কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক

কাজ চলছে শম্ভুক গতিতে, যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে



আবদুর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
দেশের ব্যস্ততম এই আঞ্চলিক মহাসড়কটি বর্তমানে যাত্রীদের কাছে যেন, বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে, ছবি: সংগৃহীত

দেশের ব্যস্ততম এই আঞ্চলিক মহাসড়কটি বর্তমানে যাত্রীদের কাছে যেন, বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক। এই সড়কটি এখন যাত্রী ও চালকদের কাছে এক আতঙ্কের নাম। দেশের ব্যস্ততম এই আঞ্চলিক মহাসড়কটি বর্তমানে যাত্রীদের কাছে যেন, বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে! আর এই আঞ্চলিক মহাসড়কটি দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীরা আতঙ্কের মধ্য দিয়ে যানবাহনে আসা-যাওয়া করেন।

সরেজমিনে ঘুরে গেছে, দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই আঞ্চলিক মহাসড়কটির অনেক স্থানেই পিচ ঢালাই আর ইট-পাথর উঠে অসংখ্য খানাখন্দ আর বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থা দীর্ঘদিন আগ থেকেই চলছে সড়কটির। বর্তমানে অবস্থাটা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যেকোন সুস্থ মানুষ এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করলে অসুস্থ হয়ে পড়বেন।

এদিকে, কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে ফোরলেনের কাজও চলছে শম্ভুক গতিতে। এভাবে ধীর গতিতে সড়কটির কাজ চলায় ক্ষুব্ধ সবাই। সবার একই কথা, এই মহাসড়কের কাজের এমন কচ্ছপগতির কারণ কি? আর কবেই-বা শেষ হবে মহাসড়কের চার লেনের কাজ। আর কবে কমবে মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ।

প্রতিদিন কয়েক হাজার দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল করে সড়কটি দিয়ে
প্রতিদিন কয়েক হাজার দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল করে সড়কটি দিয়ে

সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ, কুমিল্লার সূত্র জানায়, কুমিল্লা নগরীর টমছমব্রিজ থেকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ পর্যন্ত ৫৯ কিলোমিটার দীর্ঘ কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কটি বর্তমানে ফোরলেনে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষীপুর জেলাসহ সারা দেশের মানুষ উপকৃত হবে।

২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শুরু হওয়া কাজ এই ফোরলেনের কাজ চলতি বছরের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে বর্তমানে যেভাবে ধীরগতিতে কাজ চলছে, তা দেখে যেকেউই বলবে ২০২১ সালেও এই কাজ শেষ হবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে দুই হাজার ১৭০ কোটি টাকা। সড়কটির বিভিন্ন স্থানে কাজ চললেও লাকসাম থেকে লালমাই পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার এলাকার কাজও এখনো শুরু হয়নি।

সওজ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ওই প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও এর এক বছর পর লাকসাম থেকে লালমাই পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার এলাকার টেন্ডার আহ্বান করা হয় গত বছরের নভেম্বর মাসে। জেলার লাকসাম দৌলতগঞ্জ বাজার বাইপাস ও লালমাই উপজেলার বাগমারা বাজার এলাকায় এখনো জমি অধিগ্রহণ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। আর এই দুই বাজারে বেশি যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি বাড়ছে। আর সড়কের বেহাল অবস্থার কারনে প্রায়ই সড়কটিতে যানবাহন বিকল হয়ে সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের।

কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে ফোরলেনের কাজও চলছে শম্ভুক গতিতে। এভাবে ধীর গতিতে সড়কটির কাজ চলায় ক্ষুব্ধ সবাই
কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে ফোরলেনের কাজও চলছে শম্ভুক গতিতে। এভাবে ধীর গতিতে সড়কটির কাজ চলায় ক্ষুব্ধ সবাই

এদিকে, লাকসাম থেকে লালমাই পর্যন্ত ছাড়াও সড়কটিও অন্যান্য অংশগুলোর বিভিন্ন স্থানের কাজও চলছে অনেকটা শম্ভুক গতিতে। আর ধুলাবালির জন্য সড়কটি দিয়ে চলাফেরাও এখন দায় হয়ে পড়েছে। এছাড়া ভাঙ্গা রাস্তার কারণে যাত্রী ও চালকদের দুর্ভোগতো রয়েছেই।

