লোকসানের বৃত্তে পাটের সুদিন ফিরে আসার স্বপ্ন অধরা!



মানজারুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
পাট কারখানায় কর্মরত নারী শ্রমিক/ছবি: বার্তা২৪.কম

পাট কারখানায় কর্মরত নারী শ্রমিক/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পণ‌্যের মোড়কে পাটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক আইন আছে ঠিকই কিন্তু প্রয়োগ নেই বললেই চলে। দেশে পাট পণ্য উৎপাদনে রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প আছে কিন্তু বহুমুখী পণ্য উৎপাদনের উদ্যোগ নেই। এতে পাট ও পাটজাত পণ্যের সুদিন ফিরিয়ে আনার স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেছে বহুকাল ধরে। লোকসানের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছেন না কৃষক, পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও রফতানিকারকেরা।

লোকসানের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছেন না কৃষক

খুলনা বিভাগীয় পাট অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, পাট ও পাটজাত পণ্যের সুদিন ফিরিয়ে আনতে ২০১০ সালে মোড়কে পাটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক আইন প্রণয়ন করে সরকার। এর ফলে দেশে প্রতিবছর ১’শ কোটি পাটের বস্তার চাহিদা সৃষ্টি হয়। ধাপে ধাপে প্রথমে ৬টি এরপর মোট ১৯টি পণ্যের সংরক্ষণ ও বিপণনে পাটের মোড়ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়। শুরুতে আইন প্রয়োগে পাট মন্ত্রণালয় সচেষ্ট থাকলে সময়ের আবর্তে দীর্ঘ ৯ বছরে ঝিমিয়ে পড়েছে সে উদ্যোগ।

পাটের বস্তা তৈরিতে ব্যস্ত শ্রমিক

আরো জানা যায়, ২০১৫ সালে ১৯টি পণ্যে পাটের বস্তার ব্যবহারে সরকার কড়াকড়ি আরোপ করলে রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলগুলি লোকসানের বৃত্ত থেকে বেরিয়া আসার স্বপ্ন বুনতে থাকে। ২০১৬ সালের প্রথম দুই মাসে খুলনা যশোর অঞ্চলের ৯টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল উৎপাদন করে প্রায় ৮০ লাখ বস্তা। কিন্তু বিক্রি হয় মাত্র ১০ লাখ বস্তা। কারখানাগুলোতে বহুমুখী পণ্য উৎপাদনে ব্যর্থতা ও বিজেএমসির ত্রুটিপূর্ণ বিপণন ব্যবস্থার কারণে মুখ থুবড়ে পড়েছে পাটের সুদিন ফিরিয়ে আনার স্বপ্ন।

পাটের দড়ি দিয়ে বস্তা সেলাই করছে এক শ্রমিক

এছাড়া উচ্চ আদালতের নিদের্শে ৭টি পণ্যে (চিনি, ডাল, আটা, ধান, গম, ভুট্টা, চাল) পাটের বস্তা ব্যবহারে স্থগিতাদেশের পর বন্ধ হয়ে যায় চটের বস্তার ব্যবহার। একইসঙ্গে আমদানি পণ্যেও মানা হচ্ছেনা পণ্যের মোড়কীকরণ আইন।

পাট অধিদফতরের মুখ্য পাট পরিদর্শক রাধে শ্যাম নাথ বলেন, মোট ১৯টি পণ্যে পাটের মোড়ক ব্যবহারের কথা থাকলেও ব্যবসায়ীদের রিটের প্রেক্ষিতে ৭টি পণ্যের মোড়কে ব্যবহারে আদালতের নিষেধাজ্ঞা দেয়। পরে চালের ওপর থেকে তা প্রত্যাহার করে। ফলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় চিনি, ডাল, আটা, ধান, গম ও ভুট্টার সংরক্ষণ-বিপণনে পাটের বস্তা ব্যবহার বাধ‌্যতামূলক করা সম্ভব হচ্ছে না। অপরদিকে বিদেশ থেকে আসা পেঁয়াজ, রসুন, আদাসহ ১২টি পণ্যেও ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাতে পাটের বস্তা ব্যবহার করছে না। বাজার ব্যবস্থাপনা ও পণ্যের সংকট রোধে এর বিরুদ্ধেও কোনো কঠোর ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে মোড়কে পাট পণ্যের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন ব্যহত হচ্ছে।

