সংগীতশিল্পীর আড়ালে মাদকের কারবার করতেন রেবেল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
এনামুল কবির রেবেল

এনামুল কবির রেবেল

  • Font increase
  • Font Decrease

সংগীতশিল্পীর আড়ালে মাদকের কারবার করে ধরা পড়েছেন এনামুল কবির রেবেল।

কোটি টাকার মাদক ক্রিস্টাল মেথসহ (আইস) শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর রামপুরা এলাকা থেকে এই সংগীতশিল্পীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির খিলগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. রাশেদুল ইসলাম জানান, এনামুল কবির রেবেল ‘উচ্চারণ’ ব্যান্ডের একজন সংগীতশিল্পী। তিনি সঙ্গীতের আড়ালে মাদকের কারবার করতেন।

তিনি বলেন, রেবেল মাদক ব্যবসায়ী মো. রিপন ওরফে লিটু ওরফে ভাইজানের হয়ে কাজ করতো। তার (রেবেল) দেওয়া তথ্যে বাড্ডা এলাকায় মো. লিটুর বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে লিটুকে না পাওয়া গেলেও তার বাসা থেকে মাদকসহ বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, লিটুর মাদক ব্যবসায় রেবেল ও তার গাড়িচালক অমি সহযোগিতা করতো। পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে লিটুর মাদক ব্যবসায় সহায়তা করে আসছিল রেবেল।

তিনি আরও বলেন, একটি অনুষ্ঠান থেকে লিটুর সঙ্গে রেবেলের পরিচয় হয়। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

   

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র করার দাবিতে সংহতি সমাবেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা বন্ধ এবং ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র করার দাবিতে সংহতি সমাবেশ ও মানব পতাকা প্রদর্শন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে মার্চ ফর প্যালেস্টাইন সংগঠনের উদ্যাগে এ সমাবেশ করা হয়েছে।

এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, আজকের এই সমাবেশ থেকে আমরা গাজায় যুদ্ধ বিরতি চাচ্ছি। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিতে হবে। আমরা এই সমাবেশ থেকে তিনটা দাবি জানাচ্ছি।

সেগুলো হলো- গাজায় চলমান গণহত্যা বন্ধ করতে হবে। গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে পৃথিবীব্যাপী আমেরিকাসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন গড়ে তুলেছে এবং তাদের উপর সে দেশের সরকার যে নিপীড়ন করছে সেটা বন্ধ করতে হবে। আমেরিকা সহ বিভিন্ন দেশ
ইসরাইলকে সামরিক এবং অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করছে সেটা বন্ধ করতে হবে।

সমাবেশে লেখক ও গবেষক এবং শিক্ষা ও শিশু রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক রাখাল রাহা বলেন, ইসরাইল ফিলিস্তিনের ভূমি দখল করতে করতে তাদেরকে আজ জাতিগত উচ্ছেদ এবং জাতিগত নির্মূলের জায়গায় নিয়ে গেছে। আজকে ফিলিস্তিন এবং ইসরায়েলের মধ্যে যে যুদ্ধ চলছে সেটি জাতিগত নির্মূলের একটা আকাঙ্ক্ষা; সেটা পৃথিবীর মানুষ এখন বুঝতে পেরেছে। ফিলিস্তিনের উপরে যে নির্যাতন করা হচ্ছে, জাতিগত উচ্ছেদ আয়োজন চলছে, সেটি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।

;

ভবিষ্যত অর্থনীতিকে চাঙা করার পরিকল্পনা জানালেন অর্থমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

করনাকালীন সময়ে বৈশ্বিক অর্থনীতির সাথে বাংলাদেশও পথ হারিয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ। মন্ত্রী জানান, অর্থনীতির এই প্রভাব পড়েছে দেশের রিজার্ভ খাতেও। দেশের ৫০ বিলিয়নের রিজার্ভ কমে বর্তমানে ২০ বিলিয়নে ঠেকেছে। তবে রেমিটেন্সসহ রপ্তানি আয়ে দেশের অর্থনীতি বর্তমানে স্থিতিশীল আছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাতীয় সংসদ অধিবেশনের ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের লিখিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ তথ্য জানান। সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

আসছে বাজেটে বিনিয়োগ, উৎপাদনমুখী ও প্রবৃদ্ধি সহায়ক ঘোষণা করা হবে জানিয়ে সংসদে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল ও চাঙা করার লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে। অর্থনীতিকে গতিশীল করার লক্ষ্যে ধারাবাহিকভাবে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হচ্ছে। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে সরকারের বাজেটের আকার ছিল ৬৪ হাজার কোটি টাকা যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ১৪ হাজার ৪১৮ কোটি টাকায়। আগামী অর্থবছরেও বিনিয়োগ, উৎপাদনমুখী ও প্রবৃদ্ধি সহায়ক বাজেট ঘোষণা করা হবে।

