রংপুরে কঠোর প্রশাসন, সন্ধ্যায় বের হলেই জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
রংপুরে কঠোর প্রশাসন,, ছবি: বার্তা২৪.কম

রংপুরে কঠোর প্রশাসন,, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনার সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনায় শুরু থেকেই ব্যাপক তৎপরতা চলছে রংপুরে। এতে সচেতনতা বেড়েছে। বেশির ভাগ মানুষ ঘরমুখি হয়েছেন। কেউবা রয়েছেন সঙ্গরোধে। প্রতিদিন পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত ও জনসমাগম রোধে কাজ করছেন।

এতো কিছুর পর অসচেতন মানুষজন বরাবরই স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে কারণে অকারণে ঘর থেকে বের হচ্ছেন। সড়কে বাড়ছে যানবাহন। হাট-বাজারেও এরা মানছেন না নিরাপদ শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব বিধি। এতে করে বাড়ছে করোনা ঝুঁকি। এমন পরিস্থিতিতে মহানগরীতে কড়া আইন জারি করেছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।

প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত ওষুধের দোকান ব্যতীত নিত্য প্রয়োজনীয় সব দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে এই আইনে। একই সাথে মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতাধীন এলাকাতে সব ধরনের ব্যক্তি ও যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

জরুরি সেবা, চিকিৎসা, ভোগ্য ও রফতানি পণ্য পরিবহন কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি ও যানবাহন এই নিষেধাজ্ঞার বাহিরে থাকবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই আইন জারি থাকবে। পুলিশের নতুন এই নির্দেশনা অমান্যকারীর বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থার হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে।

বুধবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরপিএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তার রোধে নানা ধরনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ এখনও পুরোপুরি সচেতন নন। প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেলে জনগণ সতর্ক হয়। কিন্তু প্রশাসনের লোকজন চলে গেলেই আবার জনসমাগম বাড়ছে। তাই বাধ্য হয়েই এই কড়াকড়ি নির্দেশনা করা হয়েছে। এ আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কমিশনার আবদুল আলীম বলেন, মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে জনগণকে সচেতন করতে এবং ঘরে রাখতে সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে অহেতুক যানবাহন নিয়ে ঘোরাফেরা বন্ধ ও অপরাধ প্রবণতা রোধে নগরীর বেশ কিছু স্থানে পুলিশি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।

এদিকে সকাল থেকে নগর জুড়ে মাইকিং শুরু করা হয়েছে। নিরাপদ শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে মাঠে কঠোর তৎপরতা চালাচ্ছেন র‍্যাব, পুলিশ, সেনাবাহিনী ও জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অহেতুক বাহিরে বের হওয়া লোকজনকে জেরা করা হচ্ছে। মোটরসাইকেলের কাজগপত্রহীন চালককে জরিমানা করার পাশাপাশি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

এব্যাপারে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) ফরহাদ ইমরুল কায়েস জানান, করোনা ঝুঁকি এড়াতে সরকারি সব নির্দেশনা মেনে জনগণকে ঘরে থাকতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। সড়কে বের হওয়া যানবাহনে অধিক যাত্রীর উঠানামা বন্ধ করার চেষ্টা চলছে। একই সাথে মোটরসাইকেলে শুধু মাত্র চালক, অটোরিকশাতে দুইজন যাত্রী এবং সাধারণ রিকশাতে এক জনের বেশি যাত্রী বহন করতে দেয়া হচ্ছে না। আইন অমান্যকারীদের জরিমানা করা হচ্ছে।

এদিকে গত রোববার (৫ এপ্রিল) রংপুর জেলা প্রশাসন পক্ষ থেকে জনসমাগম রোধে বিকেল ৫টার পর জেলার সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। ওষুধের দোকানসহ কৃষিপণ্য পরিবহন ও বিপণন জনিত ক্রয়-বিক্রয় এ বিধি নিষেধের আওতামুক্ত রাখার কথা বলা হয় নির্দেশনায়।

   

শিক্ষকদের বেতন বাড়াতে কাজ করছে সরকার: শিক্ষামন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শিক্ষকের মর্যাদা ও বেতন বাড়ানোর বিষয়টি কাজ করছে সরকার বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

শনিবার (৪ মে) সকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে ওই পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পার করেছে, তারা যেন মাধ্যমিক পরীক্ষা পর্যন্ত আসতে পারে এবং তারা যেন ঝরে না পড়ে, সেটা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।

