বসন্ত বার্তায় সেজেছে খুলনা নগরী



মানজারুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
বসন্তের ছোঁয়ায় নতুন রূপে সেজেছে নগর, ছবি: বার্তা২৪.কম

বসন্তের ছোঁয়ায় নতুন রূপে সেজেছে নগর, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঋতুরাজ বসন্তের ছোঁয়ায় নতুন রূপে সেজেছে খুলনা নগরী। কোকিলের কুহুতানের সাথে সাথে বসন্তের শুরুতেই যেনো ফাল্গুনকে বরণ করে নিয়েছে প্রকৃতি। শীতের জীর্ণতা কাটিয়ে স্নিগ্ধ সবুজ প্রকৃতিতে নতুন কচি কচি পাতায় ঝলমলে হয়ে উঠেছে চারপাশের পরিবেশ। প্রকৃতিতে বসন্তের সাজ সাজ রব বইছে। এমনই সময় মন‌ে বাজে 'আহা আজি এ বসন্তে, এত ফুল ফোটে, এত পাখি গায়'।

খুলনা নগরের প্রায় প্রতিটি এলাকাতে নজর কাড়ছে শিমুল, পলাশ, কনকচাঁপা, নয়নতারা, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, নাগলিঙ্গম, গাঁদাসহ হরেক রকমের দেশী-বিদেশী ফুল। সবুজ পাতার ফাঁকে স্বর্ণালী আম্র মুকুলের ঘ্রাণ প্রকৃতিতে বসন্ত বার্তা ছড়াচ্ছে।

কুয়াশা কাটিয়ে ভোরের ফুল

খুলনার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, নার্সারি, আবাসিক এলাকা, ছাদবাগান ও সড়কের পাশে লাল, নীল, বেগুনী, হলুদ, গোলাপি, সাদা, খয়েরী হরেক রঙের ফুলের সমাহার শোভা পাচ্ছে। ফুলের সুবাসে চারিদিক যেনো মৌ মৌ করছে। এসব নার্সারিতে শোভা পাচ্ছে কয়েকশ প্রজাতির ফুল ও গাছ। কয়েকটি এলাকায় পলাশ শিমুল ফুলও ফুটতে শুরু করেছে। রাতভর পরা হালকা কুয়াশা কাটিয়ে প্রতিদিন ভোরে সূর্যকিরণ যখনি ফুলের উপরে পরে, তখন মনে হয় যেনো ফুল থেকে হীরকদ্যুতি ছড়াচ্ছে।

নার্সারিতে শোভা পাচ্ছে কয়েকশ প্রজাতির ফুল

হলুদ গাঁদা, ডালিয়া, জিনিয়া, লাল গাদা, আকাশি স্নোবল, বিভিন্ন প্রজাতির পাতা বাহার, গোলাপি বর্ণের ফুল, সাদা স্নোবল, সালভিয়া, দোপাটি, ক্যালেন্ডোলা, দায়েনথাঁচ, ফ্লোগর্স, ইন্টালিয়াম, স্নাকড্রাগন, পেনজি, কারিয়াফছি, ভারবিনা, পিটুনিয়া, স্টার গোল্ড, মৌচন্ডা, পানচাটিয়া, অ্যালমন্ডা, তালপাম্প, চন্দ্রমল্লিকা, একঝাড়া, রঙ, বারবিনা, স্টার, ফলিয়ক্স, নয়নতারা, কালেনগোলা, সানবিয়া, ন্যাশটোসিয়াম, পিটুলিয়া, ইসকাস্লোবাল, পানচাটিয়া, ইনকা গাদা, চায়নিজ গাদা, জাম্বুস গাদা, মোরগ ঝুঁটি, কসমস, জুঁই, চামেলি, টগর, বেলি, সাইকাস, ক্রিসমাস, জবা, রঙ্গনসহ আরও নানা রকমের ফুল ফুটেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, কুয়েট, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, খুলনা বেতার, খুলনা মেডিকেল কলেজ, বিএল কলেজ, শিববাড়ী মোড়সহ আরো অনেক স্থানে। ফুলগাছগুলোতে নেচে নেচে বেড়াচ্ছে নানা রঙের প্রজাপতি।

বসন্তের কোকিল

এছাড়াও খুলনার বেশ কিছু এলাকায় এ সময়টায় জনপ্রিয়তা পেয়েছে ছাদ বাগান। বসন্তের আগমনে ছাদবাগানগুলিও সেজেছে নবরূপে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে তোলা এসব ছাদবাগানে ফলজ, বনজ, ঔষধি গাছের সাথে শোভা পাচ্ছে ফুলগাছ। খুলনা যেনো এখন ফুলের শহর।