ওই রুটে চলাচলকারী বিভিন্ন গণপরিবহনের অন্তত ১০ জন চালক জানান, এই সড়কটি দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি আঞ্চলিক মহাসড়ক। প্রতিদিন কয়েক হাজার দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল করে সড়কটি দিয়ে। তাই সকলের ভোগান্তি রোধে দ্রুত ফোরলেনের কাজ শেষ করার দাবি জানাচ্ছি। আর ফোরলেনের কাজ শেষ করার আগে সড়কের সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী রাখারও দাবি করছি আমরা।

কুমিল্লা-নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুর রুটে চলাচলকারী উপকূল বাস সার্ভিসের পরিচালক কবির আহমেদ জানান, ভাঙ্গা রাস্তার কারণে প্রতিদিন গাড়ি নষ্ট হচ্ছে। মালিকরা যা রোজগার করে, তা গাড়ি মেরামতেই চলে যায়। ফোরলেনের কাজ যেই ধীরগতি চলছে, তাতে কবে মানুষের এই দুর্ভোগ শেষ হবে জানি না।

এই আঞ্চলিক মহাসড়কটির অনেক স্থানেই পিচ ঢালাই আর ইট-পাথর উঠে অসংখ্য খানাখন্দ আর বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে
এই আঞ্চলিক মহাসড়কটির অনেক স্থানেই পিচ ঢালাই আর ইট-পাথর উঠে অসংখ্য খানাখন্দ আর বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে

এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ, কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মো. আহাদ উল্লাহ বলেন, কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক ফোরলেন প্রকল্পের লাকসাম থেকে লালমাই পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার এলাকার টেন্ডার হয়েছে। এখন ভূমি অধিগ্রহণ করার প্রক্রিয়া চলমান।

তিনি জানান, আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ করতে পারবো বলে আশা করছি। এই কাজগুলো শেষ হলে আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে পুরো সড়কের কাজও শেষ করতে পারবো।

   

পুনরুজ্জীবন পাচ্ছে শ্যামাসুন্দরী খাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
শ্যামাসুন্দরী পুনরুজ্জীবিত করতে অভিযান শুরু

শ্যামাসুন্দরী পুনরুজ্জীবিত করতে অভিযান শুরু

  • Font increase
  • Font Decrease

 

‘রংপুরের ফুসফুস’ বলে পরিচিত শ্যামা সুন্দরী খাল। এটি রংপুরের বুক চিড়ে প্রবাহিত হয়েছে। নগরীর সিও বাজার এলাকার ঘাঘট নদীর উৎসমুখ থেকে শুরু হয়ে খোখসা ঘাঘটের সঙ্গে মিলেছে। খাল হলেও এর দৈর্ঘ্য ১৬ কিলোমিটার; গভীরতা ৪০ ফুটেরও বেশি ছিল। জলাবদ্ধতা দূরীকরণের উদ্দেশ্যে ১৮৯০ সালে খালটি খনন করা হয়।

শ্যামা সুন্দরী ভরাট হওয়ার ফলে বর্তমানে পানির প্রবাহ নেই বললেই চলে। মানুষ এখন ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত করেছে একে। ঘরবাড়ির আবর্জনা খালে ফেলে দিচ্ছে। খালটি ভরাট হয়ে দিন দিন এর আকার সংকুচিত হচ্ছে। দূষিত পানি আর ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে পাশ দিয়ে হাঁটাও দায় হয়েছে রংপুরবাসীর।

অবশেষে সেই ঐতিহ্যবাহী শ্যামাসুন্দরী খাল পুনরুজ্জীবিত করতে অভিযান শুরু করেছ রংপুর সিটি করপোরেশন।

