শহরের সঙ্গে জেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ



সীরাত মঞ্জুর, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগর ও পাঁচ জেলায় চলমান ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের কারণে তীব্র ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। নগর ও আশেপাশের জেলাগুলোতে বন্ধ রয়েছে বাস চলাচল। ফলে তীব্র গরমে জরুরী প্রয়োজনে বের হওয়া মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। এদিকে ধর্মঘটের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অটোরিকশা চালকরা দুই থেকে তিনগুণ অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন বলে অভিযোগ যাত্রীদের। পাশের জেলার পাশাপাশি দূরপাল্লার বাসগুলো বন্ধ থাকায় বিছিন্ন হয়ে পড়েছে চট্টগ্রামের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে এসব ভোগান্তি চোখে পড়ে। 

সকাল থেকে দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বার শাহ আমানত সেতু এলাকায় কোনো ধরণের বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি। এসময় দীর্ঘক্ষণ যাত্রীদের তীব্র রোদে দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। কেউ কেউ ফেরত গেলেও অনেকে ট্রাকে চড়ে ও দ্বিগুণ ভাড়ায় অটোরিকশা যোগে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেন। একই দৃশ্য উত্তর চট্টগ্রামের প্রবেশপথ অক্সিজেন মোড় এলাকায়ও।

জরুরি প্রয়োজনে রাঙামাটি থেকে চট্টগ্রাম শহরে এসেছেন রফিকুজ্জামান। অক্সিজেন এলাকায় পরিবার নিয়ে গাড়ির জন্য তীব্র রোদে দাঁড়িয়ে আছেন। বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমরা জরুরি কাজে চট্টগ্রামে এসেছিলাম। ধর্মঘটের বিষয়টি জানতাম না। এখন বাড়ি যাওয়ার জন্য এখানে এসেছি। এসে দেখি কোন ধরনের গাড়ি নেই, কয়েকটা অটোরিকশা থাকলেও তারা অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করছে। সিএনজি থাকলেও ওরা তিনগুণ ভাড়া চাচ্ছে। আগে জনপ্রতি ২০০ টাকা করে ভাড়া নিতো এখন ৩০০ টাকা চাচ্ছে।’

পাসপোর্টের কাজে সকালে ফটিকছড়ি থেকে মেয়েকে নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে গিয়েছেন পঞ্চাশোর্ধ্ব ইউনুছ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘সকালে সিএনজি অটোরিকশা করে এসেছি। ভাড়াও ঠিক ছিল। দুপুরে এসে দেখি। ৫০ টাকা ভাড়া বেড়ে গেছে। মানে আসতে নির্ধারিত ভাড়া নিছে, যেতে অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করছে।’

শহরের সঙ্গে জেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ। ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল
  

এদিকে খাগড়াছড়ি থেকে কাজির দেউরিতে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে আসা রাকিব হোসেন বলেন, ‘বাস নেই তাই সিএনজি করে ভেঙে ভেঙে যাব। ভাড়া অনেক বেশি চাচ্ছে, এটা আসলে জুলুম হয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশে কোন একটি কিছু হলে অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করে চালকরা। এটির সমাধান হওয়া দরকার। বাস নেই, সেজন্য অটোরিকশা করে ফটিকছড়ি যাব, সেখান থেকে আবার মানিকছড়ি যাব।’

অক্সিজেন এলাকায় দাঁড়িয়ে দুর্ভোগের কথা জানাচ্ছিলেন মিনাল চাকমা নামের ৬০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা। তিনি বলেন, ‘খাগড়াছড়ি যাব, কিন্তু অনেকক্ষণ রোদের মধ্যে দাঁড়িয়েও কোন বাস পাই নাই। সিএনজি চললেও তারা অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করছে। আগে বাসে করে ২২০ টাকা নিতো। আজ সিএনজিতে ৫০০ টাকা চাচ্ছে ভাড়া।’

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক-পশ্চিম) তারেক আহমেদ জানান, স্বাভাবিকভাবেই মানুষের দুর্ভোগ হচ্ছে। শহরে কিছু বাস চলছে। তবে দূরপাল্লার গাড়ি বন্ধ আছে। অলঙ্কার, একে খান মোড় ও কদমতলী থেকে দূরপাল্লার গাড়ি ছাড়ছে না।