আট খাতকে গুরুত্ব দিয়ে পরিকল্পনা বাস্তবান করা হবে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি সহায়ক খাতসমূহকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। বিশেষ করে, ভৌত ও সামাজিক অবকাঠামো খাতসমূহ। যেমন বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পরিবহন, যোগাযোগ, বন্দর উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আইসিটি খাতকে অধিকতর গুরুত্ব প্রদান করে সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবে। বিগত ১৫ বছরে সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। বিবিএস এর হিসাব অনুযায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট বিনিয়োগ জিডিপি'র ৩৩.১৫ শতাংশ হয়েছে, যার মধ্যে সরকারি বিনিয়োগ ৬.২০ শতাংশ।

অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল ও চাঙা করার অন্যতম উপায় হলো উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ। সরকার ধারাবাহিকভাবে উন্নয়নখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধিও অব্যাহত রেখেছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি'র মোট বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা যা ৯.৬ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে হয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা বলে জানান তিনি।

সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, ইতিমধ্যে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এফডিআই বৃদ্ধির মাধ্যমে বৃহৎ শিল্প কারখানা স্থাপন ও এ খাতে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ প্রতিষ্ঠানগুলো ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান নিবিড়ভাবে কাজ করছে। এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বেজা দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এছাড়া বিনিয়োগকারীদের সকল সেবা সময়াবদ্ধ ও স্বচ্ছ উপায়ে এবং একটি ডিজিটাল ইন্টার-অপারেবল প্ল্যাটফর্ম থেকে দেওয়ার লক্ষ্যে বিডা অনলাইনভিত্তিক ওয়ান স্টপ সার্ভিস পোর্টালের কার্যক্রম চালু করেছে। উক্ত পোর্টালের মাধ্যমে বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী সংস্থার প্রায় ১৫০টিরও বেশি সেবা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে বর্তমানে বিডাসহ ৩৮টি প্রতিষ্ঠানের ১১৫টি সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী কর্মজগৎ তৈরি করার মাধ্যমে অর্থনীতিতে গতি সঞ্চারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে আইটি ফ্রিল্যান্সিং, সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার শিল্প, বিপিও, ই-কমার্স, রাইড শেয়ারিং, ফিনটেক, এডুটেক, ইন্টারনেট সার্ভিস খাতে ২০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে, যা ২০২৫ সাল নাগাদ ৩০ লাখে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রায় ৫ লাখ লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্য নিয়ে চট্টগ্রামের অদূরে 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর' এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করা হয়েছে। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণসহ কর্মসংস্থান সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় ডাটাবেজ তৈরির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ ডাটাবেজের মাধ্যমে বর্তমান ও ভবিষ্যতের শ্রম বাজারের চাহিদা অনুসারে কর্মপ্রত্যাশী ও কর্মসংস্থানকারীর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা হবে এবং কর্মসংস্থানের বিষয়ে সহায়তা দেওয়া হবে। পাশাপাশি, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান এবং প্রশিক্ষিত যুবক ও যুব মহিলাদের ক্ষুদ্রঋণ-ভিত্তিক আত্মকর্মসংস্থান কার্যক্রমের চলমান ধারা অব্যাহত থাকবে।

এছাড়া, বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ১০৯টি হাই-টেক পার্ক/সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক/আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি তারা আইটি ইন্ডাস্ট্রির জনবলের চাহিদা বিবেচনা করে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ৬০ হাজার ৬৮০ জন এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ১ লাখ তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ৩৭ হাজার ৮০০ জনের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। ১৫১টির অধিক স্টার্টআপকে ১ বছর মেয়াদি ইনকিউবেশন সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

আবুল হাসান মাহমুদ আলী জানান, শ্রমবাজার সম্প্রসারণ, নিরাপদ অভিবাসন, অভিবাসীদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে আইনি কাঠামো যুগোপযোগীকরণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে কার্যকর অংশগ্রহণ ও দেশের বর্ধিত শিল্প ও সেবাখাতের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে শ্রমবাজারের চাহিদাভিত্তিক দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। রেমিট্যান্স প্রেরণে বর্ধিত ব্যয় লাঘব করা এবং বৈধপথে অর্থ প্রেরণ উৎসাহিত করতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রেরিত অর্থের ওপর ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছিল, যা বিগত ১ জানুয়ারি ২০২২ থেকে বর্ধিত করে ২.৫ শতাংশ করা হয়েছে।

