উপজেলা ভোট: নিরাপত্তায় ৫ দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভোটের আগে পরে পাঁচদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে গত মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্রান্ত বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে কমিশনের একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গোয়েন্দা রিপোর্টে নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৪৯টি উপজেলাকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভোট গ্রহণের দিন পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে এমন তথ্য ইসিকে জানানো হয়। এসময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় একাধিক পরামর্শ দেওয়া হয়।

সূত্র জানায়, আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় চার ধাপের নির্বাচনে অনেক উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সংসদ সদস্যদের আত্মীয়-স্বজন প্রার্থী থাকায় পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। এছাড়া অনেক জায়গায় নিজেদের মধ্যে কোন্দল নিয়েও আলোচনা করা হয়।

গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে বিশেষ করে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিয়ে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সাধারণ ভোট কেন্দ্রে নিরাপত্তায় তিনজন অস্ত্রধারী পুলিশসহ ১৬ জন, ঝুঁকিপূর্ণ্য কেন্দ্রে চারজন অস্ত্রধারী পুলিশসহ ১৭ থেকে ১৮ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। পার্বত্য ও দুর্গম এলাকার সাধারণ কেন্দ্রে চারজন অস্ত্রধারী পুলিশসহ ১৭ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে পাঁচজন অস্ত্রধারী পুলিশসহ ১৮-১৯ জন নিয়োজিত করা হবে।

এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পাঁচদিন মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্বপালনের জন্য বিজিবি, কোস্টগার্ড, র‍্যাব, পুলিশ ও আর্মড পুলিশ মোতায়েন করা হবে। প্রতিটি উপজেলার ইউনিয়ন, পৌরসভার সংখ্যা, আয়তন, ভোটার সংখ্যার ভিত্তিতে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের সংখ্যা নির্ধারিত হবে। মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স ভোটগ্রহণের পূর্ববর্তী ২ দিন, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরবর্তী ২ দিন মোট ৫ দিনের জন্য মোতায়েন থাকবে।

এসময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হলে তা সমন্বয়ের জন্য একটি টিম গঠন করা হবে। নির্বাচনী এলাকায় মোতায়েনকৃত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট রিপোর্ট করবে এবং জেলা ম্যাজিস্টেটের সিদ্ধান্ত ও পরামর্শক্রমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবে। রিটার্নিং অফিসারের চাহিদা অনুযায়ী জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশনাক্রমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোবাইল টিম কাজ করবে।

পাশাপাশি ভোটের মাঠে প্রার্থীদের প্রচারণায় আচরণবিধি মানাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে বলে জানা গেছে। চার ধাপের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই ভোট গ্রহণের দিন পর্যন্ত প্রতি উপজেলায় একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে ভোটের আগে পরে পাঁচদিন নির্বাচনী এলাকায় অপরাধের তাৎক্ষণিক বিচারকার্য পরিচালনা করার জন্য প্রতি উপজেলায় একজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হবে।

নির্বাচন কমিশনের পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী চারধাপে ৪৭৭টি উপজেলার তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথমধাপে ১৪৮টি উপজেলা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ মে। দ্বিতীয় ধাপে ১৫৯টিতে ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২টিতে ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫৫টিতে ৫ জুন ভোট হবে।

   

সত্যজিৎ রায়ের দুই’শ বছরের পৈতৃক বৈশাখী মেলা বন্ধ, হতাশ ব্যবসায়ীরা



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)
দূর থেকে মেলায় আগত ব্যবসায়ীরা হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন

দূর থেকে মেলায় আগত ব্যবসায়ীরা হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন

  • Font increase
  • Font Decrease

অস্কার বিজয়ী কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়ির ঐতিহ্যের বৈশাখী মেলা প্রায় দুই শত বছরের পুরোনো। কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে এ মেলাটি নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে উপজেলা প্রশাসন অনুমতি দেয়নি ৷

এ কারণে দূর থেকে মেলায় আগত ব্যবসায়ীরা হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। এই খবরে এলাকাবাসীসহ দূর থেকে আগত পর্যটকদের মনে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে৷ কেননা এই মেলার জন্য একবছর ধরে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে কবি সাহিত্যিকরা দীর্ঘ প্রতীক্ষায় থাকেন।

বুধবার (৮ মে) থেকে মেলাটি শুরু হওয়ার কথা ছিল। মেলা না হওয়ায় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ওপর বড় আঘাত হিসেবে দেখছেন সংস্কৃতি কর্মী ও সাহিত্যিকরা৷ দ্রুত সময়ে প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে অচলাবস্থা নিরসন করে মেলা আয়োজনের দাবি জানান তারা৷

