সজনে ডাঁটায় ভরে গেছে গাছ



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
সজনে ডাঁটা, ছবি: বার্তা২৪.কম

সজনে ডাঁটা, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে করোনাক্রান্তিতে প্রকৃতির বুকে চলছে চৈত্র সংক্রান্তির ক্ষণগণনা। চৈত্রের ঝলমলে রোদে হেলে দুলে হাসছে সবুজ প্রকৃতি। গাছে গাছে ফুল ফলে খেলা করছে ভ্রমর। এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য এখন দেখতেও মানা। কারণ করোনার সংক্রমণ রোধে থাকতে হচ্ছে নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব মেনে ঘরবন্দি। কিন্তু চোখ তো বন্ধ নেই।

রোদের ঝলকে চোখের পলকে প্রকৃতি উঁকি মারছে নিত্যদিন। ঘর থেকে জানালার পর্দা সরালেই ছন্দপতন জীবনে বৈচিত্র্যময় প্রকৃতির হাতছানি। সুনসান কোলাহলমুক্ত বাড়ির ছাদের ওপরে দাঁড়ালে নজর কাড়ছে সজনে ডাঁটায় ভরা গাছটা।

সোমবার (৬ এপ্রিল) সকালেও চোখের পলক থেকে দূরে থাকেনি ছোট ছোট সবুজ পাতা ভেদ করে ঝুলে থাকা সজনে ডাঁটা। পুরো গাছ সজনে ডাঁটায় ভরে গেছে।

সজনে ডাঁটায় ভরা গাছটা দেখে মনে পড়ছে কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ’র ‘মাগো ওরা বলে’ কবিতাটি। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে লেখা কবিতাটি ৬৮ বছর পর আজও প্রকৃতির সাথে মিলেমিশে আছে। কবিতায় কবির মতে-

“কুমড়ো ফুলে ফুলে
নুয়ে পড়েছে লতাটা,
সজনে ডাঁটায়
ভরে গেছে গাছটা,
আর আমি
ডালের বড়ি শুকিয়ে রেখেছি।
খোকা, তুই কবে আসবি?
কবে ছুটি ?”

কবিতার এই আংশিক লাইনগুলো মনে করতে করতে ছাদের ওপর থেকে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে এলাম। জানালার পাশে বসে মোবাইলফোনের বাটন টিপে খোঁজ নিলাম সজনে ডাঁটার বাজার কেমন। যান্ত্রিক যোগাযোগে জানানো হলো- কাঁচাবাজারে সজনে ডাঁটা আসতে শুরু হয়েছে। তবে চাহিদার তুলনায় কম, তাই দাম বেশি। প্রতি কেজি সজনে ডাঁটা এখন ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

শহরে চোখে পড়া নেতানো সজনে ডাঁটার মতো গ্রামেও গাছে গাছে ঝুলছে সজনে ডাঁটা। তবে এখন করোনার প্রভাবে বাজারে সরবরাহ কম। সজনে ডাঁটা যেমন প্রচণ্ড গরমে দেহ সতেজ ও ঠাণ্ডা রাখে। তেমনি এর পাতা আঞ্চলিক খাবার ‘শোলকা’তে ব্যবহার হয়।

সজনে পাতায় ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, আয়রন ও পটাসিয়াম রয়েছে। কারও কারও মতে, সজনের পাতায় অরেঞ্জ ও লেবু থেকে সাত গুণ বেশি ভিটামিন-সি আছে। গাজর থেকে ৪ গুণ বেশি ভিটামিন-এ, দুধ থেকে ৪ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম ও ডিম থেকে দুই গুণ বেশি প্রোটিন আছে। এছাড়াও শাক থেকে ২৫ গুণ বেশি আয়রন এবং কলা থেকে ৩ গুণ বেশি পটাশিয়াম আছে।

সজনে পাতা ও ডাঁটা হার্ট ভাল রাখা, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও রক্তের সুগার লেভেল কমিয়ে ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া ক্যান্সার কোষ বৃদ্ধি প্রতিরোধ, দেহের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ, রক্তশূন্যতা দূর, বাতের ও হাঁটুর ব্যথা উপশমে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

   

২৮ বছরে রাজধানীর সবুজ কমে হয়েছে ৯ শতাংশ: বিআইপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকায় ১৯৯৫ সালে সবুজ ছিল ২২ শতাংশ। গত ২৮ বছরে তা কমে মাত্র ৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। নগর পরিকল্পনার মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি আদর্শ শহরে ২৫ শতাংশ সবুজ এলাকা থাকার কথা বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)।

বিআইপির উদ্যোগে শনিবার (৪ মে) বেলা ১১টায় রাজধানীর বাংলামোটরে প্ল্যানার্স টাওয়ারের বিআইপি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত ‘ঢাকায় তাপদাহ: নগর পরিকল্পনা ও উন্নয়ন ব্যবস্থাপনার দায় ও করণীয়’ শীর্ষক পরিকল্পনা সংলাপে বিআইপির পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।

