সীরাত মঞ্জুর, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
চা পাতা তুলতে ব্যস্ত শ্রমিকেরা, ছবি: সীরাত মঞ্জুর

চা পাতা তুলতে ব্যস্ত শ্রমিকেরা, ছবি: সীরাত মঞ্জুর

  • Font increase
  • Font Decrease

‘সুখ-দুঃখ সবই এই চা বাগানে। ছেলে বয়সে চা বাগানের গাড়িতে কাজ করেছি, চা চারার কলম গাছ কেটেছি। বাগানের লাকড়ি কাটি। এই বাগানে আমাদের বাপ-দাদা চৌদ্দগোষ্ঠীর জন্ম। এখান থেকে বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। এখানেই আমাদের জন্ম, এখানেই মৃত্যু!’

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির কর্ণফুলী চা বাগানে দাঁড়িয়ে এই প্রতিবেদককে নিজের জীবনের কথা এভাবেই তুলে ধরেন ৬৫ বছর বয়সী চা শ্রমিক পুলক রায়।

চা শ্রমিক পুলক রায়।

জীবনের শেষ সময়ে এসেও পুলক রায়ের যেন নেই কোনো অবসর। জীবনের কঠিন সংগ্রাম এখনো চলছে। তরুণ বয়সে বাগানের চা চারার কলম কেটেছেন, গাড়িতে কাজ করেছেন । তবে বয়সের ভারে এখন আর এসব ভারি কাজ পারেন না। পরিবারে স্ত্রী পুত্র কেউ না থাকলেও পেটের দায়ে এখনো চা বাগানের লাকড়ি কাটার কাজ করে যেতে হচ্ছে তাকে। চা বাগানের বাইরে গিয়ে কিছু করবেন, সেটি ভাবনাতেও আসেনি কখনো। চা বাগানেই যে বন্দী পুলকের জীবন।

চা বাগানে জন্ম, কর্ম থেকে মৃত্যু। এমন জীবন চক্র শুধু পুলক রায়ের নয়, বাগানের প্রায় সব শ্রমিকেরই। চায়ের সবুজ পাতার প্রেমে পড়ে তাদের বেড়ে ওঠা। সেই চাকে ঘিরেই শুরু হয় জীবনের প্রথম কর্ম। নারীরা করেন পাতা তোলার কাজ। আর পুরুষেরা চা বাগান ও কারখানার বিভিন্ন শাখায় কাজ করেন।

গৌরি মালা পাতা তোলেন, স্বামী উজ্জ্বলও বাগানে কাজ করেন। দুই মেয়ে ও এক ছেলের সংসার তাদের। ছেলে ছোট্ট হওয়ায় স্কুলে পড়লেও টাকার অভাবে বন্ধ হয়ে যায় মেয়েদের পড়ালেখা। বাগান থেকে পাতা তুলে ঘরে ফিরতে কথা হয় গৌরির সঙ্গে। তিনি বলেন, 'প্রতিদিন সকাল ৭টায় বের হই। বাগানে পৌঁছায় ৮টায়। কাজ শেষে ফিরি বিকেলে ৪টায়। যা টাকা পাই স্বামীসহ দুজনের ইনকাম দিয়ে ভগবানের দয়ায় চলি। আমাদের কর্ম ও জীবন এই চা বাগানেই সীমাবদ্ধ।' 

কাজ শেষে দল বেঁধে ঘরে ফিরছেন তারা।

একদিন ছেলে-মেয়েরাও তাদের জায়গা নেবে বলে মনে করেন গৌরি। বলেন, ‘এখন আমরা বাগানে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের দেখাদেখি ছেলে-মেয়েরাও করবে। এখানে তাদের বিয়ে-সাদি করাব। এরপর তাদের ছেলে মেয়েরাও একদিন বাগানে কাজ করবে। দুঃখ লাগে না। কিসের দুঃখ! বাগানে যখন জন্ম, বাগানেই কাজ করে খাই।’

ঘড়ির কাঁটায় তখন বিকেল পাঁচটা। পাতা তোলার কাজ শেষ করে এসে ক্লান্ত শরীর নিয়ে বাগানের পাশে বসে নিজের ছেঁড়া কাপড় সেলাচ্ছিলেন জোসনা বালা। ত্রিশ বছর ধরে বাগানে কাজ করছেন তিনি। জানতে চাইলে বলেন, 'আমার বয়স এখন ৪৫। ত্রিশ বছর ধরে পাতা তুলছি। কি আর করব, কষ্ট হলেও কর্ম করতে হয়। টাকা পয়সা নেই, জায়গা নেই। আমাদের বাপ দাদারা যেই কর্ম করে খেয়েছেন। আমরাও তাই করে চলছি।' 