জানা যায়, প্রায় ২০০ বছর আগে সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষ শিশুসাহিত্যিক হরি কিশোর রায়চৌধুরী শ্রীশ্রী কালভৈরব পূজা উপলক্ষে বৈশাখের শেষ বুধবার এ মেলার প্রচলন করেছিলেন। এই রায় চৌধুরী বাড়িতেই ১৮৬০ সালে জন্মগ্রহণ করেন সত্যজিৎ রায়ের পিতামহ প্রখ্যাত শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরী। রায় চৌধুরী বাড়ির প্রায় চার একর ভূমিসহ আশপাশের বিশাল এলাকাজুড়ে এ মেলা বসে। মেলায় রকমারি পণ্যের কয়েক শ স্টল বসে। বাউলগান ও কবিতা পাঠের আসরও হয়। এতে দেশের প্রথিতযশা কবি-সাহিত্যিকরা অংশ নেন। এছাড়াও থাকে বিনোদনের নানা আয়োজনও।


স্থানীয় সূত্র ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কটিয়াদীর মসুয়া ইউনিয়নে রায় বাড়ির মাঠে প্রতিবছর মেলা হয়ে আসছে। এবছর মেলার নিয়ন্ত্রণ ও প্রভাব নিতে নজর পড়ে একটি পক্ষের। ভাগাভাগি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের একটি অংশের কোন্দল দেখা দেয়৷ এতে বিভক্তির শুরু৷ মেলা কমিটিতে নিজের পছন্দের কিছু লোককে যুক্ত করতে চেষ্টা চালান স্থানীয় মো. রুবেল হোসেন৷ তিনি যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু নিজের ইচ্ছার প্রতিফল না হওয়ায় মেলাটি বন্ধের পক্ষে অবস্থান নেন তিনি৷ যদিও তিনি এটি অস্বীকার করেছেন।

মেলা বন্ধের জন্য শুরু করেন এদিক ওদিক দৌড়ঝাঁপ। মেলার অনুমতি না দেয়ার জন্য রুবেল কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরসহ বিভিন্ন দফতরে একটি লিখিত আবেদন করেন।

আবেদনপত্রে উল্লেখ করেন, মেলার ওই দিন পাশ্ববর্তী উপজেলা পাকুন্দিয়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং কটিয়াদী ও পাকুন্দিয়া উপজেলার পোড়াবাড়ী মেলায় কিশোর গ্যাং দৌরাত্ব ভয়াবহ আকার ধারণ করার কারণে মারামারি ঘটনা থেকে খুনের ঘটনা ঘটেছে। এই মেলাতেও তা হতে পারে বলে তিনি কারণ উল্লেখ করেন৷

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এবারও সেই তারিখ অনুযায়ী বিভিন্ন জেলা থেকে হরেক রকম পণ্য নিয়ে ব্যবসায়ীরা এসে মেলার অনুমিত না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। তাদের চোখে মুখে হতাশার ছাপ৷ অনেকের কাছে ফিরে যাওয়ার ভাড়ার টাকাও নেই৷

মেলাতে নরসিংদী জেলা থেকে আসা কসমেটিক ব্যবসায়ী মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘আমি ৫ বছর ধরে এই মেলাতে এসে ব্যবসা করি। এবারও এসেছিলাম। মেলার অনুমতি না থাকায় মনডা খারাপ হইয়া গেল। যাওয়ার টাকা নেই।  খালি হাতে বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে।’

কটিয়াদী সাহিত্য সংসদের সভাপতি কবি মেরাজ রাহীম বার্তা২৪.কমকে বলেন, মেলা হচ্ছে না এটি আমাদের জন্য হতাশার৷ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ওপর আঘাত। এটি কটিয়াদী তথা কিশোরগঞ্জের জন্য ঐতিহাসিক স্থান। মেলা যেন কখনো বন্ধ না হয় এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই এটা হোম, এই দাবি জানাচ্ছি৷’


স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহ জালাল সাজু জানান, মেলা নিয়ে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রুবেলের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তিনি জেলা প্রসাশক বারবার একটি লিখিত অভিযোগ করেন। আমরা মেলার অনুমতির জন্য গেলে উপজেলা প্রশাসন মেলার অনুমতি দেয়নি।

মেলা বন্ধের পক্ষে অবস্থান নেওয়া মো. রুবেল হোসেন বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কায় মেলা বন্ধের পক্ষে আমি ছিলাম। এটা সত্য। কিন্তু মেলা নিয়ে আমার কোনো স্বার্থ বা আগ্রহ ছিল, এটি সঠিক নয়৷’ এবং বনিবনা না হওয়া এ কথাও সঠিক নয়৷