বক্তারা বলেন, ভবনের নকশায় প্রাকৃতিক আলো-বাতাস চলাচলকে ব্যাহত করে দিয়ে আবদ্ধ ঘর, কাচ নির্মিত ঘর ও এসি ব্যবহারকে মাথায় রেখে ভবন নির্মাণের প্রবণতার কারণে মহানগরীতে তাপমাত্রা বাড়ছে।

তারা বলেন, ঢাকা মহানগরীতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও তাপদাহের প্রভাবের মূলে ভূমি আচ্ছাদনের (সবুজ, পানি ও ধূসর বা কংক্রিট আচ্ছাদন) মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট, কংক্রিটের পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি, ভবনের নকশায় পরিবেশ ও জলবায়ুর ধারণা অনুপস্থিত, কাচ নির্মিত ভবন ও এসিনির্ভর ভবনের নকশা তৈরি, সবুজ এলাকা নষ্ট করে অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ, বনায়ন না করাসহ বহুবিধ কারণ রয়েছে। প্রাকৃতিকভাবেই আমাদের ঢাকা শহরে কয়েক দশক আগেও নগর পরিকল্পনার মানদণ্ড অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণ সবুজ এলাকা ও জলাশয় বিদ্যমান ছিল। নগর এলাকায় সরু রাস্তার পাশেই সুউচ্চ ভবন নির্মাণ, সরকারি-বেসরকারি সংস্থাসমূহ কর্তৃক জলাশয়-জলাধার-সবুজ এলাকা ধ্বংস করা হচ্ছে। ময়লার ভাগাড়, ইটভাটা, যানবাহন ও শিল্প-কারখানার ধোঁয়া থেকে সৃষ্ট বায়ু দূষণে নগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির পাশপাশি বায়ু দূষণে সৃষ্ট অতি ক্ষুদ্র কণার কারণে নগরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ঢাকার বাতাসে উত্তাপ বাড়াচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর গ্যাস। ময়লার ভাগাড়, ইটভাটা, যানবাহন ও শিল্প-কারখানার ধোঁয়া থেকে তৈরি হচ্ছে গ্যাস।
বিআইপির সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসানের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ইনস্টিটিউটের সভাপতি পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরে সবুজ যেমন কমেছে, ঠিক তেমনি গত দুই দশকে বেড়েছে মাত্রাতিরিক্ত ধূসর এলাকা ও কংক্রিটের পরিমাণ, যা নগর এলাকায় তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে মারাত্মক হারে, বাড়ছে আরবান হিট আইল্যান্ডের প্রভাব।

২০১৯ সালে করা বিআইপির গবেষণা অনুসারে, কংক্রিট আচ্ছাদিত এলাকা ১৯৯৯ সালে ছিল ৬৪.৯৯ শতাংশ, ২০০৯ সালে বেড়ে হয় ৭৭.১৮ শতাংশ, আর ২০১৯ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৮১.৮২ শতাংশে।

২০২৩ সালে বিআইপির প্রকাশিত আরেকটি গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২৮ বছরে রাজধানী ঢাকার সবুজ এলাকা কমে মাত্র ৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে; অন্যদিকে, জলাভূমি নেমে এসেছে মাত্র ২.৯ শতাংশে। যদিও নগর পরিকল্পনার মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি আদর্শ শহরে ২৫ শতাংশ সবুজ এলাকা এবং ১০ থেকে ১৫ শতাংশ জলাশয়-জলাধার থাকার কথা।

ইতোমধ্যে ঢাকার শহরের বায়ুর মানদণ্ড পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় অত্যন্ত নিম্নমানের মন্তব্য করেন বিআইপির ন্যাশনাল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল লিয়াজোঁ পরিকল্পনাবিদ মো. আবু নাইম সোহাগ ।

বিআইপির বোর্ড সদস্য (রিসার্চ এন্ড পাবলিকেশন) পরিকল্পনাবিদ হোসনে আরা নগরের সবুজ এলাকা হ্রাস ও নগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে বলেন, ঢাকার দাবদাহ নিয়ন্ত্রণে এবং তাপ সহনশীল নগর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আরবান হিট মিটিগেশন ও ম্যানেজমেন্ট কৌশল নগর পরিকল্পনায় সর্বোচ্চ বিবেচনায় আনতে হবে।

এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব থেকে উদ্ধার পেতে ঢাকা মহানগরীর পরিকল্পনা এবং উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা–২০২২ এর সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে এবং এজন্য এসব প্রতিষ্ঠানে পরিকল্পনাবিদসহ প্রয়োজনীয় কারিগরি জনবল বৃদ্ধি করতে হবে।

;

উপজেলা নির্বাচন

সিলেটে বিএনপির ১৫ নেতা-নেত্রী বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেয়া বিএনপি থেকে সিলেট বিভাগের ১৫ জনসহ আরও ৬১ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার (৪ মে) দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য ২য় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যে সব নেতৃবৃন্দ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদেরকে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এরমধ্যে সিলেট বিভাগের চারটি জেলায় ১৫ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তন্মধ্যে সিলেট জেলায় ৩ জন, সুনামগঞ্জে ৭ জন, মৌলভীবাজারে ২ জন ও হবিগঞ্জে ৩ জন।

