রাজীবের বাসা থেকে ৫ কোটি টাকার চেক উদ্ধার

  ক্যাসিনো


স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারিকুজ্জামান রাজীব

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারিকুজ্জামান রাজীব

  • Font increase
  • Font Decrease

সন্ত্রাসবাদ, দখলদারিত্ব এবং চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারিকুজ্জামান রাজীবের মোহাম্মদপুরের বাসায় থেকে ৫ কোটি টাকার একটি চেক উদ্ধার করেছে র‌্যাব।

বোরবার (২০ অক্টোবর) ভোর রাতে রাজীবের শিয়া মসজিদের সংলগ্ন মোহাম্মদীয়া হাইজিং সোসাইটির বাসায় এবং তার কার্যালয়ে অভিযান শেষে সাংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।

সারওয়ার আলম জানান, গভীর রাতে তাকে নিয়েই তার বাসায় অভিযান চালিয়ে সেখানে তেমন কিছুই পাওয়া যায়নি। তবে রাজীবের এক আত্মীয়ের জমা দেওয়া একটি চেক উদ্ধার করা গেছে। সেই চেক দিয়ে একটি ব্যাংকে ৫ কোটি টাকা জমা দেওয়া হয়েছিলো। সেটি খতিয়ে দেখা হবে।

র‌্যাবের এই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, তার বৈধ আয়ের কোন প্রমাণ আমরা পায়নি। তার রাজকীয় বাড়ি-গাড়ি আমাদের কাছে জ্ঞাত বহির্ভূত আয় বলে মনে হয়েছে।

র‌্যাব জানায়, বাসার পর কাউন্সিলর কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে সেখানেও কিছুই পাওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে,  তার বাড়ি এবং কার্যালয় থেকে আগেই জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

গ্রেফতারের পর রাজীবকে র‌্যাব-১ এর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন:

কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীব আটক

কে এই ভিআইপি কাউন্সিলর রাজীব!

কাউন্সিলর রাজীবের বাসায় অভিযানে র‍্যাব

সুনির্দিষ্ট অভিযোগে রাজীব গ্রেফতার: র‍্যাব

রাশেদ খান মেনন পেতেন ক্যাসিনোর টাকা!

   

নওগাঁয় ঐতিহ্যবাহী হুর মাজার মেলা অনুষ্ঠিত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম নওগাঁ
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার চেরাগপুর ইউনিয়নের চেরাগপুর গ্রামে ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ হুর মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এখানে ‘হুর’ মানে কোন রমনি কে বুঝানো হয়না। গ্রামের একটি বিশেষ বট গাছের নিচে দিনব্যাপী হুড় হুড় (তাড়াহুড়ো) করে এ মেলা শুরু ও শেষ হয় বলে একে হুর মেলা বলে।

এবারের মেলায় প্রায় দুই শতাধিক বিভিন্ন দোকান পসরা সাজিয়ে বসেছে। দিনব্যাপী মেলায় প্রায় ৩০ লাখ টাকার বেচাকেনার আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।

এ মাজারে মনের বিশ্বাসে মানত করেন নানান ধর্মের মানুষ। তবে উদ্যেশ্য যাই হোক কেন, মনোবাসনা পূরণই যেন সকলের প্রত্যাশা। গ্রামীণ এ মেলার মধ্য দিয়ে সম্প্রতির বন্ধন অটুট হবে এমন প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।

চেরাগপুর গ্রামের পুকুর পাড়ে একটি বিশেষ বট গাছের নিচে মাটির একটি ঘরের মধ্যে মন্ডপ ও মাজার। আর এ মাজারে ধর্ম-বর্ণ বিনিশেষে সকল শ্রেনীর মানুষরা মানত করে থাকেন।