নিজেদের আর্থিক দুর্দশার কথা জানাতে গিয়ে জোসনা বলেন, 'এমন না যে আমরা সরকার থেকে কোনো দামি কিছু পেলাম। দুমাস খেলাম। এসময়ে কাজ করা টাকাগুলো জমা রাখলাম, ছেলে মেয়ে শিক্ষা করলাম, নিজস্ব বাড়ি ভিটা বানালাম। এরকম সুযোগ আমরা পাই না। যতদিন কাজ করি ততদিন খাই। ১৭০ টাকা করে পাই। যদি ২৫ কেজি করে ৫০ কেজি পাতা তুলতে পারি তাহলে একদিনে ৩৪০ টাকার মতো পাওয়া যায়। আর যখন গাছে পাতা কম থাকে তখন তো আর বেশি তোলা যায় না। বৃষ্টি হচ্ছে না, গাছে পাতা নাই তেমন। যা পাতা তুলি, তাই পয়সা পাই। যখন পাতা ছিল তখন একশ’ কেজিও পাতা তুলছি। তখন ৭০০ টাকা মত পেয়েছি।' 

পাতার পোটলা নিয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা।

কাজের কষ্টের কথা তুলে ধরতে গিয়ে জোসনা বলেন, 'পাতা তুলতে গিয়ে হাত ফেটে যায়। যারা নতুন তারা আরও হাতে আঘাত পায়। রোদের মধ্যে কাজ করতে হয়। ওপরে রোদ, নিচে গরম বালি। এর মধ্যে আমাদের কাজ করতে হয়। সপ্তাহে যে বেতন পাই তা দিয়ে চলে না, ঋণ হয়ে যায় অনেক টাকা। ১৭০ টাকায় আমাদের জীবন-মরণ।' 

জোসনা ও গৌরি মালাদের সঙ্গে টাকার অভাবে পাতা তোলার কাজ শুরু করেছেন আমেনা ও ফাল্গুনি রায় নামের দুই কিশোরী। আমেনা বলে, 'পাঁচ ক্লাস পড়েছি। দুই সপ্তাহ আগে পাতা তোলার কাজ শুরু করেছি। রোদে পাতা তুলতে আমার কষ্ট হয়। তারপরও কি আর করব, কাজ করতে হবে।' 

ফাল্গুনি রায় বলে, 'আমি একমাস ধরে পাতা তুলছি। পাঁচ ক্লাস পড়েছি। বড় কিছু হওয়ার ইচ্ছে থাকলেও আমাদের অভাবে তা আর হয় না। তাই পাতা তুলার কাজ করছি।'

মা-বাবার সঙ্গে শহরে থাকলেও শ্বশুর বাড়ি এসে তিন মাস ধরে চা শ্রমিকের কাজ করছেন সুমি। তিনি বলেন, 'আমি মাত্র তিন মাস ধরে কাজ করছি। এটা আমার শ্বশুর বাড়ি। শহরে থাকা অবস্থায় কিছু করতাম না। এখন তো অভাবের জন্য কাজ করতে হচ্ছে। কেউ তো আর সুখে কাজ করে না।' 

বাগানের মাঠে খেলছিল শ্রমিকের ছেলেরা।

বাগানের মাঠে বন্ধুদের সঙ্গে খেলা করছিল ১০ বছর বয়সী রাহুল দে। ফেনুয়া টি স্টেট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে সে। মা-বাবা দুজন চা শ্রমিক হলেও সে হতে চায় চিকিৎসক। জানতে চাইলে বলে, 'আমি বড় হয়ে ডাক্তার হতে চাই। বাগানে কাজ করতে চাই না।' 

চা শ্রমিকেরা প্রতিদিন সকাল হলে দল বেঁধে ছুটে যান বাগানে। কাজ শেষে বিকেল হতেই ফিরে আসেন ঘরে। জীবন-মান উন্নয়নে সবসময় পিছিয়ে তারা। এমন কি তারা অন্য শ্রমিকদের তুলনায় পান সবচেয়ে কম পরিমাণের দৈনিক মজুরি। এভাবে চা বাগানকে ঘিরে বাঁধা পড়ে আছে তাদের জীবন। ছোট্ট শিশু জন্মের পর প্রথম যে দৃশ্য দেখে সেটিও চায়ের সবুজ পাতা। বেড়ে ওঠা থেকে মৃত্যুও এই চা বাগানে।