শনিবার (১১ মে) সকালে শ্যামাসুন্দরী খাল পরিস্কার পরিচ্ছন্নকরণ ও জনসচেতনতা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। একযোগে খালের পাঁচ কিলোমিটার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার মধ্য দিয়ে শ্যামাসুন্দরী পুনরুজ্জীবন ও সচল রাখার কার্যক্রমে ১৫ পয়েন্টে স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠন বিডি ক্লিনের একহাজার সদস্যসহ সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শাখার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা অংশ নিয়েছেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র মোস্তফা বলেন, পরিচ্ছন্নতার সুফল সম্পর্কে নগরবাসীকে বেশি করে সচেতন করতে সবাইকে কাজ করতে হবে। শ্যামাসুন্দরী খালের আশপাশে বসবাসরত নগরবাসীকে সচেতন হতে হবে। খাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের পর নতুন করে ময়লা ফেলা এবং পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য অবৈধ স্যুয়ারেজ সংযোগ প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে রংপুর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নিয়মিত তদারকি কার্যক্রম চলমান থাকবে। প্রয়োজনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনাসহ অন্যান্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী ইশতেহারে গ্রিন সিটি এবং ক্লিন সিটি ছিল অন্যতম অ্যাজেন্ডা। এরই ধারাবাহিকতায় শ্যামাসুন্দরী খালের পাঁচ কিলোমিটার (চেকপোস্ট হতে শাপলা চত্বর) ময়লাযুক্ত মাটি পুনঃখনন ও অপসারণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শ্যামাসুন্দরী কেবল রংপুর নয়, সমগ্র দেশের জন্যই একটি বড় সম্পদ। এ সম্পদ রক্ষা করা সকলের দায়িত্ব। শ্যামাসুন্দরী খালকে পুনরুজ্জীবিত এবং সৌন্দর্যবর্ধনের যে প্রয়াস চলছে তার সফলতা এবং রংপুরের সকল নাগরিকের সহযোগিতা প্রয়োজন।

এসময় আগামী তিন মাসের মধ্যে শ্যামাসুন্দরী খাল খনন ও সংস্কারসহ আধুনিকায়নে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রজেক্ট ডিজাইন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের জন্য চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার জাকির হোসেন। আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আব্দুল বাতেন।

রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতিমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান ও পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী।

;

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ আহত হচ্ছে, নিহত হচ্ছে। সড়কে খালি হচ্ছে হাজারো মায়ের কোল। এসব দুর্ঘটনার সমস্যা সমাধানে সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন।

শনিবার (১১ মে) সকালে শিল্পকলা একাডেমিতে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর ১০ম মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

আইনে গাড়িচালক, হেলপার, মালিক এবং বিভিন্ন ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি সবার দায়িত্ব যথাযথভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যে যেই দায়িত্বে থাকবে তার গাফিলতি হলে কী ধরনের শাস্তি হবে, তার সবকিছুই আইনে পরিষ্কার করা হয়েছে। আমরা চাই দুর্ঘটনা কম হোক, দুর্ঘটনায় আর যেন কেউ মৃত্যুবরণ না করে। পৃথিবীর সব দেশে দুর্ঘটনা ঘটে, মানুষের মৃত্যু হয়। বাংলাদেশে যাতে সড়ক দুর্ঘটনা কমে সেজন্যই কাজ করে যাচ্ছি।

দুর্ঘটনা রোধের কারণ বের করা দরকার উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত যতটা দেখছি সড়ক দুর্ঘটনার মূল কারণ সচেতনতার অভাব। দক্ষ চালকের হাতে যাতে স্টিয়ারিং থাকে আমরা সেই ব্যবস্থা করতে যাচ্ছি। ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিষয়ে খেয়াল রাখছি। চালকদের প্রশিক্ষণের অভাবও দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। গাড়ি চালানো অবস্থায় চালকের মোবাইল ব্যবহার, অপরিকল্পিত ভঙ্গুর সড়ক, ওভার ক্রসিং, অতিরিক্ত গতি, ওভার ব্রিজের স্বল্পতা, ট্রাফিক আইন অমান্য করা, ট্রাফিক পুলিশের গাফিলতিও আমরা মাঝেমধ্যে দেখি।

মন্ত্রী বলেন, আমরা চাই দুর্ঘটনা কম হোক, দুর্ঘটনায় আর যেন কেউ মৃত্যুবরণ না করে। পৃথিবীর সব দেশে দুর্ঘটনা ঘটে, মানুষের মৃত্যু হয়। বাংলাদেশে যাতে সড়ক দুর্ঘটনা কমে সেজন্যই কাজ করে যাচ্ছি। আইনে গাড়িচালক, হেলপার, মালিক এবং বিভিন্ন ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি সবার দায়িত্ব যথাযথভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। যে যেই দায়িত্বে থাকবে তার গাফিলতি হলে কী ধরনের শাস্তি হবে তার সবকিছুই আইনে পরিষ্কার করা হয়েছে।

