লকডাউনে ভোগান্তি সঙ্গী করে ঢাকায় ফিরছে শ্রমিকরা



খন্দকার সুজন হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে দেশব্যাপী চলছে কঠোর লকডাউন। সড়ক-মহাসড়কে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন। এরই মধ্যে পোশাক কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ১ আগস্ট থেকে পোশাক কারখানা খোলার খবরে কর্মমুখী মানুষের চলাফেরা বেড়েছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে।

পর্যাপ্ত ফেরি সচল থাকায় যাত্রী পারাপারে কোনো ভোগান্তি নেই মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার দুটি নৌরুটে। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কর্মমুখী মানুষদের বিপাকে পড়তে হয়েছে সড়ক-মহাসড়ক এলাকায়।

ইঞ্জিনচালিত রিকশা, ভ্যান, সিএনজি, পিকআপ, ট্রাক, প্রাইভেট কার এবং মোটরসাইকেল করে গন্তব্যে ছুটছে এসব কর্মমুখী মানুষেরা। গন্তব্যে পৌঁছাতে গুনতে হচ্ছে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত কয়েকগুন অর্থ। মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষেরা প্রাইভেটকার এবং মোটরসাইকেল করে গন্তব্যে গেলেও নিন্মবিত্তের জন্য একমাত্র মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে ট্রাক এবং মালবাহী পিকআপ।

barta24.com

শনিবার (৩১ জুলাই) সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পাটুরিয়া ফেরিঘাট এবং ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। করোনা সংক্রমণ থেকে রেহাই পেতে কোনো সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ফেরি এবং ট্রাকে গাদাগাদি করে গন্তব্যে ছুটছে এসব কর্মমুখী মানুষেরা।

পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় আলাপ হলে সাভারমুখী যাত্রী জেসমিন সুলতানা বলেন, সাভারের একটি পোশাক কারখানায় তিন বছর ধরে চাকুরি করেন তিনি। দুই কন্যা সন্তান রেখে স্বামী বিয়ে করেছে অন্যত্র। সংসারে বাবাও নেই। মা এবং মেয়েদের নিয়ে ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়ি ছিলেন তারা। কারখানা খোলার সংবাদ পেয়ে সাভারের ভাড়া বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন তিনি।

barta24.com

গণপরিবহন বন্ধ থাকায় মাগুরা থেকে পাটুরিয়া ফেরিঘাট পর্যন্ত আসতে গুনতে হয়েছে হাজার টাকা। এবার ট্রাকে করে সাভার যাওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। তবে ট্রাকে উঠতেও বেশ ধাক্কাধাক্কি। প্রস্তুতি নেওয়ার আগেই যাত্রীতে ভরপুর হয়ে যায় পুরো ট্রাক। তাই একটু বেশি ভাড়া দিয়ে পিকআপে করে গন্তব্যে রওয়ানা হয়েছেন তিনি।

গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানা শ্রমিক আমজাদ আলী বলেন, গরিবের কোনো শান্তি নেই। অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হয়। ট্রাকে করে গন্তব্যে যাওয়ার সুযোগ পাওয়াটাও ভাগ্য বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সাথী আক্তার নামে নারায়ণগঞ্জমুখী এক যাত্রী বলেন, পাটুরিয়া থেকে গাবতলী পর্যন্ত বাস ভাড়া ১০০ টাকা। প্রাইভেটকার চালকরা সেখানে দেড় হাজার টাকা ভাড়া নিচ্ছে। কাজেই ট্রাকে করে গাবতলী যাওয়া ছাড়া বিকল্প কোন উপায় নেই। তাই নিরুপায় হয়ে ট্রাকে করে যাত্রা করেছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

barta24.com

যাত্রীদের ভাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মানিক মিয়া নামে এক পিকআপ চালক বলেন, পাটুরিয়া থেকে গাবতলী পর্যন্ত ট্রাকে ৪০০ এবং পিকআপে ৫০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। যাত্রীর চাপ থাকায় ইনকাম ভালো বলে জানান তিনি।