যশোর অঞ্চলের ৯টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল উৎপাদন করে প্রায় ৮০ লাখ বস্তা

পাট অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১৬০৮ ভ্রাম্যমাণ আদালত ১.৫১ কোটি টাকা অর্থদণ্ড ও দুজনকে কারাদণ্ড দিয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১৪৭৫টি ভ্রাম্যমাণ আদালত ১.১১ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১০৪৩টি ভ্রাম্যমাণ আদালত ৬৩.৩১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে। সর্বশেষ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮৯৭টি ভ্রাম্যমাণ আদালত ৬৫.৩১ লাখ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে।

বিজেএমসির আঞ্চলিক সমন্বয় কর্মকর্তা বণিজ উদ্দিন মিঞা বলেন, বিপণন ব্যবস্থা ভালো করতে ও পাটখাত স্বনির্ভর হবার জন্য আমার প্রযুক্তি পাল্টাতে হবে। একইসঙ্গে লোকবল বাড়াতে হবে এ খাতে। পণ্যে পাটের মোড়ক বাধ্যতামূলক আইন প্রণয়নের উদ্যোগে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো লোকসানের বৃত্ত থেকে বের হওয়ার স্বপ্ন দেখেতে থাকে। কিন্তু বহুমুখী পণ‌্য উৎপাদন ব্যবস্থা চালু না হওয়া ও বিজেএমসির বিপণন ব্যবস্থায় আমলাতান্ত্রিক জটিলতা থাকায় মিলগুলো প্রতিযোগিতামূলক বাজারে পিছিয়ে পড়েছে। ২০১৫ সালে থেকে যেখানে মিলগুলোর লাভে যাওয়ার কথা, সেখানে গত পাঁচ বছরে খুলনা অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত ৯ জুট মিলে লোকসান ১ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকা।

মাত্র ১০ লাখ পাটের বস্তা বিক্রি হয়

 

কাঁচাপাট রফতানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশে জুট অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য বলছে, বিগত ৫ বছরে পাকিস্তান, ভিয়েতনামসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশে কাঁচাপাট রফতানি বেড়েছে। গতবছর সরকার কাঁচাপাট রফতানি বন্ধ ঘোষণা করায় অধিকাংশ বিদেশি ক্রেতাই এখন আর বাংলাদেশ থেকে পাট কিনতে চান না। ফলে কাঁচাপাটের বাজার এখন ভারত নির্ভর যার সুবিধা নিচ্ছে ভারতীয় ক্রেতারা, লোকসান গুনতে হচ্ছে বাংলাদেশের রফতানিকারকদের।

কারখানায় মজুদ পাটের বস্তা

বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ শহিদুল ইসলাম জানান, বিগত বছর‌ে খুলনা অঞ্চলের ১৪০ জনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের ২’শতাধিক ব্যবসায়ী কাঁচাপাট রফতানি করতো। কিন্তু ২০১৯ সালে কাঁচাপাট রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করার ফলে অধিকাংশ রফতানিকারক লোকসানে পড়ে এবং ব‌্যাংকে খেলাপি হয়ে পড়ে। ব্যববসায়ীদের প্রণোদনা দিতে প্রধানমন্ত্রী ও পাটমন্ত্রী রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংগুলোকে কাঁচাপাট রফতানিকারকদের ব্লকঋণ সুবিধা দেয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু অধিকাংশ ব‌্যাংক তা বাস্তবায়ন না করায় পুঁজি সংকটে বর্তমানে দেশে মাত্র ২০ জন রফতানিকারক কাঁচাপাট রফতানি করছে।

