সোহেল চৌধুরী হত্যা

প্রতিটি মৃত আত্মাই বিচার চায়: বিচারক



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২৫ বছর আগে খুন হওয়া নব্বই দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজসহ ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

অপর দুই আসামি হলেন- ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম ও আদনান সিদ্দিকী।

আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের অতিরিক্ত প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা করে জরিমানা ও জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্ত্তীর আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় ৬ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী, তারিক সাঈদ মামুন, ফারুক আব্বাসী, সানজিদুল ইসলাম ইমন, সেলিম খান ও হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন।

রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, এই মামলার কেইস ডকেট (সিডি) পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হয়, সিডি গায়েব করা হয়েছে। আদনান সিদ্দিকী ঘটনাস্থল থেকে ধরা পড়েন। সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিয়েছেন তবে তা অনেকটা গা বাঁচিয়ে দেয়ার মতো। সোহেল চৌধুরী কোনো অখ্যাত ব্যক্তি ছিলেন না। তিনি খুন হলেন। অথচ ট্রাম্পস ক্লাবের ম্যানেজার বলেছেন, জেনেছি সোহেল চৌধুরী নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। যারা পুলিশের কাছে সাক্ষ্য দিয়েছেন তাদের অনেকেই মারা গেছেন। তাই তাদেরকে পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। জবানবন্দি গ্রহণ করা ম্যাজিস্ট্রেটরাও আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসেননি। যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন তারাও পক্ষপাতদুষ্ট ও সত্য গোপনের চেষ্টা করেছেন।

তিনি বলেন, এত বছর ধরে ফেলে রেখে মামলার বিচার না হওয়ায় মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ে। প্রতিটি মৃত আত্মায় বিচার চায়। আদনান সিদ্দিকী তার স্বীকারোক্তিতে কয়েকজনের নাম বলেছেন তবে নিজের গা বাঁচিয়ে। যে নিজের গা বাঁচিয়ে সাক্ষ্য দিতে পারে সে অন্যের নামও জড়াতে পারে। তবে যাদের নাম বলছেন তাদের কাছ থেকে কোনো আলামত উদ্ধার হয়নি। তারা যে সেখানে ছিল সেটা বিশ্বাস করার কারণ থাকা সত্ত্বেও যাদের নাম আদনান সিদ্দিকী বলেছেন তাদের মধ্যে একজনও যদি সেখানে না থাকেন বা একজনের নামও অন্তর্ভুক্ত করে থাকেন তাহলে তার ভাষ্য অনুযায়ী আসামিদের গুরুদণ্ড দেয়া ঠিক হবে না।

রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বলেন, সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি হাতে পেলে আমরা দেখব আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেছে কি না। এরপর সিদ্ধান্ত নেবো এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলে যাবো কি না?

আসামি ইমনের পক্ষের আইনজীবী ফারুক আহম্মাদ বলেন, রায়ে আমরা অনেক খুশি। আসামি ইমন দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে এই মামলায় কারাগারে আটক ছিলেন। আসামি ইমন এ মামলায় কোনোভাবেই জড়িত ছিলেন না। বিনা কারণে ১৬ বছর ধরে জেল হাজতে তাকে আটক রাখা হয়েছিল। এজন্য আমরা খুশি, আসামি ইমন খালাস পেয়েছেন। আদালত ন্যায় বিচার করেছেন।

   

নওগাঁয় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
নওগাঁয় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

নওগাঁয় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার ভেড়ম সোনাদিঘী আদিবাসী পাড়া এলাকায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রোববার (১৯ মে) দুপুরে নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত লুবিন বাস্কে (৭৫) ধামইরহাট উপজেলার ভেড়ম সোনদিঘী আদিবাসী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভেড়ম সোনাদিঘী আদিবাসী পাড়া গ্রামের লুবিন বাস্কের সঙ্গে তার স্ত্রী মালতী রানীর (৫৫) প্রায় পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিকেল ৫টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে লুবিন বাস্কে তার স্ত্রী মালতী রানীকে বাঁশের লাঠি দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় উপর্যুপরি আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই মালতী রানীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পরদিন লুবিন বাস্কের বড় ভাইয়ের স্ত্রী শ্যামলী মর্মু বাদী হয়ে ধামইরহাট থানায় মামলা করেন। ২০২২ সালের ২৪ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করে লুবিন বাস্কের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

অভিযোগপত্রে রাষ্ট্রপক্ষের ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জন সাক্ষী আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেন। রাষ্ট্রপক্ষের উপস্থাপিত সাক্ষ্য-প্রমানে আসামি লুবিন বাস্কের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দণ্ডিত করেন নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ। একই সঙ্গে এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন নওগাঁ জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (পি.পি) আব্দুল খালেক। আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী এস এম মর্তুজা মহাতাব উদ্দিন।

