করোনা ঝুঁকি এড়াতে রঙ দিয়ে দূরত্ব নির্ধারণ



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
রংপুরের বদরগঞ্জে বাজারের রাস্তার ওপর রঙ দিয়ে দূরত্ব নির্ধারণ করা হয়েছে

রংপুরের বদরগঞ্জে বাজারের রাস্তার ওপর রঙ দিয়ে দূরত্ব নির্ধারণ করা হয়েছে

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত দশ দিনের সাধারণ ছুটিতে রংপুর নগরীর নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার সামগ্রীর দোকান ও ফার্মেসিতে ভিড় বেড়েছে। তাই ক্রেতাদের মধ্যে করোনা ঝুঁকি এড়াতে কম করে এক মিটার দূরত্ব রাখতে নগরীর বাজারগুলোতে সাদা রং দিয়ে রাস্তার ওপর গোল বৃত্ত এঁকে দেওয়া হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) বিকেলে নগরীর সিটি বাজার, মাহিগঞ্জ বাজারসহ বিভিন্ন ওষুধের দোকানের সামনের সড়কে ওই গোল বৃত্ত আঁকার কাজ করছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

বাজারের মুদির দোকান, শাক-সবজি ও মাছ-মাংসের দোকানসহ ওষুধের দোকানে ক্রেতারা কিভাবে দাঁড়াবেন, কত ফুট দূরত্বে দাঁড়াবেন, কিভাবে পণ্য কিনবেন তার নির্দেশনাও টাঙানো হয়েছে।

নিরাপদ দূরত্ব নির্ধারণ চিহ্ন

এদিকে গোল চিহ্নের মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকে বাজারে পণ্য কিনতে দেখা গেছে ক্রেতাদের। একটি বৃত্ত ফাঁকা হলেই পরের জন এগিয়ে যাচ্ছেন। দোকানের সামনে এমন বৃত্ত করে দেওয়ায় প্রশাসনের প্রতি সাধুবাদ জানান সিটি বাজারে আসা মেজবাহুল ইসলাম হিমেল নামে এক ক্রেতা।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাস আতঙ্কে আমরা সবাই। প্রশাসনের নির্দেশনা অনেকেই মানছে না। অথচ আমাদের ভালো থাকার জন্য নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা জরুরি। এখন আমাদের ক্রেতাদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব সৃষ্টি হবে। এটা অনেক ভালো উদ্যোগ।

এদিকে বৃত্তকরণ কার্যক্রম শেষে সেনা সদস্যদের টিমের সমন্বয়ক মেজর তারেক উপস্থিত লোকজনকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে বের হতে নিষেধ করেন। একই সাথে বাজারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করার পরামর্শ দেন ।

বদরগঞ্জ পৌর শহরে দোকানের সামনে ক্রেতাদের নিরাপদ দূরত্ব নির্ধারণ চিহ্ন

এসময় রংপুর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র মাহমুদুর রহমান টিটু, কাউন্সিলর সেকেন্দার আলী, সিটির নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন মিঞাসহ সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রশাসনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে জেলার বদরগঞ্জ পৌর শহরেও প্রশাসনের উদ্যোগে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করতে ক্রেতাদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। সেখানকার বাজারেও এমন চিহ্ন তৈরি করে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নবীরুল ইসলাম।

   

বিয়েতে রাজি না হওয়ায় স্কুল ছাত্রীকে কুপিয়ে জখম



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট বার্তা ২৪.কম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক স্কুল ছাএীকে কুপিয়ে আহত করেছে এক যুবক। মঙ্গলবার (৭ মে) ভোরে উপজেলার চান্দপুর ইউনিয়নের চারিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই স্কুল ছাএী (১৬) উপজেলার বোয়ালিয়া তাহেরা নূর স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেনির শিক্ষার্থী।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত পার্শ্ববর্তী মুমুরদিয়া ইউনিয়নের কুড়িখাই গ্রামের নিদু মিয়ার ছেলে মনিরকে (২০) আটক করেছে পুলিশ।

জানা যায়, মনিরের বাবা ও মেয়ের বাবা মামাত ফুফাত ভাই। আত্মীয়তার সূত্রে মনির প্রায় সময়ই বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। মনিরের উদ্দেশ্য ছিল মেয়েকে বিয়ে করা। কিন্তু মেয়ে মনিরকে পছন্দ করতো না। তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তা না নাকচ করে দেয়। প্রায় সময়ই সে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে উত্যক্ত করতো এবং নানা রকম ভয়ভীতি দেখাতো।