বর্তমানে দেশে মাত্র ২০ জন রফতানিকারক কাঁচাপাট রফতানি করছে

বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম পিয়াস জানান, অর্থ সংকটে অধিকাংশ ব্যবসায়ী ফড়িয়াদের টাকা দিতে পারছে না। ফলে ফড়িয়ারা কৃষকদের কাছ থেকে কেনা পাটের দামও পরিশোধ করছে না। পাট ও পাটজাত পণ্যের সুদিন ফিরেয়ে আনতে যে আইন আছে তার সুষ্ঠু প্রয়োগ না থাকায় ব্যবসায়ী থেকে কৃষক সকলেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর ফলে দেশের অর্থনীতিতে বিরুপ প্রভাব পড়ছে যা কাম্য নয়।

   

পরিবহনে চাঁদাবাজি, মূলহোতাসহ আটক ১৫: র‌্যাব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পরিবহনে চাঁদাবাজি, মূলহোতাসহ আটক ১৫: র‌্যাব

পরিবহনে চাঁদাবাজি, মূলহোতাসহ আটক ১৫: র‌্যাব

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহনে অবৈধভাবে চাঁদাবাজিকালে চাঁদাবাজ চক্রের মূলহোতা ফজলে রাব্বিসহ ১৫ জনকে আটক করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১০)। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন কুতুবখালীর কাজলা ব্রিজ ও যাত্রাবাড়ী মোড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়।

রোববার (২৮ এপ্রিল) র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার এম. জে. সোহেল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আটককৃত ব্যক্তিদের নাম- ফজলে রাব্বি (২৫), মোঃ রাজ (২৩), সাব্বির আহম্মেদ (১৯), মোঃ ফয়সাল (২১), মোঃ সানোয়ার হোসেন অন্তর (২৫), তাজুল ইসলাম তাজ (১৯), মোঃ রাকিব (১৯), আরিফ আহম্মেদ (১৯), মোঃ আশাবুদ্দিন (৩৩), মোঃ শাহিন (১৯), মোঃ শাওন (১৯), মোঃ মেহেদী হাসান (১৯), মোঃ বেলাল (৪০), গোলাম রাব্বি (আসিফ) (২০), জাহিদুল ইসলাম সাব্বির (১৯)।

সোহেল জানান, গতকাল শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল হতে দুপুর পর্যন্ত র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানাধীন কুতুবখালী, কাজলা ব্রিজ ও যাত্রাবাড়ী মোড় এলাকায় একাধিক অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহন হতে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকালে চাঁদাবাজ চক্রের মূলহোতা ফজলে রাব্বিসহ ১৫ জন পরিবহন পরিবহন চাঁদাবাজকে আটক করে।

এসময় তাদের কাছ থেকে আদায়কৃত নগদ ৭ হাজার টাকা চাঁদা এবং ৪টি কাঠের লাঠি উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আটককৃত ব্যক্তিরা বেশ কিছুদিন যাবৎ রাজধানীর যাত্রাবাড়ীসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপারদের সাথে অশোভন আচনের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছিল বলেও জানান তিনি।

আটককৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক মামলা রুজু করতঃ সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।

;

ডিএমপির দুই এডিসির বদলি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: ডিএমপি

ছবি: ডিএমপি

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) পদমর্যাদার দুই কর্মকর্তাকে বদলি করে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান অফিস আদেশে সই করেন। রোববার (২৮ এপ্রিল) সদরদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আদেশে বলা হয়েছে, লালবাগ জোনের এডিসি মোহাম্মদ শহিদুল ইসলামকে ডিএমপির অপারেশনস বিভাগে এবং অপারেশনস বিভাগের এডিসি সুজয় সরকারকে লালবাগ জোনের এডিসি পদে পদায়ন করা হলো। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

;