;

আত্মসমর্পণের পর বিএনপি নেতা ইশরাক কারাগারে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আত্মসমর্পণের পর সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

পল্টন থানার নাশকতার এক মামলায় রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ। তিনি বলেন, আজ ইশরাকের ১২ মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত ১১ মামলায় তার স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন। তবে পল্টন থানার এক মামলায় জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষোভ থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা কাকরাইল মোড় থেকে আরামবাগ পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন, সরকারি স্থাপনা ও সরকারি গাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করে।

সংঘর্ষের ফলে পুলিশের ৪১ জন আহত এবং এক সদস্য নিহত হন। এক পর্যায়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বিকাল ৩টার দিকে মহাসমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করেন। পরে ওইদিন সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে বিএনপির অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বেশকিছু সংবাদ মাধ্যমের সামনে উপস্থিত হন। তখন এক নম্বর আসামি মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফী ওরফে মিয়া আরাফী নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হিসেবে পরিচয় দেন।

পরে ২৯ অক্টোবর রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় তার বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলাটি করেন মহিউদ্দিন শিকদার নামে গোপালগঞ্জের এক বাসিন্দা। মামলায় আরেফী ছাড়াও বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন এবং অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল হাসান সোরাওয়ার্দীকে আসামি করা হয়।

;

ধর্ষণের অভিযোগে জুজুৎসুর নিউটনসহ ২ জন রিমান্ডে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ধর্ষণের অভিযোগে জুজুৎসুর নিউটনসহ ২ জন রিমান্ডে

ধর্ষণের অভিযোগে জুজুৎসুর নিউটনসহ ২ জন রিমান্ডে

  • Font increase
  • Font Decrease

ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম নিউটন ও তার সহযোগী সুমাইয়ার এক দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (১৯ মে) মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাকিল জোয়ার্দার আসামিদের আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।

এসময় আসামিদের পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে এই জামিনের বিরোধিতা করে রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। বিকালে শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত তাদের ১ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ১৮ মে রাজধানীর শাহ আলী ও মিরপুর এলাকা থেকে নিউটন ও তার এক সহযোগীকে আটক করেন র‌্যাব।

র‌্যাবের দাবি, অ্যাসোসিয়েশনের অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে খেলোয়াড়দের ধর্ষণের মাধ্যমে অন্তঃসত্ত্বা ও গর্ভপাত করাতো, এমনকি মেয়েদের পোশাক পরিবর্তনের কক্ষে প্রবেশ করে তাদের জোরপূর্বক নগ্ন ভিডিও ধারণ করে রাখতো। এসব কাজে তাকে সহায়তা করতো অ্যাসোসিয়েশনের আরেক নারী খেলোয়াড় সুমাইয়া।

এই ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের একজন নারী খেলোয়াড় রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

সম্প্রতি সম্প্রতি নিউটনের বিরুদ্ধে সোনাজয়ী ক্রীড়াবিদসহ একাধিক নারী খেলোয়াড়কে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। একজন অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হয়। এমনকি এক পর্যায়ে গর্ভপাতও করানো হয় তার। সুমাইয়া আক্তার নামের জুজুৎসুর আরেক নারী খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে এসব কাজে নিউটনকে সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে।

;

এসএমসি প্লাসের সব ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস প্রত্যাহারের নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বাজারে থাকা এসএমসি প্লাসের সব ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত। একই সঙ্গে বাজারজাতকারী একমি'র তানভীর সিনহাকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রোববার (১৯ মে) বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবার এ নির্দেশ দেন।

এর আগে, গত মঙ্গলবার (১৪ মে) বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ক্ষমতাপ্রাপ্ত নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল হোসেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বাজারে বিক্রি হওয়া অনুমোদনহীন পাঁচটি কোম্পানির ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকসের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তার প্রেক্ষিতে এসএমসি প্লাস, প্রাণের এক্টিভ, ব্রুভানা, রিচার্জ ও টারবোর ড্রিংকসের মালিককে তলব করেন আদালত।

আজ সকালে আদালতে উপস্থিত হয়ে দোষ স্বীকার করে জামিন চান একমির কর্ণধার তানভীর সিনহা। এসময় তানভীর সিনহা বলেন, এতে তাদের দোষ নেই কারণ তারা জানতেন না, এটার লাইসেন্স নেই। পরে আদালত তাকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করেন। সেই সঙ্গে বাজার থেকে সব এসএমসি প্লাস প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিরাপদ কর্তৃপক্ষের পরিদর্শক কামরুল হাসান।

;