কোথাও তেমন কোনো গণ্ডগোলের খবর আমরা পাইনি। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে ধর্মঘটের ডাক দেয়া বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মনজুর আলম চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে বলেন, পরিবহন ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসক আমাদেরকে ডেকেছেন। আমরা সেখানে আমাদের দাবিগুলো উত্থাপন করব। আমাদের যে চার দফা দাবি এগুলো যৌক্তিক দাবি। এখানে আমরা দেশে প্রচলিত আইনে যেটা হওয়ার সেটার কথাই বলেছি। আমাদের যে গাড়ি ক্ষতি করা হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ দাবি করছি। চুয়েট কর্তৃপক্ষকে গাড়িগুলোর ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং দেশে নিয়ম না মেনে যে অবৈধ গাড়িগুলো চলাচল করছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা চাই প্রত্যেক জিনিসের আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেয়া হোক। চুয়েটের নিহত শিক্ষার্থীদের আমরা আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছি। এরপরও গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দুই ছাত্র মারা গিয়েছে সেটা কি তাদের দোষ নাকি গাড়ির দোষ। বিষয়টি প্রশাসন বা তদন্ত কমিটি দেখবে।

বৈঠকের পর ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হবে কি না জানতে চাইলে এই পরিবহন মালিক নেতা বলেন, আমাদের দাবিগুলা আদায় না হলে আমরা ধর্মঘট চলমান রাখবো। আমরা সরকারকে বিব্রত করতে চাই না। আমরা জনগণের সেবা করার জন্য গাড়ি চালাচ্ছি। আমাদের নিরাপত্তা এবং ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

আমাদের ধর্মঘটের আওতায় সব গাড়ি বন্ধ। যে একটি সংগঠন প্রত্যাহার করেছে এদের কোন গাড়ি নেই। আমাদের বাস মালিকদের সব সংগঠন ঐক্যবদ্ধভাবে আছে। তারা সবাই ধর্মঘট পালন করছে বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, সোমবার (২২ এপ্রিল) চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই চুয়েট শিক্ষার্থী নিহত হয়। এর জের ধরে ওইদিন থেকেই শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে আসছিলেন। গত ২৪ এপ্রিল ঘাতক বাসের চালককে পুলিশ গ্রেফতার করে। এরপরও ছাত্র আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থামাতে ২৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করলে ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা গণ পরিবহনে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর প্রতিবাদে পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা দেওয়া হয়।

   

চট্টগ্রামে সেরাদের সেরা প্রজ্ঞা



তাসনীম হাসান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
মা ঊমা দাশের সঙ্গে প্রজ্ঞা চৌধুরী। ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

মা ঊমা দাশের সঙ্গে প্রজ্ঞা চৌধুরী। ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

  • Font increase
  • Font Decrease

মুখজুড়ে উপচে পড়া হাসির ঢেউ। চোখে খুশির ঝিলিক। ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে শত শত শিক্ষার্থী আর অভিভাবকদের থিকথিকে ভিড়েও আলাদা করে ধরা পড়ছিল ঊমা দাশের উচ্ছ্বাসটা। এমনটা হবেই বা না কেন? মা দিবসে-এই মাকে যে জীবনের অন্যতম সেরা উপহারটা দিয়েছে মেয়ে প্রজ্ঞা চৌধুরী। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে এবার সেরাদের সেরা হয়েছে মায়ের বড় আদরের এই বড় মেয়ে। তাই তো মায়ের পৃথিবীজুড়ে এত এত উৎসব, রাজ্য-জয়ের আনন্দ।

ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে দিবা শাখায় বিজ্ঞান বিভাগে পড়ত প্রজ্ঞা। ছোটকাল থেকেই মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচিতি ছিল প্রজ্ঞার। সেটা বোঝা যাবে ক্লাসে তার ক্রমিক নম্বরের দিকে তাকালেও। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে কখনো দ্বিতীয় হয়নি সে। সব শ্রেণিতেই প্রথম হওয়া এই কিশোরী এবার এসএসসি পরীক্ষাও বেশ ভালোভাবেই দিয়েছিল। তাই বলে পরীক্ষায় পাস করা ১ লাখ ২০ হাজার ৮৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে সেরা হয়ে যাবে ভাবেনি প্রজ্ঞা নিজেও। ১ হাজার ৩০০ নম্বরের মধ্যে সে পেয়েছে ১ হাজার ২৭৭ নম্বর। অর্থাৎ মাত্র ২৩ নম্বর কাটা পড়েছে তার। শিক্ষাবোর্ড যদিওবা নম্বরের ভিত্তিতে কে সেরা সেটি প্রকাশ করে না। তবে বোর্ডের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন-প্রজ্ঞাই এবার সবচেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছে।

এমন সাফল্যের ‘রেসিপি’ কি? জানতে চাইলে একটু হাসল প্রজ্ঞা। তারপর বার্তা২৪.কমের কাছে খুলে দিল গল্পের ঝাঁপি, ‘একেবারেই সহজ। কোনো চাপ নিইনি। অস্থিরও হইনি। একেবারে রাত জেগে পড়া বলতে যা বোঝায় তা কখনো আমি করিনি। সর্বোচ্চ রাত ১১টা পর্যন্ত পড়েছি। এরপরই ঘুম। ভোরে ওঠে আবার পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ততা। পরীক্ষার সময়ও নিজেকে শান্ত রেখেছি।’

প্রতিটি পরীক্ষা দুর্দান্ত হয়েছিল প্রজ্ঞার। আশা ছিল ভালো কিছু হবে। কিন্তু প্রজ্ঞার আশার চেয়েও দারুণ কিছু হলো। প্রজ্ঞা তাই তো বলল, ‘পরীক্ষা খুব ভালো হয়েছিল, সেরার তালিকায় এক থেকে পাঁচের মধ্যে থাকতে পারলেই জীবন ধন্যি হয়ে যাবে ভেবেছিলাম। সৃষ্টিকর্তার কাছে বারবার সেটিই চেয়েছি। কিন্তু তাই বলে একেবারে বোর্ড সেরা হয়ে যাব ভাবিনি। এখন তাই আনন্দটা বহুগুণ বেড়ে গেছে।’

মা ঊমা দাশও মেয়ে দারুণ কিছু করবে সেই আশায় ছিলেন, তবে এতটা ভালো কিছু হবে কল্পনা করেননি। মেয়ের পাশে বসে এই মা বললেন, ‘মেয়েকে কখনো পড়ালেখা নিয়ে বলতে হয়নি। সে নিজে নিজেই পড়াশোনাটা সবসময় ঠিক রেখেছে। আশায় ছিলাম মেয়ে এসএসসিতে ভালো কিছু করবে। কিন্তু সবার সেরা হবে চিন্তা করিনি। এখন বুঝতেই পারছেন, আমাদের খুশির আনন্দটা কতগুণ বেড়ে গেছে।’

আনন্দে আপ্লুত মা-মেয়ে

প্রজ্ঞার সাফল্যের পেছনে মায়ের অবদানটাই বেশি। অবশ্য কত মা-ই তো তাদের জীবনের সেরা সময়টা ব্যয় করে দেন সন্তানের জন্য। তবে ঊমা দাশের সংগ্রামটা একটু বেশিই। নিজের কর্মস্থলে যাওয়া আশায় প্রতিদিন তাকে অন্তত ৪০ কিলোমিটার গাড়িতে চড়ার ধকল সইতে হয়। ভোরে ঘুম থেকে উঠে মেয়ে আর ছেলেকে প্রস্তুত করে বিদ্যালয়ে পাঠানো, তারপর নিজের কর্মস্থলের উদ্দেশে দৌড়। বিকেলে ফিরে আবার সংসারের কাজে ডুবে যাওয়া। তারই ফাঁকে ফাঁকে সন্তানদের দেখভাল। অবশ্য মায়ের সেই সব পরিশ্রম-ত্যাগেরা আজ হলো পুরষ্কৃত। তাই তো এই গর্বিত মা বললেন, ‘মেয়ের জন্য কষ্ট করছি, মেয়েও তো ভালো ফল উপহার দিল। এমন কিছু পাওয়ার আশাতেই তো এত পরিশ্রম করে যাওয়া। আর যখন সবাই বলছে মা-মেয়ে দুজনকেই অভিনন্দন, তখন কি যে আনন্দ লাগছে বলে বোঝাতে পারব না।’