সোমবার রাতে কোনো এক সুযোগে মনির ধারালো অস্ত্রনিয়ে মেয়ের ঘরে লুকিয়ে থাকে। পরে ওই মেয়েকে ভোর রাতে ঘুমের মধ্যে এলোপাথারী কুপাতে থাকে। এ সময় তার চিৎকারে ঘরে থাকা তার মা ও ছোট ভাই জেগে দেখে, মনির ধারালো অস্ত্র দিয়ে মেয়েকে কুপিয়ে জখম করছে। পরে তাকে আটকানোর চেষ্টা করলে সে পালিয়ে যায়। আহত মেয়েকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য দ্রুত ভাগলপুর বেসরকারি একটি হাসপাতালে নিয়ে যায় তার মা। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন আছে।

ভুক্তভোগীর মা জানান, মনির আমার মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে সে রাজী না হওয়ায় দীর্ঘদিন যাবত উত্ত্যক্ত করে আসছে। ঘরে ঢুকে মেয়েকে ঘুমের মধ্যে কুপিয়ে জখম করে। আমি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

বোয়ালিয়া তাহেরা নূর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ইন্দ্রজিৎ সাহা বলেন, সে একজন মেধাবী ছাত্রী। সে নিয়মিত স্কুলে আসে এবং তার লেখা পড়ায় প্রবল আগ্রহ আছে তার। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও অপরাধীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছি।

কটিয়াদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন এবং অভিযুক্ত মনিরকে আটক করা হয়েছে৷ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;

সিলেটের শ্রমিকদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আনসার আলীসহ ৫ জনের নামে মিথ্যা মামলা, ৩ জনকে গ্রেফতার ও হয়রানির প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশন। সেইসঙ্গে অবিলম্বে শ্রমিকদের মুক্তি দাবি করেন তারা।

মঙ্গলবার (০৭ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ প্রতিবাদ জানান সংগঠনটির নেতারা।

এছাড়াও মে দিবসের মিছিলে পুলিশের ছত্রছায়ায় মালিকদের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের হামলায় বৃহত্তর কোতয়ালী থানার সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব সরকারকে মারাত্মকভাবে জখম করা, নেত্রকোনা জেলায় মে দিবসের র‍্যালিতে যোগদান করায় শ্রমিকদের মারধর ও হোটেল থেকে বের করে দেওয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তারা।

বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আক্তারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের সহ-সভাপতি শ্যামল কুমার ভৌমিক, বাংলাদেশ ওএসকে গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. ইয়াসিন, বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকার যদি শ্রমিক আন্দোলন নিয়ে কোনো ধরনের তালবাহানা করে, মে দিবসকে কেন্দ্র করে সরকার গ্রেফতার অব্যাহত রাখে, যদি অবিলম্বে তাদের মুক্তি দেওয়া না হয়, আমরা প্রথমে কর্ম বিরতিতে যাবো সিলেট বিভাগে। তারপর যদি না হয়, তাহলে সারা বাংলাদেশে আমরা কর্ম বিরতিতে যাবো। আমরা আহ্বান করবো, অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত শ্রমিকদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার। অন্যথায় সংগঠন তার কর্মসূচি দিয়েই দাবি আদায় করবে।

;

কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে অভ্যস্ত হওয়ার আহ্বান



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাকিল আহমেদ কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে অভ্যস্থ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে অভ্যস্ত হতে হবে। তাহলেই তারা লাভবান হতে পারবেন।

মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে ‘কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্প’-এর আওতায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় চত্বরে তিনদিনব্যাপী কৃষি মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মো. শাকিল আহমেদ বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। কৃষিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সরকার কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষি মেলার আয়োজন করেছে। এতে করে অনেক কৃষক কন্দাল ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। আমরা চাইছি, এই মেলার মধ্য দিয়ে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষকেরা যেন লাভবান হতে পারেন।

এসময় তিনি বলেন, কৃষক যদি উৎপাদন না করেন, দেশটা পিছিয়ে পড়বে। তাই, এই মেলার মধ্য দিয়ে আপনাদের বলছি, আপনারা আপনাদের জমি একটু ভাগ করেন। অন্তত তিন ভাগে ভাগ করেন। কিছু সবজি, কিছু কন্দাল ফসল ও কিছু ধান আবাদ করুন। তাহলেই আপনারা লাভবান হতে পারবেন।

অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মো. সোহেল রানার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন জলি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হেলাল উদ্দিন, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আবুল হাসিম, কৃষক মো. মুর্শিদ প্রমুখ।

;

চট্টগ্রামে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতে চসিক-সিএমপি চুক্তি সই



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম মহানগরীতে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করার জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) একটি চুক্তি সই করেছে। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের কোনো শহরের দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এটিই প্রথম চুক্তি সই।

মঙ্গলবার (৭ মে) টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী ও সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়ের উপস্থিতিতে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়।

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ও সিএমপির ডেপুটি কমিশনার (হেড কোয়ার্টার) আব্দুল ওয়ারিশ নিজ নিজ সংস্থার পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

সভায় চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চসিক এবং সিএমপি যানজটমুক্ত চট্টগ্রাম গড়তে একসঙ্গে কাজ করছে। ইতোমধ্যে, উচ্ছেদ কার্যক্রমের কারণে শহরে যানজট কমেছে। এই চুক্তির আওতায় পারস্পরিক তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে আমরা নিরাপদ নগর পরিকল্পনায় আরো এগিয়ে যাবো

সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেন, তথ্যের এই আদান-প্রদান ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে আরো বেশি বিজ্ঞানভিত্তিক ও গতিশীল করবে। ভূমিকা রাখবে সড়ককে আরো নিরাপদ করতে।

ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটি (বিআইজিআরএস) বিশ্বের ২৮টি শহরে রোড ক্র্যাশে মৃত্যু ও হতাহতের সংখ্যা কমাতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করেছে। চট্টগ্রামেও বিআইজিআরএসের কারিগরি সহায়তায় চসিক ও সিএমপি নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে যৌথভাবে কাজ করবে।

জানা গেছে, এ চুক্তির লক্ষ্য চট্টগ্রামে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার জন্য দায়িত্বশীল দুটি প্রধান সংস্থা সিএমপি এবং চসিকের মধ্যে একটি সমন্বয় প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠা করা। নগরের সড়ক ব্যবস্থাপনা, সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য লিপিবব্ধ করা এবং তদন্তের দায়িত্ব সিএমপির। অন্যদিকে, নিরাপদ সড়ক অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বিদ্যমান রাস্তাগুলির দেখভালের কাজটি চসিকের।

এই চুক্তির মাধ্যমে উভয় সংস্থাই চট্টগ্রাম মহানগরীতে সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য তথ্য আদান-প্রদান এবং সমন্বয় করে কাজ করবে।

এই চুক্তি দুর্ঘটনার তথ্য আদান-প্রদান, ব্যবস্থাপনা এবং বিশ্লেষণ, রাস্তার ডিজাইন এবং তথ্য-উপাত্ত যথাযথভাবে ব্যবহারের জন্য একটি প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠা করবে। এর ফলে প্রতিটি সংস্থা কার্যকরভাবে তথ্যগুলো কাজে লাগিয়ে সড়ক নিরাপত্তায় শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে। এছাড়া সড়ক অবকাঠামোর নকশা, নির্মাণ, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়ে উভয় সংস্থা একে অপরের সঙ্গে পরামর্শ করবে।

এই চুক্তির অধীনে, চসিক ও সিএমপি দুর্ঘটনার তথ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ করে শহরে দুর্ঘটনা ও হতাহতের ঘটনা কমিয়ে আনতে একটি সমন্বিত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তারা তথ্য বিশ্লেষণ করবে এবং যৌথভাবে বার্ষিক সড়ক নিরাপত্তা প্রতিবেদন প্রকাশ করবে।

সংস্থাগুলি শহরের সড়ক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান এবং রোডগুলি চিহ্নিত করতে একত্রে কাজ করবে, যেখানে নকশা পরিবর্তন, পরিমার্জন করা দরকার। বৃহত্তর অর্থে, এই চুক্তিটি সড়ক নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য চসিক ও সিএমপির মধ্যে একটি সমন্বিত পদ্ধতির বিকাশ ঘটাবে।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম বাহাদুর, আবুল হাসনাত মো. বেলাল, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আকবর আলী, ফরহাদুল আলম, জসিম উদ্দিন, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা এবং বিআইজিআরএস চট্টগ্রামের এমবেডেড কর্মকর্তারা।

;