এসব পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে মানিকগঞ্জ জেলা ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর জাসেল হোসেন বলেন, ঢাকামুখী মানুষের জনস্রোত রয়েছে মহাসড়ক এলাকায়। যে যেভাবে পারছে গন্তব্যে ছুটছে। মানবিক কারণে ট্রাকে যাত্রী নেওয়ার পরও কোন মামলা দেওয়া হচ্ছে না বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা ঘাটেরডিজিএম জিল্লুর রহমান বলেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ১২টি এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে তিনটি ফেরি চলাচল করছে। প্রতিটি ফেরিতেই প্রচুর পরিমানে ঢাকামুখী যাত্রী রয়েছে। ভোর থেকে এই চাপ শুরু হয়েছে। তবে নৌরুটে পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় যাত্রী পারাপারে কোন ভোগান্তি নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।

   

খুলনায় ৪ কেজি গাঁজাসহ আটক ২



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনার খান জাহান আলী সেতুর টোল প্লাজা এলাকা হতে ৪ কেজি গাঁজাসহ ২ জনকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড।

শুক্রবার (১০ মে) সকাল ৫টার দিকে খুলনা জেলার রূপসা থানাধীন খান জাহান আলী সেতুর পূর্ব পার্শ্বে টোল প্লাজা সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করা হয়।

কোস্ট গার্ড জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের একটি দল জেলার রূপসা থানাধীন খান জাহান আলী সেতুর পূর্ব পার্শ্বে টোল প্লাজা সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালীন ফেনী হতে খুলনাগামী একটি বাস তল্লাশি করা হয়। এ সময় ৪ কেজি ৪৩ গ্রাম গাঁজাসহ ২ জন মাদক কারবারীকে আটক করা হয়। জব্দকৃত গাঁজা ও আটককৃত ব্যক্তিদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রূপসা থানায় হস্তান্তর করা হয়।

;

অক্ষয় তৃতীয়া উপলক্ষে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের গঙ্গাস্নান



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট বার্তা ২৪.কম, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অক্ষয় পুণ্যলাভের আশায় কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের গঙ্গাস্নান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১০ মে) আন্তর্জাতিক হরিভাবনামৃত সংঘ ও আশ্রম (Hiscoher) এর অক্ষয় তৃতীয়াব্রতম সনাতন ধর্ম্ম সম্মেলন ১৪৩১ আয়োজনে পটুয়াখালীর সাগরকন্যা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে এ গঙ্গাস্নান অনুষ্ঠিত হয়।

এদিন ভোর ৫টা থেকে আহ্বানী, সমবেত প্রার্থনা, মঙ্গলঘাট স্থাপন, শ্রী শ্রী বিষ্ণ পূজা,গঙ্গা মায়ের পূজা শেষে সকাল ১০টায় গঙ্গাস্নান করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীগুরু প্রাণপুরুষ শ্রীশ্রী জয়দেব ঠাকুর। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঠাকুরের সহধর্মিণী জগৎমাতা হরপ্রিয়া দেবী ও পরমপূজ্যপাদ ঋত্বিক মহারাজ ডাঃ রাধাস্বামী।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে কলাপাড়া পৌর মেয়র শ্রী বিপুল চন্দ্র হাওলাদার এর সভাপতিত্বে ভাগবত আলোচনা রাখেন আন্তর্জাতিক হরিভাবনামৃত সংঘ ও আশ্রমের সভাপতি ও বাগেরহাট জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. পরিতোষ রায়, ঝালকাঠি নলছিটি উপজেলার চেয়ারম্যান ছিদ্দিকুর রহমান, কুয়াকাটা শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ তীর্থযাত্রী সেবাশ্রমের সাধারণ সম্পাদক শ্রী নিহার রঞ্জন, আশ্রমের (HISCOHER) ভক্ত প্রভাষক শ্রী সঞ্জয় মন্ডল, ভক্ত শ্রী শ্যামল চন্দ্র মালো, ভক্ত শ্রী গোবিন্দ দেবনাথসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত জয়দেব ভক্তবৃন্দ।

প্রতিবছর দূর-দূরান্ত থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা গঙ্গাস্নানে আসেন। এ সময় হাজারো মানুষের কোলাহলে মুখরিত হয়ে ওঠে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। সৈকতে দেখা যায় অনেকেই স্নান শেষে পরিবার নিয়ে গীতা পাঠ করছেন, আবার কেউ প্রার্থনাসহ ধর্মীয় রীতি-নীতি মগ্ন হয়েছেন।