কোরবানির ঈদে পশু আমদানির পরিকল্পনা নেই: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কোরবানির ঈদ উপলক্ষে পশু আমদানির কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সাভারের বিপিএটিসি'তে বিসিএস লাইভ স্টক একাডেমিতে ৪১তম মৎস্য ক্যাডারের নবনিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের যোগদান উপলক্ষে ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, খামারিদের উৎসাহ প্রদান করা, তাদের পাশে দাঁড়ানো এবং তারা যাতে উৎপাদনটা আরও বেশি করতে পারেন সেজন্য আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। পশুর দাম যাতে মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে সেই ব্যাপারে আমাদের উদ্যোগ আছে।

তিনি বলেন, আমাদের গবাদি পশু যেমন, গরু ছাগল ইত্যাদির নানা ধরনের রোগ বালাই আসে। রোগ বালাই প্রতিরোধে একটা বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেজন্য ভেটেনারি হাসপাতালগুলো আধুনিকায়ন করা এবং সেগুলোকে সক্রিয় করতে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। এগুলো যেন ভালোভাবে মানুষকে সেবা দিতে পারে সেই ধরনের ব্যবস্থাপনার জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি আমদানির করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, খামারিদের উদ্বুদ্ধ করার পরিকল্পনা আমরা ইতোমধ্যে নিয়েছি। বিশ্ব ব্যাংকের একটি প্রকল্প রয়েছে। এই প্রকল্পে খামারিরা ১০০ টাকা বিনিয়োগ করলে সেখানে আমরা ৬০ টাকা দেব। নামমাত্র সুদে দীর্ঘ সময় নিয়ে খামারিদের টাকা ফেরত দেওয়ার সুযোগ দিচ্ছি। এতে নিশ্চয়ই খামারিরা আগ্রহ প্রকাশ করবে এবং উৎসাহিত হবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. মো. রেজাউল হকের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম উদ্দিন। এ সময় প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

দেশে এখন খাদ্য-বস্ত্রের অভাব নেই: মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে এখন খাদ্য-বস্ত্রের কোনো অভাব নেই বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

রোববার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে মুক্তমন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত লেখক আরিফ উর রহমান খান রচিত ‘শেখ হাসিনা মানবিকতার আলোকবর্তিকা’ গ্রন্থ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, দেশে এখন খাদ্য, বস্ত্রের কোনো অভাব নেই। এখন কেউ আর খালি পায়ে হাঁটে না। গ্রাম অঞ্চলে গেলে এখন আর কুঁড়ে ঘর দেখা যায় না। দেশ এখন অনেক পরিবর্তন হয়েছে।  

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশকে স্বাধীন করেছেন কেবলমাত্র একটা পতাকার জন্য নয়, একটা নতুন ভূখণ্ডের জন্য নয়, শুধুমাত্র একটা জাতীয় সংগীতের জন্য নয় বরং বঙ্গবন্ধু জাতিকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন দেশ যদি স্বাধীন হয়, মানুষের যে মৌলিক অধিকার তা পূরণ হবে। দেশ যদি স্বাধীন হয় তাহলে মানুষ খেয়ে পরে বাঁচবে। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক হতে পারতাম না।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এই দেশ আবারও পাকিস্তানি কায়দায় ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র হয়েছে এবং এই দেশের কোনো কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি। বঙ্গবন্ধুর হত্যার সাথে যারা জড়িত, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না, তারা ২৯ বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল। তাদের সময় রাষ্ট্রের কোনো উন্নয়ন হয়নি।

মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন অনেক এগিয়ে গেছে। শেখ হাসিনা দেশের কেবল উন্নয়ন করেছে তা নয়, জাতিকে কলঙ্কমুক্ত ও দায়মুক্ত করেছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদেরকে বিচার করেছে এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছে। এদের বিচার না করলে জাতি আজও কলঙ্কমুক্ত হতো না। বিভিন্ন ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার যে অবদান সেটি বলে শেষ করা সম্ভব নয়।

অধ্যাপক মো. হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় কবি আসলাম সানীসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। 

;