ওই পোস্টে শিক্ষক ও অভিভাবকরা বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন। রিয়াজ রহমান নামে এক অভিভাবক মন্তব্য করেছেন, পঞ্চম শ্রেণির পরে কেউ ঝরে পড়ে না। ঝরে পড়ে স্কুল থেকে কলেজে ওঠার সময়। আর কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময়।

দেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় ৩৩ হাজার। প্রায় ছয় লাখের মতো শিক্ষক ও কর্মচারী যারা মান্থলি পে-অর্ডার বা মাসিক বেতন আদেশের মাধ্যমে সরকারের নিকট থেকে বেতন পান। একজন সাধারণ শিক্ষক স্কুল বা মাদরাসায় যোগদান করার শুরুতে বেতন পান ১২ হাজার ৭৫০ টাকা। বিএড থাকলে আরও কয়েক হাজার টাকা বেশি পান। প্রতি বছর পাঁচ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধি পায়। একজন সাধারণ শিক্ষকের অবসরের সময় বেতন দাঁড়ায় প্রায় ২৮ হাজার টাকা। সরকারি স্কেল অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক বেতন পায় ৩৩ খেকে ৩৪ হাজার টাকা। ঈদ উৎসব ভাতা শিক্ষকদের জন্য বেতনের ২৫ শতাংশ। কর্মচারীদের জন্য বেতনের ৫০ শতাংশ। পহেলা বৈশাখে ২০ শতাংশ হারে উৎসব ভাতা পেয়ে থাকেন।

;

ফ্যানের বাতাসে ধান উড়ানোর সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল নারীর



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, (গৌরীপুর) ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ফ্যানের বাতাসে ধান উড়ানোর সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে সাজেদা খাতুন (৪২) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত সাজেদা খাতুন ওই গ্রামের মো. হুমায়ুন কবিরের স্ত্রী।

শনিবার (৪ মে) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার ঈশ্বরগঞ্জ ইউনিয়নের চর পূবাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আবু হানিফা হানিফ।

জানা গেছে, রোববার দুপুরে বাড়ির উঠানে বৈদ্যুতিক ফ্যান দিয়ে ক্ষেতের মাড়াই করা ধান উড়ানোর কাজ করছিলেন সাজেদা বেগম। এসময় বৈদ্যুতিক ফ্যানের তারে পা জড়িয়ে গেলে বিদ্যুতায়িত হয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, ‘ফ্যানের বাতাসে ধান উড়ানের সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে নারী মারা গেছেন।

;

সাংবাদিকদের উপর মামলা-হামলার প্রতিবাদে বিডিজেএ'র সমাবেশ 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্প্রতি বরগুনা জেলার পাথরঘাটায় সংবাদ প্রকাশের কারণে আলাদাভাবে ৭ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে একাধিক মামলা ও পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলায় নাগরিক টেলিভিশনের প্রতিনিধির ওপর হামলার প্রতিবাদে রাজধানীতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বরিশাল ডিভিশনাল জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (বিডিজেএ)।

শনিবার (৪ মে) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক কর্মসূচীতে সংগঠনের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন। 

এসময় বক্তরা পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সাংবাদিক নির্যাতনের সঙ্গে যারা জড়িত দ্রুত তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের আহ্বান জানান। পাশাপাশি বরগুনায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনের মামলা অবিলম্বের প্রত্যাহার করার দাবি করেন সাংবাদিক নেতারা। অন্যথায় সাংবাদিক সংগঠনগুলো মিলে বৃহত্তর কর্মসূচি দেয়ারও ঘোষণা করেন বক্তারা।

সভায় ঢাকা সংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, গতকাল একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখা যায় মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে দুই ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ । টানা ১৫ বছর এই সরকার ক্ষমতায় আছে । শুধুমাত্র বিচারহীনতায় এই সময়ের মধ্যে সারাদেশে ৫৯ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।

তিনি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি মঠবাড়িয়ার সাবেক এমপির মদদে নাগরিক টেলিভিশনের প্রতিনিধির ওপর হামলা হয়েছে। হামলাকারী যে হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

অপরাংশের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, আমরা মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালন করছি। এরমধ্যে সারাদেশে সাংবাদিক নির্যাতন হচ্ছে। আমাদেরকে রাস্তায় দাড়াতে হচ্ছে। এতে কি প্রমাণ হয়। এদেশের গণমাধ্যম স্বাধীন নয়। সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না।