প্রসঙ্গত, চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে টানা তিন সপ্তাহ আন্দোলনের পর ২০২২ সালে ২৭ আগস্ট ৫০ টাকা দৈনিক মজুরি বৃদ্ধি করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমান চা শ্রমিকের নূন্যতম দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা।

   

লক্ষ্মীপুরে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,লক্ষ্মীপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে স্কুল শিক্ষার্থী নাফিজা মোবারক মাদিহা (৮) ও তার আপন ভাই মো. ওমরের (৫) মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কামালপুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুই সন্তানকে হারিয়ে তাদের মা-বাবাসহ স্বজনদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কান্নায় মূর্ছা যাচ্ছেন নিহতদের মা।

নিহত নাফিজা স্থানীয় ফাতেমা আইডিয়াল স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ও ওমর প্লে শাখার ছাত্র। তারা কামালপুর গ্রামের ব্যবসায়ী রাজু আহমেদের সন্তান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পুকুর ঘাটে গেলে পা পিছলে ওমর পানিতে পড়ে যায়। এসময় ভাইকে বাঁচানোর জন্য নাফিজাও পানিতে নামে। এতে দু'জনেই পানিতে ডুবে যায়। পরে ওমর ও নাফিজাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।

ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) খুরশিদ আলম বলেন, 'ঘটনাটি মর্মান্তিক। একসঙ্গে দুটি সন্তানের মৃত্যু খুব বেদনাদায়ক। নিহতদের মা-বাবাকে শান্তনা দেওয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।'

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’

;

নিখোঁজ এমপি আনারের বিষয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের বিষয়ে জানতে চাইলে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আনারের বিষয়ে আমার কাছে এখন পর্যন্ত কোনো আপডেট নেই। যতটুকু শুনছি, আনারের মোবাইলটাও বন্ধ আছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, আমাদের ও ভারতের ইমিগ্রেশন পার হয়ে যথাযথভাবেই তিনি ভারতে যান। তার পরিবার থেকে আমাদের জানানো হয়েছিল, তার কোনো খোঁজ-খবর পাওয়া যাচ্ছে না। সরকারি সব সংস্থা এটা নিয়ে কাজ করছে। আমাদের এনএসআই, এসবি ও পুলিশ কাজ করছে। ভারতীয় পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে। আশা করছি, ভারতীয় সরকারের মাধ্যমে শিগগিরই তার বিষয়ে জানতে পারব।

এর আগে, গত ১৯ মে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এমপি মো. আনোয়ারুল আজিম আনারের বিষয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। তিনি কলকাতায় গেছেন, এসে পড়বেন।

সেদিন তিনি আরও বলেছিলেন, তিনি পুরোনো মানুষ, একজন সংসদ সদস্য, বুঝেশুনেই তো চলেন। পাশের দেশ ভারতে গেছেন। এমন তো না মিয়ানমার গেছেন, যে মারামারি লেগেছে। আমার মনে হয় তিনি এসে পড়বেন।

প্রসঙ্গত, গত ১১ মে চিকিৎসার জন্য ভারতের কলকাতায় যান সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। এরপর থেকে পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না।

আনোয়ারুল আজিম আনার ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য। তিনি ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে টানা ৩ বার আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’

;

মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাংলাদেশের অবস্থান সংকটজনক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

'বৈশ্বিক মতপ্রকাশ প্রতিবেদন ২০২৪' অনুসারে বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংকটজনক অবস্থায় রয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আর্টিকেল নাইনটিন। ৫ বছরের সময়কাল (২০১৮-২৩) বিবেচনায় নিলেও স্কোরের দিক থেকে একই জায়গায় আটকে আছে বাংলাদেশ। 

মঙ্গলবার (২১ মে) রাজধানীর লেকশোর হাইটসে 'আর্টিকেল নাইনটিনের' বৈশ্বিক মত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রতিবেদন প্রকাশ' শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেন আর্টিকেল নাইনটিনের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক শেখ মনজুর-ই-আলম।

তিনি বলেন, 'বিগত দশ বছর বা ২০১৩-২০২৩ সাল এই সময়কাল বিবেচনায় নিলে বাংলাদেশের মতপ্রকাশ স্কোর কমেছে ৮ পয়েন্ট। ২০১৩ সালে বাংলাদেশের জিআরএক্স স্কোর ছিল ২০ যা মতপ্রকাশের শ্রেণীগত দিক থেকে অতি বাধাগ্রস্ত দেশ। ২০১৪ সালে স্কোর ৪ পয়েন্ট কমে ১৬ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো মতপ্রকাশের সংকটজনক শ্রেণীতে ঢুকে পড়ে। যা থেকে বাংলাদেশ এখনও উত্তরণ ঘটাতে পারেনি।'