নিজের সড়ক দুর্ঘটনার স্মৃতি স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, রোড এক্সিডেন্টে আমার সব আশা স্তম্ভিত হয়েছিল। মহান আল্লাহ আমার এক রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিলেন এবং এই রাজনীতির রাস্তা ওপেন করে দিয়েছিলেন। সেই জন্য বোধহয় আমি আজকে এ জায়গায় আসতে পেরেছি।

সমাবেশে নিসচার চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

দুর্ঘটনার কারণ চিহ্নিত করে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে বিভিন্ন সময় দাবি করে আসছে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’। এ বিষয়ে সরকার ২২ অক্টোবর নিরাপদ সড়ক দিবস ঘোষণা করে, যা দেশে গুরুত্ব সহকারে পালিত হচ্ছে।

;

দুর্যোগে মৃত্যুতে আর্থিক সহায়তা যথেষ্ট নয়: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্যোগে মৃত্যু ও হতাহতের জন্য ১০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা প্রদান যথেষ্ট নয় বলে মন্তব্য করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান বলেছেন, এটি বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে।

শনিবার (১১ মে) ঢাকার এফডিসিতে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ নিয়ে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রতিযোগিতার আয়োজক সংগঠন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এবারে হিট স্ট্রোকে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের তালিকা করা হচ্ছে। অতিমাত্রায় গরমের কারণে যারা কর্মহীন হয়েছে তাদেরকে সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় আনা হচ্ছে।

দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হিট অফিসার নিয়োগের কোন পরিকল্পনা নেই জানিয়ে তিনি জানান, তীব্র তাপদাহে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে পানি ছিটানোর উদ্যোগ অসম্পূর্ণ। জল কামানে পানি ছিটানো যথেষ্ট নয়, এটি আরও সাইন্টিফিক ওয়েতে করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিল্ডিং কোড না মেনে অপ্রয়োজনীয় কাঁচের ব্যবহার ভবনে অতি তাপমাত্রা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। অনেক শিক্ষিত ব্যক্তিরাও আইন না মেনে মনমতো ঘরবাড়ি তৈরি করে নিজের ঘরকে নিজেই মৃত্যু ফাঁদে পরিণত করছে। তাই আইন মানার জন্য প্রয়োজনে আরও কঠোর আইন করতে হবে।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, চলতি বছর হিট স্ট্রোকে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সঠিক কোন হিসাব সরকারের কাছে নেই। তাদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের ব্যাপারেও তেমন কোন তথ্য নেই। বর্তমান বাস্তবতায় দুর্যোগজনিত কারণে মারা যাওয়া অসহায় ব্যক্তিদের পরিবারকে অন্তত ৩ লাখ টাকা প্রদান করা উচিৎ।

তিনি বলেন, প্রতি বছর অতি তাপমাত্রায় ২.৭ বিলিয়ন ডলারের উৎপাদনশীলতা নষ্ট হয়। অতিমাত্রার গরমের কারণে ২০৩০ সাল নাগাদ শুধু পোশাক খাতে ৬ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে পোশাক খাতসহ বিভিন্ন শিল্প কারখানার কমীর্রা চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে। আমরা আশা করবো চলতি বছর আর কোন উচ্চ মাত্রার তাপদাহ তৈরি হলে সরকার তার ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করবে।

;

ভাঙ্গায় ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল বাবা-ছেলেসহ ৩ জনের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলেসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (১১ মে) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার হামিরদি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- কাশেম শিকদার (৪০), তার ছেলে মোরসালিন (৮) ও তার আপন ভাই নাজমুল শিকদার (৩৭)। তারা গোপালগঞ্জের মোকসুদপুর উপজেলার কোয়ালদিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল্লাহেল বাকী।

তিনি জানান, ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুরগামী একটি ইটবোঝাই ট্রাক হামিরদি এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আহত মোটরসাইকেল আরোহী তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যান সবাই।

তিনি আরও জানান, নিহতরা ফরিদপুর থেকে কাজ শেষে তাদের গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন। ঘাতক ট্রাক ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। নিহত তিনজনের মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে এবং মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

;