দুই সন্তানকে নিয়ে চট্টগ্রামের আনোয়ারার পূর্ব বটতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ঊমা দাশ আর ইপিজেডে একটি পোশাক কারখানায় জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত সুচরিত চৌধুরীর সংসার। প্রজ্ঞার ছোট ভাই প্রাচুর্য চৌধুরী সেন্ট প্ল্যাসিডস্ স্কুল এন্ড কলেজে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ছে। গ্রামের বাড়ি রাউজানে হলেও পড়াশোনা আর মা-বাবার কর্মস্থলের জন্য নগরীর পাথরঘাটাতেই থাকা হয় প্রজ্ঞাদের।

এমন ফলের পরেও পা মাটিতেই রাখছে প্রজ্ঞা। ভবিষ্যতে কি হতে চাও-এমন প্রশ্নের উত্তরে খুব নিচু গলায় বলল, ‘এখনো তেমন কিছু ভাবিনি। অনেকেই চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্নের কথা বলেন, কেউ বলেন প্রকৌশলী হওয়ার। আসলে আমি এখনো তেমন কিছু ঠিক করে রাখিনি। উচ্চমাধ্যমিকে পড়ার সময়েই ঠিক করব কোন পথে এগোতে চাই।’

মেয়েকে আপাতত হাতের কাছেই রাখতে চান মা-বাবা। প্রজ্ঞার মা ঊমা বললেন, ‘আমরা দুজন যেহেতু চট্টগ্রামে চাকরি করি, মেয়েকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত চট্টগ্রাম কলেজেই পড়াতে চাই। এরপর না হয় নিজের মতো করে পড়বে।’

সামনে যারা এসএসসি পরীক্ষা দেবে তাদের জন্যও নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে ছোট্ট একটা পরামর্শ দিয়েছে প্রজ্ঞা। বলল, ‘শুরুতে লক্ষ্যটা ঠিক করতে হবে। তারপর সেই লক্ষ্য ধরে মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। তবে কোনোভাবেই বেশি চাপ নেওয়া যাবে না। অবশ্য যতটুকু পড়বে, ততটুকু ভালোভাবেই পড়তে হবে। তাহলেই হবে।’

আবার ফেরা যাক মা ঊমা দাশের কাছে। মেয়ের সাফল্যে গর্বে বুক ভরে যাচ্ছে মায়ের। একদিন এই মা স্বপ্ন দেখতেন মেয়ের সাফল্যের কল্যাণে তাকেও সবাই চিনবেন, তার ছবিও ছাপা হবে পত্রিকায়-দেখানো হবে টিভিতে। এখন প্রজ্ঞার সাফল্যের পর অনেক সাংবাদিকই ছবি তুলছেন মা-মেয়ের, নিচ্ছেন সাক্ষাৎকারও।

ঊমা দাশের স্বপ্নটা খুব তাড়াতাড়ি সত্যি হয়ে গেল, দারুণভাবে সত্যি হয়ে গেল…

;

সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্রে সেনাপ্রধান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই অঙ্গরাজ্যে দ্যা ল্যান্ড ফোর্সেস প্যাসিফিক সিম্পোজিয়াম অ্যান্ড এক্সপোজিশন-২০২৪ এ অংশগ্রহণ করতে সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

সোমবার (১৩ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

আইএসপিআর জানায়, সেনাবাহিনী প্রধান সফরকালে যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই অঙ্গরাজ্যে আগামী ১৪-১৬ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য দ্যা ল্যান্ড ফোর্সেস প্যাসিফিক সিম্পোজিয়াম অ্যান্ড এক্সপোজিশন-২০২৪ এ অংশগ্রহণ করবেন। এ সিম্পোজিয়ামের লক্ষ্য হলো ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের স্থল বাহিনীগুলোর মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে পারস্পরিক আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং পেশাদার সম্পর্ক উন্নয়ন ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা।

সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণের পাশাপাশি সেনাবাহিনী প্রধান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়ার বাহিনী প্রধানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আগত সেনাবাহিনী প্রধান ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন এবং পারস্পরিক সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন।

সিম্পোজিয়াম শেষে সেনাবাহিনী প্রধান আগামী ১৯ মে দেশে ফিরবেন।

;

রংপুর সিটিতে ভূমিহীনদের পুনর্বাসনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বসবাসরত ভূমিহীনদের পুনর্বাসনসহ তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ভূমি ও গৃহহীনরা।

রোববার (১৩ মে) দুপুরে রংপুর নগরীর শাপলা চত্বর এলাকা থেকে লাল পতাকাসহ বিক্ষোভ মিছিল বের করে ভূমিহীন ও গৃহহীন সংগঠন।
কর্মসূচি থেকে অবিলম্বে খাস জমি উদ্ধার করে ভূমিহীনদের পুনর্বাসন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ ও সর্বজনীন রেশন চালুর দাবি জানানো হয়।

এতে নগরীর বিভিন্ন এলাকার বস্তি থেকে আসা ভূমি ও গৃহহীনরা অংশ নেন। মিছিল শেষে রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।

অবস্থান কর্মসূচিতে সংগঠনের সদস্য চান মিয়া রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- প্রধান সংগঠক আনোয়ার হোসেন বাবলু, সংগঠক আহসানুল আরেফিন তিতু, ভূমিহীন সংগঠক আনোয়ারা বেগম, বিউটি সুলতানা, লাভলী বেগম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সিটি কর্পোরেশন ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের ভূমিহীন ও গৃহহীন জনগণ দীর্ঘদিন যাবত তাদের পুনর্বাসনসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। সরকারপ্রধান দেশকে ভূমিহীন শূন্য অবস্থায় নিয়ে আসার জন্য যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা বাস্তবায়নের আকাঙ্খায় এখানকার ভূমিহীনরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। অসহায় এসব পরিবার তাদের আবাসনের করুণ অবস্থার বিষয় বিভিন্ন সময় স্মারকলিপির মাধ্যমে জেলা প্রশাসককে জানিয়েছি।

এসময় অবিলম্বে সিটি কর্পোরেশনে বহুতল ভবন নির্মাণ করে ভূমিহীনদের পুনর্বাসন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ ও সর্বজনীন রেশন চালুর দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুন্নাহার খানম শিখা, বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর রংপুর মহানগর কমিটির সভাপতি হিজবুল্লাহিল কাফি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, সদস্য সাজু বাসফোর প্রমুখ।

;

সাতক্ষীরায় বিদেশি পিস্তল, সুটার গানসহ ২৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
বিদেশি পিস্তল, সুটার গানসহ ২৯ রাউন্ড গুলি জব্দ

বিদেশি পিস্তল, সুটার গানসহ ২৯ রাউন্ড গুলি জব্দ

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল ও দুটি দেশীয় ওয়ান সুটারগান উদ্ধার করেছে র‌্যাব-৬ ক্যাম্পের সদস্যরা।

সোমবার (১৩ মে) সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের মাহমুদপুর গ্রামের একটি বাগানের মধ্যে শপিং ব্যাগের মধ্যে রক্ষিত অবস্থায় উক্ত অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়।

এসময় সেখান থেকে ২৯ রাউন্ড গুলি ও তিনটি ম্যাগাজিনও উদ্ধার করা হয়। তবে এ ঘটনায় র‌্যাব সদস্যরা কোনো চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি।

র‌্যাব সাতক্ষীরা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার এএসপি নাজমুল হক জানান, র‌্যাব সদস্যরা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলীপুর এলাকায় টহল ডিউটি করছিলেন। এসময়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন ওই এলাকার একটি পাঁকা বসতঘরের পাশে বাগানের ভিতর পরিত্যক্ত অবস্থায় সন্দেহজনক বস্তু পড়ে রয়েছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে শপিং ব্যাগের মধ্যে রক্ষিত পরিত্যক্ত অবস্থায় দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি দেশীয় ওয়ান সুটারগান, ২৯ রাউন্ড গুলি ও তিনটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত অস্ত্র, গুলি ও ম্যাগাজিন সাতক্ষীরা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

;