একইভাবে ২০০০ সাল থেকে মতপ্রকাশের স্কোর বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে এই সময়কালে বাংলাদেশের স্কোর কমেছে ৩২ পয়েন্ট। ২০০০ সালে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৪৪, যেটি মতপ্রকাশের শ্রেণীগত দিক থেকে 'বাধাগ্রস্ত' হিসেবে বিবেচিত। 'বাধাগ্রস্ত' থেকে 'অতিবাধাগ্রস্ত' দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবনমন হয় ২০০৬ সালে। স্কোর ২০০৫ সালের তুলনায় ৪ পয়েন্ট কমে নেমে আসে ৩৯ এ। পরবর্তী বছর ২০০৭ সালে আরও ১০ পয়েন্ট কমে স্কোর নেমে আসে ২৯ এ। পরের দুই বছর (২০০৮ ও ২০০৯ সালে) স্কোর ৫ পয়েন্ট বেড়ে ৩৪এ উন্নীত হলেও ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি পরবর্তী বছরগুলোতে। বরং বছর বছর স্কোর কমেছে এবং মতপ্রকাশের সংকটজনক শ্রেণীতে নেমে আসে ২০১৪ সালে।

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ( টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, 'মানুষ কে প্রটেক্ট করার নামে মানুষের অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। এখন ক্ষমতার রাজনীতির সাথে স্বাধীন মত প্রকাশের দ্বন্দ্ব বিদ্যমান।'

এ সময় দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের গণতন্ত্র, আইন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংকটে জনগণ সবচেয়ে বিপদে আছে। নাগরিক পরিসরে সংকুচিত হচ্ছে। রাষ্ট্র যদি জনগণকে ভয় পায় বা সন্দেহ করে তবে তা সবচেয়ে বিপজ্জনক।'

সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’

;

চট্টগ্রামে প্রথম ধাপের চেয়ে দ্বিতীয় ধাপে ভোট কাস্টিং ভালো: ডিসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামে উপজেলা নির্বাচনে প্রথম ধাপের চেয়ে দ্বিতীয় ধাপে ভোট কাস্টিং ভালো বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে ফটিকছড়ি সরকারি কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, 'আজকে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি, সুষ্ঠু এবং সুন্দর পরিবেশ ভোটগ্রহণ হচ্ছে। জনসাধারণ ভোট দিতে আসছে। কিছু কিছু কেন্দ্র এখন পর্যন্ত কাস্টিং কম হয়েছে, আবার কিছু কিছু কেন্দ্রে বেশি হয়েছে। মহিলাদের কিছু কেন্দ্রে কম, এর জন্য গরম একটি কারণ হতে পারে।'

ডিসি বলেন, 'এখানে আমাদের যে দায়িত্ব একটি নির্বাচন উপলক্ষে সুন্দর এবং সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা। 'ল' এবং অডারটি দেখে আমরা সেই কাজটি করছি। যাতে করে ভোটাররা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারেন এবং বিশ্বাস করতে পারেন এখানে নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে।'

দুপুরের পর ভোটার আরও বাড়ার আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, 'আমাদের ধারণা যে, বেলা বাড়ার সাথে সাথে বিশেষ করে মধ্যাহ্ন ভোজের পর ভোটাররা ভোট দিতে আসবেন। এখন পর্যন্ত যে ভোট কাস্টিং হয়েছে সেটা আমার কাছে মনে হয়েছে যথেষ্ট। প্রথম ধাপের চেয়ে দ্বিতীয় ধাপের এই ভোটগ্রহনণের সংখ্যা এখন পর্যন্ত তুলনামূলক ভাল।'

হাটহাজারীর একটি কেন্দ্রে সংঘর্ষের প্রসঙ্গে ডিসি বলেন, 'আমাদের দেশে যে নির্বাচনী সংস্কৃতি এখানে দেখা যায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সমর্থক এবং কর্মীদের মধ্যে অনেক উৎসাহ উদ্দীপনা কাজ করে। এর থেকে অনেক সময় দেখা তাদের মধ্যে হট্টগোল হয়ে থাকে। আমরা হাটহাজারীর জোবরা কেন্দ্রে এ ধরনের একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার কথা শুনেছি। সেখানে আমাদের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আছেন এবং পরিস্থিতির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ভোট গ্রহণে কোন সমস্যা হয়নি।'

এদিকে ফটিকছড়ি, হাটহাজারী ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপে সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ তিন উপজেলা ২১ জন প্রার্থী তিনটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।'

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’

;