তিনি বলেন, শীর্ষ সাংবাদিক সংগঠনের এক নেতা বলেছেন, নির্যাতিত ওই সাংবাদিকদের নিয়োগপত্র আছে কিনা। আমি বলতে চাই তাদের নিয়োগপত্র আছে কিনা তা কি আপনার দেখার দায়িত্ব নেই। বাংলাদেশে যেখানেই সাংবাদিকদের ওপরে হামলা, মামলা হয় এর পেছনে পুলিশের ইন্ধন থাকে । এই হামলার বিচার না হওয়াতে বার বার সাংবাদিকরা নির্যাতনের শিকার হন।

তিনি আরও বলেন, কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করতে হলে স্বধীন সাংবাদিকতার কোন বিকল্প নেই।

এ সময় সভাপতি তারিকুল ইসলাম মাসুমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাহবুব সৈকতে সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, ডিইউজেএ’র সাবেক সহ-সভাপতি মানিক লাল ঘোষ, ঢাকা রিপোর্টার ইউনিটির সাবেক সহ-সভাপতি আজমল হক হেলাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খান, ডিইউজেএ’রসাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খান, ডিআরইউ’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ জামাল, টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (টিসিএ) এর সভাপতি ফারুক হোসেন তানভীর, বিডিজের যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক সানবীর রূপল ও রাজু হামিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব জুয়েল, দফতর ও প্রচার সম্পাদক ফাহিম মোনায়েম, সদস্য ইউসুফ আলী বাচ্চু, সংহতি প্রকাশ করেন রংপুর বিভাগীয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাউসুল আজম বিপু, ডিআরইউ’র সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঈনুল আহসান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাজেদা হক, ডিআরইউ নির্বাহী সদস্য মহিবুর রহমান, ঢাকাস্থ বরগুনা সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আব্দুল খালেক লাভলু, বঙ্গবন্ধু সাংবাদিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ প্রমুখ।

এ ছাড়া ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি তারিকুল ইসলাম রাকিব।

;

গাইবান্ধায় নির্বাচনী প্রচারণায় শিশুদের ব্যবহার!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ শ্রম আইন এবং নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী শিশুদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ থাকলেও গাইবান্ধার ফুলছড়িতে নির্বাচনী প্রচারণার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে শিশুদের। অর্থের প্রলোভন দিয়ে শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে পোস্টার। যার লোভে পড়ে শিশুরা তপ্ত রোদ উপেক্ষা করে আঠা দিয়ে দঁড়িতে লাগানো পোস্টার টানাতে ঝুঁকি নিয়ে উঠছেন বিভিন্ন গাছে।

শনিবার (৪ মে) এমন কয়েকটি ছবি প্রকাশ পেয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। ফেসবুকে প্রকাশ পাওয়া ছবিগুলো ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জি এম সেলিম পারভেজের।

প্রকাশিত ছবিগুলোর মধ্যে একটি ছবিতে দেখা যায় ঘোড়া প্রতীকের পোস্টার টানানোর জন্য গাছে উঠছে এক কিশোর। আর তাকে নিচে থেকে সহযোগিতা করছে আরেক শিশু।

অপর একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, এক যুবকের সাথে তিন শিশু আঠাযুক্ত পোস্টার লাগাচ্ছে দঁড়িতে। যা টানানো হবে ওই এলাকার বিভিন্ন গাছে গাছে।

ফেসবুকে পোস্ট করা ওই সব ছবি আজ শনিবার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের মদনেরপাড়া এলাকা থেকে তোলা হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়া তিনজনেই স্কুল শিক্ষার্থী।

অর্থের বিনিময়ে পোস্টার টানাতে শিশুদের ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চেয়ে ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জিএম সেলিম পারভেজের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ ব্যাপারে ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুস সোবহান মোবাইল ফোনে বলেন, পোস্টারতো যে কেউ লাগাতে পারে। তবে ছোট শিশু না।

পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ছবির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তা এড়িয়ে যান। বলেন, বিষয়টি আমি দেখতেছি, আপনাকে পড়ে জানাবো বলেই ফোন কেটে দেন তিনি।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে দেশের ১৫০ উপজেলার সঙ্গে গাইবান্ধার ফুলছড়িতেও অনুষ্ঠিত হবে ভোট।

;