তিনি জানান, রাজস্ব আয়ে গতি আনার লক্ষ্যে কর নীতি এবং রাজস্ব প্রশাসনে যুগপৎ সংস্কার সাধন করা হবে। এ প্রক্রিয়ায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের পরিমাণ জিডিপি’র শতাংশে ২০২২-২৩ অর্থবছরের পর্যায় থেকে ১.৭ শতাংশ বৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ভর্তুকি যৌক্তিকীকরণের পাশাপাশি সরকারি ঋণের ব্যয় হ্রাস এবং সার্বিকভাবে ঋণ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন করা হবে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের মধ্যে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ গ্রহণের পরিমাণ সরকারের অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে গৃহীত মোট ঋণের এক চতুর্থাংশের মধ্যে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

;

সরকারের বিরোধিতা করা বিএনপির স্বভাব: নানক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সরকারের বিরোধিতা করা বিএনপির স্বভাব: নানক

সরকারের বিরোধিতা করা বিএনপির স্বভাব: নানক

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারের বিরোধিতা করা বিএনপির স্বভাব বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) মোহাম্মদপুর টাউন হলে পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতি পাঠাগারে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভা ও মিলাদ-দোয়ায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি সরকারের বিরোধিতা করতে করতে তাদের নিজের খাসলতে পরিণত হয়েছে। যতদিন না তারা এটি থেকে বের হতে না পারবেন, লন্ডনে থাকা তারেক জিয়াকে পরিত্যাগ করতে না পারবেন ততদিন তারা রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্ত নিতেই থাকবেন।

বিএনপি নেতাদের প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের এ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বলেন, আজকে যারা বড় বড় কথা বলেন, ঘুম থেকে উঠেই আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন। শেখ হাসিনার শাসনামলের চেয়ে কোন আমল ভাল ছিল এটা আমার মঈন খানদের (বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খানকে) প্রতি প্রশ্ন।

১৯৭৫ সালের বঙ্গবন্ধু সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেনের বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পরের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের সেই ভয়াবহ ঘটনার পর তখনকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে জার্মানির ফ্রাংকফুটে বঙ্গবন্ধুর কন্যাদের সঙ্গে দেখা হয়। সেখানে তারা সেই সরকারের প্রতি তখনকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেনকে অনাস্থা জানাতে বললেও সেই প্রতিবাদটুকু বা অনাস্থা জানাতে অস্বীকার করেছিলেন তিনি।

এসময় ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার স্মৃতিচারণ করে পাটমন্ত্রী বলেন, রাজনীতির সুবাধে আমি ওয়াজেদ মিয়ার একজন অত্যন্ত স্নেহ ধন্য মানুষ ছিলাম। তার সঙ্গে অনেক স্মৃতি কথা রয়েছে। স্নেহ ধন্য মানুষ হিসেবে আমি গর্বিত তার শেষ যাত্রায় মরদেহের সঙ্গে সঙ্গী ছিলাম। আমি অনেক কথা জানি। তিনি আমাদের কাছে নিবৃত্ত জ্ঞানী, পন্ডিত ও সুধীজন ছিলেন।

ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়াকে ক্ষমতার মোহ কখনোই স্পর্শ করতে পারেনি মন্তব্য করে নানক বলেন, তার মধ্যে কোন আত্ম-অহমিকা ছিল না। স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে কারাভোগও করেন।

স্বরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ও পাঠাগার পরিচালনা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ড. মোঃ আবুল কালাম আজাদ। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক নূরুন নবী ভোলা।

স্মরণ সভা ও মিলাদ মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন চেয়ারম্যান ড. মো: শৌকত আকবর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোঃ-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মোঃ আবুল কালাম আজাদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (এমসিএইচ-সার্ভিসেস) ডাঃ মোঃ মনিরুজ্জামান সিদ্দীকী প্রমুখ।

;

রংপুরে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের মিঠাপুকুরে ষষ্ঠ শ্রেণীর এক মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় লাভলু মিয়া ওরফে লয়েট (২৩) নামে এক যুবকের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. মোস্তফা কামাল।

দণ্ডপ্রাপ্ত লাভলু মিয়া ওরফে লয়েট উপজেলার জাফরপুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে।

মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর দুপুরে জাফরপুর দাখিল মাদরাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন লাভলু মিয়া ওরফে লয়েট। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ৩ সেপ্টেম্বর লয়েটকে আসামি করে মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এদিকে লয়েটের মা ও বাবা ওই মেয়ের বাড়িতে গিয়ে তাকে মেরে ফেলার হুমকিসহ অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। এমনকি তার নামে নানা রকম কুৎসা রটাতে থাকেন। একপর্যায়ে মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে ওই বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে বিষপান করে মেয়েটি। পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা মনছুর আলী বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে লয়েটের বাবা মতিয়ার রহমান ও মা লাভলী বেগমকে আসামি করে ৩০ সেপ্টেম্বর আরও একটি মামলা দায়ের করেন। যা এখনও বিচারাধীন।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) রফিক হাসনাইন বলেন, রায়ে আসামির মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় আমরা সন্তুষ্ট। দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি।

;