প্রতি বছরের পহেলা বৈশাখের দ্বিতীয় রবিবার এ বটগাছের নিচে মেলা হয়ে থাকে। তবে এ বছর থেকে জৈষ্ঠ্য মাসের রবিবার মেলা হয়। কৃষিপ্রধান এলাকা হওয়ায় ধান কাটা ও মাড়াইয়ের পর বটগাছের আশপাশেসহ ফাঁকা মাঠে এই মেলা হয়। এটি ঐতিহ্যবাহী ‘হুর মাজার মেলা’ নামে পরিচিত।

এবারের মেলায় বিভিন্ন পদের মিষ্টান্ন ও খাবারের দোকান, খেলনা সামগ্রী, কসমেটিক, মৌসুমি ফল এবং কৃষি যন্ত্রপাতিসহ আসবাবপত্রের দোকান দিয়ে সাজানো হয়েছে। এমনকি রুই, কাতলা ও পাঙ্গাস মাছ এবং গরু ও মহিষের মাংসও বিক্রি হয়। দিনব্যাপী এ মেলা হলেও কসমেটিক ও কাঠের আসবাবপত্রের দোকান থাকে আরো কয়েকদিন।

মানত করে যাদের মনোবাসনা পুরণ হয় তারা এ মাজারে এসে রান্না করে সবার মাঝে খাবার বিতরণ করেন। আবার অনেকে এখানে পরিবারের সবাই দল বেঁধে এসে রান্না করে খান। আশপাশের অন্তত ১৮-২০ টি গ্রামের মানুষের পদচারণায় মেলা প্রাঙ্গন এক মিলন মেলায় পরিনত হয়।

স্থানীয়রা জানান, হুর মেলাকে কেন্দ্র করে আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে এ মেলায় মানুষ আসে। এ ছাড়া মেয়ে ও জামাইকে দাওয়াত করে নিয়ে আসা হয়। একদিনের জন্য গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনদের আগমনে যেন আনন্দ উৎসব বিরাজ করে।

মাজারের খাদেম শুকচান বলেন, ‘বিভিন্ন ধর্মের মানুষরা মানত করে থাকে। তাদের আশা পুরন হলে পরে এ মাজারে এসে রান্না করে সবাইকে খাওয়ায়। দেশ স্বাধীনের পর থেকে বটগাছের নিচে এ মাজারে মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।’

মিষ্টির দোকানী উজ্জল কুমার বলেন, ‘দিনব্যাপী মেলা হলেও একদিন আগে এসে বিকাল থেকে দোকান সাজিয়ে বেচাকেনা শুরু করেছি। দিনব্যাপী মেলায় লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন মিষ্টান্ন বিক্রি হয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় এবার বেচাকেনা কিছুটা কম। কারন হতে পারে মানুষের এখনো ধান কাটা-মাড়াই শেষ হয়নি। হয়ত টাকা-পয়সা নেই। এ কারণে মেলায় মানুষের আগমন কিছুটা কম।’

মেলা কমিটির সভাপতি ও ইউপি মেম্বার জাকির হোসেন বলেন, ‘প্রাচীনতম এ হুর মেলায় ধর্মবর্ণ বির্নিশেষে বিভিন্ন এলাকা থেকে সকল শ্রেনী পেশার মানুষের আগমন ঘটে। তবে কবে থেকে এ মেলা হয়ে আসছে তা জানেন না স্থানীয়রা। তবে দেশ স্বাধীনদের পর থেকে এ মেলা হয়ে আসছে। একদিনের জন্য এ গ্রাম মিলন মেলায় পরিনত হয়। মেলায় প্রায় দুই শতাধিক বিভিন্ন দোকান অংশ নিয়েছে।’

  ক্যাসিনো

;

নিজস্ব উদ্ভাবন, ফেঞ্চুগঞ্জে নিরবিছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেড় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কুশিয়ারা নদীর পানি দিয়ে চলে ফেঞ্চুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্র। নদীটির তীরে অবস্থিত পাম্প হাউজ মনিটরিং নিয়ে বিড়ম্বনার অন্ত ছিল না। কখনও নাব্যতা কমে যাওয়া, কখনও মোটরের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পানি সরবরাহ নিয়ে নাকাল ছিল বিদুৎকেন্দ্রটি।

পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে মূল বিদ্যুৎকেন্দ্রও বন্ধ হয়ে যেতো। গত বছরও ৩১বার বিভ্রাটের কবলে পড়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। এরপর নির্বাহী প্রকৌশলী ওয়াহিদুল আলম, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোস্তাফিজ আহমেদ ও সহকারী প্রকৌশলী নয়বিৎ মন্ডল নিজেরাই তাক লাগানো সমাধান এনে দিয়েছেন। তাদের উদ্ভাবন স্বস্তি এনে দিয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটিকে।

যে কাজে বিদেশি কনসালটেন্ট ভাড়া করতে হলে অর্ধকোটি টাকার উপরে খরচ হতে পারতো, ওয়াহিদুল ইসলামরা সেই কাজ করেছেন মাত্র ৩০ হাজার টাকা খরচে। এখন আরও তাদের দেড় কিলোমিটার দূরে গিয়ে পাম্প হাউজ দেখে আসতে হয় না। যেকোনো জায়গায় বসেই পাম্প অপরেট করা যাচ্ছে। পানির স্তরও জেনে যাচ্ছেন এক ক্লিকেই।

প্রকৌশলী ওয়াহিদ আলম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আগে প্রতি মাসেই পাম্প পুড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটতো। এতে করে ফেঞ্চুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনের ২টি স্টিম টারবাইন, ৪টি গ্যাস টারবাইন, ৪টি এইচআরএসজি কুলিংয়ের পানি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটতো। এ কারণে ১৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিভ্রাট দেখা দিতো। গত ৪ মাস থেকে প্রোগ্রামেবল লজিক কন্ট্রোলার সফটওয়ারের মাধ্যমে প্রোগ্রাম তৈরি করায় এখন সব সংকট দূর হয়ে গেছে। এখন অফিসে বসেই সব সমস্যার সমাধান করা যাচ্ছে। কোনো রকম যান্ত্রিক ত্রুটি হলে সঙ্গে সঙ্গে ধরতে পারছি। আগে দেড় কিলোমিটার দূর পাম্প হাউজে গিয়ে তারপর সমস্যা চিহ্নিত করতে হতো। এতে করে বছরের প্রায় ৬০ থেকে ৭০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।’

ওয়াহিদুল ইসলাম ও তারে টিমের সদস্যদের ভাবনার জায়গাটিও আশান্বিত হওয়ার মতো। ফেঞ্চুগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্র চিত্ত-বিনোদনের কোনো ব্যবস্থা নেই। অবসর সময় কাটাতে তারা উদ্ভাবনীতে মনোনিবেশ করেন। আর শুরুতেই প্রাধান্য পায় দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত সমস্যা পাম্প হাউজ।

আগে সরেজমিন গিয়ে দেখে আসতে হতো পাম্প হাউজ ও নদীর নাব্যতা। লোকবল সংকটের কারণে মনিটরিং করা কঠিন হয়ে পড়তো। এতে করে নানা রকম সংকট দেখা দিতো। আর সংকটের শেষ ধাপে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বিকল হয়ে বসে যেতো। এ কারণে সংকট ছিল প্রতি মাসের চিত্র। সেই সংকট দূর করে হিরোতে পরিণত হয়েছে ফেঞ্চুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী ওয়াহিদুল ইসলাম ও তার টিম।

টিমটি তাদের উদ্ভাবন নিয়ে হাজির হয়েছিলেন বিদ্যুৎ বিভাগ আয়োজিত ‘ইনোভেশন শোকেসিং-২০২৪ এ।’ এতে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের উদ্ভাবন নিয়ে হাজির হয়। ওয়াহিদুল ইসলাম দাবি করেছেন ফেঞ্চুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওই পদ্ধতি বৃহত্তর পরিসরে পাইলটিং করার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অন্যান্য বিদ্যুৎকেন্দ্র, ওয়াসা, মেরিন ভেসেলে হুবহু পদ্ধতি ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে।

