টেলিফোনে আজিজ মোহাম্মদ ভাই ও বান্টি ইসলামের লোকজন তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন।

মামলাটিতে রায় দেওয়ার আগে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

;