ভক্তরা বিশ্বাস করেন, এই দিন গঙ্গাস্নান করলে অক্ষয় পুণ্য অর্জন করা যায়। আবার অনেকেই মনে করেন, এই তিথিতে স্বয়ং নারায়ণের বাস থাকে গঙ্গায়।

অনুষ্ঠান শেষে ভক্তদের মাঝে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়। পরে বাস ও গাড়ি যোগে অক্ষয় তৃতীয়া অনুষ্ঠানের ২য় পর্ব ভক্তবৃন্দরা খুলনায় আন্তর্জাতিক হরিভাবনামৃত সংঘের কেন্দ্রীয় আশ্রমে শনি ও রোববার দুই দিনব্যাপী অষ্টপ্রহর মহানামযজ্ঞ ও পদাবলী কীর্তন অনুষ্ঠানে যোগদানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।

;

কেএনএফের ফারুকপাড়া সভাপতি র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানে রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় বান্দরবান সদরের ফারুকপাড়া কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বমকে (৩৮) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

বুধবার (৮ মে) বিকেলে বান্দরবান সদরের ফারুকপাড়ায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সানজু খুম বম একই এলাকার বাসিন্দা মুন হেয় বমের ছেলে।

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, র‌্যাব-১৫, সিপিসি-৩ বান্দরবান ক্যাম্পের আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৮ মে বিকেলে বান্দরবান সদরের ফারুকপাড়ায় অভিযান চালায়। সানজু খুম বমকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি কেএনএফের অন্যতম সদস্য এবং বান্দরবান সদরের ফারুকপাড়া কেএনএফের সভাপতি। তিনি রুমায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি, অস্ত্র-গুলি লুট ও ব্যাংক ম্যানেজার অপহরণের ঘটনায় জড়িত। এছাড়া পার্বত্য অঞ্চলে অবস্থানরত অন্যান্য কেএনএফ সদস্যদের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। তিনি কেএনএফের রসদ সরবরাহের কাজে নিয়োজিত ছিলেন।

বান্দরবান আদালতের জিআরও বিশ্বজিৎ সিংহ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, র‌্যাব সানজু খুম বমকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করার পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে বান্দরবান চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে। এসময় আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুল হক আসামিকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এপর্যন্ত মোট ৮৪ কেএনএফ সদস্য ও একজন চাঁদের গাড়ির চালকসহ মোট ৮৫ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৪ জন নারী রয়েছেন।

বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে প্রকাশ্যে ব্যাংক লুটের পর বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ ও সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় এ পর্যন্ত রুমাতে পাঁচটি ও থানচিতে চারটিসহ মোট ৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বান্দরবানে গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’র সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে সমগ্র বান্দরবান জুড়ে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে।

;

কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় অজ্ঞাত এক গাড়ির ধাক্কায় মো. ইয়াছিন (২৬) নামে ফেনীর এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ইয়াছিন ফেনীর পরশুরাম উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের রাজষপুর পাগলীর কুল হরবাতলী গ্রামের আমিন মিয়ার ছোট ছেলে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সন্ধায় মহাসড়কের ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ইয়াছিন কর্মসূত্রে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় থাকতেন। বৃহস্পতিবার সড়কে মোটরসাইকেল নিয়ে চলাচলরত অবস্থায় একটি অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় সড়কে ছিটকে পড়েন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের স্বজন তামজিদ হোসাইন রোহান কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, দুর্ঘটনার পর ইয়াছিন সড়কে পড়ে থাকলেও আশপাশের সবাই তখন ব্যস্ত ছিলেন ছবি তুলতে ও ভিডিও করতে। কেউ তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার জন্য এগিয়ে আসেনি। হাসপাতালে নিতে দেরি হওয়ায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। সে এতো তাড়াতাড়ি আমাদের ছেড়ে চলে যাবে কখনো ভাবিনি।

চিথলিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য পেয়ার আহম্মদ বলেন, পরিবারে চার ভাইয়ের মধ্যে ইয়াছিন সবার ছোট ছিল। ছেলে হিসেবে অনেক ভালো ছিল। তার আকস্মিক মৃত্যু কেউ মেনে নিতে পারছে না। পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শুক্রবার (১০ মে) বিকেল ৪টায় বাড়ির পাশে জানাজা শেষে তার দাফন সম্পন্ন হবে।

ময়নামতি হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার বলেন, অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

;