এনু-রূপনের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
ক্যাসিনোমানিলন্ডারিং আইনের মামলায় মতিঝিলের ক্যাসিনো কাণ্ডের আলোচিত গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এনামুল হক ওরফে এনু ভুঁইয়া এবং তার ভাই থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রূপন ভূঁইয়ার চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির ইন্সপেক্টর মেহেদী মাকসুদ। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেফতার করে সিআইডি। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২২টি জমির দলিল, পাঁচটি গাড়ির কাগজপত্র ও ৯১টি ব্যাংক হিসাবে ১৯ কোটি থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া নগদ ৪০ লাখ টাকা জব্দ করা হয়েছে।
গত বছরের অক্টোবরে ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রূপনের বাসা থেকে নগদ ১৭ লাখ ১৬ হাজার ৩০০ টাকা এবং পাঁচ হাজার ১৬৩ গ্রাম ওজনের স্বর্ণালংকার, যার আনুমানিক মূল্য দুই কোটি ৫০ লাখ টাকা জব্দ করে।
আরো পড়ুন: এনু-রূপনকে ১০ দিন রিমান্ডের আবেদন
এনামুল হক এবং তার ভাই রূপন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে দু’টি আলাদা মামলা করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে করা বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
মামলার এজহারে বলা হয়, এনামুল অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে ২১ কোটি ৮৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন তারা। তাদের অবৈধ অর্থ অর্জনে সহায়তা করেছেন ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের কর্মচারী আবুল কালাম ও এনামুলের বন্ধু হিসেবে পরিচিত হারুন অর রশিদ।
রূপন ভূঁইয়া অসৎ উদ্দেশে বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে নামে-বেনামে ১৪ কোটি ১২ লাখ ৯৫ হাজার ৮৮২ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।