সিলেটে বহিষ্কৃতরা হলেন- সিলেট জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ ও গোয়াইনঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহ আলম স্বপন, সিলেট জেলা মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জৈন্তাপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী পলিনা রহমান ও ফতেহপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ছাদ উদ্দিন সাদ্দাম।

সুনামগঞ্জে-সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম চৌধুরী কামাল, তাহিরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আবুল কাশেম, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য হারুনুর রমিদ দুলাল, বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য মোহন মিয়া বাচ্চু, সুনামগঞ্জ মহিলা দলের সাবেক আহ্বায়ক মদিনা আক্তার, জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নূরুল হক আফিন্দি ও জামালগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন।

মৌলভীবাজারে-মৌলভীবাজার জেলা ওলামা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আব্দুল হেকিম ও মৌলভীবাজার মহিলা দলের সহ-সভাপতি মোসা.ডলি বেগম।

হবিগঞ্জে-হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক মোসা.আলফা বেগম, নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির ১ম যুগ্ম আহ্বায়ক মুজিবুর রহমান সেফু ও নবীগঞ্জ পৌরবিএনপির ১ম যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আলিম ইয়াছিন।

;

গাজীপুরে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আল আমিন হোসাইন (১৯) নামের এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন।

শনিবার (৪ মে) দুপুর দেড়টার দিকে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে তার মৃত্যু হয়।

নিহত কলেজছাত্র গাজীপুর মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার আক্তার আলীর ছেলে। তিনি চান্দনা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরে আল আমিনসহ কয়েকজন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট চত্বরে বেড়াতে যায়। এসময় সংঘবদ্ধ একদল ছিনতাইকারী এসে তাদের সঙ্গে থাকা জিনিসপত্র লুটে নেওয়ার সময় একপর্যায়ে আল আমিন বাধা দিলে তার বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে আল আমিনের সাথে থাকা সহপাঠীদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।

এ ব্যাপারে গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাফিউল করিম রাফি জানান, আল আমিন হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

;

টাঙ্গাইলে পাগলা কুকুরের কামড়ে নারী-শিশুসহ আহত ২২



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে একটি পাগলা কুকুরের কামড়ে নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ২২ জন আহত হয়েছে।

শনিবার (৪ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার মাটিকাটা, চিতুলিয়াপাড়া, গোবিন্দাসী ও নিকলা নয়াপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- উপজেলার কাগমারী পাড়ার মিজানুর রহমানের শিশু ছেলে তৌফিক, গোলাবাড়ী গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী আলিফা, নিকলা নয়াপাড়ার আজহারের ছেলে আম্বিয়া, নূরুল ইসলামের ছেলে জামাল হোসেন, গোবিন্দাসী গ্রামের রফিকের ছেলে শামিউল, মহিউদ্দিনের ছেলে সুজন মন্ডল, চিতুলিয়াপাড়ার গ্রামের মোখলেছ মিয়ার মেয়ে মনিজা খাতুন, নাজমুল হুদার ছেলে সাফওয়াল ইসলাম, শাহজাহানের স্ত্রী হোসনে আরা, ভালকুটিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে বায়েজিদ ইসলাম। অন্যদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

জানা যায়, আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল, নিকরাইল উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নেন।

এদিকে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কুকুরে কামড়ানো ভ্যাকসিন সরবরাহ না থাকায় বাইরে থেকে রোগীদের ভ্যাকসিন কিনে আনতে হচ্ছে। ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা।

কুকুরের আক্রমণের শিকার সুজন মন্ডল জানান, সকালে বাড়ির পাশে চড়ানো ছাগলকে আক্রমণ করে অনবরত কামড়াতে থাকলে আমি এগিয়ে গেলে কুকুরটি লাফ দিয়ে এসে আমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং কামড়াতে থাকে। কুকুরটি মানুষ ও পশু দেখলেই ক্ষিপ্ত হয়ে আক্রমণ করছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান বলেন, হাসপাতালে কিছুদিন আগেও কুকুড়ে কামড়ানো ভ্যাকসিন সরবরাহ ছিল। ভ্যাকসিন শেষ হয়ে যাওয়ায় রোগীদের ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়নি। আশা করছি দ্রুত ভ্যাকসিন সরবাহ করতে পারব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাহিমা বিন্তে আখতার বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার লোকজনের ওপর আক্রমণ করা পাগলা কুকুরটিকে দ্রুত ধরার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে শুনেছি গোবিন্দাসী খেয়াঘাট এলাকায় স্থানীয়রা কুকুরটি মেরে ফেলেছে।

তিনি আরও বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে দ্রুত ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।

;