সৌখিন ছাত্র আহমদ ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর. কম কে বলেন, এখন শীত আর বসন্তের ফুল একসাথে ফুটছে। তাই চারিদিকে এত রঙ। আমি ঘরের বেলকনিতে দৃষ্টিনন্দন কিছু ফুলের গাছ রেখেছি। প্রতি সকালে ফুলের মিষ্টি ঘ্রাণে আমার ঘর ভরে থাকে।

বসন্তের সাজে সবাই

খুবির চারুকলার শিক্ষার্থী মৌমিতা মৌ বলেন, পুরাতন পাতা ঝড়িয়ে নতুন পত্রপল্লব দিচ্ছে গাছ। সবখানে ফুটেছে ফুল। এ যেনো বসন্তের আবহ। ফুল ফুটেছে, বসন্তও এসেছে।

নার্সারি মালিক যুবায়ের ভূইয়া বলেন, এখন ফুল গাছে ফুল ফুটছে। সবখানে যেনো বসন্ত লেগেছে। ফুল গাছের চাহিদা এখন বেশী।

খুলনা নার্সারি মালিক সমিতির সভাপতি বদরুল আলম রয়েল বলেন, জেলার প্রতিটি নার্সারিতে নানা রকমের ফুল হয়। ফুল প্রেমীরা নার্সারিতে ঘুরের, গাছ কেনেন। অনেকে শখ করে টবসহ চারা কিনছেন। নার্সারি মালিকদের জন্য সরকারি প্রণোদনার দাবি করেন তিনি।

বসন্ত লেগেছে সবার মনে

শীতের জীর্ণতা কাটিয়ে বসন্তকালীন ফুলে ফুলে সজ্জিত হয়ে প্রকৃতি এখন জানান দিয়ে যাচ্ছে বসন্তের আগমনী বার্তার। শীতের রিক্ততা ভুলিয়ে ফাগুন আগুন নিয়ে বাঙালির জীবন রাঙাতে দুয়ারে কড়া নাড়ছে বসন্ত। শীতের খোলস ভেঙ্গে আগুন রঙের খেলায় মেতেছে পরিবেশ। মাঝে মাঝে গ্রামাঞ্চলে কোকিলের কুহুতান শোনা যাচ্ছে।

   

‘জনগণের ভরসাস্থল অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে সেনাবাহিনী’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

জনগণের ভরসাস্থল অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে সেনাবাহিনী বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি সেনাবাহিনীকে আরও আধুনিক, দক্ষ ও যুগোপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে।

রোববার (৫ মে) সকালে ঢাকা সেনানিবাসে নবনির্মিত আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি (এএফআইপি) ভবন এবং আর্মি সেন্ট্রাল অডিটরিয়াম-সেনাপ্রাঙ্গণের উদ্বোধন করে তিনি একথা বলেন।

সরকার প্রধান বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নকে হৃদয়ে ধারণ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশের অন্যান্য সেক্টরের উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে গড়ে তুলেছে অত্যন্ত আধুনিক, দক্ষ ও সময়োপযোগী বাহিনী হিসেবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় বসবাসকারীদের উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজির জন্য এ নতুন ভবনের নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সভা, সেমিনার, অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে আর্মি সেন্ট্রাল অডিটরিয়াম-সেনাপ্রাঙ্গণ।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী, তিন বাহিনী প্রধান, ঢাকা সেনানিবাসের ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন পদবির অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।

;

ঋণ পরিশোধ সরকারের ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে: সিপিডি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশি ও বিদেশি দুই ধরনের ঋণই সরকারের পরিশোধ ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

তিনি বলেন, অতীতে কোন বিদেশি ঋণ খেলাপি না হওয়ার গর্ব ছিল বাংলাদেশের। বর্তমানে প্রায় পাঁচ বিলিয়ন ডলার পরিমাণের ঋণ, আমদানি মূল্য বা অন্যান্য দেনার পরিশোধ বকেয়া রয়েছে।

রোববার (৫ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘নতুন সরকার, জাতীয় বাজেট এবং জনগণের প্রত্যাশা’ শীর্ষক নীতি সংলাপে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এসব কথা বলেন।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ডক্টর ফাহমিদা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রাজনীতিবিদ, সরকারের নীতিনির্ধারক, জনপ্রতিনিধি, অর্থনীতিবিদ এবং বেসরকারি খাতের বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য দেন।

দেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের ৮৯ শতাংশই বর্তমান সরকারের বাজেট বিষয়ক উদ্যোগগুলোর প্রশংসা করছে বলে মনে করে সিপিডি এবং এসডিজি অর্জনে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশ। তবে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের প্রায় ৬৪ শতাংশ উত্তরদাতারই বাজেট সম্পর্কে সরকারের কাছে কোন প্রত্যাশা নেই বলে দুই সংস্থার একটি যৌথ সমীক্ষায় উঠে এসেছে।

অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, গুগল ফর্মের মাধ্যমে ২ হাজার ২৪৯ জন প্রতিক্রিয়া এবং ৮ হাজার ৪৮টি সোশ্যাল মিডিয়া প্রতিক্রিয়া এবং মন্তব্যের মতামতের ভিত্তিতে সমীক্ষাটি পরিচালিত হয়েছে।

তিনি বলেন, এক দিকে ৮৯ শতাংশ ব্যক্তি সরকারি উদ্যোগের প্রশংসা করছেন, আর অন্য দিকে ৬৪ শতাংশ লোকের সরকারের কাছে কোন প্রত্যাশাই নেই। বিষয়টিকে তিনি কিছুটা বিপরীতমুখী অবস্থান হিসেবে মন্তব্য করেন।

দেবপ্রিয় বলেন, অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ মূল্যস্ফীতি, সরকারি ঋণের ক্রমবর্ধমান চাপ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাসে সৃষ্ট সংকটগুলো অর্থনীতিকে ত্রিমুখী সমস্যার সম্মুখীন করছে।

তিনি আরও বলেন, কর আদায় বৃদ্ধিতে ব্যর্থতার কারণে সরকারের আর্থিক সংস্থান হ্রাস পাচ্ছে। এর ফলে অর্থনীতির অন্যান্য সূচকেও অবনতি হচ্ছে।

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, মূল্যস্ফীতি প্রায় ১০ শতাংশ রয়ে গেছে, যা খাদ্য ও অখাদ্য খরচ হ্রাস, সঞ্চয়, বিনিয়োগ এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণের মাধ্যমে পিছিয়ে থাকা মানুষের জীবন ও জীবিকার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।

বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি কমলেও বাংলাদেশে এ বিষয়ে গৃহীত উদ্যোগ কাজ করছে না বলেও জানান তিনি। এই সমস্যা মোকাবিলা করেই আগামী অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তায় বরাদ্দ জোরদার করার তাগিদ দেন দেবপ্রিয়।

আর এ সব সমস্যা মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হলে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের পর সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করা অসম্ভব হবে বলেও মনে করেন তিনি।

;

পুনর্বাসন না করে উচ্ছেদ নয়: হকার্স ইউনিয়ন 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে নির্বিচারে হকারদের উচ্ছেদ বন্ধ করে জীবিকা সুরক্ষা আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা।

রোববার (৫ মে) দুপুরে রাজধানীর সদরঘাট সংলগ্ন ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এই দাবি জানানো হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির উপদেষ্টা মনজুরুল আহসান খান।

মনজুরুল আহসান খান বলেন, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানের হকারদের উপর নির্যাতন করে তাদের উচ্ছেদ করা হয়। এর আগে গুলিস্তানে হকারদের উপর নির্যাতন করে তাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। এখন আবারও হকারদের উপর নির্যাতন চলছে। আমাদের হকারদের উপরে একবার আগুন জ্বালিয়েছিল হেফাজতে ইসলাম। আগুন দিয়ে হকারদের পুড়িয়ে ফেলেছে। তাদের দোকানে কোরআন শরীফ ছিল, অন্যান্য ধর্মীয় যেসব বই ছিল সেগুলো পুড়িয়ে ফেলেছে। কাপড়-চোপড় জিনিসপত্র সবকিছু পুড়িয়ে ফেলে হকারদের নিঃস্ব করেছে। শেখ হাসিনার কাজ থেকে প্রত্যেক হকারের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ আদায় করেছি। 

এখন এই এলাকায় আবার হকার উচ্ছেদ শুরু হয়েছে। পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের চাঁদাবাজরা এই উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে। আমরা পরিষ্কার বলে দিতে চাই পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের চাঁদাবাজরা যদি হকারদের উপর জুলুম করে তাহলে তাদের এখান থেকে উচ্ছেদ করা হবে। এই এলাকার জন্য নতুন আইন হতে পারে না। এই এলাকায় হকার উচ্ছেদ করলে তার আগে বিকল্প ব্যবস্থা করে তারপর হকার উচ্ছেদ করা যাবে; অন্যথা হকার উচ্ছেদ করা যাবে না। 

বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মো. ফিরোজ মোল্লা বলেন,  আমাদের ওপর এই জুলুম অত্যাচার আমরা সহ্য করব না। অবিলম্বে উচ্ছেদের আগে আমাদের জন্য পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। আমরা কাজ করে ভাত খেতে চাই। 

সহ সভাপতি খান বাহাদুর বলেন, আমাদের হালাল রুজি খাওয়ার কাজে আপনারা অন্যায় অত্যাচার করেন। কোনো হকার যদি অন্যায়-অপরাধ করে তাহলে এর জন্য দায়ী থাকবে সরকার। হালাল রুজির কোনো ব্যবস্থা না হওয়ার কারণে হকাররা যদি অন্যায় অত্যাচারে জড়িত হয়ে যায় তাহলে তার জন্য দায়ী থাকবে সরকার। আমরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, যদি হকারদের জন্য পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে উচ্ছেদের ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

এ সময় বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন  সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী, বংশাল থানা হকার্স ইউনিয়নের উপদেষ্টা সালাউদ্দীন, কোতোয়ালি থানার সভাপতি কায়ুম, সুত্রাপুর থানার সাধারণ সম্পাদক নাদিম, মহিলা সম্পাদিকা শাহিনা আক্তারসহ প্রমুখ। 

সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি সদরঘাট এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে একই স্থানে এসে শেষ হয়।

;

দক্ষিণ চট্টগ্রামের তৈলারদ্বীপ সেতুর টোল প্রত্যাহারের দাবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ার-বাঁশখালীর সীমানায় সাঙ্গু নদীর ওপর নির্মিত ১৭ বছর আগে চালু হওয়া তৈলারদ্বীপ সেতুর টোল প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাঁশখালী স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন নামের একটি সংগঠন।

রোববার (৫ মে) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ওকান উদ্দীন সাকিবের সঞ্চালনায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ।

আবদুল ওয়াহেদ বলেন, বাঁশখালীর সাঙ্গু নদীর ওপর সম্পূর্ণ দেশিয় অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে তৈলারদ্বীপ সেতু। ২০০১ সালের ১৭ জানুয়ারি সেতুটি উদ্বোধন হয়। প্রায় ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মিত হয়। ২০০৭ সাল থেকে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে টোল আদায় করা হচ্ছে।

'৩ বছরের ইজারা দিয়েই যেখানে নির্মাণ ব্যয় উঠে যায়, সেখানে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে টোল আদায় সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও জনগণের অধিকারের পরিপন্থি। বাংলাদেশ গ্যাজেট, ২০১৪ এর সংশোধিত প্রজ্ঞাপন, টোল নীতিমালা অনুযায়ী, ভৌগোলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও অনুন্নত আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনার প্রেক্ষিতে টোল মওকুফের বিধান থাকলেও এই সেতুর ক্ষেত্রে তা সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম।'

তিনি আরও বলেন, একটি সেতুতে টোল আদায় করা হয় সেতুর নির্মাণ ব্যয় এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য। সেই বিবেচনায় দেখা যায়, তৈলারদ্বীপ সেতুর নির্মাণ ব্যয় ৩২ কোটি টাকা। কিন্তু প্রতি ৩ বছরে এ সেতু থেকে টোল আদায় হয় ৩০-৩৫ কোটি টাকা। অথচ সেতু নির্মাণের পর থেকে কোনো ধরনের দৃশ্যমান মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ চোখে পড়েনি।

সাঙ্গু নদীর ওপর বিভিন্ন এলাকায় আরও ৫টি সেতু থাকলেও শুধু তৈলারদ্বীপ সেতু থেকেই টোল আদায় করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। যা বাঁশখালীর মানুষের সাথে চরম বৈষম্যমূলক আচরণ বলে মনে করছেন তারা।

বাঁশখালী স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, কর্ণফুলী নদীর ওপর নির্মিত শাহ আমানত সেতুর চেয়ে তৈলারদ্বীপ সেতু তুলনামূলক ছোট সেতু হলেও দ্বিগুণ টোল দিতে হয় এ সেতুতে। রাতে চলাচল করা দূরপাল্লার যানবাহন থেকে টোকেনবিহীন অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে।

সেতুটি টোলমুক্ত করা হলে বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী এ অঞ্চলের সমুদ্র বাণিজ্য ও শিল্পোন্নয়নের অপার সম্ভাবনা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন সংগঠনের সদস্যরা। পাশাপাশি তারা বাঁশখালীর আপামর জনসাধারণের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তৈলারদ্বীপ সেতুর এই অন্যায্য ও বৈষম্যমূলক টোল প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছেন।

;