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াহিদুজ্জামান বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে বার্তা২৪.কমকে বলেন, মেলার দিন বুধবার পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ছিল। আগামী ২১ মে কটিয়াদী উপজেলা নির্বাচন থাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দিক বিবেচনা করে বৈশাখী মেলার অনুমিত দেয়নি।

নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পরে দেবেন কীনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবস্থার উন্নতি হলে পরে অনুমতির বিষয়টি বিবেচনা হতে পারে৷

;

খুলনায় ভোক্তার অভিযান, জরিমানা আদায়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনায় জহুরুল হক হাসপাতালকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের খুলনা বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানাধীন বয়রা এলাকার জহুরুল হক হাসপাতালকে মেয়াদ উত্তীর্ণ রি-এজেন্ট সংরক্ষণ, ব্যবহার ও প্রতিশ্রুত সেবা প্রদান না করা এবং ধার্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে সেবা বিক্রয় করার অপরাধে প্রশাসনিক ব্যবস্থায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের খুলনা বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় খুলনা খালিশপুর থানাধীন বয়রা এলাকায় তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করে। এসময়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী, চাল, ঔষধ, ডাব, তরমুজ, বিদেশি ফল, ডিম, ডায়াগনস্টিক, হসপিটাল ও ফ্যানের বাজার দর ও ক্রয় ভাউচার যাচাই করে এবং সকল ব্যবসায়ীকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রির নির্দেশনা প্রদান করে।

তদারকিকালে সরকার নির্ধারিত মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির জন্য ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয় এবং কেউ সরকার নির্ধারিত মূল্যের থেকে বেশি মূল্য নিলে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেন।

খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ সেলিম এর নেতৃত্বে অভিযানে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারী, ক্যাব খুলনার সদস্য, আনসার ও পুলিশ সদস্যবৃন্দ।

;

প্রধানমন্ত্রীর কাছে 'রেডি টু কুক ফিশ' হস্তান্তর করলেন প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট ‘বিএফডিসি রেডি টু কুক ফিশ’ গরুর দুধ আহরণের কাজে ব্যবহৃত একটি মিল্কিং মেশিন আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর নের্তৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর নিকট এ সামগ্রী হস্তান্তর করেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এ ধরণের কার্যক্রম বিশেষত ‘রেডি টু কুক ফিস’ কার্যক্রমের ফলে কর্মজীবী মহিলারা অনেক উপকৃত হবেন।

তিনি কর্মজীবী মহিলাদের রান্না সহজীকরণে রেডি-টু-কুক ফিশ প্রস্তুতকরণ, বাজারজাতকরণ ও বাজার সম্প্রসারণের উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং দূরদর্শী দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।

প্রধানমন্ত্রী ‘বিএফডিসি রেডি টু কুক ফিশ’ বাজারজাতকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করায় বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান।

প্রতিনিধি দলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের চিফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ডা. মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী উপস্থিত ছিলেন।

;

রো‌হিঙ্গাদের জন্য আরও ৩০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

জনসংখ্যা, শরণার্থী এবং অভিবাসন বিভাগ এবং ইউএসএআইডির মাধ্যমে বাংলাদেশে অবস্থিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তায় আরও ৩০.৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

বৃহস্প‌তিবার (৯ মে) ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস থে‌কে পাঠা‌নো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কক্সবাজার, ভাসানচর এবং এই অঞ্চলে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য অতিরিক্ত সহায়তা হিসেবে ৩০.৫ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এই তহবিলের মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টি, বিশুদ্ধ পানি এবং আশ্রয়ের জন্য জীবন রক্ষাকারী সহায়তা এবং মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরতা কমাতে স্বনির্ভরতা গড়ে তোলার উদ্যোগ।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি অ্যাম্বাসেডর জেফরি প্রেসকট যুক্তরাষ্ট্র সরকারের খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষি ও মানবিক সহায়তা কার্যক্রম দেখতে বাংলাদেশে সফরকালে নতুন এই সহায়তা তহবিলের ঘোষণা দেন।

অ্যাম্বাসেডর প্রেসকট বলেন, আমরা রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং এই সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত আশ্রয়দানকারী বাংলাদেশিদের জন্য সমর্থন অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ সরকার এবং আমাদের সব অংশীদারের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

মার্কিন দূতাবাস জানায়, মিয়ানমার, বাংলাদেশ এবং এই অঞ্চলে রোহিঙ্গা সংকটে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মানবিক সহায়তার একক বৃহত্তম দাতা যুক্তরাষ্ট্র। এই সংকটের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মোট অর্থায়ন আগস্ট ২০১৭ থেকে প্রায় ২.৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যার মধ্যে ১.৯ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশে শরণার্থী এবং আশ্রয়দানকারী জনগোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছে।

 

;