উদ্ভাবন শোকেসিং আয়োজনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিকল্প ও সহজলভ্য উৎস আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের সমস্যা আমাদেরকেই আমাদের মতো করে সমাধান করতে হবে। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্ট (এআই) এখনই অনেক সমস্যার সমাধান করে দিচ্ছে। এআই-এর ব্যবহার বাড়িয়ে গ্রাহক সন্তুষ্টিতে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। প্রযুক্তির ব্যবহার যতো বাড়বে অর্থ ও সময়ের সাশ্রয় ততো হবে। একই সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক সাফল্যও নিশ্চিত হবে।’

উল্লেখ্য, ইনোভেশন শোকেসিং ২০২৪-এ আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড (এপিএসসিএল) থ্রি-ডি প্রিন্টারের মাধ্যমে বিভিন্ন স্পেয়ার পার্টস তৈরিকরণ-এ প্রথম স্থান, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স বেজড ‘স্মার্ট কাস্টমার এসিস্ট্যান্ট- চ্যাটবট’ ২য় স্থান অর্জন করে।

  ক্যাসিনো

;

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন রাঙ্গাবালীর উপজেলা চেয়ারম্যান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম পটুয়াখালী
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ জহির উদ্দিন আহম্মেদ তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন।

রবিবার (১৯ মে) বিকালে রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ জহির উদ্দিন আহম্মেদ নিজ স্বাক্ষরিত একটি আবেদনের মাধ্যমে তার প্রার্থীতা করেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মিজানুর রহমান বলেন ‘আজ (রবিবার) মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের এর শেষ দিন ছিলো। রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ডাঃ জহির উদ্দিন আহম্মেদ তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। ২০ মে বাকি প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে।’

এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কারণ জানতে জহির উদ্দিনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সুস্পষ্ট কোনো তথ্য বা তার বক্তব্য পাওয়া না গেলেও জনশ্রুতি রয়েছে যে, তিনি ভবিষ্যতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী হবেন, তাই তিনি কারও সঙ্গে সমঝোতা করেছেন।

গত ১২ মে রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছিলো রিটার্নিং কর্মকর্তা। রবিবার একজন প্রত্যাহার করায় এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন। আগামী ৫ জুন রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

  ক্যাসিনো

;

এমপি আনোয়ার খানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ওসিকে নির্দেশ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম লক্ষ্মীপুর
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রামগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠায় এমপির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে এ লিখিত নির্দেশনা দেন রির্টানিং কর্মকর্তা প্রিংয়কা দত্ত।

ওসিকে দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের বিষয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ এবং নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পক্ষপাতিত্ব করার বিষয়ে একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন। উক্ত অভিযোগের বিষয়ে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিযোগপত্রের ছায়ালিপি এতদসঙ্গে প্রেরণ করা হলো।

রবিবার (১৯ মে) রাতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী ইমতিয়াজ আরাফাতের করা অভিযোগের ভিত্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে শনিবার (১৮ মে) রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন আনারস প্রতীকের প্রার্থী ইমতিয়াজ আরাফাত।

রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে দেওয়া চিঠিতে ইমতিয়াজ অভিযোগ করেন, সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খান আচরণ বিধি ভঙ্গ করে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন দেওয়ান বাচ্চুকে জয়ী করার লক্ষ্যে নানা পরিকল্পনা করছেন। নোয়াগাঁও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. হোসেন রানাকে নোয়াগাঁও বাজার থেকে গাড়িতে উঠিয়ে খান টাওয়ারে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে তাকে দেওয়ান বাচ্চুর পক্ষে নির্বাচনী কাজ করার জন্য নানাভাবে হুমকি-ধমকি দেন। পরে রানা কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে যান। যা নির্বাচনী আচরণবিধির পরিপন্থি।

চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান রবিবার রাতে বলেন, ‘চিঠি হাতে পাইনি। হাতে পেলে চিঠি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২য় ধাপে আগামী ২১ মে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে অনুষ্ঠিত হবে।

  ক্যাসিনো

;