উত্তরায় পিকআপ ভ্যানের চাপায় র্যাব সদস্যের মৃত্যু, চালক গ্রেফতার
রাজধানীর উত্তরায় বেপরোয়া গতিতে চলমান পিকআপ ভ্যানের চাপায় পিষ্ট হয়ে র্যাব সদস্য সুজন শেখের নির্মম মৃত্যুর ঘটনায় ড্রাইভার সোহেল’কে (২২) গ্রেফতার করেছে র্যাব-১।
শুক্রবার (৩ মে) সকাল ১০ টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনের ফুটওভার ব্রীজের নিচ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিন বেলা ১২ টায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. মাহফুজুর রহমান।
তিনি জানান, গত ২৮ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ডিউটি শেষে র্যাব সদস্য ল্যান্স কর্পোরাল সুজন শেখ, র্যাব সদর দপ্তরের এমআই রুম থেকে বের হয়ে পায়ে হেঁটে র্যাব-১ এ ফিরে যাচ্ছিলেন। এ সময় বেপরোয়া গতীতে ছুটে আসা এয়ারপোর্ট অভিমুখী একটি পিকআপ ভ্যান (ঢাকা-মেট্রো-ন-২০-১৩২০) জসিমউদ্দিন মোড়ের কাছে জিনজিয়ান রেষ্টুরেন্টের সামনে সুজন শেখকে চাপা দিলে তার বুক, মাথা, মুখ-মন্ডলসহ হাত-পা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হয়। আহত অবস্থায় তাৎক্ষণিকভাবে তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদানের জন্য ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিএমএইচ ঢাকা সেনানিবাসে ভর্তি করানো হয়।
পরবর্তীতে সিএমএইচ ঢাকা সেনানিবাসে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১ মে সুজন শেখ মৃত্যুবরণ করেন।
এ ঘটনায় ২ মে সুজন শেখের শ্যালক মো. ফরহাদ আলী (৩০) বাদি হয়ে ঘাতক বর্ণিত পিকআপ ভ্যান চালককে আসামি করে উত্তরা পূর্ব থানায় সড়ক পরিবহন আইনের ৯৮/১০৫ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে দুর্ঘটনাটি সংঘঠিত হওয়ার সংবাদ পাওয়া মাত্র র্যাব-১ এর একটি ঘটনার তদন্তে বেরিয়ে পড়ে। হত্যাকাণ্ডের আসামিদের আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব-১ এর আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামিদের গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে বিমানবন্দর ফুটওভার ব্রীজের নিচে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত সোহেল স্বীকার করেছেন, সে ঘটনার সহিত জড়িত এবং সে গ্রেফতার এড়ানোর জন্য বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে ছিল। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।